১৪ লাখ ২৪ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে (রাখাইন) আনুমানিক ৮ লাখ রোহিঙ্গার বাস। এরমধ্যে বাংলাদেশেই রোহিঙ্গাদের বসবাস ৩ লাখের উপর!
জাতিসংঘের সাফ কথা, রোহিঙ্গারা হচ্ছে এই গ্রহের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠি। ভূতপূর্ব রোসাং হালের মায়ানমার, যে জমিনে এদের হাজার বছরের বাস সেই জমিনের সরকার এদেরকে স্বীকার পর্যন্ত করে না। এর শুরুটা বৃটিশদের হাত ধরে। তৎকালীন শাসক বৃটিশরা মায়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠির তালিকায় রোহিঙ্গা শব্দটি বাদ দিয়েছিল।
রাজায় কইছে চু...ভাই আনন্দের আর সীম নাই- ব্যস, রাজায় কয়া গেছে আর ছাড়াছাড়ি নাই।
রাজায় কইছে চু...ভাই আনন্দের আর সীম নাই- ব্যস, রাজায় কয়া গেছে আর ছাড়াছাড়ি নাই।
১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে রোহিঙ্গারা ওই দেশের নাগরিক না। এমনকি তাঁরা ওই দেশের জমির মালিকও নন। সরকারের অনুমতি ব্যতীত তাঁদের বিদেশ ভ্রমণ করারও উপায় নেই। কেবল তাই না দুইটির বেশি সন্তান না-নেওয়ার অঙ্গিকারনামায়ও রোহিঙ্গাদেরকে সই করতে হয়। একটা সভ্য দেশে এমনটা সম্ভব এটা অকল্পনীয়!
অং সান সু চি প্রায় দুই দশক ধরে গৃহবন্দী ও কারাগারে ছিলেন। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। শান্তিতে পুরস্কার- সামরিকজান্তার বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন করেছিলেন নাকি!
এমনিতে শান্তিদেব বারাক ওবামা [১] এবং আরেক শান্তিদেব প্রফেসর ইউনূস সাহেবও [২, ৩] শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন। হুদাহুদি!
ছবি ঋণ: প্রথম আলো ২৭ নভেম্বর ২০১৬ |
(ছবির রোহিঙ্গা নামের সাবজেক্টের নাম নুর বেগম। তাঁর স্বামী-সন্তান মারা গেছে। সন্তানের লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দাফনের জন্য...)
যাই হোক, ওই দেশের সেনাবাহিনী যখন রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর এহেন কোনও অন্যায় নেই যেটা করছে না। বেসামরিক লোকজনের ওপর হত্যা, গণধর্ষণ এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে অথচ সেই দেশের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টাপ্রধান সু চি মুখ সেলাই করে ফেললেন। আফসোস, খাওয়া ব্যতীত মুখই খোলেন না! অবশেষে শান্তিদেবী সু চি মুখ খুললেন। সিঙ্গাপুরে চ্যানেল নিউজএশিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ”…আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।…আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি সারাক্ষণ নেতিবাচক কথা না বলে…”। ব্লা, ব্লা, ব্লা।
তবে জর্জ বুশ শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেলে আমি অন্তত অবাক হতাম না। বেচারা লোকটা নাকি রোগী মানুষ! রোগটার নামও লম্বা, 'অ্যাটেনশন ডেফেশিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার'। বুশকে যদি বলা হয় সারফেস উঁচু করার জন্য এ সমস্ত লোকজনকে মেরে কবর বানিয়ে সারফেস উঁচু করে ফেলবে।
আমাদের শান্তিদেবী অং সান সু চি-ও সম্ভবত সেই পথই ধরেছেন রোহিঙ্গাদের মেরে সাফ করে ফেললেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। ‘না রাহেঙ্গা বাস না রাহেঙ্গা রোহিঙ্গা…’।
সহায়কসূত্র:
১. সাদা বাড়িতে...: http://www.ali-mahmed.com/2008/11/blog-post_06.html
১. লাইফ, এচিভমেন্ট, সেক্রিফাইস: http://www.ali-mahmed.com/2008/07/blog-post_3333.html
২. প্রফেসর ইউনূস, আপনার জন্য...: http://www.ali-mahmed.com/2011/03/blog-post_03.html