এখনও বিদেশি পতাকা উড়ে পতপত করে (এটা গতকালের ছবি), আবেগ বলে কথা!
অনেকে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্বকাপ নিয়ে কঠিন কিছু লেখা লেখার জন্য। এরা খানিকটা ভুল করছেন। আমার কিন্তু বিশ্বকাপের খেলা বা খেলা নিয়ে কোন আপত্তি নাই, আপত্তি হচ্ছে দানবীয় উম্মাদনা [১] নিয়ে।
আমি নিজেও খেলা পছন্দ করি। খেলা দেখতে দেখতে উত্তেজনায় হাতে দু-চারটা কিলও মেরে বসি। নিজের হাতেই মারি, অন্যের পিঠে না।
অনেকে আমার লেখার মূল সুরটা আসলে ধরতে পারেননি। আমার বক্তব্য ছিল, আমরা কেন কেবলি অন্যের চোখ দিয়েই স্বপ্ন দেখব? আমাদের কোন স্বপ্ন নাই! কেন আমরা এই স্বপ্নটা দেখতে পারছি না বিশ্বকাপে একদা আমরাও খেলব। এখুনি ঝাপিয়ে পড়ব মাঠে। খেলা নিয়ে আবেগ থাকুক না, এতে তো সমস্যা নাই কিন্তু এটা কদর্য ভঙ্গিতে কেন?
কেউ বিশ্বাস করবে, আমি একটা ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করতে পারছি না! প্রথমে আমাকে বলা হয়েছিল, আরে নাহ, খেলায় মারামারি হবে। এখন বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপ তো শ্যাষ, এখন কে খেলবে। আজব!
কী অবিশ্বাস্য, আমাদের এখন খেলার মাঠ নাই। যাও বা আছে দামাল ছেলেরা এখন আর এখানে লাফায় না। কেউ ফোন নিয়ে মেতে থাকে, দেশ কেমন এগুচ্ছে এর একটা নমুনা হলো দেশে সেল-ফোনের গ্রাহক এখন ৬ কোটি। কালে কালে শুনব ১৭ কোটি!
কেউ কফের সিরাপ খেয়ে নেশা করে ঝিমায়!
আধুনিক স্কুল নামের রোবট বানাবার কারখানায়, ছেলেরা গারাজে কাগজ দিয়ে বল বানিয়ে লাফালাফি করে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, ম্যাচ-বাক্সের মত কংক্রিটের বস্তি [২]! আমি ভাবতেই শিউরে উঠি, ফার্মের মুরগির মত এই সব ফার্মের বাচ্চারা বড়ো হয়ে দৌড়াবে কেমন করে, রোবটের মত, নাকি ডান্ডাবেড়ি লাগানো কয়েদির মত?
কালের কন্ঠে উম্মুল ওয়ারা সুইটি চমৎকার একটা প্রতিবেদন করেছেন, 'ফিরিয়ে দাও খেলা'। আমি ধন্যবাদ জানাই পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে এরা প্রতিবেদনটার গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রথম পাতায় ছাপাবার জন্য। অন্য পত্রিকাগুলো এর গুরুত্বই বুঝতে পারেনি!
পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মানবাধিকার সংস্থা, মহিলা পরিষদ, আইন সালিশ কেন্দ্র, জরিপ থেকে জানা গেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন এক মাসে অপরাধ ছিল অনেক কম! গত ছয় মাসের তুলনায় ইভ টিজিং কম ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ! হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবজিসহ অন্যান্য অপরাধ কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ! সবচেয়ে কমেছে ইভ টিজিং!
খুব পেছনে যাই না, আমাদের কিশোরকালটার কথাই ধরা যাক, তখন স্কুল পড়ুয়া কাউকে দেখা যেত মাঠ দাপাচ্ছে। যারা খানিকটা দুবলা, এরা কেউ ক্যারাম খেলছে, তো কেউ দাবা। কেউ হেড়ে গলায় গান ধরছে তো কেউ 'জোশিলা' গলায় কবিতা আবৃতি। সোজা কথা, কিছু-না-কিছু-একটা নিয়ে মেতে আছে। খেলার সাথী বন্ধুটা মরমর অবস্থা, তার জন্য স্রষ্টার কাছে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে চাইছে। কোথায় গেল সেইসব সোনালি দিনগুলো।
মাছের নাকি পচন শুরু হয় মাথা থেকে, আমাদের পচন শুরু হয়েছে তখন থেকে যখন আমরা খেলা ভুলে গেলাম।
সহায়ক লিংক:
১. দানবীয় উম্মাদনা: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_5250.html
২. প্রকৃতি চিৎকার করে করে বলছে: http://www.ali-mahmed.com/2010/06/blog-post_06.html
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Tuesday, July 20, 2010
আমাদের পচন বনাম খেলা
বিভাগ
ক্ষোভ
Subscribe to:
Posts (Atom)