আমাদের ভ্যালুজগুলো আর থাকছে না। গায়ের কাপড়গুলো একে করে খসে পড়ছে। ছাত্র-শিক্ষকদের পিতা-পুত্রের যে সম্পর্ক এই সব এখন কেবল কেতাবেই আছে সম্ভবত। আমাদের পিতারা যখন আপিস, চাষের মাঠে তখন এই শিক্ষকরাই আমাদেরকে আঙ্গুল ধরে-ধরে পাঠশালায় শিখিয়েছেন।
এখনও আমরা যারা বেকুব তারা প্রাইমারি স্কুলের কোনও শিক্ষককে দূর থেকে দেখলেও মরা সাপের মত সোজা হয়ে যাই।
এখনও আমরা যারা বেকুব তারা প্রাইমারি স্কুলের কোনও শিক্ষককে দূর থেকে দেখলেও মরা সাপের মত সোজা হয়ে যাই।
এই সব বেকুবগিরি করার চল সম্ভবত এখন আর নাই। থাকাটা সমীচীনও না। কারণ দেশ এতোই দ্রুত এগুচ্ছে সুইটজারল্যান্ড হলো বলে! আমাদের পুরনো ভ্যালুজগুলো ধরে রাখা অর্থহীন, গ্লানিকর এখন।
একজন সংসদ সদস্য তার শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন [১], মামলা করেন [২] এবং সেই ১০০ কোটি টাকার মামলা আমাদের ন্যায়ালয় যখন গ্রহণ করেন তখনই সব ভেঙ্গে পড়ে।
শিক্ষকদের প্রতি যখন আঙ্গুল উঁচিয়ে তার ছাত্র কথা বলে, অমার্জিত আচরণ করে, গায়ে হাত তুলতে আসে তখনও আমাদের গায়ে এক চিলতে কাপড় থাকে কিন্তু কোনও শিক্ষক তার ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়াবার কারণে যখন তার পায়ের নীচের মাটি ‘লন্ডভন্ড’-‘ভন্ডভন্ড’ হয়ে যায় তখন আমাদের নগ্ন হওয়ার আর বাকি থাকে না।
সহায়ক সূত্র:
১. পিতা তোমার…: https://www.ali-mahmed.com/2018/01/blog-post_19.html
২. খসে পড়ে...: https://www.ali-mahmed.com/2018/03/blog-post_22.html
* ছবি (স্মারক) ঋণ: জনাব, Ar Raji: https://www.facebook.com/arraji
No comments:
Post a Comment