Search

Friday, April 10, 2020

করোনা কারও না- কে বাঁচব জানি না! করোনার সালতামামি...।

(একবার মরলে তো আর বাঁচব না! কেউ-না-কেউ বেঁচে থাকবেন নিশ্চই। ভাগ্যিস, করোনা লেখালেখি আক্রমণ করা শেখেনি! আমি না-থাকলেও আমার এই সমস্ত হাজার-হাজার লেখা  হয়তো থেকে যাবে। বেলা-অবেলায়, গুগল ভুলচক্করে কাউকে-না-কাউকে আমার লেখা পড়িয়ে ছাড়বে। এ-ও এক সূখ!)

আহা, করোনা মানুষ হলে তার পায়ে ধরে সালাম করতাম। আহ, এক জনমে আর কী দেখা লাগে। করোনার কল্যাণে কী দেখেছি এটা না-বলে বলা সমীচীন কী দেখিনি! 'নিউইয়র্ক কখনও ঘুমায় না'।
এখন এমন ঘুমানো ঘুমিয়েছে যে আর জাগে না! আকাশের বাসিন্দারা সব জমিনে নেমে এসেছেন। মানুষ নিজেই নিজেকে বলে, শ্রেষ্ঠ। আরিব্বাস, ৭০০ কোটি প্লাস। সেদিন হয়তো দূরে নাই কেউ-একজন ৭০০ কোটি মানুষের প্রোফাইল পশ্চাদদেশের কাছাকাছি রাখা ওয়ালেটে নিয়ে ঘুরবে।
শ্লা, এই তুচ্ছ একটা গ্রহে মানুষের চেয়ে পিঁপড়ার ওজন এবং সংখ্যা বাড়াবাড়ি রকম বেশি। আর অতি তুচ্ছ সেই মানুষেরই দবদবার শেষ নেই। সে প্রকৃতির কাছ থেকে শেখে না। প্রকৃতি পেট নামের আবর্জনার বাক্সটা ইচ্ছা করেই কাঁচের করেনি। তাহলে 'হলুদাভ ফুলে' মাখামাখি হয়ে থাকা জরিনা আর ক্যাটরিনার মধ্যে কোনও তফাতই থাকত না। আমাদের অদম্য লোভ, প্রকৃতির লুকানো-সমস্ত আবর্জনা নগ্ন করে দিচ্ছি আমরা, জেনেশুনে-অজান্তে। হাজার-হাজার বছর ধরে বরফে চাপা পড়া 'প্রকৃতির আবর্জনা' উম্মুক্ত করে দেই আমরা, পৃথিবীর তাপমাত্র বাড়িয়ে। এখন আসলে প্রকৃতির চোখে ভাইরাস 'করোনা' না, মানুষ!
হ্যাঁ, মানুষ...!

এখন পর্যন্ত মৃত্যু পৃথিবীব্যাপি লাখ ছাড়িয়েছে! এতেই, যে মানুষ ২০২০ সালে মঙ্গলে পদার্পণ করবে বলে অথচ এখন ঘরের বাইরেই পদার্পণ করতে পারছে না! ১ লাখ তো অনেক বড় সংখ্যা কিন্তু এটা তো কেবল সংখ্যা না- একেকটা পরিবার। অনেক মানুষের আনন্দ-বেদনার কাব্য। 
কিন্তু আমি যখন একটা জাতীয় পত্রিকার ভেতরের পাতায় ছোট্ট করে সিঙ্গেল কলামে এটা পড়ি, ইয়ামেনে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত মৃত্যু ৪ লাখ, তখন ভুলে যাই এটাও কেবল সংখ্যা না!
ভাবা যায়, প্রতি মিনিটে মারা গেছে ১২জন শিশু! আর নতুন-নতুন অস্ত্র কিনেছে সৌদি তাই প্র্যাকটিস করতে হবে না। চালাও গুলি, বেসামরিক স্কুল বাস তাতে কী! আমাদের ধর্মীয় শিক্ষকদের সময় কোথায় এটা নিয়ে আলোচনার: 

আর যে-সমস্ত শিশুরা বেঁচে গেল!:

(আগাম ক্ষমা প্রার্থনা। করোনাসংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও ক্লিপ এখানে যুক্ত হবে। কে জানে, কে থাকবে? ভবিষ্যতে হয়তো কারও-না-কারও কাজে লাগবে। সচরাচর কারও ভিডিওক্লিপ যুক্ত করলে উৎস উল্লেখ করি কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এতো হাত ঘুরে আসে যে মূল উৎস বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। আপাতত সেটা সম্ভবও না। তারপরও কারও কোনও ভিডিও লিংকের উৎস জানা থাকলে দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞতা।)
যাই হোক, শুরু করি ধর্মশিক্ষকদের নিয়ে। এ দেশের অধিকাংশ মানুষদের উপর এদের যে কী দানবীয় প্রভাব এটা যারা জানেন না তাদের জন্য করুণা! :








কিন্তু করোনা কারো না, এ অন্ধ- এ কাউকে চেনে না:
ফ্রান্সিস বয়েল আবার বলছেন এটা নাকবোঁচাদের ল্যাবের ফসল। ...কিছু একটা ধোঁয়াশা তো আছে:

আর চিনের যে শহরে এর যাত্রা শুরু। ছবির মত সেই উহান:

চিনা যে মানুষটা 'হুইসেল-ব্লোয়ার'-শিঙ্গা ফুঁকেছিলেন:

বড় নিষ্ঠুর, বড় পাষাণ এই ভাইরাস:


করোনায় একেক করে বন্ধ হলো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। মক্কায় তাওয়াফ করা বন্ধ হলো। এই ইমাম সাহেবের কান্না বড় স্পর্শ করে:




আমাদের দেশে শেষ পর্যন্ত ধর্মীয় স্থানগুলো বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে কিন্তু থোড়াই কেয়ার করি আমরা...:

ইতিমধ্যে ছোট-ছোট চোখওয়ালা জাপান বের করে ফেলেছে করোনা ছড়ায় কেমন করে। এখন শুনছি ওষুধও:

বীরের জাতি রোমানরা শুয়ে পড়ছে অথচ আমরা বঙ্গালরা 'আমরা বীরের জাতি' হেনতেন বলে বেড়াচ্ছি খুব। এটা জাঁক করে বলতে শুনলাম রাশেদা কে চৌধুরিকেও! কেউ-কেউ তো এটাও বলছেন আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী। বটে...!:


তিনি এটাও বলেছিলেন আমাদের যত ভেন্টিলেটর আছে তা অনেক উন্নত দেশেও নাই। সম্ভবত তিনি সবার বাসার সব ভেন্টিলেটর ধরে বলেছিলেন ওভাবে বললে আমার বাসায়ই আছে আঠারোটা ভেন্টিলেটর।
এই মানুষটাকে আমরা অনেক কটু কথা বলেছি [১] কিন্তু আমাদের দেশে যে সমন্বয়ের অভাব প্রকট এটা খানিকটা আঁচ করা যাবে তাঁর এই বক্তব্য শুনলে:


কানকথায় কান না-দিয়ে আমাদের পোলাপানরা বসে না-থেকে নিজেরাই ভেন্টিলেটরের বিকল্প বানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা:

এই বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক মহোদয় যেভাবে চাউড় করে দিলেন, 'আমার মনে হয়...'।
স্যার, এই টাইপের কথার তো এখানে অবকাশ নাই। আপনি একটাও করোনা রোগির উপরও প্রয়োগ করে ফল নিশ্চিত হলেন না, করলেন গিয়ে মুরগির উপর! ধাম করে বাজারে বলে বসলেন! মুশকিল কী জানেন, মুরগি আর মানুষের মধ্যে পার্থক্য অনেক। কেবল ঠ্যাং দিয়ে বিচার করলে তো হবে না। 
আর আহ, আমাদের মিডিয়াও...! বাছ-বিচার নাই কেবল টিআরপি!

স্যার, বিনয়ের সঙ্গে বলি, তাহলে তো এই মহিলার সঙ্গে আপনার বক্তব্যের খুব একটা অমিল নাই। কারণ উনিও ভাবছেন,  মনে করছেন...:

এদিকে সরকার [২] সবাইকে লকডাউন করে বাসায় থাকতে বলে গার্মেন্টসের মালিকরা লক্ষ-লক্ষ মানুষকে শহরে নিয়ে এলো:

ভদ্রমহিলা নাকি একজন ডাক্তার। রিয়েলি?

এটা গার্মেন্টসনেত্রীর বক্তব্য না, নিরেট সত্য:


এ নাকি গার্মেন্টস মালিক। কী সোন্দর করে বলে, 'আমরা শ্রমিক পালি'। ভাগ্যিস বলেনি, আমরা শ্রমিক পুষি:

গার্মেন্টস মালিকদের প্রতিনিধি যে ভঙ্গিকে কথা বলছেন মিডিয়ায় তা ধৃষ্টতারই নামান্তর:

গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি এটা 'শব্দবোমা' না 'জুতাবোমা' এটা গবেষণার বিষয়:

ডা. পদের এই টাইপের মানুষরা আমাদের যে কী বিশাল ক্ষতি করেছেন তা অকল্পনীয়:

পরে দেখা গেল সবাইকে মাঠে নামিয়ে এই 'লুকই' প্লাস্টিক দিয়ে আপাদমস্তক মুড়ে বসে আছেন।

৩ মাস আমরা সময় পেয়েছি, আফসোস। আমাদের প্রস্তুতির খানিকটা নমুনা পাওয়া যাবে এখানে:



পৃথিবীর প্রায় কেউই করোনাকে সমীহের চোখে দেখেনি তাই গা-ছাড়া ভাব ছিল সবার:


শোনো কথা, স্পর্শ এখন বড়ই অচ্ছ্যুত তাই বলে কী পত্রিকা পড়া বন্ধ থাকবে?:

দেখো দিকি কান্ড, আমরা হাত ধোয়া এমন শিখেছি যে একেও রপ্ত করিয়ে ফেলেছি:

করোনার চিকিৎসা, ভারতে। 'জায় হো'!:


পাশের দেশের ডাক্তার:
 

কিন্তু এই পাশের দেশের দিল্লির মসনদওয়ালা যা করেছেন তা অভূতপূর্ব! যারা চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত, করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তাঁদের বাসস্থান সংকট হলে ফাইভস্টার হোটেল খুলে দেওয়া হয়েছে। কারও মৃত্যু হলে অন্তত ১ কোটি টাকা...। কী স্পিচ!:
  

৬জন গার্ড রেখে ৪ হাজার মানুষকে ত্রাণ দেওয়া সম্ভবত মমতারই পক্ষে সম্ভব:

ভাইরাস কি করোনা নাকি মানুষ, সে-ও এক প্রশ্ন:



আহারে-আহারে, দেবদূত:



জনগণ গান গেয়ে ভয়কে জয় করার চেষ্টা:


বটে, পুলিশ পিছিয়ে থাকবেন কেন:


সময় কেমন বদলে দেয় আমাদেরকে! শেষ বিদায়ে প্রিয়মানুষের থাকার সুযোগ নেই। সেই জায়গা অবলীলায় নিয়ে নেন পুলিশরা। যাদের কথা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই, এঁরাও কেউ-না-কেউ আমাদেরই স্বজন।
আর যারাই মাঠে কাজ করছেন- ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। এদেরকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদেরই স্বার্থেই:

কেউ-কেউ চমৎকার আইডিয়াও বের করে ফেলেছেন:



ইতালির পুলিশ ডাক্তার নামের দেবদূতদের কাছে যেভাবে হাঁটু গেড়ে বসে:

আর আমাদের দেশের মিডিয়া চিবিয়ে-চিবিয়ে ডাক্তারদের কেমন তাচ্ছিল্য করে:

আমাদের দেশের ডাক্তাররা অনলাইনেও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শুরু করেছেন। আমাদের মত সাধারণ মানুষের যে এন্তার প্রশ্ন:

আমাদের দেশেও কেউ-কেউ সটান বলছেন, এই মুহূর্তে ডাক্তারই 'দ্বিতীয় ঈশ্বর'! শোঅ সাম রেসপেক্ট:

আমরা নির্বোধরা বুঝতে চাইছি না ডাক্তার বিষয়ে আমাদের বড্ড স্বার্থপর হওয়ার সময় এখন:

মানুষ কেমন করে মানুষের পাশে এসে পড়ে:

ত্রাণ দিয়ে ছবি উঠাতে বৈদেশীদের এতো অনীহা কেন কে জানে। এরা সহায়তা করে উধাও:

আমার দেখা পৃথিবীর অশ্লীল দৃশ্যগুলোর মধ্যে এটাও একটা, ত্রাণের নামে। দেওয়ার ভঙ্গি এবং হিন্দুদের দেওয়া যাবে না। কেন রে বাপ, হিন্দুদের কী ক্ষুধা লাগে না ...:

ত্রাণ দিয়ে ছবি তোলাটা এখন একটা ফ্যাশনের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে:



ত্রাণের নামে যারা অন্যকে ছোট করার  চেষ্টা করেন এদেরকে ঠিক এভাবেই বন্দুক নিয়ে তাড়া করতে হবে:


আহারে, আমাদের সংসদ সদস্য। এরা যে ব্যস্ত থাকেন এই সমস্ত জরুরি কাজে:

আরেক সংসদ সদস্যের কাছে একজন ত্রাণ চাওয়ায় তিনি বলছেন, 'ডুবে মর...':


আরেকজনের সাংসদ যে প্রস্তাব দিয়েছেন ফুসফুস কেটে ধুয়ে ফেলা, 'হোয়াড আন আইডিয়া':

করোনার উছিলায় কেউ-কেউ গুন্ডামি করার সুযোগও পেয়ে যায়:

যেখানে পিপিইর অভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন ডাক্তাররা সেখানে এরা পরে বসে থাকছে:




ভাল কথা, 'পিপিই পড়ুয়া মিয়া ভাইরা', পিপিই খোলার নিয়ম জানেন তো?:

আর করোনা পরীক্ষার 'কিট'- এটা মনে হচ্ছে পোলাপানের হাতের মোয়া। যে -কেউ যে-কারও হাতে ধরিয়ে দিলেই হল। 

কপাল, এই রকম কোনও-একটা অবাস্তব কিছু না-হলে আমাদের তো কোনও গতি দেখি না :(    :
সহায়ক সূত্র:

*এই লেখা অসমাপ্ত।  করোনার 'ছেনেহের' থাবা থেকে বেঁচে গেলে ক্রমশ যোগ হবে...।

...
১২ এপ্রিল ২০২০
করোনা তো মনে হয় মোল্লা সাহেবদের হাতের মোয়া হয়ে গেছে:


এই মুফতি সাহেব করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু তিনি এবং তাঁর পরিবার গোপন করে গিয়েছিলেন। যার খেসারত এখন দিতে হবে শত-লাখ মানুষকে!





আবার আছেন অসাধারণ কিছু ধর্মীয় শিক্ষকও:
 

আহারে-আহারে, যেখানে কুকুর পর্যন্ত তার স্বজাতির শেষ বিদায়ে পাশে থাকে অথচ অনেক জায়গায় কবর জুটলেও নেই স্বজনের ছোঁয়া- এও এক অভূতপূর্ব!
  


১৩ এপ্রিল ২০২০
আমাদের 'ফ্ল্যাগশিপ হাসপাতাল' কুয়েত-মৈত্রি হাসপাতালে গুটিকয়েক অথর্ব গা বাঁচাতে গিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে দুম করে ৬জন ডাক্তারকে বহিষ্কার করা হলো:
  

এদিকে আবার আমাদের আইসিডিডিআরবি বানিয়ে ফেলেছে অসম্ভব সাশ্রয়ী হ্যান্ড-ওয়াস:

কী কষ্ট-কী কষ্ট, এই যুদ্ধে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী সামনে থেকে লড়ছেন তাঁদের অনেকেই স্পর্শও করতে পারছেন না তাঁদের স্বজনকে:

ভাবতেও গা গুলায়, কুয়েত-মৈত্রি হাসপাতালের নার্সরা অভুক্ত থাকছেন:

ভেজা চোখে দেখি কেবল, স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন একটা মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ছিনিয়ে আনছেন কী আনন্দ তাঁদের:

আমাদের দেশে অধিকাংশই মানুষই পরের ধনে পোদ্দারিটা খুব ভাল বোঝে তারচেয়ে ভাল বোঝে ছবি উঠাতে।  জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা ত্রাণ এই কুত্তাটা এমন ভঙ্গিতে দিচ্ছে মনে হচ্ছে এর বাপের তালুক বিক্রির টাকা:


১৮ এপ্রিল ২০২০
সরকারের ভাল খবর দিয়ে শুরু করি:

আহারে, আমাদের সব কাজ যদি এমন প্ল্যান করে হত! ভিয়েতনাম দেখিয়ে দিল তারা করোনার চেয়েও শক্তিশালী। কথায় না, কাজে:

প্রথম একজন ডাক্তারের মৃত্যু। ডা মইন।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ডাক্তারদের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু এমন মৃত্যু যেন কারও না হয়। তাঁর মারা যাওয়ার পর অনেকে তাঁকে শিবিরের সঙ্গে জড়াচ্ছেন। চাটাচাটি গ্রুপের জন্য এটা খুব সহজ একটা টেকনিক। অনেকে বলছেন তিনি সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে নিয়মিত মসজিদে নামায পড়েছেন।
দায়িত্বশীল একজন আবার দুম করে বলে দিলেন তাঁর এখানে বিদেশ থেকে লোকজন এসেছিল এবং অবস্থান করছিল। ব্যস, আর কী! কিসসা খতম, পয়সা হজম- এখন মরে গেলেও সমস্যা নাই। আসুন ডা. মইনের আত্মীয় ভায়রা ভাইয়ের মুখ থেকে শুনি, যিনি নিজেও একজন ডাক্তার:

এখন পর্যন্ত সম্ভবত ১০০ জন ডাক্তার আক্রান্ত! এটাও যে অন্য দেশে হয়নি এমন না কিন্তু আমাদের সোনার বাংলার সব কিছুই অন্যদের চেয়ে আলাদা। ১০০০টি এন-৯৫ মাস্ক বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তাররা খুলে দেখলেন লেখা এন-৯৫ কিন্তু এগুলো সাধারণ কাপড়ের মাস্ক!


সোনার বাংলার সোনার সোনালোকদের কেমন-কেমন করে যেন ধারণা জন্মেছে এখন বর্ষাকাল তাই ডাক্তারদের রেইনকোট দেওয়া আবশ্যক। অনেক পিপিই নামের যে জিনিসগুলো ডাক্তারদের দিচ্ছেন এগুলো বিদেশে রেইনকোট হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


আজ আমরা যে 'খোকলা' স্বাস্থ্য বিভাগ দেখছি... স্বাস্থ্যখাতে কেমন লুটপাট হয়েছিল ডাক্তারদের প্রতি কী ভয়াবহ অন্যায় করা হয়েছিল আগের সময়কার এই ক্লিপটা দেখে খানিকটা আঁচ করা যাবে:

আমি যদি কখনও শুনি এই দেশে ২০ কোটি লোক করোনায় আক্রান্ত অবাক হব না কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় বলছেন মোট আক্রান্তের চেয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগি নাকি বেশি। উরি বাবা!:

আর হাসপাতালে করোনা রোগি সন্দেহে যা করা হচ্ছে তা এক প্রকার খুনেরই নামান্তর:

আমাদের দেশে করোনার সঙ্গে লড়াইটা হচ্ছে অনেকটা এরকম। আমাদের চিকিৎসাও হবে এমন রসিকতাময়:

গার্মেন্টসের নেতা খুব গলাবাজি করেছিলেন শ্রমিকদের যথা সময়ে বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। তারই ছোট্ট একটা নমুনা:

অবশ্য এ-ও সত্য, জনগণ অনেক জায়গায় তাঁদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন:

কেউ-কেউ ভেন্টিলেটর বানিয়ে ফেলেছেন। বাহ কী চমৎকার কাজও যে করে:

যেখানে পুলিশরা, অনেকটাই অরক্ষিত অবস্থায় তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, এই ক্রান্তিলগ্নে অসাধারণ ভাবে, সেখানে পুলিশ নামের এই মানুষটা এই সমস্ত দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে না-নিলে কী হত। আফসোস, বড়ই আফসোস:


যথারীতি মোল্লা সাহেবদের করোনা নিয়ে ওয়াজ চালু আছে। 'পাগল মন, মন রে, মন কেন...' এই গানটা যদি আগে না-শুনে থাকতাম তাহলে এই হুজুরের সুরের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে যেতাম: 

গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি জানাযার দৃশ্য:

সবই তাঁর ইচ্ছা। :(


২২ এপ্রিল ২০২০
করোনা নিয়ে আমাদের মৌলানা সাহেবরা খানিকটা পিছু হটেছেন। যে হামজা সাহেব বলেছিলেন, করোনা বলতে কিছু নেই এখন বলছেন শত-শত বছর আগেও করোনা ছিল:


যাক বাবা, খানিকটা আরাম বোধ করছি, আমাদের কাদের সাহেবও 'আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী' এই কথা থেকে অনেকখানি সরে এসেছেন:

আর আমাদের ডিশিসন-মেকারদের বুদ্ধিশুদ্ধির একটা নমুনা:

কাভি নেহি! করোনাায় সামাজিকতা বাদ দিলেও অসামাজিক হয়ে গঞ্জিকা সেবন তো আর বাদ দেওয়া চলে না:

ওদিকে বৈদেশেও গ্লাস-গবলিট ঠোকাঠুকি করে টোস্ট করা থেকে আটকাচ্ছে কে:

কপাল, লকডাউনে কেউ-কেউ ঘরে বসে-বসে নিজেই ডাউন হয়ে যাচ্ছেন:

কেউ-কেউ এই ক্লিপটা নিয়ে কঠিন কিছু মন্তব্য করেছেন, কুৎসিত রসিকতা করেছেন। প্রচুর 'ট্যাকা'-পয়সা, খাবার-দাবার বগলদাবা করে ঘরের খিল এঁটে বসে থেকে এই মানুষদেরকে নিয়ে হাস্যরস করাই যায়।
আচ্ছা, জোকার ভাইরা, আপনাদের কী কোনও প্রকার ধারণা আছে, বাতাসের অভাবে কেমন লাগে? ২ মিনিট একটু শ্বাসটা বন্ধ করে রাখুন তো। কেমন, মজা না? আপনারা ভাবছেন, ঘন্টার-পর-ঘন্টা এঁরা এসিতে আছেন এমন ধারণা বুঝি।
মানুষ এমন পর্যায়ে নেমে আসে রঙ্গে না বাহে, রঙ্গে না:

স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার অসুবিধা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয় যে বক্তব্য দিলেন এটা কেবল এই দেশেই সম্ভব:

অথচ স্বাস্থ্যকর্মী কেমন করে সম্মান দেখাতে হয় এটা এঁদের কাছ থেকে শিখতে হবে। আহারে-আহারে, এরপর করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে-করতে মরে গেলেই কী- সে এক অপার্থিব সুখ:
 

একজন ক্যাব-চালক করোনার এক রোগিকে পরম মমতায় কেবল হাসপাতালে নিয়েই যাননি ভাড়াও রাখেননি। পরে ওই ক্যাব-চালককে হাসপাতাল থেকে ফোন দেওয়া হয় রোগি নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি আসেন। এরপর বাকীটা ইতিহাস...:
 

আমাদের চারদিকে যেমন অজস্র অমানবিকতা-অসভ্যতা আছে তেমনি আছে আবার চমৎকার অনেক উদাহরণও:



ওরে, লকডাইন কী থামাতে পারে এই মানুষটার আকন্ঠ পিপাসা:
 

সরকার বেচারা আর কী করবে। শেষমেষ সরকার কারণ অমৃতের হোম-ডেলিভারি চালু করল:


২৭ এপ্রিল ২০২০
পানির মত টলটলে এই মানুষটার ধারণা করোনা সম্বন্ধে:

আমরা আশাবাদী মানুষ তাই আশায় বুক বাঁধি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য এই ভদ্রমহিলার মুখের দিকে তাকিয়ে কারণ তিনি আগেও এই গ্রহকে আলোর মুখ দেখিয়েছেন:
 
100
পরীক্ষার খাতিরে স্বইচ্ছায় ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন অনেকে:

ঝামেলাও আছে বিস্তর, এর ভ্যাকসিন চলে এলে এই কাজী সাহেবদের কী উপায় হবে এই নিয়ে অনেকখানি চিন্তায় আছি। একে তো আবিষ্কারক বিধর্মী তার উপর আবার নারী, সর্বনাশ! ইনি তো রিকশাওয়ালাকেই দেখতে পারেন না এই কারণে যে রিকশাওয়ালাদের রিকশায় নারীরা উঠেন।
অথচ নবীর সময়ে নারীরা ব্যবসা করেছেন, উটে চড়েছেন, যুদ্ধ করেছেন নবীর সমস্যা হয়নি কিন্তু এই কাজী সাহেবদের মারাত্মক সমস্যা। 
আহারে, কাজী সাহেবদের মা-রাও যদি নারী না-হতেন তাহলে তাদের অনল বর্ষণ কাম আগুন উগরে দিতে খুব সুবিধা হত:

এই গ্রহ ক্রমশ গরম হওয়ার পাশাপাশি পৃথিবীতেও অজস্র গরমমাথার লোক পয়দা হয়। কেউ-কেউ কালে কালে হয়ে উঠেন 'বিশ্বখ্যাত মাথাআউলা' লোক । 'মাথাউলা'দের মধ্যে থেকে সবার মাথাকে ছাড়িয়ে গেছে পাগলা ট্রাম্প। এই পাগলটাকে বসাবার পেছনে যদি রাশিয়ায় হাত থেকে থাকে তবে পুতিনের পা আমার। না-না, অন্য কিছু না সালাম করার জন্য।
এই সুখ অন্যত্র কোথায়, আমেরিকার সমস্ত দম্ভ-অহংকার হুটোপুটি খায় এখন নোংরায়! ট্রাম্প নামের এই পাগলটা হচ্ছে মোস্ট অনপ্রেডিক্টেবল মানুষ। এ কখন কী বলে বসবে তা আগাম বলা মুশকিল [০১]:
  

এই ছাগলা এখন বলছে জীবানুনাশক শরীরে পুশ করার জন্য। পাশে বসা মহিলা পড়েছেন এক জ্বালায়:

আমার দেশ থেকে কবি-সাহিত্যিক, ছলিমুল্লা-কলিমুল্লা যায় ওই দেশে সভ্যতার পাতলা গুয়ে ছিনান করতে। এমনকি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সময় এদের নৃশংস আচরণও আমাদের বুদ্ধিবেশ্যারা বিস্মৃত হন। আহারে, কী সভ্য ওখানকার লোকজনেরা:



আহারে ক্ষুধা-আহারে ত্রাণ! ত্রাণের নাম করে কী অনাচারই না করছে মানুষ নামের অমানুষেরা। পাকিস্তানের 'চুতিয়ারা':
সৌজন্যে: মশিউর রহমান

আমাদের দেশের 'বুতিয়ারা' পিছিয়ে থাকবে কেন:

ওরে চুতিয়া-ওরে বুতিয়া, একটু শেখার চেষ্টা কর কেমন করে ত্রাণ দেয়, দিতে হয়:




২৮ এপ্রিল ২০২০
পাকিস্তান পাশের দেশ তো তাই এ দেশের লোকজনরাও শিখে ফেলেছে ত্রাণ দিয়ে ধর্ম বদলাবার নসিহত দেয়া:



কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে এক মুসলিম মহিলা বলেছিলেন, আমি তোমাকে ভোট দিয়েছে কারণ আমি জানি, আমার নিজের ধর্ম পালনটা তোমার হাতে  নিরাপদ থাকবে। সেই ট্রুডো:
  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি জানাজায় হাজার-লক্ষ লোক হয়েছিল সেই প্রসঙ্গ ধরে একজন দাবী করেছেন এদের অনেকে লোক ছিলেন না, ছিলেন ফেরেশতা। লে বাবা, এখন কার বিচার করবি, কর:


এদিকে অনেকের সঙ্গে ক্ষেপে লাল হয়ে গেলেন জ, ই, মামুন সাহেব। তিনি সপাটে বললেন:

আমার বাড়িও ব্রাহ্মণবাড়িয়া।  না-না, স্যার, আপনাকে গালি দেওয়ার কোনও গোপন ইচ্ছা আমার নাই। গোপন-প্রকাশ্য কোনও অভিলাষই নাই গালি দিয়ে আপনার পর্যায়ে নেমে আসার। আপনি ক্ষমা চেয়েছেন, বেশ। কথা আর বাড়ালুম না। কিন্তু স্যার একটু কথা ছিল, 'বুঝলুম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব লুক খ্রাপ, খুব খ্রাপ। তা, আপনি তো স্যার ভাল মানুষের ছাও। আপনি একটা বিরাট পোরতিবাদী টাইপ মানুষ। যে পরতিষ্ঠানে কাজ করেন ওইটার চিয়ারম্যান সাহেব চিয়ার থেকে দাঁড়িয়ে যে প্রকাশ্যে একজন নারীকে হারামজাদী বললেন, বিস্তর অসভ্য কথা বলে গেলেন, আইন ভেঙ্গে সদম্ভে আবার শেয়ালের মত হেসে-হেসেও বললেন, আপনি কী স্যার এইটার পরতিবাদ করিয়াছিলেন? পরনের পাতলুনটা শক্ত করে  চেপে ধরে একটু কাশুন তো প্লিজ, আমরাও শুনি:
110


২৯ এপ্রিল ২০২০
আহারে-আহারে এই গ্রহের অসম্ভব সুন্দর একটা দৃশ্য। তাঁর আত্মীয়রা ফেলে দিয়েছে। মুসলমান হিন্দুর শব দাহ করছে।


আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য এরচেয়ে সহজ পাঠ আর হয় না:

ইশ, আমাদের এই সময়ে দেশে এমন ডাক্তারদের প্রয়োজন অতি জরুরি ছিল কারণ এঁরা করোনার সঙ্গে লড়াই করে-করে অনেকটাই করোনার চাল আয়ত্ব করতে পেরেছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত এঁদেরকে দেশে এঁদের মত করে কাজ করতে দেওয়া হত না:


তবে করোনার চরিত্র সবচেয়ে ভাল বুঝতে পেরেছেন আমাদের এই পীর সাহেব, পীর হাবিবুর রহমান। এতে করে আমরা খুবই আনন্দিত। ইয়ে, তিনি সানি লিওনকে নিয়ে বললেন কিন্তু সানি লিওনদের নিয়ে যারা হোটেলে মাস্তি করেন এই বিষয়ে পীর মহোদয় যে কিছু বললেন না এই নিয়ে খানিকটা কষ্টে আছি। পীর সাহেবদের আদুল গা দেখতে ভাল লাগে না, থলথলে: 


এন ৯৫-এর নামে 'ত্যানা' দেওয়ার কারণে ডাক্তাররা যে আক্রান্ত হলেন মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়লেন। কে জানে, এই কারণে কারও মৃত্যু হলে এটা খুন আর মৃত্যু না-হলে সম্ভাব্য খুন। এটা কী খুনের বিচারের নমুনা? কেবল ভুল, ব্যস...।

ভুল হয়েছে বেশ কিন্তু যারা এটা সরবরাহ করেছে, জে এম আই গ্রুপ এদেরকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। আহা, আমরাও যদি মার্ডার হাফ-মার্ডার করেও ভুল হয়েছে বা 'একটি  মানবিক আবেদন' এমনটা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেঁচে যেতে পারতাম:

কুইজ। এটা পিপিই নাকি 'মশারিপি'? সম্ভবত এটা গবেষণার বিষয়:


কোথাও ব্যবস্থাপনার 'ব'-ও নেই। আমাদের ফ্ল্যাগশীপ হাসপাতালের যে অবস্থা:

আমরা যে খুব কষে আমলা-মন্ত্রীদের গালি দেই আমরা নিজেরা কী? একজন স্বাস্থ্যকর্মী ঢাকা থেকে ছুটিতে এসেছেন তাঁর সঙ্গে আমরা যে আচরণ করেছি একটা কুকুরের সঙ্গেও সেই আচরণ করা অমানবিক:


আর নারায়নগন্জে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে যার পরিবারের ১৭জন করোনায় আক্রান্ত তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে করা হয়েছে অতি নোংরা আচরণ:

নূইয়র্কে উমা নামের একজন ডাক্তারের প্রতি লোকজন কৃতজ্ঞতায় যে সম্মান দেখিয়েছে এটা দেখে দুইটা ভাবনা মাথায় আসে। এক, এই ডাক্তারেরে স্থলে আমি হলে বলতাম, এমন দিনে মরে গেলেও সুখ। দুই, এমন আরও কিছু দৃশ্য দেখার জন্য বেঁচে থাকাটা জরুরি।
 


২ মে ২০২০
কী এক দৃশ্য! এরা ধান কাটছেন! আচ্ছা, এদের মধ্যে থেকে কেউ কী জানেন ধান কেমন করে কাটতে হয়? বাস্তবে ধানের ছড়ায় ঘসা লেগে এই ননীর চামড়া নামের অনেকখানি মাখন ধান গাছে রেখে আসতে হবে:
 

'ধান কাটো রে, কাটো ধান কাটো ঝুম চাকা ঝুম চাকা...'। এখানে 'স্যোসাল ডিসটেন্স' না সুশীল ডিসটেন্স পালন করা হচ্ছে কে জানে। বিচিত্র এক দেশ!



এদিকে গাজীপুরের মেয়র সাহেব তার এলাকার মসজিদ খুলে দিতে বলেছেন:

এই দেশ অন্য অনেক দেশের তুলনায় রক্ষা পাবে এটা এখন এটার মতই 'এমন একটা ফানি বিষয়' সত্য হয়ে উঠবে এমন আশায় বুক বাধা ব্যতীত আমাদের আর উপায় কী:


লোকজনকে ঘরে রাখতে গিয়ে কেবল আমাদের দেশের পুলিশই না, অন্য দেশের পুলিশও ওদের লোকজনদের নিয়ে বিপদে আছে। শেষ পর্যন্ত করোনা রোগীর সঙ্গে মোলাকাত করাচ্ছে:


এই করোনায় অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে যেমন আমাদের পুলিশও আমাদেরকে এই বিশ্বাস করিয়ে ছাড়ছেন যে এঁরাও আমাদের পরিবারের কেউ-না-কেউ:

ওহো, একটা কুত্তা-নিউজের কথা না-বললে অন্যায় হবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ কুত্তা-খবরটা আমাদের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ঘটা করে ছাপিয়েছে! 'একজন ছদু মিয়া কদু তেল মাথায় দিয়া বাবুর্চি আনিয়া', ঘটা করে বিরিয়ানি রান্না করে কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন। উদ্যোগ ভাল কিন্তু জড়াজড়ি করে থাকা গ্রে-মেটার এবং ইয়োলো-মেটার আলাদা করলে তিনি বুঝতে পারতেন ঘি-মসলা দিয়ে রান্না বিরিয়ানি কুত্তার জন্য উপযোগী না।
এই 'কুত্তা-নিউজ' আবার মারাত্মক মর্যাদা পেয়েছে। ৪৫ হাজার 'লাইক-লুইক', ৩৮২২ শেয়ার।
'জায় হো...'।
 


৩ মে, ২০২০
পৃথিবীতে এমন দেশ বিরল যেখানে কৃষক ধান কাটার জন্য এভাবে ছোটে:

'পাকা ধানে মই', এটা এই সমস্ত দৃশ্যের কারণে সম্ভবত চালু হয়েছিল:


আরে-আরে, প্রাণীকূল দেখি রাম-রাজ্য পেয়ে গেছে:


সাদা-সাদা, সাদায় ফিরে আসুক বিজয়:

 আহারে পুলিশ, বেচারারা কী কখনও ভাবতেও পেরেছেন যে তাঁদের এই দিনও আসবে:

ওরে, একি কান্ড, এরা দেখি সব ত্রাণের জন্য আপার বাড়ি রওয়ানা দিয়েছে:

আইডিয়াটা ভাল। ডাক্তাররা সুরক্ষিত থাকবেন কিন্তু রোগীর সুরক্ষার উপায় কী:

টানা ২০ দিন পর ভারতের এই স্বাস্থ্যকর্মী নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া:


১২ মে, ২০২০
আজ খুবই আনন্দের দিন কারণ এদের বক্তব্যমতে করোনা বিদায় নেওয়ার কথা। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। সুরাইয়া তারা উঠা মাত্রই:

এমন একটা খবর অবিশ্বাস না-করার কোনও কারণ নেই:



বাহ, কী অসাধারণ রসিকতা! কী এক 'বাঁশরিকা':
ভিডিও ঋণ: নাজনিন মুন্নি

'সীমিত আকারে', এটা খুব বাজার পেয়েছে এখন। অনেক দবদবা এর! সব সীমিত আকারে। এদিকে সীমিত আকারে 'পারলার' খুলে দেওয়ার জন্য লোকজন ভেউভেউ করে কান্না করছে। এদের নাকি ভ্রু খুলে আসার (!) কারণে ব্রেকআপ হয়ে যাচ্ছে:


করোনা নিয়ে যারা আমাদের ভরসার কথা শুনিয়েছিলেন:


সোস্যাল ডিসটেন্সের একটা নমুনা:


করোনার ভয়াবহতার নমুনা দেখে ডাক্তাররা পর্যন্ত সহ্য করতে পারছেন না:


অথচ সেই দেশেই মিশিগানে লোকজনেরা তো একবারে মেশিনগান নিয়ে নেমে পড়েছে:

ওই দেশেই ব্রুকলিনে ন্যাক্কারজনক একটা ঘটনা ঘটেছে। এক ইহুদির শেষ-অনুষ্ঠানে প্রচুর লোকজন হলো। সেটা নিয়ে আমাদের দেশের মিডিয়ার কর্মকান্ড। হেডলাইন করেছে, 'নিউইয়র্ক: পাশ্চাত্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া'।:

ওহে, ঢাকা ট্রিবিউন বাংলা ভাই, আপনারা এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসলেন কেন রে, ভাই! এটাকে গ্রামের ভাষায় বলে, 'গাঙ্গের মড়া কুডা দিয়া টাইনা আনা'। আর আমি আমার ভাষায় বলি, 'রেকটাম দিয়ে মগজ গলে পড়া'!

আহারে-আহারে, যারা এই দৃশ্য দেখে পন্ডিতি-পন্ডিতি কথা বলেন আর তেড়াবেড়া হাসি' হাসেন তাদের মুখে পোকা:



১৩৪
১৫ মে, ২০২০
আমরা বড় বিচিত্র জাতি! একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জায়গায় বুথ খুলেছিল করোনার নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। ওখানে কর্মীদের অধিকাংশ নারী হওয়ায় বখাটেদের উৎপাতে বুথগুলো বন্ধ হয়ে গেল। বলা হলো, পুলিশের সহায়তার চালু হয়েছে। কিন্তু...? 
কিন্তু, আমার বক্তব্য অন্য খানে। কে-কারা এই সব বখাটে? ২৪ ঘন্টার মধ্যে এদের ধরে সমস্ত মিডিয়ায় সামনে দাঁড় করানো হল না কেন? ভবিষ্যতে যাতে করে কেউ এটা কল্পনাও না করে।
কই, কোন লেখক দেখি একটা লেখা লিখলে পুলিশ সাড়ে তেইশ ঘন্টার মধ্যেই হিড় হিড় করে ধরে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসে।  

এবার আমাদের পুলিশ-আর্মিরা সম্ভবত ইতিহাস সৃষ্টি করবে:


করোনা পরিবর্তন আর পরিবর্তন করে ছাড়ল। কিন্তু এই ট্রাম্প নামের এই পাগলটাকে শোধরাতে পারল না। আফসোস, না-মরলে এই 'লেংটাপাগল' আর শোধরাবে না:


যদিও এখানে মজা করে বলা কিন্তু বাস্তবেও অনেকটা এমনই হচ্ছে। একটা মাস্ক চলছে দিনের-পর-দিন। পারলে একজনেরটা অন্যজন নিয়ে বেরিয়ে পড়ে:

ত্রাণ দেওয়ার এই আইডিয়াও অসাধারণ:


এই করোনাকালে কেউ-কেউ দানবই রয়ে গেল, মানুষ আর হলো না। লাশ নিয়ে পর্যন্ত! এক হিন্দুর লাশ জোর করে নিয়ে দাফন পর্যন্ত করে ফেলল তাঁর প্রিয়মানুষের অমতে:

আজ শেষ করি বুকে বাতাস আটকে-রাখা একটা সংবাদ দিয়ে। 'এয়ার হাংগার- বাতাসের জন্য হাহাকার, এক ফোঁটা, এক ফোঁটা বাতাসের জন্য। এই গ্রহে বাতাসে ঠাসা অথচ একজন এক ফোঁটা বাতাসের জন্য জবাই করা পশুর মত গড়াগড়ি খায়।
এটা দেখে মনে হচ্ছে যেন সেই বাতাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন স্বর্গের এক দেবতা:
১৪২


২৩ মে, ২০২০
আহারে, এই সব মানুষদের কষ্ট চোখে দেখা যায় না:



করোনা নিয়ে কেমন ক্লাসিক একটা কাজ করা যায় এর অসাধারণ উদাহরণ এটা:

ওহো, কোলাকুলি ওরফে 'হাগ' কী আর বাদ দেওয়া চলে!:


আহ পেট, এই পেটে কী আর শোনে একথা-সেকথা! তাই বুদ্ধি তো একটা বের করাই লাগে:

হায়, যেখানে এমন উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে, চার্চে চার্চের প্রার্থনার পাশাপাশি নামাযও পড়া হচ্ছে সেখানে বেচারা বাউলের সৃষ্টি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে:
ঋণ: ডি ডব্লিউ


আমরা যেখানে অনেকে মাকে-প্রিয়মানুষকে করোনায় ফেলে দিচ্ছি সেখানে এই হিরো-নায়করা ঝাপিয়ে পড়ছেন দাফন-দাহ কাজে:
ভিডিও ঋণ: চ্যানেল আই

ডাক্তারদের অনেকে যেখানে পালিয়ে বেড়িয়েছেন সেখানে এই ডাক্তার ভদ্রলোক নিজ ইচ্ছায়-আগ্রহে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে করোনা আক্রান্ত এলাকা নারায়নগন্জে বদলি হয়ে গেছেন। ইউএনও সন্তানসম্ভাবনা অথচ এই সময়েও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন:
ভিডিও ঋণ: আখাউড়া টিভি
১৫০

২৪ মে, ২০২০
ছোট্ট একটা বাচ্চার লকডাউনে মন খুব খারাপ। ঘটনা কী! ঘটনা হচ্ছে ওদিন তার জন্মদিন। এখন এমন দিনে তার বন্ধু-বান্ধব তো আর আসতে পারবে না উইশ করতে।  প্যাঁ-পোঁ বাজাতে বাজাতে একের-পর-এক পুলিশের গাড়ি চলে এসেছে...।
  
চুল কাটার পদ্ধতিটা অতি সহজ কিন্তু বেজায় কাজের:

প্রকৃতি কী পুরুষদেরও পর্দা করাবার ধান্দায় নেমেছে:

এবারের ইদ কী এমনতরো হবে!:

1 comment:

PiPiLiKa said...
This comment has been removed by a blog administrator.