*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Thursday, October 15, 2009
চুতিয়া কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি
আগেও লিখেছিলাম ’সোয়াইক গেল যুদ্ধে’ নাটকে নাৎসি অফিসার জিজ্ঞেস করছে, "হাগিস কেমন, শক্ত না পাতলা"?
উত্তর ছিল, "সার, আপনি যেমনটা চাইবেন, শক্ত চাইলে শক্ত, পাতলা চাইলে পাতলা"।
সোজা কথা, নাৎসি অফিসারের ইচ্ছাই শেষ কথা।
বৈদেশী লালমুখো সাহেবরা ঠিক এই সংলাপ বলেন না তবে তারা যেমনটা চান আমরা তেমনটা করে দেখিয়ে দেই। ভাল টাকা পেলে প্রয়োজনে পটিতে উবু হয়ে বসে 'পাইখানা' (সূক্ষরূচির পাঠক ইচ্ছা করলে, এই শব্দটা বাদ দিয়ে পড়লে দোষ হবে না) করার ভঙ্গি করতেও আপত্তি নাই। দেশ বেচতে হবে, নাকি মাকে তাতে কী আসে যায়!
ক্ষুধা দূর করতে কেএফসি ও পিৎজা হাট লাফিয়ে পড়েছে। রোজার সময় আবার এক ঢং হয়েছিল, আপনার ইফতার সারুন পিৎসা দিয়ে। এদের ক্ষুধার সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে, প্রায় ১০০ টাকা দিয়ে একটা মুরগীর পিস খাওয়াতে খাওয়াতে ’আকু’ (বাচ্চারা পাইখানাকে আকু বলে) শক্ত হয়ে যাচ্ছে। ইসবগুলের ভূষি বড়ো প্রয়োজন। মহোদয়গণ-সার, ক্ষুধা বোঝার জন্য পশ্চাদদেশ উত্তোলনপূর্ব্বক ছবিটার পানে একবার দৃষ্টি দিয়ে কৃতার্থ করুন।
আক্কু সার বলেছেন, "ক্ষুধার মত সমস্যা নিয়ে সবার ভাবা উচিত"।
বটে!
ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি জন আইলিয়েফ সার বলেছেন, "এই দেশের প্রায় ৭৫ লাখ লোক প্রতি রাতে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যায়। 'ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার রিলিফ কর্মসূচি'র মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দূর হয়ে যাবে"।
বটে রে!
ইংল্যান্ডের রানীকে নাকি একবার বলা হয়েছিল দেশের লোকজন খাবারের কষ্টে আছে, রুটিও মেলে না।
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, সমস্যা কী, রুটির বদলে কেক খেলেই হয়।
রানী এমনটা বলেছিলেন, কেন যেন আমার বিশ্বাস হতো না। আফসোস, রানীর সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় নাই বিধায় যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু রানীর পোষ্যদের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে, নাহ, রানী এমনটা বলতেই পারেন।
যথারীতি আমাদের দেশের সেলিব্রেটিগণ উপস্থিত ছিলেন। মহান মিডিয়া বাদ যাবে কেন! থাকতেই হবে। ওই যে বললাম, ভাল পেমেন্ট পেলে।
কোন এক স্যানেটারি ন্যাপকিন কোম্পানি প্যাকেটের গায়ে ছাপিয়ে দিত, এইখান হইতে ১ টাকা অমুক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে জমা হইবেক। বিভিন্ন আবরণে এইসব ফাজলামি চলেই আসছে।
টাইমস অভ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, কর্নাটকের মন্ত্রিসভার ২ ঘন্টার এক বৈঠকে খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি রুপি! বিষয় কী? পিছিয়ে পড়া মানুষদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে নাকি এই বৈঠক!
এমন কল্যাণে পিছিয়ে পড়া মানুষ এগুবে কিনা জানি না তবে এইসব দরদীদের সঙ্গে হাত মেলালে তার ছবিটা আসবে অনেকটা পোস্টের সঙ্গে করা দ্বিতীয় ছবিটার মত। এইসব চুতিয়াগিরির শেষ নাই...।
*প্রথম ছবিটা অনাহারে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসা শিশুটির মৃত্যুর জন্য শকুনের অপেক্ষা। ছবিটা কেভিন কার্টারের তোলা। এই ছবির জন্য তিনি পুলিৎজার পুরস্কার পান। ভয়াবহ এই স্মৃতি তাঁকে অবিরাম তাড়া করত। তিনি পরবর্তীতে সহ্য করতে না-পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
**দ্বিতীয় ছবিটির বিষয়ে বিশদ জানা নাই বলে দু:খ প্রকাশ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
3 comments:
বিশ্বায়ন মানেই তো চুতিয়াদের বিশ্বায়ন!
চুতিয়াদের পূঁজি সব দেশে অবাধে ঢুকবে। খালি গরীব মানুষগুলোই ভাগ্যান্বেষণে ভিনদেশে যেতে পারবেনা।
পৃথিবী থেকে ভিসার বাধা তুলে দিলেও কোন গরীবি থাকবে বলে মনে হয় না।
সীমাহীন চুতিয়াগিরির আরেকটা উদাহরণ খালেদা হাসিনাকে নিয়া দারিদ্র বিমোচন ভাষণ।
সহমত। @মুকুল।
এঁরা ক-দিন পর পর আমাদের টাকায় ওমরাহ করবেন এবং দারিদ্র বিমোচনের জন্য দোয়া চাইবেন@ হাসান রায়হান
Post a Comment