মামুনকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম [১], যে ছেলেটি আমাকে চমকে দিয়েছিল। একে এক ক্রেট পানির বোতলও দেয়া হয়েছিল যেটা জিরো ক্রেডিটের [২] আওতায় পড়ে (যে টাকাটা আর ফেরত দিতে হয় না) ।
এ ঠিকই সেই পানি বিক্রি করে কিছু পুঁজিও জমিয়ে ফেলেছে এবং কিছু কিছু করে স্কুলে নিয়মিত সঞ্চয়ও করছে।
স্কুল, এক [৩] এবং স্কুল, দুই [৪], এখানকার শিক্ষার্থী প্রত্যেককে একটা করে মাটির ব্যাংক কিনে দেয়া হয়েছিল। এরা মাটির ব্যাংকে নিয়মিত পয়সা জমাচ্ছে। এদেরকে আগ্রহী করার জন্যে আমাকে খানিকটা চালবাজিও করতে হয়েছে, এদেরকে বলা হয়েছে যখন মাটির ব্যাংকগুলো ভাঙ্গা হবে তখন যার টাকা সবচেয়ে বেশী হবে তার জন্য পুরষ্কার আছে।
আমি আগেও লেখায় বলেছিলাম, আমি কেবল অক্ষর শিক্ষা দেয়ার উপরই জোর দিচ্ছি না। আমি চাচ্ছি, আমার নিজের বাচ্চারা যা যা শিখবে এরাও তাই শিখবে। আমি জটিল কথা বুঝি না, সাফ কথা, আমার নিজের বাচ্চার পড়ার-জানার সুযোগ থাকলে এদের থাকবে না কেন? এই দেশের প্রতিটি শিশুর পড়াবার দায়িত্বটা সরকারের ছিল, সরকার বেচারা পারছে না, কী আর করা!
আমি নিজে যে ভুলগুলো করেছি সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছি, সেই শিক্ষাটাই এদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। একজন মানুষের জীবনে সঞ্চয়ের যে কী প্রয়োজনীয়তা এটা আমি আমার দুঃসময়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। যে শিক্ষাটা একটা পিঁপড়ার আছে, দুঃসময়ের জন্য খাবার জমিয়ে রাখতে হয় সেই শিক্ষাটাই আমার ছিল না। আফসোস, কখনই আমার জীবনে কোন সঞ্চয় ছিল না!
তো, স্কুল তিন [৫] -এর বেলায় সমস্যাটা দেখা দিল কারণ এখানকার বেশিরভাগ ছেলেই ঘুমায় ওভারব্রীজে, মাটির ব্যাংক রাখবে কোথায়? এই সমস্যারও একটা সমাধান বের হয়। এরা এদের টিচারের কাছে টাকা জমাবে। এর জন্য প্রত্যেকের নাম লিখে একটা খাতাও বানিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এদের কান্ডকারখানা দেখে দেখে আর কত হতভম্ব হব? এদের এই স্কুলটা চালু হয়েছে এক মাসও হয়নি এখনই এরা প্রায় ১৪০০ টাকার মত জমিয়ে ফেলেছে!
আজ সকাল-সকাল ফোন। মামুন নামের এই ছেলেটিকে নিয়ে 'দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন'-এ নাকি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে [৬]। ভাল, ছেলেটা জানলে খুশি হবে। প্রতিবেদনটা পড়ে একজনের নাম দেখে মেজাজ খারাপ হয়। এই মানুষটা এখানে কী করছে? মানুষটা কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে আমার কাজ পন্ড করছে! আমার বাড়া ভাত আগেভাগেই খেয়ে ফেলছে।
আবার মানুষটা আমি কি না এটাও বুঝতে পারছি না!
পত্রিকায় লিখেছে, "...আলি মাহমুদের..."।
এই আলি মাহমুদটা কে? তবলার ঠুকঠাক থাকুক আসল কথায় আসি। এটা যে এবারই প্রথম হয়েছে এমন না, এরা ইচ্ছা করে এই কাজটা করে! ব্যাটারা এই সব ফাজলামি আর কত কাল করবে? এরা কলাম্বিয়ার গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, তুরস্কের ওরহান পামুক, ফিলিস্তিনের মাহমুদ দারবিশ, ইন্দোনেশিয়ার প্রমোদিয়া অনন্ত তোয়ের লিখতে পারে; কেবল পারে না আলী মাহমেদ লিখতে! কলমের নিব ভেঙ্গে যায়!
জানি-জানি, অনেকে চোখ পাকাচ্ছেন, মিয়া, ছলিমুল্লা, কোথায় এঁরা আর কোথায় তুমি তিন টাকা দামের কলমচী, ছ্যাহ!
রসো, আগে আমার যুক্তিটা শেষ করি। অনুমান করি, যারা রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন সমস্যাটা তাদের না। এসি অফিসে যেসব পন্ডিত স্যাররা ঢাকায় বসে থাকেন, তাঁদের।
কিন্তু ভুল মনে হলে কেন মাহমেদের স্থলে এখানে আহমেদ না, কেনই বা মোহাম্মেদ না; কেনই বা এদের এটা মনে হলো মাহমুদটাই সঠিক?
কোথাও খটকা লাগলে যিনি রিপোর্টটা পাঠিয়েছেন তাকে একটা ফোন করে জেনে নিলেই হয়। পাগল, এটা করলে মান থাকে নাকি? এই চটচটে জ্ঞানের ভান্ডরা কেন যে বুঝতে চান না কোন নাম অভিধানের কোন শব্দ না যে ভুল মনে হলো আর অভিধানের পাতা চিবিয়ে খেয়ে ঠিক করে দিলুম।
এঁরা হচ্ছেন একেকটা চলমান জ্ঞানের ভান্ড, একটা ফোন করার জন্য ঘাড় কাত করলেই জ্ঞান গড়িয়ে পড়বে এই ভয়ে এতটাই কাবু যে আর ফোন করা হয়ে উঠে না।
সহায়ক লিংক:
১. মামুন: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_17.html
২. জিরো ক্রেডিট: http://tinyurl.com/2fpxq9d
৩. আমাদের ইশকুল, এক: http://tinyurl.com/3xpuov5
৪. আমাদের ইশকুল, দুই: http://tinyurl.com/2fs9j4p
৫. আমাদের ইশকুল, তিন: http://tinyurl.com/327aky3
৬. বাংলাদেশ প্রতিদিন: http://tinyurl.com/22w53un
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Sunday, September 26, 2010
নাম বিভ্রাট এবং...
বিভাগ
আমাদের ইশকুল: তিন
সরকারি পোশাকপরা গুন্ডা
এই সব সরকারি গুন্ডাদের আমরা কখনও দেখি ভিক্ষুকের বেশে [১], কখনও খুনির বেশে। এরা কেবল একজন মানুষকে পরোক্ষভাবে খুনই করেন না, করেন তার গোটা পরিবারকে। এদের কেউ কিচ্ছু বলে না। ইয়াসমীন হত্যা ব্যতীত ক-জন পুলিশম্যানের ফাঁসি হয়েছে- মানেটা কি এরা ফাঁসির মত অপরাধ করছেন না, করছে কেবল আমজনতা?
এদের শাস্তি বলতে বড়জোর পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুদিন ওখানে গায়ে বাতাস লাগিয়ে কাটাবার পর ঘুষ-ঘাস দিয়ে আবারও নতুন কোথাও পোস্টিং। দুর্বল মানুষ যেমন কচুগাছ কাটতে কাটতে ডাকাত হয় তেমনি এরা আরও নৃশংস, দুর্ধর্ষ হন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী রুবেল এবং নাজমুলকে চোখ বেঁধে তালা থেকে সাতক্ষীরা জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে! সন্দেহজনক মানুষের চোখ বাঁধার নিয়ম আজকের না, তাও জটিল কোন মিশনে, মাঠ পর্যায়ে; কখনও শারীরিক নির্যাতন করার সময়। এটা উচিত, কি অনুচিত সে প্রসঙ্গে এখন আর যাই না কিন্তু তাই বলে আদালতে নিয়ে আসা হবে চোখ বেঁধে? একটা সভ্য দেশে এটা সম্ভব? আর এরা কি জঙ্গিদের চেয়েও দুর্ধর্ষ?
প্রথম আলো জানাচ্ছে [২], এই দুইজনের প্রতি পুলিশের অভিযোগ হচ্ছে, এরা একটা খুনের সঙ্গে জড়িত।
কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার্থী রুবেল বিচারকের কাছে ফাঁসি চাইছে তবুও যেন তাকে রিমান্ডে না দেয়া হয়। কারণ রিমান্ডে তাকে অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে। একটা মানুষ কোন পর্যায়ে গেলে এমনটা বলতে পারে, আমাকে ফাঁসি দেন কিন্তু রিমান্ডে দিয়েন না! মানুষ কখন, কোন পর্যায়ে মরে যেতে চায়?
রুবেলের আরও বক্তব্য, এসআই লুৎফুর রহমান তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। না দেয়ায় তাকে অমানুষিক অত্যাচার করে জোর করে খুন করেছে এটা বলার জন্য বাধ্য করা হয় এবং এমনটা না করলে পরবর্তীতে আরও ভয়াবহ নির্যাতন করা হবে বলে শাসানোও হয়।
জজ সাহেব পুরো বিষয়টা অনুধাবন করতে পেরেছেন এবং রুবেলকে জেলহাজতে পাঠাবার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভাল, মাননীয় জজ সাহেবকে আন্তরিক সাধুবাদ। কিন্তু এটুকু করেই কী জজ সাহেবের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? তিনি এই এসআই নামের গুন্ডাকে কেন কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন না? এর জন্য আইনের কোন বই ঘাঁটতে হবে এটা খুঁজে বের করা তো তাঁর দায়িত্ব, আমাদের না।
আমরা কেউই যার যার দায়িত্ব পালন করছি না- গা ভাসিয়ে দিচ্ছি। এর পরিণাম ভয়াবহ! যে বিষবৃক্ষগুলো রোপণ করছি এতে টসটসে ফল না ধরার তো কোন কারণ দেখি না।
এই দেশে কি এমন কোন আইন নাই সরকারী উর্দিপরা এই সব গুন্ডাদের বিচার করা যাবে? কখনও-সখনও আমরা দেখি আদালত এদের মৃদু তিরস্কার করে ছেড়ে দেন। বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে ফেলা হয়, চড়চড় করে চামড়া পুড়তে থাকে। যে পুলিশম্যান এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন তাকে আদালত মৃদু তিরস্কার করেছিলেন! বাহ, এই-ই!
গোল্ডা মায়ারের কথাটা আবারও বলতে হয়, "কাউকে হত্যা করা এবং হত্যা করার সিদ্ধান্ত দেয়ার মধ্যে কোন তফাত নাই"। যেমন তফাত নাই হত্যাকারীকে রক্ষা করা, তেমনি আইনের থাবা থেকে বেঁচে যেতে পারেন না প্রকৃত সত্যকে গোপন করে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টাকারী।
মার্টিন সাহেবের উদাহরণ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, "...There was no one left to speak for me".। হিস্ট্রি রিপিট! এই দেশের মহা ক্ষমতাধর আর্মি, গড়াগড়ি দিয়ে কেঁদেছে। আজ প্রশাসন কাঁদছে [৩], কাল আপনারা কাঁদবেন। কপাল, অনেক কান্না দেখার যে বাকী রয়ে গেছে আমাদের...।
সহায়ক লিংক:
১. ভিক্ষুক: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_03.html
২. প্রথম আলো: http://www.eprothomalo.com/?opt=view&page=5&date=2010-09-26
৩. প্রশাসনের কান্না: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_5190.html
এদের শাস্তি বলতে বড়জোর পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুদিন ওখানে গায়ে বাতাস লাগিয়ে কাটাবার পর ঘুষ-ঘাস দিয়ে আবারও নতুন কোথাও পোস্টিং। দুর্বল মানুষ যেমন কচুগাছ কাটতে কাটতে ডাকাত হয় তেমনি এরা আরও নৃশংস, দুর্ধর্ষ হন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী রুবেল এবং নাজমুলকে চোখ বেঁধে তালা থেকে সাতক্ষীরা জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে! সন্দেহজনক মানুষের চোখ বাঁধার নিয়ম আজকের না, তাও জটিল কোন মিশনে, মাঠ পর্যায়ে; কখনও শারীরিক নির্যাতন করার সময়। এটা উচিত, কি অনুচিত সে প্রসঙ্গে এখন আর যাই না কিন্তু তাই বলে আদালতে নিয়ে আসা হবে চোখ বেঁধে? একটা সভ্য দেশে এটা সম্ভব? আর এরা কি জঙ্গিদের চেয়েও দুর্ধর্ষ?
প্রথম আলো জানাচ্ছে [২], এই দুইজনের প্রতি পুলিশের অভিযোগ হচ্ছে, এরা একটা খুনের সঙ্গে জড়িত।
কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার্থী রুবেল বিচারকের কাছে ফাঁসি চাইছে তবুও যেন তাকে রিমান্ডে না দেয়া হয়। কারণ রিমান্ডে তাকে অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে। একটা মানুষ কোন পর্যায়ে গেলে এমনটা বলতে পারে, আমাকে ফাঁসি দেন কিন্তু রিমান্ডে দিয়েন না! মানুষ কখন, কোন পর্যায়ে মরে যেতে চায়?
রুবেলের আরও বক্তব্য, এসআই লুৎফুর রহমান তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। না দেয়ায় তাকে অমানুষিক অত্যাচার করে জোর করে খুন করেছে এটা বলার জন্য বাধ্য করা হয় এবং এমনটা না করলে পরবর্তীতে আরও ভয়াবহ নির্যাতন করা হবে বলে শাসানোও হয়।
জজ সাহেব পুরো বিষয়টা অনুধাবন করতে পেরেছেন এবং রুবেলকে জেলহাজতে পাঠাবার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভাল, মাননীয় জজ সাহেবকে আন্তরিক সাধুবাদ। কিন্তু এটুকু করেই কী জজ সাহেবের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? তিনি এই এসআই নামের গুন্ডাকে কেন কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন না? এর জন্য আইনের কোন বই ঘাঁটতে হবে এটা খুঁজে বের করা তো তাঁর দায়িত্ব, আমাদের না।
আমরা কেউই যার যার দায়িত্ব পালন করছি না- গা ভাসিয়ে দিচ্ছি। এর পরিণাম ভয়াবহ! যে বিষবৃক্ষগুলো রোপণ করছি এতে টসটসে ফল না ধরার তো কোন কারণ দেখি না।
এই দেশে কি এমন কোন আইন নাই সরকারী উর্দিপরা এই সব গুন্ডাদের বিচার করা যাবে? কখনও-সখনও আমরা দেখি আদালত এদের মৃদু তিরস্কার করে ছেড়ে দেন। বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে ফেলা হয়, চড়চড় করে চামড়া পুড়তে থাকে। যে পুলিশম্যান এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন তাকে আদালত মৃদু তিরস্কার করেছিলেন! বাহ, এই-ই!
গোল্ডা মায়ারের কথাটা আবারও বলতে হয়, "কাউকে হত্যা করা এবং হত্যা করার সিদ্ধান্ত দেয়ার মধ্যে কোন তফাত নাই"। যেমন তফাত নাই হত্যাকারীকে রক্ষা করা, তেমনি আইনের থাবা থেকে বেঁচে যেতে পারেন না প্রকৃত সত্যকে গোপন করে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টাকারী।
মার্টিন সাহেবের উদাহরণ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, "...There was no one left to speak for me".। হিস্ট্রি রিপিট! এই দেশের মহা ক্ষমতাধর আর্মি, গড়াগড়ি দিয়ে কেঁদেছে। আজ প্রশাসন কাঁদছে [৩], কাল আপনারা কাঁদবেন। কপাল, অনেক কান্না দেখার যে বাকী রয়ে গেছে আমাদের...।
সহায়ক লিংক:
১. ভিক্ষুক: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_03.html
২. প্রথম আলো: http://www.eprothomalo.com/?opt=view&page=5&date=2010-09-26
৩. প্রশাসনের কান্না: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_5190.html
শিরোনামহীন
জানি না কেন আজ সকাল থেকেই মনটা ভারী বিষণ্ণ! অথচ আকাশটা আজ মেঘলা না, ঝকঝকে, গাঢ় নীল। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত! তবুও এই অস্থিরতার উৎস কি জানা নেই।
আমার এই আমিকে আমি বড়ো ভয় পাই। চোখ বন্ধ করে বলা যায়, আমার ভেতরের ঈর্ষায় কাতর পশুটা তার সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে। একে পরাস্ত করা চাট্টিখানি কথা না। প্রতিবার যে একে কাবু করা যাবে না এটাও আমি বিলক্ষণ জানি। অথচ আমার সমস্ত জীবনের চমৎকার সময় কাটাচ্ছি এখন। বছরের-পর বছর ধরে আমার লালন করা ছোট-ছোট স্বপ্নগুলো তরতর করে বেড়ে উঠছে, অজস্র অদেখা স্বপ্নের বীজ উঁকিঝুকি মারছে। তাহলে?
আমার পাগলা টাইপের এক বন্ধু আছে। একে ফোন করে বলি, তোর ব্ল্যাক স্ট্যালিয়ন নিয়ে আয়। একজন কাউবয়ের যেমন ব্ল্যাক স্ট্যালিয়নের পিঠে বসে থাকাই সুখ তেমনি এর মটর সাইকেলে! আমি নিশ্চিত, এ কোন ফেরারি গাড়ির সঙ্গেও এর মটর সাইকেল অদল-বদল করবে না। এমনিতে এখন যেটায় দাবড়ে বেড়ায় এটার দামও ছোটখাটো একটা গাড়ির দামের সমান। এটায় চেপে ঢাকা-সিলেট যাওয়াটা এর কাছে ছেলেখেলা। আমাকে বান্দরবান নিয়ে যাওয়ার জন্য ঝুলাঝুলি করছে। স্রেফ পাগলামি!
এমনিতে এ কখনও জানতে চায় না কোথায় যাব। কেবল রওয়ানা হওয়ার আগে জিগেস করবে, কোথায় যাবি? আজও জানতে চায়, কোথায় যাবি?
আমি উদাস হয়ে বলি, জানি না।
এ এক লহমায় বুঝে যায় ঝামেলা আছে। হাইওয়েতে এ কখনও ১০০ কিলোমিটারের নীচে চালাতে পারে না। এই দেশে মটর সাইকেল এই গতিতে চালানো অপরাধ। কারণ আমাদের দেশে হাইওয়ের পাশেই হাট-বাজার-বাড়ি-ঘর সমস্ত কিছু। কখন বাচ্চা-কাচ্চা-গরু-ছাগল নিমিষেই রাস্তায় চলে আসবে এটা আগাম বলা মুশকিল। সচরাচর গতি ১০০ ছাড়ালে আমি বকা দেই। ডিজিটাল স্পীডমিটারে গতি আজ দেখছি এ ১১০ ছাড়িয়েছে। আমি চুপ করে বসে থাকি। মাথা থেকে হেলমেটটা খুলে ফেলি- বিরক্ত লাগছে। হেলমেটের কারণে তীব্র আকাশটা আমি দেখতে পাচ্ছি না। তাছাড়া কেবল মাথা বাঁচিয়ে কী হবে, দূর-দূর!
আমি স্থির চোখে আকাশ দেখি। থ্রি পয়েন্ট টু মেগাপিক্সেল সেলফোন লেন্সের একে ধারণ করার ক্ষমতা কোথায়! আমি নিশ্চিত, আমি না, আকাশটাই আজ পাগল হয়ে গেছে। কী চোখ ধাঁধানো- স্বর্গের আকাশ কী এরচেয়েও চমৎকার!
বড়ো বড়ো কবি-সাহিত্যিক জ্যোৎস্না রাতে মরতে চান। কবি-সাহিত্যিকরা দলে দলে মরুক জ্যোৎস্না রাতে, আমার কী! আমার মত সাধারণ মানুষের জ্যোৎস্নায় ডুবে মরার শখ নাই। আমি মরতে চাই এমন অপার্থিব আকাশটাকে তাড়া করতে করতে।
আমার এই আমিকে আমি বড়ো ভয় পাই। চোখ বন্ধ করে বলা যায়, আমার ভেতরের ঈর্ষায় কাতর পশুটা তার সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে। একে পরাস্ত করা চাট্টিখানি কথা না। প্রতিবার যে একে কাবু করা যাবে না এটাও আমি বিলক্ষণ জানি। অথচ আমার সমস্ত জীবনের চমৎকার সময় কাটাচ্ছি এখন। বছরের-পর বছর ধরে আমার লালন করা ছোট-ছোট স্বপ্নগুলো তরতর করে বেড়ে উঠছে, অজস্র অদেখা স্বপ্নের বীজ উঁকিঝুকি মারছে। তাহলে?
আমার পাগলা টাইপের এক বন্ধু আছে। একে ফোন করে বলি, তোর ব্ল্যাক স্ট্যালিয়ন নিয়ে আয়। একজন কাউবয়ের যেমন ব্ল্যাক স্ট্যালিয়নের পিঠে বসে থাকাই সুখ তেমনি এর মটর সাইকেলে! আমি নিশ্চিত, এ কোন ফেরারি গাড়ির সঙ্গেও এর মটর সাইকেল অদল-বদল করবে না। এমনিতে এখন যেটায় দাবড়ে বেড়ায় এটার দামও ছোটখাটো একটা গাড়ির দামের সমান। এটায় চেপে ঢাকা-সিলেট যাওয়াটা এর কাছে ছেলেখেলা। আমাকে বান্দরবান নিয়ে যাওয়ার জন্য ঝুলাঝুলি করছে। স্রেফ পাগলামি!
এমনিতে এ কখনও জানতে চায় না কোথায় যাব। কেবল রওয়ানা হওয়ার আগে জিগেস করবে, কোথায় যাবি? আজও জানতে চায়, কোথায় যাবি?
আমি উদাস হয়ে বলি, জানি না।
এ এক লহমায় বুঝে যায় ঝামেলা আছে। হাইওয়েতে এ কখনও ১০০ কিলোমিটারের নীচে চালাতে পারে না। এই দেশে মটর সাইকেল এই গতিতে চালানো অপরাধ। কারণ আমাদের দেশে হাইওয়ের পাশেই হাট-বাজার-বাড়ি-ঘর সমস্ত কিছু। কখন বাচ্চা-কাচ্চা-গরু-ছাগল নিমিষেই রাস্তায় চলে আসবে এটা আগাম বলা মুশকিল। সচরাচর গতি ১০০ ছাড়ালে আমি বকা দেই। ডিজিটাল স্পীডমিটারে গতি আজ দেখছি এ ১১০ ছাড়িয়েছে। আমি চুপ করে বসে থাকি। মাথা থেকে হেলমেটটা খুলে ফেলি- বিরক্ত লাগছে। হেলমেটের কারণে তীব্র আকাশটা আমি দেখতে পাচ্ছি না। তাছাড়া কেবল মাথা বাঁচিয়ে কী হবে, দূর-দূর!
আমি স্থির চোখে আকাশ দেখি। থ্রি পয়েন্ট টু মেগাপিক্সেল সেলফোন লেন্সের একে ধারণ করার ক্ষমতা কোথায়! আমি নিশ্চিত, আমি না, আকাশটাই আজ পাগল হয়ে গেছে। কী চোখ ধাঁধানো- স্বর্গের আকাশ কী এরচেয়েও চমৎকার!
বড়ো বড়ো কবি-সাহিত্যিক জ্যোৎস্না রাতে মরতে চান। কবি-সাহিত্যিকরা দলে দলে মরুক জ্যোৎস্না রাতে, আমার কী! আমার মত সাধারণ মানুষের জ্যোৎস্নায় ডুবে মরার শখ নাই। আমি মরতে চাই এমন অপার্থিব আকাশটাকে তাড়া করতে করতে।
Subscribe to:
Posts (Atom)