Search

Tuesday, May 12, 2009

বড্ড ভয়ে ভয়ে আছি!

 
সমগ্র ভারতের মধ্যে কেবল এই একটা জায়গায়ই এতো শস্তা খাবার পাওয়া যায়! নমুনা:
Tea=1.00
Soup=5.50
Daal=1.50
Meals=2.00
Chapati=1.00
Chicken=24.50
Dosa=4.00
Biryani=8.00
Fish=13.00
ভাবছেন, এই খাবারগুলো গরীবদের জন্য! না, এই দামে খাবারগুলো পাওয়া যায়, 'ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট ক্যান্টিনে। আর এই সব গরীবদের বেতন হচ্ছে, মাসে ৮০ হাজার টাকা!" ঋণ/ সূত্র:
Debasish Chakrabarty 

ওরে, ওরা বেকুব তাই পয়সা দিয়ে কিনে খায় আমরা পয়সা দিয়ে কিনে খাব কোন দুঃখে! অষ্টম সংসদের চিফ হুইপ ও বিএনপির বর্তমান মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার সংসদের ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সামগ্রী নিয়েছেন। তাও দুইটা বাসার জন্য। মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর ধরে। শূন্য পয়সায় যার চালু নাম 'মাগনা'।

দুই বাসা থাকলে এতে দোষ কোথায়? কেন রে বাপু, একজনের দুইটা বউ থাকলে দোষ নেই, একজন মানুষের দুইটা বাসা থাকলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে কেন? দুই বউ একসঙ্গে 'কাজিয়া' করলে থামাবে কে, আপনি? দুইটা বাসায় দুইটা রাবনের চুলা জ্বললে এর জন্য কী দুই ফর্দে রসদের প্রয়োজন হতে পারে না? কী ছন্নছাড়া কথা- পারে, বেশ পারে।
তাছাড়া দেলোয়ার সাহেব নিজে একজন আইনজীবী, আইনের বই কী ওনার বগলে থাকবে নাকি আমার মত ছদুমদুর আন্ডার গার্মেন্টেসের নীচে? তিনি নাকি আবার কোন-এক আইনের বিদ্যালয়ের পড়াতেনও। শোনো কথা, আইন না-বুঝেই বুঝি কেউ শিক্ষক হয়?
যাই হোক, দুইটা বাসার জন্য প্রতি মাসে তিনি যেসব সামগ্রী নিয়েছেন:
১. আড়াই মন কাটারিভোগ চাল।
২. ত্রিশ কেজি পোলাউয়ের চাল।
৩. ত্রিশ কেজি আটা।
৪. পঁয়ত্রিশ লিটার সয়াবিন তেল।
৫. তিন কেজি ঘি।
৬. পনের কেজি মসুর ডাল।
৭. সাড়ে সাত কেজি বুটের ডাল।
৮. সাড়ে সাত কেজি মুগের ডাল।
৯. পনের কেজি পিঁয়াজ।
১০. সাড়ে সাত কেজি রসুন।
১১. সাত কেজি আদা।
১২. পনের কেজি চিনি।
১৩. পাঁচ কেজি সুজি।
১৪. সাত কেজি চিড়া।
১৫. সাত কেজি মুড়ি।
১৬. পাঁচ কেজি চানাচুর।
১৭. ষোল প্যাকেট নুডুলস।
১৮. ডানো বড় তিনটা।
১৯. ট্যাং বড় দুটি।
২০. ওভালটিন দুটি।
২১. মালটোভা দুটি।
২২. আমের আচার তিনটি।
২৩. কমলার জুস।
২৪. দুধ (কনডেন্স) সাতটি।
২৫. টোস্ট বিস্কুট কেজি।
২৬. গরম মসলা।
পত্রিকায় এসেছে, আইটেম হচ্ছে মোট ৩৭টি। কিন্তু পত্রিকায় উল্লেখিত লিস্টে এখানে পেলাম ২৬টি। আর কী-কী নিতেন এটা জানি না বলে খানিকটা বিব্রত বোধ করছি। আসলে আমি তো কখনও ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ারে যাইনি, তাই ওখানে কী-কী বিক্রি হয় তাও জানা নাই। কিন্তু ভয়ে ভয়ে আছি, ওয়াল্লা, ওখানে পায়জামার ফিতা পাওয়া না-গেলে তো সর্বনাশ...!

*স্কেচ: আলী মাহমেদ। স্কেচের ভাব-ঋণ: উম্মাদ

No comments: