Search

Thursday, June 19, 2025

এক লড়াকু যোদ্ধা!

(https://www.facebook.com/share/1BkzeStupG/)

"আমার নাম নীলা ইস্রাফিল। আমি এনসিপির সদস্যা হই বা না-হই, আমি একজন যোদ্ধা।
আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে লেক্সাসে চড়তাম। ২৬ জন কাজের লোক ছিল। আরাম-আয়েশের কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু খারাপ প্রস্তাব পাওয়ার পর আমার শ্বশুর  প্রয়াত  উপদেষ্টা  সুফি চেহারার আড়ালে বিভৎস এক দানব হাসান আরিফকেও আমি ছাড় দেই নাই!
আমার এথিক্সের সঙ্গে যায় না বলে আমি পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি।  বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী  মানুষটির অন্যায়কে নিয়ে প্রতিবাদ করেছি।

আমি জানি আমি যা বলেছি তা কেউ বিশ্বাস করবে না। এটা অবিশ্বাস্য! আমি জানতাম, এত সুদর্শন, এত অভিজাত, এত সম্মানিত একটা মানুষকে অসম্মান করার অপরাধে সমাজে আমাকে রাস্তায়  ছুঁড়ে ফেলে দেবে। 
কিন্তু সেটা জেনেও আমি আমার প্রতি করা অবিচারের প্রতিকার চেয়ে গিয়েছি- অসংখ্য প্রলোভন দেওয়া সত্ত্বেও আপোষ করিনি। এর পরিণতিতে আমার নামে ১৯টি মামলা দেওয়া হয়! কোনো উকিল ওয়ান ইলেভেনের উপদেষ্টা, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফের বিপক্ষে দাঁড়ান নাই!
আমার ছোট মেয়ের জন্ম হয়েছে কারাগারে, আমি এখন পর্যন্ত আমার দুই মেয়েকে নিয়ে একসাথে ঘুমাতে পারিনি। ২০২০ সালে আমার পেটের বাচ্চাকে লাথি দিয়ে মেরে ফেলা হয়। আমি তাও এখনো প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফ, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ, পুলিশ ও ডিবির সাথে লড়াই করে যাচ্ছি।
আমার কাছ থেকে আপনারা কীভাবে আশা করেন যে, তুষারের আমার সঙ্গে এই আচরণের আমি প্রতিবাদ করব না?

গণ-অভ্যুত্থানে আমি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে রাস্তায় নামার কারণে, জনাব, হাসান আরিফ আমার  বাচ্চা দুইটাকে রেখে আমাকে বাসা থেকে বের করে দেন। তিনি আমাকে বলেন যে, আমার কারণে আওয়ামী লীগ বাসায় পৌঁছে যাবে।
এই সময়ে গণ-অভ্যুত্থানের সাথে গড়ে ওঠা, বৈষম্য  বিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা আমার প্রতি করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়ায়। 

আমি সপ্রতিভ, কর্মোদ্যম ও সৃজনশীল মানুষ। ফলে আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের বিভিন্ন নেতা ও কর্মীর সঙ্গে আমার আলাপ হত। তুষারের সাথে তখনই পরিচয় এবং  এনসিপির জন্মের পূর্বেই তার সাথে  সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক আলাপ হতো।
 
বিগত ডিসেম্বরে আমার প্রাক্তন স্বামী মুয়াজ আমাকে ঢাকা ক্লাবে সবার সামনে 'স্টেক নাইফ' দিয়ে হত্যা চেষ্টার পর শহিদুল ভাই, সারা আপা, ফজিয়া করিম আন্টি সহ বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা আমার নিরাপত্তার নিয়ে বিচলিত হয়ে যান। সেজন্য মানবাধিকার কর্মী, Rezaur Rahman Lenin আমাকে নেপালে পাঠিয়ে দেন।
নেপালে যাওয়ার পর থেকে তুষার প্রায়ই আমাকে ফোন করতো এবং ক্রমশ তার আলাপের ধরণও পাল্টাতে থাকে। সে আমাকে বিভিন্নভাবে অ্যাপ্রোচ করতে থাকে। যেমন, 'তোমার ছবি দাও', 'তোমার ঠোঁট সুন্দর', 'তোমার স্লোগান, তোমার প্রতিবাদী কণ্ঠ আমাকে আকৃষ্ট করে', ইত্যাদি!

আমি তুষারের এই ধরণের আলাপে সব সময়েই বিব্রত বোধ করেছি এবং তাকে আমাদের সম্পর্কটা সাংগঠনিক ও ফর্মাল রাখতে অনুরোধ করেছি। যেহেতু বাংলাদেশের নতুন রাজনীতি, এনসিপি আমার জীবনের প্রধান অবলম্বন তাই আমি তুষারকে তার আগ্রাসী আচরণ সংযত রেখে, ফর্মালভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি। বাংলাদেশের অসংখ্য নারীকে ক্ষমতাবান পুরুষের সঙ্গে এই ধরণের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়।

ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে এনসিপির আত্মপ্রকাশের দিন আমি বাংলাদেশে ফিরে আসি। রোজার সময় একদিন তুষার আমাকে 'অত্যন্ত আপত্তিকর' (ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এমন) একটি কথা বলে।
ইতিপূর্বের সকল আলাপের সীমা ছাড়ানো এই আলাপে আমি মারাত্মক বিব্রত বোধ করি এবং ওকে জানাই যে আমি আর ওর সংগে কথা বলতে চাই না। কিন্তু তুষার আমাকে আলাপের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে তুষার আমাকে জানায় ডিটেকটিভ পুলিশ বা ডিবি ওর সঙ্গে কথা বলেছে, সেই বিষয়ে সে আমার সাথে আলাপ করতে চায়।

যেহেতু আমি তখন উপদেষ্টা হাসান আরিফের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং তুষার আমাকে ডিবির কথা বলেছে, তাই আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিশ্চয়ই আইনি, ডিবি ও পুলিশসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হতে পারে। এবং এটা আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকির কোনো বিষয় থাকতে পারে এই বিবেচনায় আমি আলাপটি রেকর্ড করি। প্রায় দেড় ঘণ্টার আলাপে ৪৭ মিনিট আমি রেকর্ড রাখি।

তুষার আমাকে জানায়, ডিবি তার কাছে নীলা ইস্রাফিল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এবং সে ডিবিকে জানিয়েছে যে নীলা তার গার্লফ্রেন্ড। যেটা নিয়ে আমি আমার আপত্তি জানিয়ে তুষারকে প্রশ্ন করি।
তাছাড়া তুষারের মারাত্মক আপত্তিকর প্রস্তাব নিয়েও আলাপ করি।
আমি তাকে প্রশ্ন করি:
আমার কোনো অ্যাটিটিউড, ব্যবহার বা আচরণে এমন কি মনে হয়েছে যে আমাকে এই ধরনের প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে?
তুষার আমাকে বিষয়টি ভুলে যেতে বলে।

কিন্তু তুষারের অতি বাজে প্রস্তাব ও তুষারের সংগে ডিবির যোগাযোগের বিষয়টি আমি মানবাধিকার কর্মী রেজাউল করিম লেনিন ও তুষারের এক্স-গার্লফ্রেন্ড বিথি সপ্তর্ষিকে জানাই। আমার নিরাপত্তা ও ডিবির প্রসঙ্গ থাকায় নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি তুষারের সাথে আলাপের অডিওটি  সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরকেও  শেয়ার করি। আমার নিরাপত্তা হুমকি ও আমার পরিস্থিতি  বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে  প্রকাশের অনুমতি দিয়ে রাখি। 

আমি প্রচণ্ড আহত হলেও এবং কাছের বন্ধুদের জানালেও তুষারের আপত্তিকর আলাপের  বিষয়টি নিয়ে উচ্চকিত হইনি, বরং সাংগঠনিকভাবে গোপনীয়তার সংগে বিষয়টি ডিল করার চেষ্টা করি।

কিন্তু তুষার আমাকে সেই সুযোগ দেয় নাই। বিষয়টি আমার প্রফেশনাল লাইফে প্রভাব ফেলে।
সে আমার সহযোগীদেরকে বলা শুরু করে, 'নীলার থেকে দূরে থাকতে হবে'।
সে আমাকে এনসিপি থেকে দূরে রাখতে, আমাকে বিভিন্ন সেল থেকে দূরে রাখতে, সাংস্কৃতিক সেল, নারী উইং, মহানগর কমিটি থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটাতে থাকে।

কোরবানির দিন রাতে একটি অনুষ্ঠানে নাহিদের সংগে দেখা হয় এবং নাহিদকে পুরো বিষয়টি জানাই।
নাহিদ আমাকে বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলার দিক থেকে ডিল করতে ও মহানগরে দায়িত্বে থাকা শাহরিয়ার ও নিজামকে বিষয়টি অবগত করতে বলেন।
যে দিন সন্ধ্যায় শাহরিয়ার ও নিজামকে আমি জানাই, তার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি যে, অডিওটি কেটে সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং ভাইরাল হয়েছে।

এরপর আমাকে নিয়ে যে 'মিডিয়া ট্রায়াল' হয়, তাতে আমি দেখতে পেয়েছি, আমার নারী সহকর্মীরাও আমার পক্ষে দাঁড়ান নাই।
আমার অপরাধ আমি পাশ্চাত্য কাপড় পরি। আমি ‘তুমি’ করে কথা বলি, সহজভাবে সবার সংগে মিশি।
আমাকে নিয়ে যে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে, সেটা আমি সহ্য করার চেষ্টা করছি। আল্লাহ আমাকে এর চেয়ে অনেক কঠিন সময় দিয়েছেন।

কিন্তু আমার সহকর্মীরা বুঝতে পারছেন না, তুষার যদি আমার মতো একজন সাহসী নারীকে এইভাবে যৌন নিপীড়ন ও সাংগঠনিক প্রভাব খাটিয়ে দমন করার সুযোগ পায়, তবে আগামী দিনে তারাও নিরাপদ থাকবে না।
তাদেরকে আমার চেয়ে কঠিন নিপীড়নের শিকার হতে হবে। সবাই নীলা ইসরাফিল না।
যাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির না-করে ৩৫ সপ্তাহে প্রেগনেন্সির ৩৭ দিন কারাগারে  রেখে  বাচ্চার হওয়ার পর শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেওয়ার  পরেও শ্বশুরবাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে।    রাস্তায় গিয়ে প্রতিবাদ করবে, বাংলাদেশের পুরো বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে একলা  লড়বে।

আমার খারাপ লাগে এনসিপির জন্য।আমি এনসিপিকে ভালোবাসি। আমি ছেলে-মেয়েগুলোকে দেখেছি, তাদের শত ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু তারা প্রকৃতই দেশকে ভালোবাসে
আমার কারণে এনসিপি আজ কলঙ্কিত হলো, তাদের ট্রায়ালে পড়তে হলো। কিন্তু আমাকে আল্লাহ অন্যায়ের মুখে চুপ করে থাকার শক্তি দেননি।

আমি তুষারের কোনো ক্ষতিও চাইনি।
আমি পার্টির ভেতরে বিষয়টা মীমাংসার চেষ্টা করেছি, চেয়েছি তুষার একটা ইন্টারনাল শাস্তি পেয়ে শুদ্ধ হোক।
আমার মতো আর কোনো নারী যেন পার্টির ভেতরে তুষার বা তুষারের মতো কারও লালসার শিকার না হয়।
এনসিপি ভদ্রলোকদের দল, এখানে যেন ভদ্র নারীরা নিরাপদে বিচরণ করতে পারেন।

অনেকে বলেছেন, আপনি দ্বিতীয় ভিডিওটা কেন করলেন?
কিন্তু আমার অডিও প্রকাশের পর আমাকে যা ফেস করতে হয়েছে তা অকল্পনীয়! 'মাহরাম'- আমি নাকি তুষারকে সিডিওস  করেছি, আমি কেন ‘তুমি’ করে কথা বলি! নিশ্চয়ই আমি পদ-পদবির লোভে ঢলে-ঢলে মিশি, তারপর পদ-পদবি না-পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এই সব প্রকাশ করেছি! এই সব অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে। 
কেউ আমাকে বিশ্বাস করেনি। আমার সহকর্মীদের কেউ আমাকে ফোন করে একটু সহানুভূতিও জানায়নি, যেন আমি অপরাধী আর তুষার ভিকটিম।

বিথি তার ইস্যু এখনো ডিল করতে পারেনি, তাই আমি সচেতনভাবেই রেকর্ড করেছি। যিনি প্রতিদিন গাইড করেন, তিনি যদি সেই দিন দেশে থাকতেন, হয়তো আমি এই অডিওটা বা তার পরের অডিও প্রশ্ন-উত্তরটা প্রকাশ করার অনুমতি দিতাম না। হয়তো ভুল করেছি। হয়তো ভুল করিনি। 

আমার 'তাসনুভা'র জন্য খারাপ লাগছে। ওর কোনো অপরাধ নেই। আমার কারণে তাকে একটা ঘৃণ্য সময় পার করতে হলো।
এটা ছাড়া আমার কোনো গিল্টি ফিলিং বা কোনো রিগ্রেট নাই।

আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রাক্তন স্বামী, হাসান আরিফ বা তুষারের সাথে আমার প্রতিটা ঘটনা যদি রেকর্ড করে সবার সামনে ফাঁস করা হতো, তাহলে আপনারা দেখতে পেতেন, যে আমি জ্বলন্ত আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে আসা চরিত্র আর সতীত্বের   পরীক্ষায় পাশ করে আসা একজন নারী।
এখন আপনাদের পরীক্ষায় পাশ ফেল করা না-করায়  আমার কিছুই যায় আসে না।

এই বিষয়ে এটাই আমার ফাইনাল বক্তব্য। আমি এই নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাইনা। বাকি যা বলার আমি তদন্ত কমিটিকে বলবো। 
আমি এই ঘটনাটি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।"

-লেখক: নীলা ইস্রাফিল (https://www.facebook.com/share/1BkzeStupG/)


আহ, প্যালেস্টাইন! তিনি ঘুমান, বিশ্বও!

তাঁর কেবলই ঘুম পায়!

ইসরাইলিদের কাছে সব হামাস, শিশুও!

এই শিশুও হামাস!

এই শিশুটির চোখে চোখ রাখার সাহস আছে কার!

ছোট্ট কাঁধে এই ভার সইবে কেমন করে!

বাপের জুতা বুকে জড়িয়ে ধরে থাকা এই শিশুও, হামাস!

আপ্রাণ সাইকেল চালাচ্ছে, পায়ের উত্তাপে কোন-এক বিচিত্র কারণে যদি মৃত বাবার শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয়!

ধর্মীয় শিক্ষক কাঁদেন। হয়তো এটাই তার শেষ কান্না!

এই পোপ মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন কারণ তাঁকে আর অনাচার দেখতে হয়নি! ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেখাটাও এক অন্য রকম কষ্ট!

অভুক্ত থেকে এক সংগে খেতে বসা। এটাই হয়তো শেষ খাওয়া!

সমস্ত আলাপ ভেসে যায় আবর্জনায়! এই সমস্ত অর্থহীন আলাপ কে শোনে!

বেচারা বয়স্ক মানুষটাও কাঁদেন শিশুদের মত করে!

মা'র চোখের জলে সব ভেসে যায়...!

ইসরাইল এদেরকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, এই শিশুরাও মৃত্যু কামনা করে!

কী নৃশংসতা! রিলিফে খাবার নিতে গেছে সেখানেও খাবারের বদলে মৃত্যু!

সমস্ত বিশ্ব তাকিয়ে-তাকিয়ে দেখে!

কী-এক অসম যুদ্ধ! মারণাস্ত্রের বিরুদ্ধে গুলতি!

আহারে, এক পেট আগুন!

অতি সামান্য রিলিফে খাবার পেয়েছে অথচ মনে হচ্ছে হাতে বিশ্বকাপ!

এদের বাচ্চাদের চোখে দ্রোহের আগুন!

এই বাচ্চাটার কী দৃঢ় বিশ্বাস! মুখ থাকে উগরে দিচ্ছে, একেকটা আগুনের গোলা!

অথচ কী অবলীলায় ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মায়ার সদর্পে বলেছিলেন, আমি একজন ফিলিস্তানি!

Sunday, June 15, 2025

এক 'মহিলা ইতর'!

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, এটা আমার জ্ঞানের স্বল্পতা! ইতর শব্দটার স্ত্রী লিঙ্গ কি হয় এটা আমার জানা নাই বিধায় আপাতত 'মহিলা ইতর' দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। কাউকে নিয়ে 'বডি শেমিং' করাটা অন্যায় কারণ প্রকৃতিগত ভাবে কারও শরীরের কোন বিচ্যুতি নিয়ে সমালোচনা চলে না।

যেটায় কারও হাত নাই তা নিয়ে বলাটা ভারী অসমীচীন। কিন্তু, কেউ যদি সার্জারি করে ছুঁচোর মত চিবুক বানিয়ে ফেলে তা নিয়ে হাস্যরস না-করাটা অবশ্যই দোষের! কারণ এমন 'ছুঁচোহাসি' কে হাসতে পারে, কবে কে হেসেছে! 

যে মহিলা ইতরটা সাক্ষাৎকার নিচ্ছে বি-রা-ট একটা স্কলারের ভাব নিয়ে, এর নাম বর্ষা-বারিশা যাই হোক, নামে কী আসে যায়! আসলে বিভিন্ন প্রকারের ইতরে ভরে গেছে গোটা দেশটা। যেমন জয় নামের এই 'লুকটা' []! একেকটা চলমান স্টার, স্টারে-স্টারে সয়লাব দেশ! লাখ, মিলিয়ন ভিউ। এরা পারে না ভিউ বাড়াবার জন্য ক্যামেরার সামনে উবু হয়ে বাথরুমের কাজটাও সেরে ফেলতে!

এই 'মহিলা ইতর' যার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে এর নাম স্যান্ডি-স্যান্ডেল কিছু একটা হবে। বাড়ি কোলকাতা। এ একজন স্বঘোষিত সমকামী। এটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-পছন্দ, এটা আমার আলোচনার বিষয় না। স্বঘোষিত সমকামী এমন অনেকেই আছেন যেমন আমাদের 'কোবিবর' নির্মলেন্দু গুণ []। আর এ দেশে 'ছুপা' সমকামীর তো অভাব নাই, হরেদরে...! হাটে-ঘাটে-মাঠে-মেসে-মাদ্রাসা, কোথায় নেই! 

কিন্তু এই স্যান্ডেল কুমার যে ভঙ্গিতে (যেমন, অসংখ্য কনডম আদুল গায়ে এখানে-ওখানে ঝুলিয়ে...) প্রকাশ্য রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় একে অবশ্যই আটক করে রাখাটাই সমীচীন 'পাবলিক ন্যুইসেন্স' ভায়োলেশনের কারণে।

এখন সাক্ষাৎকার টাইপের 'ইয়ের টাল' নামের অনুষ্ঠানে এ যেটা বলছে তাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়া উচিত।

১. ইতর এবং ইতর বানাবার কারখানা: https://www.ali-mahmed.com/2024/12/blog-post_26.html

১. নির্মলেন্দু গুণ: https://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_3336.html 

Saturday, June 14, 2025

আমাদের একজন 'বাবর আলী!

অনন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন আমাদের বাবর আলী! ভ্রমণে মূল ঝামেলা থেকেই বাঁচিয়ে দিয়েছে বাবর আলী। আমার কাছে সাধারণত অপরিচিত লোকজনেরা প্রথমেই জানতে চান ঘোরাঘুরির টাকা ম্যানেজ করা যায় কী করে? আমি চট করে হাতের কাছে থাকা বাবর আলীর উদাহরণটা দিয়ে দিই!
অনেকে বলে থাকেন, 'টাকা জমাতে পারছি না বলে দেশ ঘুরতে বের হতে পারছি না'।
ইয়ে,‌আপনার পকেটে কি পাঁচ হাজার টাকা আছে? কিংবা পাঁচ হাজার টাকা কি আগামী কয়েক মাসে জমানো সম্ভব?

Saturday, May 24, 2025

নরক!

ফতোয়ার জন্য "ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী"-কে অত্যন্ত গুরুত্বের সংগে গ্রহণ করা হয়। এটা তো সবার জানা বাদশাহ আলমগীরের নামানুসারে 'ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী" নামকরণ করা হয়েছিল। এই কিতাবের ভূমিকায় বাদশাহ আলমগীরের প্রসংগে  বলা হয়েছে এভাবে:

আমিরুল মু'মেনীন, রঈসুল মুসলিমীন, ইমামুল মুজাহিদীন মহান রাষ্ট্রনায়ক আবূ মুজাফফার মুহীউদ্দিন বাহাদুর ওরফে বাদশাহ আওরংগজেব আলমগীর গাযী ওরফে বাদশা আলমগীর (র)। অতঃপর আল্লাহতা'য়ালা বাদশাহ আলমগীর  (র) হৃদয়ে এমন একটা সংকলনের বিষয় ইলহাম করেন...। 

যাই হোক, "ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী", ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ১০ খন্ডে প্রকাশিত। আমি ২য় খন্ড থেকে কেবল একটা ফতোয়া (২য় খন্ড, পৃ: ৩৯-৪০) এখানে উল্লেখ করতে চাই। এটা টাইপ করার সাহস আমার নাই বিধায় আগাম ক্ষমা  প্রার্থনা!

Friday, May 23, 2025

জ্ঞানের (গা...) নৌকা পাহাড়ে উঠে...!


শতবর্ষী একটা গাছ কেটে ফেলেছেন আমাদের আলেম সাহেবরা। অভিযোগ গুরুতর- জালেমরা এই গাছে জালেমগিরি করে!

Monday, May 12, 2025

একটি জুতা এবং এক টাকার পানি!

লেখক: সাইফুল বাতেন টিটো (https://saifulbaten.blogspot.com/?m=1), https://www.facebook.com/share/1LJjnqmFwJ/

"সম্ভবত ২০১৪ সালের কথা। চ্যানেল আই আমাকে দিয়ে দ্বিতীয় নাটক বানাবে এই জন্য আমি ইবনে হাসান খানের সঙ্গে মিটিং শেষ করে কবি নির্মলেন্দু গুণদা'র মেয়ে প্রডিউসার মৃত্তিকা গুণের সামনে বাজেট নিয়ে কথা বলছি আর চা খাচ্ছি। সঙ্গে সম্ভবত Hassan Shantonu ছিলেন। কবিকন্যা  মৃত্তিকা বললেন:

Friday, May 9, 2025

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর বনাম নিশান-ই-হায়দার মিনহাজ: কে আসল বীর?

লেখক: আরিফ রহমান (https://www.facebook.com/share/1DVEKhbT4h/)

"আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের মৃত্যু দিন আর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীর রশিদ মিনহাজের মৃত্যু দিন কিন্তু একই দিন। কারণ দুজনের মৃত্যু একই ঘটনায় ঘটে। এই ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসের গভীর এক হেঁয়ালির জন্ম দেয়। একই ঘটনায় নিহত দুই পক্ষের দুইজন মানুষ দুটি দেশের সর্বোচ্চ বীরের খেতাব পেয়েছেন!

Thursday, May 8, 2025

গুমঘরের যত কথা!

লেখক: Nabila Idris (https://www.facebook.com/share/1BgAt6pGE8/)

যিনি গুম কমিশনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, আছেন। তাঁর লেখার মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন ধরনের গুম সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়...:

" ১. আমরা রেগুলারলি ভিক্টিমদের থেকে গোপন ডিটেনশন সেলে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা শুনি। এসব নির্যাতন প্রায়ই এতটা নিষ্ঠুর হয় যে তাদের শরীর ও মনে স্থায়ী ক্ষত রেখে যায়। কিন্তু মাঝে-মাঝে কিছু ভিক্টিম এমন ঘটনার বর্ণনাও দেন যেখানে আচমকা এক ধরনের অস্বাভাবিক মানবতার ঝলক দেখা যায়!

Monday, May 5, 2025

BSF: আদি অকৃত্রিম এক হায়েনা!

পূর্বের এই লেখায় [] আমি উল্লেখ করেছিলাম, সীমান্তবর্তী একটা এলাকায় স্কুল চালাবার সূত্রে ওখানকার লোকজনের মুখ থেকে শুনতাম বিএসএফ কেমন করে আমাদের লোকজনকে আমাদের এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায়।

ধরে নিয়ে যাওয়ার পর খুব কম মানুষই ফেরত আসত। আর যারা ফেরত আসত তাদের বর্ণনা ছিল ভয়াবহ-রোমহর্ষক!  বিএসএফ যে কেবল ভয়ংকর নির্যাতন করত এমনই না শরীরের নাকি পেট্রল পুশ করে দিত। অনেকের হাত-পায়ের রগ কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিত!

Sunday, May 4, 2025

এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনির সঙ্গে আরেক চামচ...!

এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি দেওয়ার পর সেই চা যেমন কোন মানুষের খাওয়ার যোগ্য থাকে না তেমনি আমিনুল ইসলাম নামের মানুষটাকে নিয়ে এহেন মন্তব্য করার পর,  তাকে নিয়ে আবারও লেখা চলে না []। কিন্তু, ওই যে একটা কিন্তু থেকে যায়...! কিছু মানুষ থাকেন যারা মানুষের(অ) ঊর্ধ্বে!