কেউ কেউ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কি করেন আপনি? আমি খানিকটা ভাবনায় পড়ে যাই, আকাশ-পাতাল হাতড়াতে থাকি। অনেক ভেবে-টেবে বলি, এই আর কি, নেটে লেখালেখি করি। মানুষটা তখন তাচ্ছিল্যের একটা ভঙ্গি করেন, মুখে বলেন, অ। এরা তখন মনে মনে কি বলেন তা খানিকটা অনুমান করতে পারি, এখানে শেয়ার করতে চাচ্ছি না।
যারা কম শিক্ষিত তারা ফট করে বলে বসেন, আপনে সাব্বাদিক? না উত্তরটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
এই প্রসঙ্গে বিশদে যাই না। আমার না-বলা অনেক কথা এখানে বলা হয়ে গেছে।
এই দেশের তথ্যভান্ডার, জাতির বিবেক আমাদের দৈনিকগুলো এবং এর সঙ্গে জড়িত মানুষদের মননশীলতার উপর আমার আস্থার অভাব নাই। এরা জানেন না এমন কিছুই নাই, ভুল করার প্রশ্নই আসে না। যেমন সবজান্তার এই দলে আছেন দেশের মন্ত্রী এবং রাতের টকশোর বুদ্ধিজীবীগণ! অধিকাংশ জাতীয় দৈনিকগুলো কেবল তথ্যের টান পড়লেই ইন্টারনেটে হাত বাড়ান।
ইন্টারনেটের যে কোথাও থেকে গণিমতের মাল বিবেচনা করে যে কোন তথ্য নিয়ে নেন। কোন কোন পত্রিকা দয়ার্দ্র হয়ে দয়া করে লিখে দেন, 'ওয়েবসাইট অবলম্বনে'। গণিমতের মাল বলে কথা! আপনাদের কাছে বিনীত ভঙ্গিতে বলি, গণিমতের মালও চক্ষু লজ্জার খাতিরে হালাল করার চেষ্টা করা হয়, বিভিন্ন উপায়ে, বিবাহ করে। আপনারা যে ওয়েব সাইট থেকে তথ্য নেবেন ওই ওয়েব সাইটের নাম যদি উল্লেখ করেন তাহলে আমরা নেটবাসীর লোকজনরা বেঁচে যাই।
আজ একজন ফোন করে জানালেন, 'দ্য ববস'-এর এই প্রতিযোগিতার খবর দৈনিক 'নয়া দিগন্তে' ছাপা হয়েছে। আমার জানামতে অন্য কোন প্রধান দৈনিকে এই খবর আসেনি। সেটা সমস্যা না কারণটা পূর্বেই বলেছি, ব্লগিং নামের লেখালেখির প্রতি চলমান তথ্যভান্ডারদের আছে সীমাহীন তাচ্ছিল্য।
তাছাড়া কিছু জাতীয় দৈনিক নিয়ে লেখালেখি করেছি, হয়তো বা গাত্রদাহের খানিক কারণ থাকতেও পারে।
যাগ গে, এই সব আমার আলোচ্য বিষয় না। কিন্তু কেন কেবল নয়াদিগন্তেই বিশদ আকারে এটা ছাপা হলো কেন এটার জবাব আমি কেমন করে দেব? এখন আমি অনেকটা ভয়ে ভয়েও আছি। যতটুকু জানি, 'নয়া দিগন্ত'-এর সঙ্গে জামাত কানেকশন আছে। এখন কেউ এর সঙ্গে আমারও কানেকশন খুঁজে বের করেন তাহলে বিপদে পড়ে যাব। কারণ আমার মুক্তিযুদ্ধের কোন সার্টিফিকেট নাই, বয়সে কুলায় না!
এখন যে আমার অনেক জবাবদিহি, অনেক দায়িত্ব, জর্মন হিটলারের বিচারের দায়িত্বও আমার উপর বর্তায়। হিটলারকে হন্যে হয়ে খুঁজছি, ব্যাটাকে হাতের নাগালে পেলেই হয়।
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Sunday, April 18, 2010
ব্লগিং-এর নামে বনের মোষ তাড়ানো এবং কৈফিয়ত
বিভাগ
ক্ষমতার অপব্যবহার
মোঃ মোস্তফা কামাল: আমি দুঃখিত, লজ্জিত
The BOBs আয়োজিত "Special Topic Award Climate Change" এই বিভাগে "Bangladesh Banchlei Bishwa Bachbe" এই সাইটটি প্রতিযোগিতা করেছে।
নিজের লেখালেখির সাইট ব্যতীত অন্য সাইটে আমার তেমন সময় দেয়া হয়ে উঠে না। একদিন অন্যান্য বিভাগের ব্লগগুলো দেখে আমি চমকে উঠলাম, "Bangladesh Banchlei Bishwa Bachbe" এই ব্লগটি এবং স্পেনের "Ecoplaneta" ব্লগটি পাঠকের ভোটে, অনুপাতে সমান সমান। পরে অবশ্য ক্রমশ পার্থক্যটা বেড়েছে।
এই দুইটা ব্লগের মন্তব্য ভিজিটরের সংখ্যা বিচার করলে মন্তব্যের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে ছিল "Bangladesh Banchlei Bishwa Bachbe" এই সাইটটি।
Bangladesh Banchlei Bishwa Bachbe এই সাইটির প্রথম না হওয়ার কোন কারণ আমি দেখি না। অনেকটা সময় এই দু্ইটা ব্লগের ভোটের অনুপাত প্রায় কাছাকাছি ছিল। তাহলে?
আমি মনে করি, আমরা এই দেশের লোকজনরা যদি আরও খানিকটা চেষ্টা করতাম তাহলে এই ব্লগসাইটটি অবশ্যই প্রথম হতো। এই নিপাট মানুষটাকে নিয়ে কোথাও প্রচারণা আমার চোখে পড়েনি।
আজ আমার নিজেকে চাবকাতে ইচ্ছা করছে, আমি নিজে কী করেছি? কেন এই বাংলাদেশী সাইটটার জন্য অন্য দেশের লোকজনের মত ঝাপিয়ে পড়লাম না, কেন এটাকে কচ্ছপের মত কামড় দিয়ে ধরলাম না?
আমরা বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগে লেখালেখির সুবাদে একে-ওকে ধরাধরির যে সুবিধা ভোগ করি; অনুমান করি, প্রায় একা একা এই মানুষটি সেই সুবিধাটুকু পাননি। তারপরও এই মানুষটা হেমিংওয়ের সেই বুড়ো সান্তিয়াগোর মত লড়ে গেছেন।
আমার লজ্জিত হাত উঠিয়ে বলি, স্যালুট, ম্যান।
নিজের লেখালেখির সাইট ব্যতীত অন্য সাইটে আমার তেমন সময় দেয়া হয়ে উঠে না। একদিন অন্যান্য বিভাগের ব্লগগুলো দেখে আমি চমকে উঠলাম, "Bangladesh Banchlei Bishwa Bachbe" এই ব্লগটি এবং স্পেনের "Ecoplaneta" ব্লগটি পাঠকের ভোটে, অনুপাতে সমান সমান। পরে অবশ্য ক্রমশ পার্থক্যটা বেড়েছে।
এই দুইটা ব্লগের মন্তব্য ভিজিটরের সংখ্যা বিচার করলে মন্তব্যের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে ছিল "Bangladesh Banchlei Bishwa Bachbe" এই সাইটটি।
Bangladesh Banchlei Bishwa Bachbe এই সাইটির প্রথম না হওয়ার কোন কারণ আমি দেখি না। অনেকটা সময় এই দু্ইটা ব্লগের ভোটের অনুপাত প্রায় কাছাকাছি ছিল। তাহলে?
আমি মনে করি, আমরা এই দেশের লোকজনরা যদি আরও খানিকটা চেষ্টা করতাম তাহলে এই ব্লগসাইটটি অবশ্যই প্রথম হতো। এই নিপাট মানুষটাকে নিয়ে কোথাও প্রচারণা আমার চোখে পড়েনি।
আজ আমার নিজেকে চাবকাতে ইচ্ছা করছে, আমি নিজে কী করেছি? কেন এই বাংলাদেশী সাইটটার জন্য অন্য দেশের লোকজনের মত ঝাপিয়ে পড়লাম না, কেন এটাকে কচ্ছপের মত কামড় দিয়ে ধরলাম না?
আমরা বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগে লেখালেখির সুবাদে একে-ওকে ধরাধরির যে সুবিধা ভোগ করি; অনুমান করি, প্রায় একা একা এই মানুষটি সেই সুবিধাটুকু পাননি। তারপরও এই মানুষটা হেমিংওয়ের সেই বুড়ো সান্তিয়াগোর মত লড়ে গেছেন।
আমার লজ্জিত হাত উঠিয়ে বলি, স্যালুট, ম্যান।
বিভাগ
বৈদেশ পর্ব: ববস
Subscribe to:
Posts (Atom)