*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Friday, January 9, 2009
এরা যোদ্ধা ছিল না, ছিল সাইকোপ্যাথ
...পাক আর্মিরা কুমোরদের বাসায় ঢুকে প্রথমে ভাঙ্গলো ওদের ঠাকুর ঘরের দেবী প্রতিমাগুলো।
তারপর ঢুকলো অভ্যন্তরে।
বাড়ীর ভেতর ঢুকে ঘর থেকে বের করলো ১০ বছর থেকে ৬০ বছর বযসের সব পুরুষকে। বাড়ির একজন বধু ও একজন মেয়েকে ধর্ষণ কররো তাদের স্বামী, মা বাবা, শ্বশুর শ্বাশুড়ির সামনে।
এক পাক আর্মি ঘুমন্ত একটি বছর দেড়েকের বাচ্চার বুকে বেয়ানেট ঢুকিয়ে দিল। তারপর বেয়নেটের আগায় ঝুলিয়ে রাখলো বাচ্চাটার কচি দেহ। সেই অবুঝ শিশুর হাড় গোড়গুলো রক্ত বেয়ে পড়ছে পাক আর্মিটির হাতে ধরা রাইফেল থেকে।
...২৭শে মার্চ সকালে কারফিউ শিথিল করার পর রাস্তায় বেরিয়ে দেখলাম যেন মানুষের মিছিল। হাজার হাজার মানুষ উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে পালাচ্ছেন। কারো বা কোলে বাচ্চা, পিঠে বোঝা- কারো হাতে ধরা পত্নী বা কন্যা!
সমস্ত লোক পালাচ্ছেন শহর ছেড়ে গাঁয়ের দিকে। কেন না তাঁদের ধারণা পাক আর্মি হয়তো বা শহরেই চালাবে তাদের তান্ডবলীলা- গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছবে না, কিন্ত কালক্রমে এ ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
পাক আর্মি শহরের চাইতে গ্রামেই শেষের দিকে ধ্বংসযজজ্ঞ চালিয়েছে। বাংলাদেশের ৬৬ হাজার গ্রামের মধ্যে ৩০ হাজার গ্রাম ওরা পুড়িয়েছে- চালিয়েছে মানব ইতিহাসে সব চাইতে জঘণ্য ও ঘৃণ্যতম অপরাধ, হত্যাকান্ড!
...পালাচ্ছিলাম যখন, আমার সঙ্গে হেঁটে চলেছেন চার পাশের মানুষগুলো, আমরা সবাই বাঁচতে চাই। এবং সে জন্যই আমাদের কারো প্রতি কারো কোন খেয়াল নাই, কারো সাথে কারো কোন কথা নাই!। সবার চোখে মৃত্যুভয়!
..রাস্তায় লাশ আর লাশ- চোখে পড়লো জি পি ও’র পেছনে এক ঝুড়ি মানুষের রক্তাক্ত হৃদপিন্ড আর নাড়ি ভুড়ি!
...ড্রেনে রক্তের স্রোত, গড়িয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে!
...আমি তাকাতে চাই না- আমার মাথা কাজ করছিল না।
...আজো ভাবি, এসব দেখে কি করে সহ্য করেছি- কেন পাগল হয়ে গেলাম না!
তথ্য সূত্র: (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ/ প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ-নাজিমুদ্দিন মানিক, ২৫শে মার্চ থেকে ২৭শে মার্চ)
ছবিসূত্র: প্রথম আলো (এদের সূত্র কী এটা উল্লেখ নাই)
আমার অকপট বক্তব্য: ৩৭ বছর হলো নাকি ৩৭০ বছর, তাতে কী- রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায় না অবশেষে পাকিস্তানিরাও তাদের ভুল স্বীকার করছে কিন্তু আমাদের দেশের-তাদের সহযোগিরা, আজ পর্যন্ত ভুলেও, মুখেও অন্তত একটিবারের জন্যও স্বীকার করেনি এরা ভুল করেছিন।
বিভাগ
১৯৭১: প্রসব বেদনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment