*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Monday, May 17, 2010
মহান এক শাসকের কথা!
বাংলাদেশের এক শাসক।
ক্ষমতা হারানোর পর তার বাসভবন থেকে প্রায় ২০০টি ব্লু-ফিল্ম উদ্ধার করা হয়েছিল, (যার মধ্যে কিছু খুবই রেয়ার) এবং ৬০ বোতল স্কচ হুইস্কি, বিশেষ হালুয়া, যা খেলে নরের বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ শক্তি অনেকটা বেড়ে যায়, হাবিজাবি আরও অনেক কিছুই।
এই শাসক সাহেব আবার ছিলেন পীরের খুবই ভক্ত। তিনি আটরশি পীরের দরবারেই গেছেন প্রায় ১০০ বার, ফল কি পেয়েছেন তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন!
একসময় মনের দুঃখে খানিকটা পাগলা পানি খাওয়া শুরু করলেন। আটরশিকে বাদ দিয়ে দশরশি নামের একজন পীরের কাছে যাতায়ত-গতায়ত শুরু করলেন। দশরশি পীর সাহেব এই শাসক সাহেবকে খুবই স্নেহ করতেন, কারণ...।
ও সময়ের খানিক বাতচিত এখানে তুলে দেয়া হলো:
শাসক: বাবা, মনটা বড়ো অস্থির।
দশরশি: তুই কাজ-কাম একটু কমা। তুই স্বপ্ন দেখলেই দৌড় দেস ওই মসজিদে নামায পড়তে! আর এইটা কি তোর কাজ বৃষ্টি নামানো, আমরা আছি কুন দিনের লাইগা? নামাইছস ভাল কথা আবার মিডিয়ায় কইলি, পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রপ্রধানের দোয়ায় বৃষ্টি নামছে, কেবল নামছে আমার দোয়ায়? আমাগো কথা ভাবলি না!
শাসক এর উত্তর দিলেন না। এক জুম্মাবারে তিনি ফট করে একটা মসজিদে ঢুকে নামায পড়লেন। এরপর মুসুল্লীদেরকে বললেন, কাল রাতে স্বপ্ন দেখেছি এই মসজিতে নামায পড়ছি তাই সত্যি সত্যি আপনাদের সঙ্গে নামাজ পড়তে চলে এলাম। শাসকের সঙ্গে থাকা সৈনিকদের হাসি চেপে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়াল কারণ এরা গোটা সপ্তাহ ধরে এই মসজিদের আশেপাশের এলাকা গভীর পর্যবেক্ষণ করেছে, শাসকের নিরাপত্তার জন্য।
আরেকবার দেশে খুব খরা, বৃষ্টির নাম-গন্ধও নেই। এই শাসক সাহেব আবার খুবই পরহেজগার মানুষ- কতবার হজ করেছেন তার ইয়াত্তা নাই। তিনি খাস দিলে দোয়া করলেন। বৃষ্টি হওয়ার পর বিনয়ের সঙ্গে প্রশ্নটা করেছিলেন, পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রপ্রধানের দোয়ায় বৃষ্টি নেমেছে?
কথা সত্য, ওনার মত উপরের সঙ্গে হট-লাইনের মানুষ এই গ্রহে ক-জন আছে?
শাসক: বাবা রে, মনে শান্তি নাই!
দশরশি: থাকব কেমনে, তোরে আটরশি খাইছে! তোরে রশি দিয়া বাইনন্ধা থুইছে। আচ্ছা বেটা, তুই কি পিসাব খায়া আইছস, মুখে পিসাবের গন্ধ পাইতাছি!
শাসক: বাবা, পিসাব না একটু পাগলা পানি দিয়া কুলি করছিলাম, ইয়ে মানে কুলি...। হইছে কি, সকালে তো ওঠছি দেরীতে। চোখে জানি কি সমস্যা হইছে রাতে খালি ব্লু দেখি, কী তামশা ছবিও ব্লু হয়া যায়, সব নীল! তো, রাতে ঘুমাইতে ঘুমাইতে দেরী হয়া গেল। সকালে তো ওঠছি দেরীতে, তাড়াহুড়া কইরা রুটি খাইতে গিয়া গলায় রূটি আটকায়া গেছিল তো, পাগলা পানি দিয়া একটু, হে হে হে।
দশরশি: বেটারে, বুজছি-বুজছি, আর কইতে হইব না, ইতা কইরা কুনু লাভ নাই! তুই ইয়ের মধ্যে মান্ডার তেল মালিশ কর, ফল পাইবি। মালিশ করলে, ইনশাল্লাহ, তোর পুলাপাইন হইব।
শাসক: বাবা, আচানক কথা, আপনি জানেন না? আমার একটা পুলা আছে (দ্বিতীয়টির কথা তিনি বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন)।
দশরশি (দাড়িতে হাত বুলিয়ে অমায়িক হাসলেন ): তোর কুনু পোলাপাইন নাই।
শাসক: মাফ চাই বাবা, তা এইটা কি কন! আসলে আপনার কাছে গোপন করছিলাম, আমার একটা না দুইটা ছেলে ।
দশরশি: ওইটা তুই ভাবতাছস, আসলে তোর কুনু সন্তান নাই! কারণ...।
(এটা একটা ফিকশন। এই গ্রহ, গ্রহের বাইরে, জীবিত, মৃত বা তোতলা কোন লাশের সঙ্গেও সম্পর্ক খোঁজা সময়ের অপচয় মাত্র!)
*স্কেচ: আলী মাহমেদ, ১৯৯২
পোস্ট এখানে শেষ। এবার অন্য প্রসঙ্গ। ব্রিগেডিয়ার শামসুদ্দিন আহমদ (অবঃ), "যখন বঙ্গভবনে ছিলাম" লেখায় লিখেন:
"১৯৮৩ সালের ১৮ জানুয়ারি। দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে একটা ঘটনার জন্য।...রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন আনন্দে উল্লসিত। একটা ভয়ানক ঘটনা ঘটে গেছে হঠাৎ করেই। জেনারেল এরশাদের ছেলে হয়েছে। এ যে বিস্ময়ের বিস্ময়। রাষ্ট্রপতি আনন্দে আত্মহারা। তিনি সেনাভবনে যাবেন জেনারেলর এরশাদকে মুবারকবাদ জানাতে। । সে জন্যই আমাকে খুঁজছিলেন।
...বেগম আহসানউদ্দিনও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তবে শুধু জেনারেলর এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরে এসেছেন। নবজাত শিশুকে দেখতে দেয়া হয়নি। বেমম রওশন এরশাদ ও নবজাতক শিশু যে কামরায় ছিলো সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বেগম আহসানউদ্দিনকেও না।
...বেগম রওশন এরশাদ যে সন্তানসম্ভবা এবং তাঁর সন্তান ভুমিষ্ঠ হবার সম্ভাব্য মাস তারিখ সম্পর্কে আগে কোন আভাস পাওয়া যায়নি। না সংবাদপত্রের মাধ্যমে; না লোকমুখে।
...মাত্র দুই সপ্তাহ হবে ৪ জানুয়ারি যুবরাজ করিম আগা খানের সম্মানে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত ভোজসভাতেও বেগম রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন। কেউ তখনো বলেনি তিনি সন্তানসম্ভবা। তাঁকে দেখেও তেমন কিছু মনে হয়নি!" (ভোরের কাগজ, ১৩.১০.৯২)
অপ্রয়োজনীয় তথ্য: [এই লিংকগুলোর সঙ্গে মূল পোস্টের কোন যোগ খোঁজা বৃথা। ভুলে লিংকগুলো এখানে যুক্ত হয়ে গেছে। এ জন্য আমার দুঃখের (!) শেষ নাই।]
১. অন্ধকার ফিরে আসে বারবার: http://www.ali-mahmed.com/2009/07/blog-post_20.html
২. যে মহা কবি নোবেল পাননি: http://www.ali-mahmed.com/2009/03/blog-post_09.html
বিভাগ
শুভ'র ব্লগিং
স্বপ্ন, কেস স্টাডি: এক
মাধবী রবি দাস।
বয়স আনুমানিক দশ। এঁরা হরিজন (গান্ধীজীর প্রদত্ত নাম)। বাবা ছিলেন চর্মকার। অবশ্য চর্মকার ছিলেন মি. বাটাও। সহজ ভাষায় মুচি। বাবার নাম সুরেশ রবি দাস। বাবা মারা যান যখন এই মেয়েটির বয়স আনুমানিক এক।
মাধবী ক্লাশ থ্রি-তে পড়ত। পড়া বন্ধ। মার কল্যাণে কায়ক্লেশে সংসার চলে। মাধবী পড়ে রাধানগর ফ্রি প্রাইমারী স্কুলে (এই স্কুলে আমি নিজেও পড়েছি, এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এখনো ফ্রিতে পড়াশোনার সুযোগ আছে বলে।)।
এখন তার স্কুল ড্রেস নেই, খাতা-কলম নেই। আমাদের ভাষায় কারণটা খুব তুচ্ছ। এর সমাধানও খুব জটিল কিছু না। আজ স্কুল ড্রেস এবং খাতা-কলমের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
একজন সহৃদয় ভদ্রমহিলা একে পড়া দেখিয়ে দেয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন। মাধবী দীর্ঘ সময় স্কুলে না যাওয়ার কারণে পড়ায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাকে আলাদা করে পড়া দেখিয়ে দেয়াটা জরুরী।
আমি গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি, মাধবী চকচকে স্কুল ড্রেস পরে নতুন বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। এ গ্রহে এরচেয়ে চমৎকার দৃশ্য আর কী হতে পারে! সে তার পিছিয়ে যাওয়া পড়া ভদ্রমহিলার কাছ থেকে বুঝে নিচ্ছে।
মাধবীকে নিয়ে আমার আরও কিছু ভাবনা আছে। আমার ফতুয়ায় হাতের সেলাইয়ের কাজ দেখে একজন পেছনে লেগে গেলেন। তাকেও এমন হাতের সেলাইয়ের কাজ করে দিতে হবে। যতই আমি বলি, এটা আমরা নিজেরাই বাসায় করি কিন্তু কে শোনে কার কথা।
মাধবী আগ্রহী হলে তাকে সুই-সুতার কাজটা ধরিয়ে দিতে হবে। এতে ভবিষ্যতে তার নিজের খরচ সে নিজেই বহন করতে পারবে।
মাধবীকে এই সব করতেই হবে কারণ সে স্বপ্নের কারখানার [১] একজন। এমনটা না করলে আমার পরাজয়। নিজেকে পরাজিত দেখতে ভালো লাগে না।
*স্বপ্ন: http://tinyurl.com/3y7bpz3
সহায়ক লিংক:
১. স্বপ্নের কারখানা: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_16.html
২. আপডেট: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_18.html
বয়স আনুমানিক দশ। এঁরা হরিজন (গান্ধীজীর প্রদত্ত নাম)। বাবা ছিলেন চর্মকার। অবশ্য চর্মকার ছিলেন মি. বাটাও। সহজ ভাষায় মুচি। বাবার নাম সুরেশ রবি দাস। বাবা মারা যান যখন এই মেয়েটির বয়স আনুমানিক এক।
মাধবী ক্লাশ থ্রি-তে পড়ত। পড়া বন্ধ। মার কল্যাণে কায়ক্লেশে সংসার চলে। মাধবী পড়ে রাধানগর ফ্রি প্রাইমারী স্কুলে (এই স্কুলে আমি নিজেও পড়েছি, এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এখনো ফ্রিতে পড়াশোনার সুযোগ আছে বলে।)।
এখন তার স্কুল ড্রেস নেই, খাতা-কলম নেই। আমাদের ভাষায় কারণটা খুব তুচ্ছ। এর সমাধানও খুব জটিল কিছু না। আজ স্কুল ড্রেস এবং খাতা-কলমের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
একজন সহৃদয় ভদ্রমহিলা একে পড়া দেখিয়ে দেয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন। মাধবী দীর্ঘ সময় স্কুলে না যাওয়ার কারণে পড়ায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাকে আলাদা করে পড়া দেখিয়ে দেয়াটা জরুরী।
আমি গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি, মাধবী চকচকে স্কুল ড্রেস পরে নতুন বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। এ গ্রহে এরচেয়ে চমৎকার দৃশ্য আর কী হতে পারে! সে তার পিছিয়ে যাওয়া পড়া ভদ্রমহিলার কাছ থেকে বুঝে নিচ্ছে।
মাধবীকে নিয়ে আমার আরও কিছু ভাবনা আছে। আমার ফতুয়ায় হাতের সেলাইয়ের কাজ দেখে একজন পেছনে লেগে গেলেন। তাকেও এমন হাতের সেলাইয়ের কাজ করে দিতে হবে। যতই আমি বলি, এটা আমরা নিজেরাই বাসায় করি কিন্তু কে শোনে কার কথা।
মাধবী আগ্রহী হলে তাকে সুই-সুতার কাজটা ধরিয়ে দিতে হবে। এতে ভবিষ্যতে তার নিজের খরচ সে নিজেই বহন করতে পারবে।
মাধবীকে এই সব করতেই হবে কারণ সে স্বপ্নের কারখানার [১] একজন। এমনটা না করলে আমার পরাজয়। নিজেকে পরাজিত দেখতে ভালো লাগে না।
*স্বপ্ন: http://tinyurl.com/3y7bpz3
সহায়ক লিংক:
১. স্বপ্নের কারখানা: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_16.html
২. আপডেট: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_18.html
বিভাগ
স্বপ্ন
Subscribe to:
Posts (Atom)