*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Sunday, November 9, 2008
সব বদলে ফেলব, নিজেকে বদলাব না: শক্তচিন্তা
বেতনভোগীর আবার নাম কী! একটা ছবির কারণে পত্রিকার কাটতি বেড়ে গেল এটাই বা কে জানতে চাইবে!
গোটা একটা উপন্যাস অনুবাদে অনুবাদকের পরিশ্রমের ক্লেশ বেশি নাকি কয়েক লাইন ভূমিকা লেখা উপসম্পাদকের? এই নিয়ে তর্ক করা বৃথা। তেল জিনিসটা তেলতেলে কিন্তু চকচকেও বটে!
এমনিতেও পত্রিকায় দু-চারজন বিশেষ আলোকিত মানুষ থাকেন নইলে কর্তৃপক্ষের ধারণা হয় এদের ব্যতীত পত্রিকা অচল। তাই উপসম্পাদকের কানসাট নিয়ে ১০১ লাইনের কবিতা না ছাপিয়ে উপায় কী, তাও সাহিত্য পাতায় না, সম্পাদকীয় পাতায়!
পাঠককে হজম করতে হয়। পাঠক পাকস্থলির মত- সব কিছু হজম করতে হয়। বেচারা!
অনুমান করি, তখন এই দেশের সমস্ত কবি জ্যোত্স্না খাওয়ার জন্য হিমালয়ে অবস্থান করছিলেন। নইলে সমুদ্র গুপ্তের মত ভারী চটের ব্যাগ কাঁধে বয়ে ওষুধ ফেরি করছিলেন।
‘ওয়েবসাইট অবলম্বনে’ বা ‘ইন্টারনেট থেকে’- এসব হচ্ছে গণিমতের মালের মত। পত্রিকায় এই ২টা শব্দ ছেপে দিয়ে তথ্যের মহাসমুদ্র থেকে যে কোন তথ্য নিয়ে নিলেই হল, কেউ চোর-চোট্টা বলবে না। যেন ওয়েবসাইট নামের যন্ত্র নিজে নিজেই এইসব তথ্য যোগাড় করেছে, চাহিবামাত্র পত্রিকাওয়ালাদের সরবরাহ করার জন্য মুখিয়ে থাকে। এর পেছনে দুপেয়ে বুদ্ধিমান কোন প্রাণী ছিল না, সাইটটার কোন নাম থাকতে নেই! অতএব অনুমতি, নামোল্লেখ বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আবশ্যকতাই বা কী!
যে তথ্য পাঠকের জন্য জরুরি না সেটা ফলাও করে ছাপা হবে, আজ এত লক্ষ কপি ছাপা হল। যেটা জরুরি সেটা ছাপার আশা বাতুলতা, যে আজ পত্রিকার মোট স্পেসের এত ভাগ বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে? আধাআধি হলেও মন্দের ভাল- ৫০ ভাগ খবর, ৫০ ভাগ বিজ্ঞাপন। এতেও অন্তত আমি সুখি, ৪০০ পয়সা উসুল হয়েছে এই আনন্দে।
নইলে একদিন দেখব গোটা পত্রিকা বিজ্ঞাপনে ঠাসা। পেছনে ছোট্ট করে লেখা, স্থানাভাবে আজ কোন খবর ছাপা হলো না। খবরের জন্য দেখুন আগামিকাল। আমাদের সাথেই থাকুন, চোখ বন্ধ করে।
চোখ খুললেই...।
বড় ধন্ধে আছি।
Saturday, November 8, 2008
অহেতুক আবেগ- মূল্য মাত্র ৫০ টাকা।
থাকি গ্রাম টাইপের একটা জায়গায়, দায়ে না পড়লে ঢাকা যাওয়া হয় না। কিন্তু একবার ঢাকায় পা রেখেই আমার মাথা খারাপের মত হয়ে গেল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাকিস্তানি পতাকায় ছেয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পাকিস্তানি প্রাইম-মিনিস্টার আসছেন। বেশ। তর্কের খাতিরে, শিস্টাচারের দোহাই দিলেও এমন করে পাকিস্তানি পতাকা দিয়ে ঢাকা শহর মুড়িয়ে দেয়ার যুক্তি কী এটা আজো বোধগম্য হয় না। প্রচন্ড মনখারাপ করে তখন বীরশ্রেষ্ঠ লেখাটা লিখেছিলাম।
তখন ওই পাতাটা দেখেতেন সঞ্জীব চৌধুরী। তাঁকে আমি অনুরোধ করেছিলাম এই লেখাটার জন্য কোনো টাকা আমাকে না-দিতে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোনো লেখা লিখব টাকার বিনিময়ে এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। তিনি বিষয়টা গুরুত্ব দেননি নাকি নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম ছিল না এটা জানার আজ আর উপায় নেই! বাধ্য হয়ে টাকাটা আমাকে নিতে হয়েছিল- অনেক লেখার বিল একসঙ্গে দেয়া হত। হায়, এই ৫০ টাকার আমি কী করব, কোথায় রাখব?
৫০ টাকাটা আমি রেখে দিয়েছিলাম। আজও আছে। কখনও ইচ্ছা হয়নি এটা খরচ করে ফেলি। সজ্ঞীবদা, আপনি আসলে(!) দেখাব নে আপনাকে...।
এদেশের ক’জন সেরা সন্তান, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ একই সঙ্গে আবেদন করলেন, অল্প সময়ের জন্যে হলেও প্রিয় মাতৃভূমি দেখার অনুমতি দেয়া হোক। তাঁদেরকে জানানো হলো, এ রকম কোনো নিয়ম নেই। বীরশ্রেষ্ঠরা গোঁ ধরে রইলেন। অবশেষে অনুমতি মিলল কিন্তু নিয়মকানুনও বলে দেয়া হলো:
কোনো অবস্থাতেই নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না, সাত জনকেই একসঙ্গে থাকতে হবে, এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ফেরা যাবে না।
ঢাকা। ১২ ডিসেম্বর। আর মাত্র একদিন পর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, মাত্র তিনদিন পর বিজয় দিবস।
চোখের পলকে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ প্রিয় মাতৃভূমিতে উদয় হলেন। মৃত্যুনীল যন্ত্রণায় তাঁদের দেহ মোচড় খাচ্ছে, ভুল করে তাঁরা পাকিস্তানে চলে এসেছেন। আহ-আহ, কী কষ্ট! চারদিকে উড়ছে পাকিস্তানি পাতাকা পতপত করে। চারদিক ছেয়ে গেছে পাকিস্তানি পতাকায়।
সিপাহী মোঃ মোস্তফা কামাল চেঁচিয়ে বললেন: কিন্তু একী আশ্চর্য! ওই, ওই তো দেখা যায় বায়তুল মোকারম মসজিদ?
ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ সুর মেলালেন: আরে, বাহ, আমিও তো স্টেডিয়াম দেখতে পাচ্ছি।
কিছুদূর এগুতেই নায়েক মুন্সী আব্দুর রব অবাক হয়ে বললেন: অবাক কাণ্ড, এটাই তো সেই ঘড়িঅলা বিল্ডিংটা!
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ফুটপাতের অসংখ্য পত্রপত্রিকা নেড়েচেড়ে দেখলেন, সব বাংলা।
ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার রুহুল আমীন অস্ফুট স্বরে বললেন: সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছে, এটা পাকিস্তান হতেই পারে না, আউট অভ কোশ্চেন!
মতিঝিলে জ্যামে অনেকক্ষণ আটকে রইলেন। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে নাকি সবুজ চত্বরে স্বাগত জানানো হবে।
এঁরা এদিক ওদিক বেশ অনেকটা সময় ঘুরে বেড়ালেন। একসময় সচেতন হয়ে ভারী লজ্জিত হলেন। আসার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু...!
জাতীয় স্মৃতিসৌধের চারপাশে মানব-প্রাচীর ঘিরে আছে। বীরশ্রেষ্ঠরা অলৌকিক ক্ষমতার ব্যবহার না-করে এ ব্যুহ ভেদ করতে পারবেন না। কিন্তু সেই ক্ষমতা ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
একজন বীরশ্রেষ্ঠ, কঠিন নিষেধ বিস্মৃত হয়ে মুখ ফসকে বলে ফেললেন: কেন স্মৃতিসৌধে ঢুকতে দেবেন না, আমরা বীরশ্রে..., আমাদের কি এইটুকু অধিকারও নেই?
ভাগ্যিস, বীরশ্রেষ্ঠরা কি করে এখানে এ নিয়ে সৈনিক মাথা ঘামাল না। পাথরমুখে একচুল আঁচড় না ফেলে বরফ ঠাণ্ডা গলায় বলল, পাকিস্তানের প্রাইম মিনিস্টার এখন ফুল দিচ্ছেন। আপনারা যেই হোন আর যাই হোন ওনার চেয়ে বড় না।
বীরশ্রেষ্ঠদের সবারই যেন কী হলো, সমগ্র বিশ্ব আধার হয়ে আসছে। চোখ জলে ছাপাছাপি কিন্ত কেউ কারো দিকে ভুলেও তাকাচ্ছেন না। বীরপুরুষদের চোখের জল যে দেখতে নেই। তাঁরা ফিরে আসছেন, একেকজনের থুতনী নীচু হতে হতে বুকে গিয়ে ঠেকছে।
সবাই জামার ভেতর আটকে থাকা মেডেলটা খুলে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। মেডেলগুলো ফেলে দিতে গিয়ে তারা জমে গেলেন, এগুলোর গায়ে দৈববাণী জ্বলজ্বল করছে: 'ও আমার বীর সন্তান, তোমাদের চেয়ে প্রিয় আমার আর কেউই নাই।"
দুঃখ প্রকাশ:
ভোরের কাগজের অধিকাংশ লেখা নিয়ে যে বইটি 'একালের প্রলাপ' ছাপা হয় ওখানে 'বীরশ্রেষ্ঠ' নামের এই লেখাটিতে স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রুহুল আমীন ছাপা হয়েছে। যা হবে, ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার মোহাম্মদ রুহুল আমীন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের কারণে দুঃখ প্রকাশ করি।
Thursday, November 6, 2008
সাদা বাড়িতে কাল অতিথি...
এই প্রভু শেখান, এই গ্রহ শেখে। তিনি শেখাতে বাকি রাখেন না কিছুই- সময় থাকলে এটাও বলে দিতে চেষ্টা করেন একজন বিছানায় কেমন করে বিশেষ সময় কাটাবে!
এমন 'শিকখিত' প্রভুর দেশ অথচ সাদা বাড়িতে প্রভুর বেশে একজন কাল মানুষের প্রবেশ করতে ২০০৮ সাল লেগে গেল কেন, এটাই আমার কাছে বিস্ময়! হায়, কেমন 'শিকখিত' প্রভুর দেশ! একজন বুশ- পাগলটা এই গ্রহের মাথায় বনবন করে ছড়ি ঘুরিয়ে যাচ্ছে ৮ বছর হল! কোন আইন তার কেশাগ্র দূরের কথা গোপনকেশও স্পর্শ করতে পারছে না। একে যদি বলা হয় সারফেস উঁচু করো তো- এ করবে কী, সব প্রাণ মেরে কেটে সাফ করে কবর বানিয়ে সারফেস উঁচু করে ফেলবে।
আফসোস, ইমপিচমেন্টের ফাঁদে ক্লিনটনের মতো চমত্কার শাসকের সিংহাসনের স্ক্রু ঢিলা হয়ে যায় যায়- মনিকার সঙ্গে ফস্টিনস্টি করে স্বীকার না করার কারণে। অথচ একটা কুকি বিস্কুট ব্যতীত আর কেউ বুশ নামের পাগলপ্রভুকে আটকাবার চেষ্টা করেনি (এই বদ্ধউম্মাদ গলায় কুকি বিস্কুট আটকে মরতে মরতে বেঁচেছিল)।
এ ঘটা করে আবার রাইসের কাছে চিরকুট লেখে, "আই নিড আ বাথরুম ব্রেক, ইজ দিস পসিবল"?
আসলে এইসব নকলপ্রভুরা- ডেমোক্রেট না রিপাবলিকান সেটা বিষয় না, এদের চালায় ব্যবসায়িরা। এরাই হচ্ছে এদের প্রাণপাখি। নির্বাচনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ফান্ড না আসলে পৃথিবীর ব্যয়বহুল নির্বাচনের তকমা লাগতে হবে না!
তেল এবং অস্ত্র- সাংঘাতিক লাভজনক ব্যবসা। এই যে এতসব হাইটেক মারণাস্ত্র তৈরি হচ্ছে, এইসব বিক্রি করতে হবে না বুঝি। আগের ক্লাস্টার বোমায় মারা যেত ১০/১৫ জন, এখন মারা যায় শয়ে শয়ে। মহড়া করতে হবে না? তো, জাত-পাত, ধর্ম, জাতির নামে লাগাও যুদ্ধ। আরাম করে ভিজ্যুয়াল দেখ। শ্যাম্পেনে চুমুক দাও। দরদাম করো। ডিল। আর যেসব দেশ বোমার আঘাতে আঘাতে জর্জরিত সেইসব দেশের পূর্ণবাসনের কাজও তো এরাই বাগাবে। স্প্লিল্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শিশুটি খেলনা পুতুলের মত মরে থাকলেই কী রাইসের পিয়ানোর নোটে ভুল হবে? নাকি হওয়া উচিত! পাগল!
Monday, November 3, 2008
এক লালচওয়ালার খপ্পরে

মাহবুব সুমন:
ইনার ধারণা, আমি একজন দুর্ধর্ষ শিকারি। অস্ট্রেলিয়া থেকে বয়ে নিয়ে আসলেন 'বুমেরাং'। হায় খোদা, আমি তো পিপড়াও মারতে পারি না, শিকার করব কী!

আনোয়ার সাদাত শিমুল:
ইনার ধারণা, আমি নাকি কলমযোদ্ধা- দুই কলম লেখার এই ফল! একদা ৩ টাকার কলম নিয়ে কস্তাকস্তি করতাম দেখে হয়তো তার ধারণা জন্মে গেছে আমি কলম-মারকুটে! তাই কী ব্যাংকক থেকে এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধার প্রতিমূর্তি নিয়ে এলেন। দেখো দিকিনি কান্ড, এই যোদ্ধার নাকই তো চার কলম!
বাবু:
এই মানুষটাকে সরকার একের পর এক ট্রেনিং দিয়েও রোবট বানাতে পারেনি। যে মানুষটার একটা ফোনে সরকারি কোষাগারে জমা হয় কোটি-কোটি টাকা, সেই মানুষটারই কিনা কাঁচা কটা আম ভেট পেয়ে সবগুলো দাঁত বেরিয়ে পড়ে।
হা ঈশ্বর! কিন্তু কঙ্গোর এই মহিলার...। লালচি থেকে লো...। রাম-রাম!
মাহবুবুল হুদা:
কট্টর এই মুসলমানের দেখার চোখটা বড় ঝকঝকে-স্বচ্ছ! নইলে কী আর আমাদের দেশের সবচেয়ে চালু মূর্তিপুজার প্রসঙ্গ একপাশে সরিয়ে এটা দেন!
