এ সত্য, আগের হাসিনা সরকার সগর্বে বলত, তারা আমাদের বেডরুম পাহারা দিতে পারবে না। অনেকে এটা ভাল চোখে না-দেখলেও আমি আগের সরকার বাহাদুরের সংগে একমত। কারণ বেডরুম পাহারা দেওয়া কোনও কাজের কাজ না!
কিন্তু খালি বাড়িতে দিনদুপুরে যখন এমনটা হয় তখন আমরা মিহি গলায় বড় তমিজের সঙ্গে সরকার বাহাদুরকে বলি, অন্তত আমাদের দরোজাটা যদি একটু... :
কতটা ভয়হীন নিরাপদ মনে করলে ঝাঁ-চকচকে দিনের বেলায় চোর সাহেব এহেন চেষ্টা চালিয়ে যান।
সরকার বাহাদুরকে আমাদের কী পরিমাণ ট্যাক্স দিতে হয় তা মুত্র বিসর্জন পর-পরই ট্যাক্সের টিস্যু ব্যবহার করতে-করতে ভেবে সারা হই। কিন্তু...! আহারে, এদিকে আবার চোর সাহেবের জন্যও মায়া হয়— তার দরোজা খোলার চেষ্টায় বিফলতার কারণে মনটা বিষন্নও হয়। আহা, বেচারা চোর সাহেবও তো ট্যাক্সপেয়ি!
চোর সাহেব মায়া লাগিয়ে যখন তার স্যান্ডেল ফেলে যান তখন মনে হয় আহারে, চোর সাহেবের এই স্যান্ডেলও তো তার পরোক্ষ ট্যাক্সের টাকায় কেনা! আহা, বেচারা সরকার কেমন করে জনগণের বন্ধ বাসার দরোজা পাহারা দেবেন, সবাই যে ট্যাক্সপেয়ি...!
যাই হোক, চোর সাহেবের ফেলে যাওয়া স্যান্ডেল নিয়ে বিপাকে আছি। আপাতত ফেরত দেওয়ার তো কোন উপায় দেখছি না। ফেলে দিতেও মায়া লাগছে। অন্য একটা উপায় নিয়ে ভাবছি। বিচিত্র এই দেশ, পৃথিবীতে সম্ভবত এমন আর কোন দেশ নেই যে, মসজিদে নামাযে জুতা চুরি হওয়া নিয়ে আমাদের ভয়ে কাঠ হয়ে থাকতে হয়।
এখন, 'ভয় নাই, ওরে ভয় নাই'... এখন থেকে মসজিদে যেতে এই স্যান্ডেল ব্যবহার করব। নিয়ে গেলে আমার কী—এক চোর সাহেবের জিনিস আরেক চোর সাহেব নিয়ে গেল তাতে আমার বয়েই গেল :)

No comments:
Post a Comment