ধুতুরা গাছে আম ধরে না, ধুতুরাই ধরে [০]। একজন লাগাবে বিষবৃক্ষ, এতে তো আর 'আমরুদ' ফল ধরবে না। পাবনায় যেটা হয়ে গেল এটা নিয়ে অনেকে চমকে গেছেন হয়তো কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলি, আমি বিন্দুমাত্র অবাক হইনি। এমনটাই তো হওয়ার কথা, এ আর বিচিত্র কী!
জেলা প্রশাসনের কান্না আমাকে স্পর্শ করছে না [১]। আমাদের এমন অনেক কান্না নদী-নালায় মিশে গেছে। তখন প্রশাসনের লোকজনরা বসে বসে তামাশা দেখেছেন। হিস্ট্রি রিপিট। মার্টিন সাহেবের এই কথাগুলো আমি অনেক জায়গায় শেয়ার করেছি। এখানেও শেয়ার করার প্রয়োজন বোধ করি:
"...First they came for the jews. I was silent. I was not a jew. Then they came for the communists. I was silent. I was not a communist. Then they came for the trade unionists. I was silent. I was not a trade unionist. then they came for me. There was no one left to speak for me".
এ তো হওয়ারই ছিল। একসময় আমরা দেখব আমাদের পেছনে আর কেউ নাই।
আমরা এটা কেন বুঝতে চাইছি না সরকারী দলের সংসদ সদস্য মহোদয়গণ গোটা দেশটাকে চাক চাক করে কেটে নিজেদের কাছে রেখেছেন। এই দেশে এই চল নতুন না, যারা ক্ষমতায় আসেন তারাই এই কাজটা করেন। করতে হয়, না করে উপায় থাকে না। অধিকাংশ সংসদ সদস্য কোটি-কোটি টাকা খরচ করে [২] জনসেবা করতে এসেছেন। এঁদের জনসেবায় বাধা দেয়াটা কী সমীচীন!
পাবনা জেলার বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁর দলের কর্মীদের চাকরি দেয়া সংক্রান্ত জটিলতায় এখানকার সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রথম আলোর [৩] কাছে বলেছেন, "জেলা প্রশাসক একজন মিথ্যাবাদী এবং মানসিক রোগী...।"
আমার জেনে ভাল লাগছে, সংসদ সদস্য মহোদয় কেবল মিথ্যা সনাক্ত করার মেশিনই না তিনি একজন মানসিক রোগের চিকিৎসকও বটে।
এখানে কি হয়েছে এটা আমার জানা নাই কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দলের লোক-টোক বিষয় না, বিষয় হচ্ছে চাকরি দেয়ার নাম করে শত-শত মানুষের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়া হয়। আপনারাই বলুন, এদের চাকরি না হলে যে টাকাগুলো নেয়া হয়েছে এগুলো কে ফেরত দেবে? আপনি, না আমি?
এই গ্রহে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের স্নেহের হাত ব্যতীত কুটোটিও নড়ে না তেমনি আমাদের দেশের সংসদ সদস্য সাহেবদের হাত কারও মাথায় না থাকলেও।
আমরা এটাও বিস্মিত হয়ে লক্ষ করেছি, জেলা প্রশাসকের ডাকা এই অনুষ্ঠানে এস, পি সাহেব আসেননি। কেন আসেননি কে জানে! সম্ভবত উপর থেকে নির্দেশ পাননি নাকি কবিতা লিখছিলেন [৪]? এই 'উপর' জিনিসটা বড়ো মজার জিনিস- পুলিশ পোষা হয় আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কিন্তু এরা উপরের নির্দেশ ব্যতীত এক পাও ফেলতে পারেন না।
তা, ঘটনাটা যখন ঘটে তখন পুলিশ স্যাররা ওখানে কি করছিলেন? ধরে নিলাম, পর্যাপ্ত পুলিশ পরীক্ষা হলে ছিল না কিন্তু রিজার্ভ ফোর্স, দাঙ্গা পুলিশ এরা কোথায় ছিল? এমনিতে তো দেখি বিদ্যুতের দাবীতে জনগণের উপর দাঙ্গা পুলিশ নাঙ্গা হয়ে ঝাপিয়ে পড়েন। তখন বুঝি শরীরে আলাদা জোশ এসে পড়ে, না? এখনও এর সঙ্গে জড়িত সবগুলো মানুষকে এরা ধরতে পারেননি? সারদার ট্রেনিং কি কেবল অল্প বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের [৫] জন্যে?
সরকার তাঁদের এই সব পোষ্যদের লালন করুন, আমাদের কী! ক্ষমতার কফিনের পেরেক গোণা ব্যতীত আমাদের আর কী-ই বা করার আছে। কফিনের পেরেক তো পেরেকই, এটা সোনার পানি দিয়ে মুড়িয়ে দিলেই কফিনের মুর্দার খানিকটা আরাম হয় এমনটা অন্তত আমার জানা নাই...।
সহায়ক লিংক:
০. ধুতুরা গাছে...: http://www.ali-mahmed.com/2009/02/blog-post_20.html
১. কান্না, প্রথম আলো: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-09-24/news/95929
২. ছোপ ছোপ দাগ: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_24.html
৩. প্রথম আলো: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-09-22/news/95408
৪. পুলিশ লিখবে কবিতা: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_09.html
৫. সারদায় কি এই সব শেখায়?: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_24.html
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Friday, September 24, 2010
সুদৃশ্য কফিনের পেরেকগুলো
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment