Search

Wednesday, September 15, 2010

কুত্তে কে লিয়ে হাড্ডি, হ্যালো টনি

টনি ব্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। আমি যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি। আমি মনে করি, যার যেটা প্রাপ্য সেটা তার পাওয়া উচিত, যাবচ্চন্দ্রদিবাকর ধরে এটা পালন করা প্রয়োজন। টনির মত এমন প্রভুভক্ত দু-পেয়ে তার পাওনা না-পেলেই বরং আমি দুঃখিত হতাম।

টনি ব্লেয়ারের বই 'আ জার্নি' থেকে আমরা জানতে পারি, তিনি যে বুশকে খুব পছন্দ করেন এটা জেনে অনেকে নাকি অবাক হয়েছেন।
হতে পারে কিন্তু আমি মোটেও বিস্মিত হইনি। টনিকে আমার কখনও মন্দ মনে হয়নি, আমার কল্পনাতেই আসেনি টনি নামের মানুষটার প্রভুর প্রতি বিরাগ থাকবে। অদৃশ্য লেজ নাড়াবেন না তা কি হয়!

'আ জার্নি' থেকে আরও জানতে পাই, তার মতে, ইরাক যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা ছিল, এই নিয়ে তার কোন বিকার নেই। এবং নিহতদের জন্য কাঁদতে কাঁদতে তার 'প্যাটলুন-ট্যাটলুন' সব ভিজে গেছে (ভেতরে আর কিছু পরেন কিনা এটা আমার জানা নাই বিধায় ওটা আর্দ্র কিনা এই বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।) ভাগ্যিস, তার মাথায় থাকা অল্প চুলগুলো ভিজে যায়নি!

বলা চলে ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের জড়িয়ে যাওয়াটা ব্লেয়ারের প্রায় একক সিদ্ধান্ত ছিল কারণ ১৩৯জন এমপি চাননি এই যুদ্ধে ইংল্যান্ড অংশগ্রহন করুক। এমপি পিটার হেইন পর্যন্ত তার বইয়ে লিখেছিলেন, ব্লেয়ারের ইচ্ছাতেই যুদ্ধটায় জড়ানো হয়েছে। 

এখানে একটা খুন [১] বা একটা খুনের অভিযোগে ষ্ট্যানলি টুকি উইলিয়ামসকে ফাঁসি দেয়া হয় কিন্তু হাজার-হাজার মানুষকে খুনের অপরাধে সেই দানব-খুনিটার কিছুই হয় না। ইরাকি জনগণের কথা নাহয় বাদই দিলাম কিন্তু ব্রিটেনের জনগণকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে, প্রকারান্তরে খুন করার অপরাধে টনি ব্লেয়ারের কোন শাস্তির আশা করা দুরাশা মাত্র। হাস্যকর! এরা নাকি সভ্য জাতি, ঘটা করে আমাদেরকে সভ্যতা [২] শেখায়!
ব্লেয়ার নিজের হাতে খুন করা করেছেন, কি করেননি সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।

গোল্ডা মায়ারের ভাষায়, "নিজের হাতে খুন করা আর খুন করার সিদ্ধান্ত দেয়া মধ্যে কোন পার্থক্য নাই"।
এই টনি ব্লেয়ার নামের দানব খুনিটা যখন আমাদের দেশে ব্যাক্তিগত সফরে সস্ত্রীক আসেন তখন আমরা এমন বিয়াকুল হই, মুক্তকচ্ছ হয়ে প্রাণ বাজি রেখে মহা-খুনিটার সঙ্গে দেখা করার জন্য ছুটে যাই।

এই গ্রহের নিয়মগুলো বড়ো বিচিত্র! ততোধিক বিচিত্র এই গ্রহের মানুষগুলো! 

*ছবি ঋণ: দৈনিক সমকাল, আমার দেশ

সহায়ক লিংক:
১. মৃত্যুদন্ড: http://www.ali-mahmed.com/2009/06/blog-post_07.html 
২. সভ্যতা: http://www.ali-mahmed.com/2009/05/blog-post_493.html      

No comments: