Search

Monday, September 25, 2017

বিপদ!



এই মানুষটাকে নিয়ে বড় বিপদে আছি। অতীতে এহেন সমস্যার সম্মুখিন যে হইনি এমন না কিন্তু এবারের বিষয়টা ভিন্ন!
আজ  ক-দিন ধরে একে দেখছি।এই মানুষটা কিছুই চেনে না। না খাবার, না পানি! এক জায়গায় একে আমি টানা সাত ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। পা ফুলে ঢোল তাতেও এর কোনও বিকার নেই। 

অতীতে এমন বাহ্যজ্ঞানহীন মানুষকে নিয়ে কাজ করার সুবাদে এটা বিলক্ষণ জানি শুকনো খাবারই ভরসা। কিন্তু শুকনো খাবার তো আর দিনের-পর-দিন বাথরুম আটকে রাখতে পারে না। কোন এক ফাঁকে লাগোয়া স্কুলের রাস্তার সামনে বাথরুম সারার কারণে স্কুলের দপ্তরি একে বেধড়ক পিটিয়েছে।
ওই দপ্তরি মানুষটার শাস্তির ব্যবস্থা করা গেছে, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। আলোকিত প্রসঙ্গ হচ্ছে সেই দপ্তরি নামের মানুষটা তার ভুল বুঝতে পেরেছে। কেউ বলে দেয়নি কিন্তু এই মানুষটার কাছে নাকি ক্ষমা চেয়েছে। হায়, এই মানুষটা যে ক্ষমা করারও ঊর্ধ্বে! 

যাই হোক, এখানে প্রকট যে সমস্যাটা এই ক-দিনে এই মানুষটার মুখে একটা কথাও শুনিনি। একটা টুঁশব্দও না! অসহায় এই মানুষটার চেয়ে নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে- মানুষটা স্বজনের কাছে ফেরত পাঠাবার কোনও উপায় নেই। কোথায় যাই কার কাছে যাই- এই মানুষটার একটা গতি হওয়া যে বড়ো প্রয়োজন। একটা মানুষ তার স্বজনের কাছ থেকে, তার শেকড়ের কাছ থেকে এমন করে হারিয়ে যাবে এটা কী করে হয়! 

টানেলের শেষ মাথায় কোথাও-না-কোথাও আলো থাকে, থাকতেই হয়। আমি আশাবাদী মানুষ- আমার এটা আশা করতে দোষ কি তার স্বজনের কেউ-না-কেউ তার ছবি দেখে জলভরা চোখে বুকে জাপটে ধরে তাকে তার শেকড়ের কাছে নিয়ে যাবে। এমন অসাধারণ একটা দৃশ্য কেবল কল্পনা করতেই অদেখা এক ভাললাগা পাক খেয়ে উঠে