সেই সময়কার কথা যখন আমি লেখা ফেরি করে বেড়াই। লেখা লাগাবে গো লে-খা, আছুইন কেউ, নিবেন নি গো লেখা। তখন মাঝে-মাঝে ঢাকায় নিশি যাপন করতে হয়। নিশি যাপন করি এক সিনিয়র বন্ধুর ওখানে, নয়াবাজারে। এই বন্ধুটি এক কাগজ টাইকুনের ওখানে চাকরি করেন আত্মীয়তার সূত্রে। বন্ধুটির দবদবার শেষ নাই। বাজারে কাগজের তখন খুব সংকট। তিনি এক প্রকাশককে শস্তায় কাগজ পাইয়ে দেবেন এই শর্তে প্রকাশক আমার একটা বহি বাহির করিবেন এই নিয়ে অদৃশ্য দড়ি টানাটানি হচ্ছে। আমিও বন্ধুটির অদৃশ্য লেজ ধরে ঘুরে বেড়াই।
একদিন আমার বন্ধুটি বললেন, চল।
তিনি চল বলেছেন আমার চলতে তো কোন আপত্তি থাকার কথা না। তারপরও আমি বললাম, কোথায়, প্রকাশকের ওখানে?
তিনি বিরক্তি নিয়ে বললেন, তোমারে নিয়া হইল এইটাই সমস্যা। এক বাবার ওইখানে যাব। বাবা খুব গরম মানুষ।
আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, কী দিনকাল পড়ল আজকাল কি বাবারা বই ছাপানোর কাজে হাত দিয়েছেন!
বন্ধুটি যে বস্তুটির সামনে আমাকে এনে দাঁড় করিয়ে দিলেন এই বাবা নামের ছোটখাট বিশাল পেটওলা পাহাড়সম জিনিসটি রাজ্যের আবর্জনা গায়ে মেখে রাস্তায় পা ছড়িয়ে বসে আছে।
বন্ধুটি ঝলমলে মুখে বললেন, গুবাবা খুব গরম জিনিস। দেখছিস না লোকজন কেমন ভিড় করে আছে।
আমি হতভম্ব হয়ে বন্ধুটির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এই ছেলেটোর পড়াশুনা আমার চেয়ে এক কেলাশ উপরে, একটা শিক্ষিত ছেলে এই সব কী বলছে!
আমি রাগ চেপে বললাম, সত্যি সত্যি এই মানুষটা গু মাখে?
মানুষ মানুষ করছিস কেন। বাবা বলবি।
বেশ, এই গুবাবা কি সত্যি সত্যি গায়ে গু মাখে?
হুঁ।
আমার ভাল লাগছিল না, এখানে এক দন্ড থাকতে ইচ্ছা করছিল না, আমি বিরক্ত, তা বাবা কি টাটকা গু মাখেন, না বাসি?
বন্ধুটির আমার এই কথাটায় ক্ষেপে গেলেন, রসিকতা করবি না। বা... বই লেখলেই হয় না। কার মধ্যে কি আছে এইটা বোঝার ক্ষমতা তোর নাই, তুই এখনও দুধের বাচ্চা। দেখছিস না লোকজন বাবার গায়ে হাত দিয়ে দোয়া নিচ্ছে।
বুঝলাম, ইনি খুব গরম জিনিস, টাটকা গরম গু গায়ে মাখেন। তো, এখানে আমার কি কাজ?
তুই ফাজিলের মত কথা বলতাছস! টাটকা বাসি এই সব কী ফাজলামী কথা।
আমি নিশ্চ্তি এর সঙ্গে চটাচটি করা মানে আমার বই বের হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে কিন্তু কিন্তু সব সময় কি মস্তিষ্ক নিয়ম মেনে কাজ করে। আমি আমার বইয়ের কথা ভুলে গেলাম। ঠান্ডা গলায় বললাম, গুয়ের মধ্যে থাকে ক্রিমি এটাই এত কাল জেনে এসেছি। আমি বমি করব। আপনার উপর করলে রাগ করবেন?
এরপর আমরা দু-জন দু-দিকে হাঁটা ধরলাম।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgGQ2lxXphyphenhyphenre8vwf_lbgUchXELxZ1t8QHV8zq6R_nZDWZxbjLonfVQS9R3SJVyA6m7x7bSIVxSXIuWmdEbl_MKIbh2kBBus6ZzCzP7bOVgfzLztpWLtyb5FAiAWNrqMq0UDL9zCzvnd90/s320/wooden+sandal.jpg)
আজ অনেক দিন পর আরেক বাবার খোঁজ পেলাম। ইনাকে সম্ভবত জুতাবাবা বলা চলে। এই বাবা জুতা দিয়ে পিটিয়ে সবাইকে মানুষ করতেন কি না বুঝতে পারছি না। হলে সর্বনাশের কথা। কারণ বাবার জুতাটা প্লাস্টিক চামড়ার না, কাঠের। কাঠের জুতা খাওয়া খুব আরামদায়ক হওয়ার কথা না।
একদিন আমার বন্ধুটি বললেন, চল।
তিনি চল বলেছেন আমার চলতে তো কোন আপত্তি থাকার কথা না। তারপরও আমি বললাম, কোথায়, প্রকাশকের ওখানে?
তিনি বিরক্তি নিয়ে বললেন, তোমারে নিয়া হইল এইটাই সমস্যা। এক বাবার ওইখানে যাব। বাবা খুব গরম মানুষ।
আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, কী দিনকাল পড়ল আজকাল কি বাবারা বই ছাপানোর কাজে হাত দিয়েছেন!
বন্ধুটি যে বস্তুটির সামনে আমাকে এনে দাঁড় করিয়ে দিলেন এই বাবা নামের ছোটখাট বিশাল পেটওলা পাহাড়সম জিনিসটি রাজ্যের আবর্জনা গায়ে মেখে রাস্তায় পা ছড়িয়ে বসে আছে।
বন্ধুটি ঝলমলে মুখে বললেন, গুবাবা খুব গরম জিনিস। দেখছিস না লোকজন কেমন ভিড় করে আছে।
আমি হতভম্ব হয়ে বন্ধুটির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এই ছেলেটোর পড়াশুনা আমার চেয়ে এক কেলাশ উপরে, একটা শিক্ষিত ছেলে এই সব কী বলছে!
আমি রাগ চেপে বললাম, সত্যি সত্যি এই মানুষটা গু মাখে?
মানুষ মানুষ করছিস কেন। বাবা বলবি।
বেশ, এই গুবাবা কি সত্যি সত্যি গায়ে গু মাখে?
হুঁ।
আমার ভাল লাগছিল না, এখানে এক দন্ড থাকতে ইচ্ছা করছিল না, আমি বিরক্ত, তা বাবা কি টাটকা গু মাখেন, না বাসি?
বন্ধুটির আমার এই কথাটায় ক্ষেপে গেলেন, রসিকতা করবি না। বা... বই লেখলেই হয় না। কার মধ্যে কি আছে এইটা বোঝার ক্ষমতা তোর নাই, তুই এখনও দুধের বাচ্চা। দেখছিস না লোকজন বাবার গায়ে হাত দিয়ে দোয়া নিচ্ছে।
বুঝলাম, ইনি খুব গরম জিনিস, টাটকা গরম গু গায়ে মাখেন। তো, এখানে আমার কি কাজ?
তুই ফাজিলের মত কথা বলতাছস! টাটকা বাসি এই সব কী ফাজলামী কথা।
আমি নিশ্চ্তি এর সঙ্গে চটাচটি করা মানে আমার বই বের হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে কিন্তু কিন্তু সব সময় কি মস্তিষ্ক নিয়ম মেনে কাজ করে। আমি আমার বইয়ের কথা ভুলে গেলাম। ঠান্ডা গলায় বললাম, গুয়ের মধ্যে থাকে ক্রিমি এটাই এত কাল জেনে এসেছি। আমি বমি করব। আপনার উপর করলে রাগ করবেন?
এরপর আমরা দু-জন দু-দিকে হাঁটা ধরলাম।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgGQ2lxXphyphenhyphenre8vwf_lbgUchXELxZ1t8QHV8zq6R_nZDWZxbjLonfVQS9R3SJVyA6m7x7bSIVxSXIuWmdEbl_MKIbh2kBBus6ZzCzP7bOVgfzLztpWLtyb5FAiAWNrqMq0UDL9zCzvnd90/s320/wooden+sandal.jpg)
আজ অনেক দিন পর আরেক বাবার খোঁজ পেলাম। ইনাকে সম্ভবত জুতাবাবা বলা চলে। এই বাবা জুতা দিয়ে পিটিয়ে সবাইকে মানুষ করতেন কি না বুঝতে পারছি না। হলে সর্বনাশের কথা। কারণ বাবার জুতাটা প্লাস্টিক চামড়ার না, কাঠের। কাঠের জুতা খাওয়া খুব আরামদায়ক হওয়ার কথা না।