আমার সাথে মুকিত বিল্লাহ না থাকলে সময়টা কী দুঃসহ হতো ভাবতেই গায়ে কাঁটা দেয়। মানুষটা প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। যেহেতু তিনি যাবেন ফ্রাঙ্কফুট, তাঁর ফ্লাইট আটটা পঁচিশে, আমারটা আটটা চল্লিশ। মানুষটা আমার কাছ থেকে বিদায় নেন।
দুবাই থেকে যখন আবার আমি জার্মানি যাওয়ার উদ্দেশ্যে চেক-ইন করলাম, তখন আবারও সমস্যা। ইমিগ্রেশনের লোকজন কেন যাচ্ছি হেনতেন এই সব একগাদা প্রশ্ন করতে লাগল। এরা আমার ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র দেখেও খুব একটা তুষ্ট হলো বলে মনে হলো না।
এখন এদের জন্য এটা কেন এতোটা জরুরি এটা আমার মাথায় আসছিল না। বাপ, আমি ট্রানজিট যাত্রী, আমি কেন জার্মানি যাচ্ছি এতে তোদের কী কাজ? আমি তো তোদের দেশে থাকছি না, সমস্যাটা কী তোদের! তোদের দেশে থাকা দূরের কথা, দুঃস্বপ্নও দেখতে চাই না। তোদের দেশে থাকার চাইতে আমি চাইব আমার আয়ু খানিকটা কমে যাক।
কোন প্রকারে আটকাতে না পেরে পরে আমাকে বলা হলো, আমি যে জার্মানিতে থাকব ওখানকার হোটেলের রিজার্ভেশন আছে কি না? ভাগ্যিস, এটার কপিও আমার কাছে ছিল। এটা দেখাবার পর এরপর সম্ভবত এদের ফাজলামী করার আর কোন সুযোগ ছিল না। ফাজিলের দল!
যারা আমার পাসপোর্ট দেখে বলে তোমার তো ভিসার মেয়াদ শেষ এদেরকে দেয়া হয়েছে একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব! আমি তিতিবিরক্ত, এদের সঙ্গে হেত্বাভাস-কুতর্ক করার কোন ইচ্ছা আমার মধ্যে আর অবশিষ্ট ছিল না।
আমার পাশের সিটে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক। প্লেন ছাড়ার পর থেকেই একটা বই বের করে কাটাকুটি খেলায় মগ্ন। সম্ভবত সুডুকো (নামের বানান ভুল হতে পারে)। তাঁর খেলার ফাঁকে টুকটাক কথা হয়। জার্মান নাগরিক। জার্মানি কেন যাচ্ছি এটা জেনে দেখি বুড়া খুব উৎফুল্ল। তিনি বলছিলেন, তোমাদের বাংলা ভাষার জন্য খুব আনন্দের দিন, না?
তাঁর কথায় সম্ভবত কিছু একটা ছিল, আমার চোখ ভরে আসে। আমি মাথা নাড়ি। ছোট্ট জানালা দিয়ে মেঘ দেখি।
নামার পূর্বে এই মানুষটার ফোন থেকেই আমি আরাফাতুল ইসলামকে ফোন করি। আমি এও আশংকা করছিলাম, জার্মানিতে নামার পর কোন-না-কোন কারণে আমাকে আটকাবার চেষ্টা করা হবে। দেখা গেল ফিরতি প্লেনে উঠিয়ে দিল, বিশ্বাস কী! ঢাকা, বিশেষ করে দুবাই এয়ারপোর্টেই যদি এতো যন্ত্রণা হয় আর এ তো খোদ জার্মানি। যাদের দেশে আমাকে বেরুতে হবে, থাকতে হবে; আপত্তিটা এদেরই প্রবল হওয়ার কথা। কেউ যদি বলে আমাদের দেশে তোমাকে ঢুকতে দেব না তাহলে আর যাই হোক এ নিয়ে কুস্তি করার জন্য কস্তাকস্তি করা চলে না।
আমি আগেই জোর অনুরোধ করেছিলাম, আমি কোন সুবিধা চাই না কেবল কেউ একজন যেন আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যায়। আমি ঢাকার লোকেশনই মনে রাখতে পারি না তা আবার জার্মানি! আরাফাতুল ইসলাম নামের সহৃদয় মানুষটা আমাকে বারবার নিশ্চিত করেছিলেন, কোন সমস্যা নেই, আপনি চলে আসেন। আপনাকে নিয়ে যাওয়ার একটা ব্যবস্থা হবে।
আমি যখন ডুজলডর্ফে নামি তখন জার্মানির সময় আনুমানিক ২টা হবে। ঘুমে আমার চোখ জড়িয়ে আসছে। পূর্বের লেখায় লিখেছিলাম, দুবাই এয়ারপোর্টে [১] হোটেলে যেতে না দেয়ার কারণে ঘুমাবার সুযোগ হয়নি! দীর্ঘ ২২ ঘন্টার ধকল শরীরের উপর দিয়ে গিয়েছে। আমার তীব্র ইচ্ছা, জার্মানিতে হোটেলে গিয়ে লম্বা একটা ঘুম দেব। কেউ জাগাতে আসলে তার সঙ্গে খুনাখুনি হয়ে যাবে।
ইমিগ্রেশন, কাস্টমস সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সম্ভবত আমার দু-মিনিটও লাগেনি। আমার কাছে কিচ্ছু জানতে চায়নি, বাড়তি একটা শব্দও না। কেবল পাসপোর্ট-ভিসা মেশিনের রে-এর মাধ্যমে চেক করে নিয়েছে ঠিক আছে কি না। সীল মেরে আমার পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার পর আমি বিভ্রান্ত চোখে বললাম, আমি কি তাহলে এখন যেতে পারি?
দায়িত্বে থাকা মানুষটা সহাস্যে বলেন, কেন নয়! আশা করছি আমাদের দেশ তোমার ভাল লাগবে।
লাগেজ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একজনকে এটা বলার পর নিমিষেই সে অন্যদের জড়ো করে ফেলল। একেকজনকে একেকটা দিক দেখার জন্য বলে আমাকে বলল, তোমার অস্থির হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা দেখছি।
লাগেজের হদিশ মিলল। আমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।
এয়ারপোর্টে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। কোথায়, কেউ তো নেই! এখানেও একজন ভদ্রমহিলা আমাকে ফোন করতে দিয়ে সহায়তা করেন। আমার আশা ছিল হয়তো আরাফাতই আসবেন কিন্তু তাঁর সঙ্গে মানুষটাকে দেখে খানিকটা হোঁচট খাই। আরাফাত এই মানুষটার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর জানলাম ইনি আরাফাতের 'ইস্তারি সাহেবা'। মেয়েটার চমৎকার একটা নাম আছে, নামটা এখন আমার মনেও আছে কিন্তু এখন আমি এই মেয়েটির নাম দিলাম 'মায়াবতী'। কেন? সেটা পরে যথাসময়ে বলা হবে।
আরাফাত আমাকে যেটা বললেন সেটা শুনে আমার মুখ শুকিয়ে আসে। এখুনি ছুটতে হবে, সন্ধ্যা পাঁচটায় নাকি একটা অনুষ্ঠানে আমাকে থাকতে হবে। ওয়াল্লা, আমার ঘুমের কী হবে, আমার তো ইচ্ছা করছে এখানেই রাস্তায় শুয়ে পড়ি।
ডুজলডর্ফ থেকে বন শহরে যেতে হবে ট্রেনে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের তিনজনের দৌড় শুরু হলো। হাঁটা-দৌড়-চলন্ত সিড়ি-ট্রেন-ক্যাব-বাস-ট্রাম।
আরাফাত বলছিলেন, রাইন নদীর একটা সেতু দেখিয়ে। সেতুর লোহার জালে হাজার-হাজার তালা। এই তালাগুলোর নাম নাকি 'লাভ লক'! এখানে প্রেমিক-প্রেমিকারা তালা মেরে চাবিটা রাইন নদীতে ছুঁড়ে ফেলে। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে দেখতে থাকি এই কারণে, জার্মানদের মত মানুষরাও দেখছি আমাদের মতো অহেতুক আবেগ ধরে রেখেছে! আমি মনে মনে ভাবি, এরা কি তাহলে এখনও পুরোপুরি রোবট হয়ে উঠেনি?
হোটেলে লাগেজপত্র রেখে সম্ভবত দশ মিনিট সময় পেয়েছিলাম ফ্রেশ হওয়ার জন্য। আমি নিশ্চিত, সঙ্গে আরাফাত না থাকলে পুরো একদিন লাগত আমার হোটেল পর্যন্ত পৌঁছতে। এই সহৃদয় মানুষটা একটা শিশুর মত আগলে রেখেছিলেন আমাকে জার্মানির পুরোটা সময়। এই ঋণ শোধ হয় কেমন করে আমার জানা নেই!
ডয়চে ভেলের অফিসের কাছেই রাইন নদীতে ইয়টে করে নৌভ্রমণ টাইপের কিছু একটা। অরি আল্লা, আস্তে আস্তে দেখি এখানে বাজার জমে গেছে, লোকে গিজগিজ করছে। ইশকুল খুইলাছে টাইপ।
এখানেই পরিচয় হয় বিডিনিউজের খালেদ সাহেবের সঙ্গে। তিনি এখানে এসেছেন সস্ত্রীক। আগে কখনও দেখা হয়নি, মানুষটার কাছে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাই, সঙ্গের একজন আমার পরিচয় করিয়ে দেন। মানুষটা আমার বাড়ানো হাত ধরেন নিরাসক্ত ভঙ্গিতে, মনে হচ্ছিল ধরতে না পারলে সুখি হতেন। ইনি সম্ভবত বৈদেশিদের গ্লভস লাগানো হাত ধরতেই অভ্যস্থ। আহা, কেন এমন বোকামী করলাম? নিদেনপক্ষে একটা গ্লভস কেন যোগাড় করলাম না।
আমাদের আগামীকালের অনুষ্ঠান বিষয়ে তিনি একটা টুঁ-শব্দও করলেন না। এটাই হয়তো আবেদ খানের মত তাঁরও একটা 'এস্টাইল' [২]। একেকজনের একেক 'এস্টাইল' থাকতেই পারে এতে দোষ ধরার কিছু নেই কিন্তু আমি মানুষটার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ইয়টের ডেকের টেবিলে খালেদ সাহেব, ওঁর স্ত্রী এবং আমরা আরও দু-একজন।
কিছু মানুষের সঙ্গ আমার বিরক্তির উদ্রেক করে। যেহেতু এখানে একজন ভদ্রমহিলা আছেন তাই অনুমতি নিয়ে আমি উঠে চলে আসি ডেকের ফাঁকা একটা জায়গায়।
আমার কাছের লোকজন বুঝতে পারেন, আমাকে আমার মত করে ছেড়ে দেন বলে কৃতজ্ঞতা।
এখানে সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। এখানেই পরিচয় হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানের সঙ্গে। এই মানুষটাকে আমার পছন্দ হয়েছিল, খুব। কারণ তিনি আর আট-দশটা আমলাদের মত না। তিনিও এসেছেন সস্ত্রীক। জনাব মসুদ মান্নানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আমার কথা হয়। আমি তাঁকে বলি, পাট নিয়ে আমাদের এখন ভারী সুসময়, সহসাই পাটের জেনেটিক প্যাটেন্ট হবে। আমি তাঁকে অনুরোধ করি, পাট নিয়ে কাজ করার জন্য, তাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব।
তিনি আমাকে আমার পাট নিয়ে লেখাগুলো [৩] মেইল করতে অনুরোধ করে কথা দিয়েছিলেন, তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
তাঁকে আমি এটাও বলি, আমাদের দেশের পাটের পণ্যে বড়ো ধরনের একটা সমস্যা আছে সেটা হচ্ছে, পাটের সূক্ষ আশগুলো খুলতে থাকে, উড়তে থাকে যা একজন মানুষের এলার্জির প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ। এই আশের সঙ্গে কোন এক ধরনের আঠা মিশিয়ে আশগুলো বসানো গেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি, কাল পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন কি না। মানুষটা ঝকমকে চোখে বলেন, বলেন কী, থাকব না কেন, অবশ্যই থাকব। আমাদের দেশের এমন একটা দিন। বিভিন্ন ভাষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলা ভাষাটাও সগর্বে দাঁড়াবে, এটা দেখব না, বলেন কী?
আমি মুখ ঘুরিয়ে রাইন নদী দেখি। রাইন নদী এমন ঝাপসা কেন, নাকি আমার চশমা!
রাইন নদীর হিম বাতাস। ইয়ট ফিরে আসছে। রাইনের তীরে কী চমৎকারই না ছবির মত বাড়িগুলো!
ঘড়িতে স্থানীয় সময় সাড়ে নটা। কী আশ্চর্য! বাইরে এখনও ফকফকা! সূর্য বাবাজির ডোবার নাম নেই!
হনুমানজী কি এখন তাহলে জার্মানিতে? সূর্য বগলে চেপে দিব্যি পা নাচাচ্ছেন? তাই হবে! কিন্তু আমি যে শুনেছিলাম ডিজিটাল টাইমের জটিলতার [৪] কারণে তিনি বাংলাদেশে তশরীফ এনেছিলেন।
আহা, তিনি জার্মানিতে আসবেন জানলে আমিও সাথে চলে আসতে পারতাম।
লোকজনের ভিড়ে আমার দমবন্ধ ভাব হয়। এরিমধ্যে ঝড়ের গতিতে একেকজনের সঙ্গে পরিচয় পর্ব শেষ হয়। আমার ওয়ালেটে জমে গেছে অনেকগুলো ভিজিটিং-বিজনেস কার্ড। কেবল আমি বেচারারই কোন কার্ড নাই- কি লিখব আমার কার্ডে? দু-কলম লেখালেখি করা ব্যতীত আমার যে ঘটা করে বলার মত তেমন কিছুই নাই।
ঝাঁ চকচকে হোটেলে পড়ে থাকে আমার লাগেজ, গাট্টি-বোঁচকা। ফিরে আসি আরাফাত-মায়াবতীদের বাসায়। সেটার অবস্থান মোটামুটি একটা ছোটখাটো পাহাড়ের মাঝামাঝি। প্যাঁচানো সিড়ি বেয়ে বেয়ে উঠতে হয়। একেবারে উপরে নাকি অনেক পুরনো স্থাপনা, সময়ের অভাবে সেটাও দেখা হলো না।
সঙ্গে আসেন বাংলা বিভাগের হক, এই ভদ্রলোক আমাদেরকে সঙ্গ দেয়ার জন্য চলে এসেছেন। আমি আরাফাত-মায়াবতীর সাজানো গোছানো সংসার দেখি। দেখি এদের পরস্পরের প্রতি অন্য ভুবনের মায়া। আমি মনে মনে বলি, আহা, সমস্তটা জীবন যেন এরা ঠিক এমনটিই থাকে, আমৃত্যু। এই গ্রহের কোন মালিন্য যেন এদের স্পর্শ করতে না পারে।
দেখি, এদের ঝুল বারান্দায় ক্ষুদ্র পটে ছোট-ছোট গাছ। কী অদ্ভুত, একটা গাছের ফুলেও সৌরভ নেই। গাছগুলোও কি রোবটগাছ হয়ে গেছে? কেবল সৌরভ আছে দেশ থেকে নিয়ে আসা গন্ধরাজ গাছের ফুলে।
ছোট্ট পটে স্ট্রবেরী ধরেছে, একটাই। কী চমৎকারই না দেখাচ্ছে!
স্ট্রবেরী ফলটা আমার তেমন পছন্দের না কিন্তু মাথায় দুষ্টমি চাপে, আচ্ছা, কপ করে ফলটা খেয়ে ফেললে কেমন হয়? আরাফাত-মায়াবতীর মুখটা তখন কেমন দাঁড়াবে! মুখে কিছু বলতে পারবে না কিন্তু এরা ব্যাঙের মত গাল ফুলিয়ে মনে মনে বলবে, একটাই ফল, মানুষটা কেমন করে পারল এমন হৃদয়হীন একটা কাজ করতে। হা হা হা।
ইচ্ছা ছিল, সম্ভব হলে ছোট পটের এমন একটা গাছ সাথে করে নিয়ে আসব। ক্যাকটাস, অর্কিডের উপর আমার দুর্দান্ত লোভ, ভাল লাগা। সময় স্বল্পতায় তা আর হয়ে উঠে না। হায় সময়, সময়টা মনে হয়েছে এক পাগলা ঘোড়া, যাকে বাগ মানাতে বেগ পেতে হয়েছে। তাও আরাফাত না থাকলে এই ঘোড়া আমাকে ফেলে পগারপার হতো এতে কোন সন্দেহ নেই। কেবল হোটেলে আমাকে দশ মিনিট ফ্রেশ হওয়ার জন্য মানুষটা বাসের অপেক্ষা না করে ক্যাব নেন। এখান থেকে ওখানে- আমার জন্য ঠিক করে রাখা হোটেলে কিন্তু ভাড়া আমাদের টাকায় প্রায় আটশ! আমার সঙ্গে থাকা ইউরো খরচ করবার কোন সুযোগই দেন না মানুষটা।
জমাট আড্ডা চলে। রাত গড়ায়...। এক সময় ঘুমিয়ে পড়ি। এক ঘুমে রাত কাবার। আশ্চর্য, কোথায় গেল জেটল্যাগ, কোথায় গেল বিছানা বদল, কোথায় গেল দেশের ভাবনা? এটা কি আরাফাত-মায়াবতীদের জন্যে, প্রবাসে থেকেও মনে হয়েছে দেশেই আছি? আমি ঠিক জানি না...।
*বৈদেশ পর্ব, দশ: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_8079.html
সহায়ক লিংক:
১. বৈদেশ পর্ব, সাত: http://www.ali-mahmed.com/2010/06/blog-post_3252.html
২. আবেদ খানের এস্টাইল: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_27.html
৩. পাট, ঘুরে দাঁড়ায় স্বপ্ন: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post.html
৪. হনুমানজী: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_30.html
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Thursday, July 1, 2010
বৈদেশ পর্ব: নয়
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
6 comments:
আপনার লেখার প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা থাকল। আপনার লেখা পড়ে জানতে পারলাম মুকিত ভাই ব্রাসেলস এসেছেন [উনি আমার ইউনিভার্সিটির বড় ভাই] এবং ফেসবুকে মেসেজ পাঠাই। উনি যথা সময়ে উত্তর দেন এবং আজকে দেখা হলো।
যোগাযোগের এই মাধ্যমটা [যেভাবে তার সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে] আমার কাছে এখনো বিস্ময়ের মত।
ধন্যবাদ আপনাকে। @Nazmul Huq Russell
আপনি বিডি নিউজের যে খালেদের নাম বলছেন এ জাতীয় মানুষগুলো তথাকথিত ব্যক্তিত্ব দেখানোর জন্য এমনটি করেন, এমন ভাব ধরেন যেনো উনি বিশাল কোনো মানুষ। কিন্তু ভুলে যান এসবের মাঝে সে তার মনের দীনতাই প্রকাশ করছে। খালেদ জাতীয় মানুষের নিরাসক্ত আচরন বিদেশে দুই পয়সা মূল্য পায় না, এরা এটা জানে বলে বিদেশীদের সাথে এরকম আচরন করার সাহসও দেখায় না। এ জাতীয় বস্তুকে দু পয়সা মুল্য আমি দেই না।
আপনার লেখা প্রতিটা পর্বই প্রবল আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। অন্য পর্বে আরব দের নিয়ে যা লিখেছেন তার সাথে আমি একমত। ব্যক্তিগত ভাবে এদের আমি পছন্দ করি না নানা কারনে। হয়তো এরা টাকার গরমে অনেক কিছুই করছে বা ক্যাডিলাকে চড়ছে কিন্তু তেল শেষ হয়ে গেলে এদের অনেকের ভাগ্যে ক্যামেলও জুটবে না। এক কথায় এরা ইতর জাতীয়। সারা পৃথিবী উন্নত হবার জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করে গভেষনাগার বানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিস্টা করে আর এরা বানায় বুর্জ !!
প্রতিটা পর্ব পড়ছি সেই রকম আগ্রহ নিয়ে। হয়তো মন্তব্য করি না কিন্তু ভালোলাগাটা মনের মাঝে চেপে রাখি তথাকথিত শক্ত মানুষ সাজবার জন্য।
খালেদ সাহেব সম্বন্ধে এভাবে বলাটা ঠিক হচ্ছে না কারণ তিনি একজন মিডিয়া টাইকুন!
মিডিয়ার আবার নিজস্ব ভাষা আছে। এঁরা আবার বিশেষ মাস ব্যতীত বাংলা ভাষার জন্য কান্নাকাটি করতে পারেন না। তখন মিডিয়ার কাঁদতে কাঁদতে দেশে অকাল বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এঁরা তখন দুনিয়া কাঁপানো ত্রিশ মিনিটের নামে দেশটাকে যখন কাঁপাতে থাকেন তখন আমি ভয়ে ভয়ে থাকি, দেশের, বিশেষ করে ঢাকা শহরেরর বাড়িগুলো না শুয়ে পড়ে!
সেই কারণেই সম্ভবত ইনি বাংলা ভাষার এই বিপুল আয়োজন নিয়ে আগ্রহ দেখাতে ইচ্ছা বোধ করেননি।
আরব জাতি নিয়েও এভাবে বলাটা ঠিক হচ্ছে না কারণ এঁরা যেমন ইসলাম ধর্মের দন্ডটা একহাতে ধরে রেখেছেন অন্য হাতে রাজতন্ত্রের দন্ড!
রাজার ছেলে রাজা হবে তার মাথায় সাবানের ফেনা থাকলেও।
উট চালকের নেতা হওয়ার কাহিনী আমরা কেবল পড়ব পবিত্র গ্রন্থে। পড়া শেষ হলে চুমু দিয়ে তাকে উঠিয়ে রাখব।
আর্মস ডিলার আদনান খাসোগীর চমৎকার একটা উক্তি আছে:
'আমি যখন দেশে থাকি তখন একজন খাঁটি আরব। দেশের বাইরে যখন থাকি তখন একজন ইউরোপিয়ান'।
তাই পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর নাইট ক্লাবগুলোর নিয়মিত খদ্দের হচ্ছেন আমাদের শেখ সাহেবরা। @মাহবুব
আপনি ওই পোস্টে মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন ওইখানে মন্তব্য করলাম না।আপনি রেডিও সাক্ষৎকারে বলেছেন যেন আমাদের কন্ঠরোধ না করা হয় অথচ আপনিই আমাদের কন্ঠরোধ করছেন। আপনি কি কারণে ওখানে মন্তব্য ডিলিট করলেন? কি কারণে মন্তব্য করতে নিষেধ করলেন।আমরা ভিতু আলী মাহমেদকে দেখতে চাই না।আমি আরবদের ঘৃণা করি,কারও কোন সমস্যা? এরা কুত্তারও অধম আমি একটা কুত্তাকেও পছন্দ করব কিন্তু এদের করব না।কারও কোন সমস্যা?
আপনার মন্তব্য তো আর ডিলিট করা হয়নি। যারটা করা হয়েছে,কেন করেছি তাঁকে এই ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি। আশা করি, তিনি বুঝতে পেরেছেন।
ওখানে মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম এই জন্যে, জটিলতা আমার ভাল লাগে না। এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি খেতে আমি পছন্দ করি না, তেমনি পছন্দ করি না কিছু মানুষের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে।
"...আমি আরবদের ঘৃণা করি,কারও কোন সমস্যা?"
এটা আপনার মত। এতে আমার কোন বক্তব্য নাই!
আর বিশদ পোস্টে বলেছি, অধিকাংশ আরবদের আমি পছন্দ করি না। কেবল যে এয়ারপোর্টেই এদেরকে অপছন্দের কারণ ঘটেছে এমন না। আমার মস্তিষ্কে এদের নিয়ে উল্লসিত হওয়ার মত তেমন কোন স্মৃতি নাই। আছে অজস্র কুৎসিত স্মৃতি!
তবে আশার কথা, এরা এখন ক্রমশ সভ্য হচ্ছে। @সাব্বির
Post a Comment