Search

Tuesday, October 28, 2025

'এক ভচকানো চেহারার মুখোশ, শাহনেওয়াজ আলতাফ!

যেটায় কারও হাত নাই, যেমন কারও শারীরিক অসংগতি, সেটা নিয়ে আলোচনা করাটা বেজায় ছোটলোকগিরি— যার চালু নাম, বডি শেমিং!

এই যে লোকটা, এর নাম আলতাফ শাহনেওয়াজ। কাজ করতেন দৈনিক প্রথম আলোয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। এবং সাহিত্যিক। আমার ধারণা, প্রথম আলোর চাপরাশিও কালে-কালে একজন সাহিত্যিক হয়ে যান! মুভি বলতে যেমন বোঝায় হলিউড, বিশ্বসাহিত্য বলতে যেমন ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য তেমনি এই দেশে সাহিত্যিক মানে 'প্রথম আলো ঘরাণার সাহিত্যিক'!

যাই হোক, পরে আলতাফ শাহনেওয়াজ যোগ দেন 'Dhaka Stream'-এ। তারই এক সহকর্মী স্বর্ণময়ী বিশ্বাস, আত্মহত্যা করেছেন এমনটাই বলা হচ্ছে এবং এর পেছনে আলতাফের পরোক্ষ হাত নেই এমনটা বলা যাবে না। নমুনা:

এই মৌসুমী হচ্ছেন, একজন সংবাদকর্মী এবং স্বর্ণময়ীর আত্মীয়। আমি বিশ্বাস করি, মৌসুমীর প্রত্যেকটা কথা সত্য কারণ এই আলতাফের বিরুদ্ধে কেবল স্বর্ণময়ীই না ২৬ জন গণমাধ্যমকর্মী লিখিত অভিযোগ করেছিলেন:


কিন্তু, দ্য গ্রেট চুতিয়া, ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান সম্পাদক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, অভিযুক্ত ব্যক্তি আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তকে অন্তত সাময়িক বরখাস্ত করার কথা।

আমি যেহেতু আলতাফের লেখা পূর্বে পড়ি নাই তাই তার লেখার মান নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রইলাম। হতে পারে এই লোক বিরাট সাহিত্যক কিন্তু আমি বারবার যেটা বলি, একজন ভাল সাহিত্যিক, একজন ভাল চাকুরেজীবী হলেই সে ভাল মানুষ হবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই!

আমি ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে 'বডি শেমিং' করাটা অন্যায় মনে করি—অন্যকে এই অন্যায় করতে জোর নিষেধ করব। কিন্ত... কেউ-কেউ যেমন নিজেকে খুন করাটা ঠেকাতে পারেন না (যার চালু নাম আত্মহত্যা); তেমনি আমিও, আলতাফ শাহনেওয়াজের ভচকানো চেহারা, তার ভচকানো পা (এ খুড়িয়ে হাঁটে) এটা বলে এই অন্যায় না-করে পারছি না...।

Friday, October 17, 2025

নরক এবং একজন ব্যারিস্টার আরমান!

লেখক: Shubhajit Bhowmik (শুভজিৎ ভৌমিক) [https://www.facebook.com/share/1FxKc5AbJB/]

"(১) ব্যারিস্টার আরমানের গুম নিয়ে বানানো ডকুমেন্টারিটা, যে-কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে  সহ্য করতে পারার মতো না। অন্তত আমি পারি নাই!

এজন্য খুব একটা সংবেদনশীল মানুষ হওয়ার দরকার নাই। জাস্ট খুব সাধারণ 'মানুষ' হলেও, আরমানের গুমের বীভৎস এই বর্ণনা আপনাকে সহ্য করতে পারার ক্ষমতার শেষ পর্যায়ে  নিয়ে যাবে।   

(২) হাসিনার গুম সিন্ডিকেটের, সম্ভবত সবচেয়ে নির্মম এবং নৃশংসতম অত্যাচারের ভিকটিম হচ্ছেন, ব্যারিস্টার আরমান। 

ওঁকে 'আট বছর' র‍্যাবের Task Force for Interrogation cell (TFI)- এই জায়গাতে গুম করে রাখা হয়েছিলো। 

সবচেয়ে নির্মম কেন বলছি এইটাকে? কারণ, গুমের শিকার অন্যান্য মানুষকে হয় মেরে ফেলা হয়েছে। নাহয় টর্চার করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু, ব্যারিস্টার আরমানকে আট বছর, এমন একটা পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছিলো, যেখানে মানুষ নিজেই নিজের মৃত্যু কামনা করে। বন্দী আরমান নিজে বহুবার অনুরোধ করেছেন, এতো যন্ত্রণা দেয়ার চেয়ে তাঁকে বরং মেরে ফেলতে।

আহারে-আহারে। একটা মানুষ কোন পর্যায়ে গেলে নিজের মৃত্যু কামনা করে! কিন্তু আরমানকে মেরেও ফেলা হয়নি!

(৩) আট বছর এই মানুষটার টয়লেটে যাওয়ার স্বাধীনতাও ছিলো না। দেয়ালে হ্যান্ডকাফ দিয়ে শব্দ করে টয়লেটে যাওয়ার আবেদন জানাতে হতো। বহুবার কেউ আসেনি তাঁকে টয়লেটে নিতে।

কাপড় নষ্ট হয়েছে। সেই ময়লা আবার তাঁকেই পরিষ্কার করতে দেয়া হয়েছে। বন্ধ রুমের গরমে, ঘাম প্রস্রাব ঝরে-ঝরে মেঝেতে পানি জমে যেতো। তাঁর মধ্যে ঘুমিয়েছেন আরমান।

হাতকড়া পরে থাকতে থাকতে-থাকতে আরমানের কবজিতে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল। তখন সেই হাতকড়া খুলে তাঁর পায়ে পরিয়ে দেয়া হয়েছে। কোরবানির গরুকেও এই নৃশংস যন্ত্রণা দেয় না মানুষ। 

(৪) জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়। ৩২ বছর বয়সী ৩২ বছর বয়সের যুবক আরমানকে বাসা থেকে গুম করা হয়। যখন ফিরলেন, তখন তাঁর বয়স চল্লিশ। চোখে দেখেন না। হাঁটতে পারেন না। ভয় পায়, অহেতুক!

ছোট-ছোট দুইটা মেয়ে সন্তান। বাবাকে যখন ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো খালি পায়ে, ছোট মেয়েটা বাবার দুইটা জুতা হাতে তুলে পেছনে-পেছনে যাচ্ছিলো, 'বাবা তোমার জুতা'। 

সহ্য করার মতো নারে, ভাই।

(৫) মেয়েগুলো এখন বড় হয়ে গেছে। বাবা বেঁচেই ছিলেন, কিন্তু নিজের চোখে বাচ্চাগুলোর বড় হওয়ার দৃশ্য দেখতে পারেননি। 

বাচ্চাদের সাথে বাবার ইমোশনাল বন্ডিং তৈরি হওয়ার সময়টাতেই বাবা ছিলেন না। বাচ্চাদের টেক-কেয়ার করার জন্য বাবার মায়াময় চোখ ছিলো না। 

আরমানের স্ত্রী জানতেন না, তাঁর স্বামী বেঁচে আছে, নাকি নাই। তিনি সধবা নাকি বিধবা। এ কোন আঁধার, রাতের চেয়েও অন্ধকার...!

আহারে আমার ভাই। আহারে।

(৬) অন্ধকারে চোখ বাঁধা থাকতে-থাকতে, আরমানের চোখে ছানি পড়ে গেছে। সবকিছু ঝাপসা দেখেন। 

লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পড়ে আসা মানুষটার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ শেষ। ফ্যামিলিটাও ফাইন্যান্সিয়ালি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অপুষ্টিতে ভুগে স্বাস্থ্যবান লোকটা শুকিয়ে জীর্ণ হয়ে গেছেন। লোকটার সংগে কথা বলার কেউ ছিলো না! এক পর্যায়ে তিনি রুমের টিকটিকির সাথে, পিঁপড়ার সাথে কথা বলা শুরু করেন। 

টিকটিকির নাম ছিলো 'টুকটুকি'। তিনি বড় আবেগ নিউএ বলতেন, 'এই টুকটুকি, তোর কয়টা বাচ্চা? আমার না দুইটা মেয়ে আছে, ছোট...'!

(৭) দাঁতে দাঁত চেপে ব্যারিস্টার আরমানের গুমের এই ডকুমেন্টারি দেখেন। ১৫০০+ মানুষের ওপর এই মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালিয়েছিল হাসিনা আর তার লোকজন। 

ক্লাসের পাঠ্যপুস্তকে এই গুমের কাহিনী লেখা হোক। এই জাতিকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে আওয়ামী রেজিমের জুলুমের ইতিহাস। আয়নাঘরগুলোকে মিউজিয়াম বানিয়ে, সেখানে বাচ্চাদের শিক্ষা সফরে নিয়ে আসা হোক। 

আমরা যেন ভুলে না যাই, আওয়ামী জাহেলিয়াত কী জিনিস ছিলো। আমরা যেন মনে রাখি। 

(৭) ডকুমেন্টারির সবচেয়ে ভয়াবহ ক্লিপ হচ্ছে, আরমানের মুক্তি পাওয়ার দৃশ্যটা। 

আট বছর পর অচেনা রাস্তায় যেন একটা পশুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে জানে না এটা কোন জায়গা! কতো সাল? সে জানে না, সে কতো বছর বন্দী ছিলো! সে জানে না, হাসিনা পালিয়ে গেছে! সে রাস্তাঘাট কিচ্ছু চিনতে পারছে না।

সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে লুঙ্গি পরা একটা জীর্ণকায় লোক। দুই পায়ে টলতে-টলতে ইবনে সিনা হাসপাতালে ঢুকছে। আট বছর পরে কেউ তাঁকে চিনতে পারছে না।  ময়লা কাপড়ের জন্য কেউ তাকে বিশ্বাস করছে না।

(৮) মানুষটা ভয়ে গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে। যদি তাকে চিনতে পেরে আবারও কেউ ধরে নিয়ে যায়। পরাধীন থাকতে-থাকতে, মানুষটা ভুলেই গেছে যে, স্বাধীনতা এসে গেছে। 'হি ইজ ফ্রি...'।

আহারে, মানুষটা! বাকী জীবন কীভাবে কাটাবে এই ট্রমা নিয়ে?

একজনের কাছ থেকে একটা মোবাইল ধার করে আরমান নিজের নাম লিখে গুগল করেন। গুগলে তার পুরাতন চেহারার ছবি বের হয়ে আসে। নিজের চেহারার পাশে সেই মোবাইলের ছবি ধরে ইবনে সিনার কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, 'দেখেন তো, এইবার চেনা যায়?

(৯) ওই প্রথমবার, আট বছর পর মুক্ত হয়, স্বাধীন হয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাসে (সম্ভবত) সর্বোচ্চ নির্যাতনের শিকার, মীর আহমাদ বিন কাশেম, আরমান। আমাদের ভাই। 

কী অসম্ভব প্রাণশক্তি থাকলে, লোকটা এখনও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন, পাগল হয়ে যাননি, ভাবতে অবাক লাগে। নিঃস্ব হয়ে গেছেন মানুষটা। এই ডকুমেন্টারি হচ্ছে আরমানের সেই জীবনের গল্প, যে জীবনের চেয়ে মৃত্যুই হয়তো ভালো ছিলো। 

(১০) আপনারা দয়া করে ডকুমেন্টারিটা দেখেন। বোঝেন। উপলব্ধি করেন। আরমানের সাথে আরমানের আটটা বছর, বিশ মিনিটে কাটিয়ে আসেন। 

এই মহাপাপ, এই মহা অন্যায়ের বিচার দাবি করেন। চোখের জলে বুক ভাসান, যেভাবে আরমান ভাসিয়েছিলেন তাঁর শুয়ে থাকার মেঝেটা। 

বাংলাদেশ রাষ্ট্র যাতে আরমান সহ গুমের প্রত্যেক ভিকটিমের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবিটা করেন রাষ্ট্রের কাছে। 

(১১) আমাদের দুর্ভাগ্য, এতো সবকিছুর পরেও কিছু অমানুষের বাচ্চা, আওয়ামী দলদাস মাদার... গুমের জলজ্যান্ত প্রমাণকে নাটক হিসাবে দাবি করে। দেড় হাজার মানুষের লাশ অস্বীকার করে। 

মানুষ হিসাবে আপনার নিজের ওপর ঘেন্না জন্মাবে, যে এইসব অমানুষের সাথে আপনাকে একই বাতাসে অক্সিজেন শেয়ার করতে হয়। একই মাটির স্পর্শ শেয়ার করতে হয়। একই সূর্যের আলো শেয়ার করতে হয়।

এইসব অমানুষের জাত, দলবাজ শুয়ারের বাচ্চার সাথে আপনাকে পাশাপাশি বেঁচে থাকতে হয়! আফসোস, আমাদের কিছুই করার নাই।  

(১২) জ্জা যদি এইটা না হয়, তাহলে লজ্জা কী কেবল দিগম্বর থাকা? 

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম স্বৈরাচার, শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম পিশাচের নাম, শেখ হাসিনা। 

আর কেউ না জানুক, আরমান জানে। ভাই আমার, আপনার বাকী জীবনটা সহজ হোক। সুন্দর হোক। দুনিয়াতে এখনও সবাই দলবাজ, লীগ হয়ে যায়নি।

দুনিয়াতে এখনও কিছু 'মানুষ' আছে। যারা আপনার অন্য ভুবনের বেদনা ধারণ করার চেষ্টা করে...।"

-লেখক: Shubhajit Bhowmik (শুভজিৎ ভৌমিক) [https://www.facebook.com/share/1FxKc5AbJB/]


Monday, October 13, 2025

কারাগারময় বাংলাদেশ!

সামরিক বাহিনীর যাদের প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এদের জন্য আলাদা জেলখানা স্থাপন করা হয়েছে। এ এক বিস্ময়!

এ সত্য, সরকার আইন কপচিয়ে এটা করেছে:

এখানে Prisions act 1894-এর ৩(বি) ধারার প্রয়োগ করা হয়েছে। ভাবা যায়, আমাদের দেশে এখনও ১৩১ বছর, প্রায় ১৫০ বছর পুরনো আইনে দেশ চলে! একটা স্বাধীন দেশে এখনও ব্রিটিশদের আইনের বাইরে আমরা যেতে পারিনি! ব্রিটিশদের দেখলে এখনও যে আমরা প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলি না আমাদের এও এক বিরাট সাহস! আমাদের বাপ-দাদাদের পিঠে পা রেখে সাহেবরা ঘোড়ায় উঠত আর এখনও সাহেবদের আইন আমাদের মাথায়-মগজে! 

যাই হোক, এই আইনে যেটা বলা হচ্ছে:


"(b) Any place specially appointed by the Government under section 541..."

এবং ঝড়ের গতিতে রাষ্টপতি  আদেশ দিয়েছেন!
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর ক্যান্টনমেন্ট-এর ভেতর একটি স্থাপনাকে কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে!
যে মামলা নিয়ে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা সেটা কিন্তু সাধারণ কোন মামলা না, ৩টির মধ্যে ২টিই গুম সংক্রান্ত। সোজা ভাষায় বললে, খুনের মামলা—ভয়ংকর এক মানবতা বিরোধি অপরাধ! গুম নিয়ে যারা হাসাহাসি করেন, হালকা চালে দেখেন তারা গুম কমিশনের এই ডক্যুমেন্টারিটা দেখে নিলে ভাল করবেন। এরপরও কারো যদি হাসি আসে তাহলে সে একটা 'বাই বোর্ন শুয়োর'!

আমার স্বল্প জ্ঞানে যেটা বুঝি, যে সামরিক লোকজনের জন্য আলাদা কারাগার করা হলো তাদের বিচার কি সামরিক আইনে হচ্ছে? না!
আমরা চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য একটু শুনি:
যেহেতু এখানে কোর্ট-মার্শাল চলছে না—সরল প্রশ্ন, এই সামরিক লোকজনদেরকে কি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে? জাজ কি বলেছেন যে জামিন হবে, কি হবে না? জাজ কি বলেছেন, এরা কারাগারে যাবেন, কি যাবেন না? জাজ কি বলেছেন, কারাগার কি এদেশে হবে, নাকি অন্য দেশে? নাকি জাজ নিজেই ক্যান্টনমেন্টে চলে যাবেন বিচারপর্ব পরিচালনা করার জন্য?
আর্মি আইনে অবশ্য বলা আছে:
"... If the accused is in custody, then the investigation must be started within 48 hours from the time of his arrest excluding public holidays..." -(Army Act, Section 74)
এখানে যেহেতু আর্মির এই আইন অচল তাই চিফ প্রসিকিউটর প্রচলিত আইন থেকে যেটা বলছেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করতে হবে এটাই সঠিক। এর ব্যতয় হওয়ার তো কোন সুযোগ নাই। 
এখন সামরিক লোকজনদের জন্য যদি আলাদা কারাগার বানাবার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে সাবেক বিচারপতি, সাবেক সিইসি এদের জন্যও তো আলাদা কারাগারের আবশ্যকতা দেখা দেবে। তখন বিচারপতিদের জন্য হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে একটা কারাগার, মন্ত্রীদের জন্য মিন্টু রোডে একটা কারাগার আর 'কানকাটা রমজানের' জন্য কাশিমপুর কারাগার...।

কারাগারময় বাংলাদেশ! 

মোগলরা এখন জুস বিক্রি করে!

শায়েস্তা খান আমলের (১৬৭১) এই  ছোট কাটারা দেখতে গিয়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল!

Tuesday, October 7, 2025

বেচারা চোর সাহেব—বেচারা সরকার বাহাদুর!

এ সত্য, আগের হাসিনা সরকার সগর্বে বলত, তারা আমাদের বেডরুম পাহারা দিতে পারবে না। অনেকে এটা ভাল চোখে না-দেখলেও আমি আগের সরকার বাহাদুরের সংগে একমত। কারণ বেডরুম পাহারা দেওয়া কোনও কাজের কাজ না!

একজন অপূর্ব'র গল্প!

লেখক: Asif Bin Ali (https://www.facebook.com/share/17Jpx1YoG9/)

"লেখাটি এনএসইউ’র (NSU) ছাত্র অপূর্বকে নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সে কোরআন অবমাননার মতো একটি কাজ করেছে এবং ভিডিও করে নিজেই পোস্ট করেছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে আছে। তার এই কাজ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, এবং তাকে বিনা বিচারে হত্যার জন্য প্রচারও চলছে।