মাটির এই ছোট্ট ঘরটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই ছোট্ট পরিবারটির গল্প খুব সাধারণ। পরিবারটির কর্তা, বাবা ছিলেন স্বচ্ছল একজন মানুষ। এলাকায় ছিল যথেষ্ঠ পরিচিতি। তিনি মারা যান প্রায় ২০ বছর পূর্বে। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ছিলেন আমাদের মতই কিন্তু তার সন্তানরা "ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান" [৩]।
এক ছেলে, হেলাল এবং দুই মেয়ে, রানী এবং তাখমিনা। এঁরা তিন জনই কানে শুনতে পায় না, কথা বলতে পারে না।
এই পরিবারটির মা হোসনা বেগম এতদিন এই সংসারটাকে টেনে টেনে নিয়ে গেছেন, লোকজনের বাড়িতে কাজ করে। এখন শ্বাসকষ্ট এবং বিভিন্ন রোগে তিনি কাবু। এখন আর মানুষের বাসায়ও কাজ করা সম্ভব হয় না। ছেলে হেলাল টুকটাক কাজ করত কিন্তু এখন সেও অসুস্থ।
তাহলে পরিবারটির চাকা চলছে কেমন করে? এটার স্পষ্ট উত্তর কেউ দিতে পারেননি, এরাও না!
পাশের বাসার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে যেটা জানলাম, ছোট মেয়েটি (রানী) চমৎকার হাতের কাজ করে, সেলাই করতে পারে। জামার একটা নমুনা দেখেই আমার মনে হয়েছে, চমৎকার হাতের কাজ, সেলাই জানে সে!
আমি অনেক ভেবে দেখলাম, এই পরিবারটির একটা সেলাই মেশিনের বড়ো প্রয়োজন। ছোট্ট মেয়েটি, রানি (বাম থেকে দ্বিতীয়) - ও একাই টেনে নিয়ে যেতে পারবে এই নড়বড়ে সংসার নামের চাকাটাকে।
এদের কাছে একটা সেলাই-মেশিন, একটা স্বপ্নের নাম। অদেখা এক স্বপ্ন!
*এই পরিবারটির খোঁজ আমায় দিয়েছেন দুলাল ঘোষ। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
**আপডেট: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_25.html
সহায়ক লিংক:
১. স্বপ্নের কারখানা: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_16.html
২. স্বপ্ন, কেস স্টাডি ১: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_17.html
৩. ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_03.html
**স্বপ্ন: http://tinyurl.com/3y7bpz3