ড. ইউনূসকে নিয়ে আর লিখব না বলে পণ করেছিলাম [১]। কিন্তু কপালের ফের! কাল আমার একজন সুহৃদ বিরাট হইচই শুরু করলেন। তিনি হাত-পা নেড়ে, গা দুলিয়ে যা করলেন তাকে অল্প কথায় বলা চলে আমার উপর কামান থেকে আগুনের গোলা ছুঁড়ে দেয়া। আমি গুছিয়ে হয়তো দু-কলম লিখতে পারি কিন্তু কথার পিঠে কথা চালিয়ে যাওয়া আমার 'কম্মো' না। এই সব আগুনের গোলা সামলাই কেমন করে!
প্রবাসে থাকা এই মানুষটার আমার উপর বেজায় রাগ কারণ ড. ইউনূসকে নিয়ে আমি বেশ কিছু লেখা লিখেছি। এই মানুষটার মনোভাব খানিকটা আঁচ করতে পারি। দেশের বাইরে থাকলে অনেকে লালন করে থাকেন দেশের জন্য অহেতুক একগাদা আবেগ। কোন প্রকারে দেশ বা দেশের মানুষের নাম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চলে এলে এদের উল্লাস দেখে কে!
আমাদের আবার এই সব উল্লাস তেমনটা স্পর্শ করে না কারণ দেশে আমরা মারা যাই হররোজ। এই আমিই কি দু-নম্বুরি করছি না? কালই বাড়তি দাম দিয়ে ট্রেনের টিকেট কিনেছি কালোবাজারির কাছ থেকে। না-কিনে কোন উপায় ছিল না। এর পক্ষে যত যুক্তিই প্রদর্শন করি, অন্যায় তো অন্যায়ই। দেশে থাকলে অনিচ্ছায় অন্ধকারের সঙ্গে জড়াজড়ি করে থাকতে থাকতে আমাদের অনুভূতি হয়ে যায় ভোঁতা। একটা নিরেট অথর্ব! এতো দেশ-দেশ করার আগ্রহ কোথায় আমাদের।
আমার এই সুহৃদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, আমি কেবল ড. ইউনূসের দোষ কেন বারবার বলছি। অন্যদের দোষ কেন উপেক্ষা করছি? কেন-কেন-কেন?
এই হয়েছে এক যন্ত্রণা, আমি জানি না অনেকের কেন যেন এমন একটা ধারণা জন্মায় এ দেশের সমস্ত অসঙ্গতি আমার চোখ এড়াবে না। বাপু রে, আমি কী বাজপাখি! তাছাড়া একটা মানুষের একটা মাত্রই মস্তিষ্ক থাকে, আজ পর্যন্ত শুনিনি কারও দুইটা! তবে শুনতে পাই অনেকের আবার মস্তিষ্কই থাকে না। অন্যদের কথা জানা নেই অন্তত আমার নিজের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তা, এতো যন্ত্রণা না-করে কোন বিষয়টা আমার চোখ এড়িয়ে গেছে এটা বললেই হয়, তা না-করে আগুনের গোলা ছুঁড়ে ছুঁড়ে কারও গা ঝলসে দেয়াটা কোন দেশের বিচার! যাক, বিষয়টা তিনি খুলে বলেন। আমি চোখ বড়ো বড়ো করে জনান্তিকে বলি, ওয়াল্লা, তাই তো!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "ড. ইউনূস...দরিদ্র বিমোচনের নামে ঋণ দিয়ে গরিব মানুষের রক্ত চুষে খাওয়া হচ্ছে"...। (প্রথম আলো, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০)
এটা প্রধানমন্ত্রীর সবেমাত্র জানলেন? তাও এক লাল চামড়া এটা নিয়ে বলার পর! আমাদের দেশের এতো সব সংস্থা তাহলে আছে কেন? আমরা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কেন তাহলে এই সব সংস্থার লোকজনদের লালন করছি?
আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান প্রশ্ন করেন, "...গ্রামীন ব্যাংকে সরকারের মালিকানা আছে। কিন্তু কোন তথ্য পাওয়া যায় না। ..."। (প্রথম আলো, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০)
ওহে, নাঈমুল ইসলাম খান, কোনও তথ্য পাওয়া যায় না, সত্যি? তা আপনাদের মতো দেশ কাঁপানো সাংবাদিক আছেন কী কারণে? এসি অফিসে বসে বসে তথ্যের ভান্ডারে তথ্য উপুড় করের দেয়ার জন্য বুঝি?
আর গ্রামীন ব্যাংকে সরকারের মালিকানা? বেশ-বেশ, সরকার বুঝি গ্রামীন ব্যাংকের একটা অংশের মালিকও? বাহ, তাহলে সরকার জেনেশুনে গরীবদের কাছ থেকে চড়া সুদ নিচ্ছে? হা ঈশ্বর, ড. ইউনূস রক্তচোষা হলে তাহলে দেখি সরকারও রক্তচোষা? যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিলেন তিনি এর দায় এড়ান কেমন করে এটা আমার মস্তিষ্কবিহীন মাথায় আসছে না!
সহায়কসূত্র:
১. ইউনূসনামা: http://www.ali-mahmed.com/2010/12/blog-post_26.html
প্রবাসে থাকা এই মানুষটার আমার উপর বেজায় রাগ কারণ ড. ইউনূসকে নিয়ে আমি বেশ কিছু লেখা লিখেছি। এই মানুষটার মনোভাব খানিকটা আঁচ করতে পারি। দেশের বাইরে থাকলে অনেকে লালন করে থাকেন দেশের জন্য অহেতুক একগাদা আবেগ। কোন প্রকারে দেশ বা দেশের মানুষের নাম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চলে এলে এদের উল্লাস দেখে কে!
আমাদের আবার এই সব উল্লাস তেমনটা স্পর্শ করে না কারণ দেশে আমরা মারা যাই হররোজ। এই আমিই কি দু-নম্বুরি করছি না? কালই বাড়তি দাম দিয়ে ট্রেনের টিকেট কিনেছি কালোবাজারির কাছ থেকে। না-কিনে কোন উপায় ছিল না। এর পক্ষে যত যুক্তিই প্রদর্শন করি, অন্যায় তো অন্যায়ই। দেশে থাকলে অনিচ্ছায় অন্ধকারের সঙ্গে জড়াজড়ি করে থাকতে থাকতে আমাদের অনুভূতি হয়ে যায় ভোঁতা। একটা নিরেট অথর্ব! এতো দেশ-দেশ করার আগ্রহ কোথায় আমাদের।
আমার এই সুহৃদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, আমি কেবল ড. ইউনূসের দোষ কেন বারবার বলছি। অন্যদের দোষ কেন উপেক্ষা করছি? কেন-কেন-কেন?
এই হয়েছে এক যন্ত্রণা, আমি জানি না অনেকের কেন যেন এমন একটা ধারণা জন্মায় এ দেশের সমস্ত অসঙ্গতি আমার চোখ এড়াবে না। বাপু রে, আমি কী বাজপাখি! তাছাড়া একটা মানুষের একটা মাত্রই মস্তিষ্ক থাকে, আজ পর্যন্ত শুনিনি কারও দুইটা! তবে শুনতে পাই অনেকের আবার মস্তিষ্কই থাকে না। অন্যদের কথা জানা নেই অন্তত আমার নিজের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তা, এতো যন্ত্রণা না-করে কোন বিষয়টা আমার চোখ এড়িয়ে গেছে এটা বললেই হয়, তা না-করে আগুনের গোলা ছুঁড়ে ছুঁড়ে কারও গা ঝলসে দেয়াটা কোন দেশের বিচার! যাক, বিষয়টা তিনি খুলে বলেন। আমি চোখ বড়ো বড়ো করে জনান্তিকে বলি, ওয়াল্লা, তাই তো!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "ড. ইউনূস...দরিদ্র বিমোচনের নামে ঋণ দিয়ে গরিব মানুষের রক্ত চুষে খাওয়া হচ্ছে"...। (প্রথম আলো, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০)
এটা প্রধানমন্ত্রীর সবেমাত্র জানলেন? তাও এক লাল চামড়া এটা নিয়ে বলার পর! আমাদের দেশের এতো সব সংস্থা তাহলে আছে কেন? আমরা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কেন তাহলে এই সব সংস্থার লোকজনদের লালন করছি?
আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান প্রশ্ন করেন, "...গ্রামীন ব্যাংকে সরকারের মালিকানা আছে। কিন্তু কোন তথ্য পাওয়া যায় না। ..."। (প্রথম আলো, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০)
ওহে, নাঈমুল ইসলাম খান, কোনও তথ্য পাওয়া যায় না, সত্যি? তা আপনাদের মতো দেশ কাঁপানো সাংবাদিক আছেন কী কারণে? এসি অফিসে বসে বসে তথ্যের ভান্ডারে তথ্য উপুড় করের দেয়ার জন্য বুঝি?
আর গ্রামীন ব্যাংকে সরকারের মালিকানা? বেশ-বেশ, সরকার বুঝি গ্রামীন ব্যাংকের একটা অংশের মালিকও? বাহ, তাহলে সরকার জেনেশুনে গরীবদের কাছ থেকে চড়া সুদ নিচ্ছে? হা ঈশ্বর, ড. ইউনূস রক্তচোষা হলে তাহলে দেখি সরকারও রক্তচোষা? যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিলেন তিনি এর দায় এড়ান কেমন করে এটা আমার মস্তিষ্কবিহীন মাথায় আসছে না!
সহায়কসূত্র:
১. ইউনূসনামা: http://www.ali-mahmed.com/2010/12/blog-post_26.html