ফেব্রুয়ারি মাসটা আমাদের জন্য বড়ো জরুরি কারণ এই মাস এলেই আমরা ভাষার জন্য ঝাপিয়ে পড়ি, চোখের জল ফেলার সুযোগ পাই। বিস্তর কান্নাকাটি করি। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা তো কাঁদতে কাঁদতে অন্তর্বাস ভিজিয়ে ফেলেন! ভাগ্যিস, আমরা দেখতে পাই না, এই যা! ফেব্রুয়ারি যাওয়ামাত্র যথারীতি আমরা সমস্ত কিছুই বিস্মৃত হই! পরের বছরের ফেব্রুয়ারির জন্য ঝিম মেরে বসে থাকি।
এখনও আমাদের দেশের আদালতে অধিকাংশ রায় ইংরাজিতে লেখা হয়। গ্রামের সহজসরল ফরিয়াদি এই রায়ের বিন্দুবিসর্গও বুঝে উঠতে পারেন না। উকিল সাহেবকে পড়ে দেয়ার জন্য একগাদা টাকা খরচ করেন, ধমক ফাও। আইনগুলো ইংরাজিতে তো বটেই, কিছু তো মাশাল্লাহ! আইনগুলো বাংলা করার পর দাঁড়াচ্ছে, 'বেঙ্গল পশু ক্লেশ আইন'!
যথারীতি এতে আমাদের গাত্রদাহ হয় না! কিন্তু রক্তে ভেজা নিজের ভাষা নিয়ে অহংকার করা একটি জাতির জন্য এটা যে কী লজ্জার! আফসোস, এই লজ্জা আমাদেরকে স্পর্শ করে না! কারণ আমরা হুজুগে জাতি। এবং নিয়ম করে, মাস নির্দিষ্ট করে কাঁদতে কাঁদতে কপাল (!) ভিজিয়ে না-ফেললে আমরা আরাম পাই না।
এ লজ্জা কাকে বলি, কোথায় রাখি? আমরা ১৪ বছরে এখন পর্যন্ত ৭৫০টি আইনের মধ্যে মাত্র ১০৭টি আইন বাংলায় ভাষান্তর করতে পেরেছি! এখনও আমাদের অধিকাংশ আইন ব্রিটিশদের করা। নামও বলিহারি! ১৯২০ সালের 'বেঙ্গল পশু ক্লেশ আইন', ১৮৭১ সালের 'গবাধিপশু অনধিকার প্রবেশ আইন'! আহা, নিজের ভাষার প্রতি কী দরদ, কী দায়িত্ব আমাদের!
ইংরাজি শিখতে মানা করছে না কেউ কিন্তু কেউ ইংরাজি ভাল না-জানলে তাকে শূলে চড়াবারও কোন কারণ নেই [১]! এটাও বলা হচ্ছে না সফটওয়্যারের বাংলা কেউ 'নরোম তার' করুক। বা Hackler and Koch -কে অনুবাদ করুক 'হেকলার এবং কচ' অথবা থ্রি নট থ্রি রাইফেলকে লিখুক, 'থ্রি না থ্রি রাইফেল' [২]!
কিন্তু এখনও আমরা অধিকাংশ মানুষ নিজের ভাষাটাই শুদ্ধরূপে উচ্চারণ করতে পারি না। মানুষটা একজন মন্ত্রী-সচীব, আমলা-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তাতে কী! এই কষ্ট কোথায় রাখি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মত একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক [৩] প্রতিটি বাক্য বিকৃত উচ্চারণ করেন!
আমি নিজে কী! আমি শপথ করেছিলাম, পারতপক্ষে লেখায় ইংরাজি শব্দ ব্যবহার করব না, অন্তত এড়িয়ে চলব। কোথায় সেই শপথ!
আসলে আমাদের নিজের ভাষার প্রতি তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা আমরা পাই কোত্থেকে এটা একটু বলি...। অন্যত্র এক লেখায় আমি লিখেছিলাম [৪]:
"ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ছয় হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। লাটভিয়ায় ‘লিভোনিয়ান’ ভাষায় কথা বলেন এমন একজনই মাত্র জীবিত ছিলেন, তিনি মারা গেলে সেই ভাষারও মৃত্যু হবে। এটা ২০০৯ সালের কথা, এরিমধ্যে তিনি মারা গেছেন কিনা আমি জানি না।
আলাস্কার ‘আইয়াক’ ভাষা জানা শেষ ব্যক্তিটি মারা যান ২০০৮ সালে। তাঁর সঙ্গেই মৃত্যু হয় ‘আইয়াক’ ভাষার।
৮৫ বছর বয়সী 'বার সর' ছিলেন ভারতীয় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের ৮০টি আদিবাস গোষ্ঠীর সবচেয়ে বৃদ্ধ সদস্য এবং ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মৃত্যুর আগে তিনি ছিলেন এই আদি ভাষা জানা সর্বশেষ ব্যাক্তি!
যে আড়াই হাজার ভাষা এই গ্রহ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে আমাদের বাংলা ভাষাও থাকতে পারত কিন্তু আমাদের অপার সৌভাগ্য, আমাদের বাংলা ভাষা যে কেবল টিকেই আছে এমন না, আছে সদর্পে, সীমাহীন গৌরবে! এটাই আমাদের শক্তি এবং এই শক্তিতে ভর করে আমরা আমাদের ভাষার প্রতি অবজ্ঞা করার সাহস দেখাই।
বাংলা নামের আমাদের মায়ের ভাষা- এটা তো আর আমরা এমনি এমনি পাইনি, কেউ আমাদেরকে এটা মুফতে-দানে দেয়নি। এর জন্য আমরা কেবল দিনের-পর-দিন, মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর ধরেই লড়াই করিনি; লড়াই করেছি যুগের-পর-যুগ ধরে!
এই দেশের অসংখ্য সেরা সন্তান তাঁদের রক্ত অকাতরে বিলিয়ে গেছেন আমাদের ভাষার জন্য। আমাদের লেখার কালির সঙ্গে মিশে আছে তাঁদের স্বর্গীয় রক্ত। জান্তব স্বপ্ন নামের সেই মানুষগুলোর অনেকেই আজ নেই কিন্তু তাঁদের মায়াভরা সুশীতল ছায়া ছড়িয়ে আছে আমাদের মাথার উপর। তাঁদের ছায়ার পাশে যখন আমার মত অভাজন দাঁড়াই তখন নিজেকে কী ক্ষুদ্র, লজ্জিতই না মনে হয়। নতচোখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে না থেকে তখন কোন উপায় থাকে না- তাঁদের চোখে চোখ রাখি কেমন করে?"
ডয়চে ভেলের কাছে [৫] একজন ভাষা আন্দোলনকারী মোহাম্মদ আফজাল তাঁর কষ্ট ব্যক্ত করেন এমন করে:
এখনও আমাদের দেশের আদালতে অধিকাংশ রায় ইংরাজিতে লেখা হয়। গ্রামের সহজসরল ফরিয়াদি এই রায়ের বিন্দুবিসর্গও বুঝে উঠতে পারেন না। উকিল সাহেবকে পড়ে দেয়ার জন্য একগাদা টাকা খরচ করেন, ধমক ফাও। আইনগুলো ইংরাজিতে তো বটেই, কিছু তো মাশাল্লাহ! আইনগুলো বাংলা করার পর দাঁড়াচ্ছে, 'বেঙ্গল পশু ক্লেশ আইন'!
যথারীতি এতে আমাদের গাত্রদাহ হয় না! কিন্তু রক্তে ভেজা নিজের ভাষা নিয়ে অহংকার করা একটি জাতির জন্য এটা যে কী লজ্জার! আফসোস, এই লজ্জা আমাদেরকে স্পর্শ করে না! কারণ আমরা হুজুগে জাতি। এবং নিয়ম করে, মাস নির্দিষ্ট করে কাঁদতে কাঁদতে কপাল (!) ভিজিয়ে না-ফেললে আমরা আরাম পাই না।
এ লজ্জা কাকে বলি, কোথায় রাখি? আমরা ১৪ বছরে এখন পর্যন্ত ৭৫০টি আইনের মধ্যে মাত্র ১০৭টি আইন বাংলায় ভাষান্তর করতে পেরেছি! এখনও আমাদের অধিকাংশ আইন ব্রিটিশদের করা। নামও বলিহারি! ১৯২০ সালের 'বেঙ্গল পশু ক্লেশ আইন', ১৮৭১ সালের 'গবাধিপশু অনধিকার প্রবেশ আইন'! আহা, নিজের ভাষার প্রতি কী দরদ, কী দায়িত্ব আমাদের!
ইংরাজি শিখতে মানা করছে না কেউ কিন্তু কেউ ইংরাজি ভাল না-জানলে তাকে শূলে চড়াবারও কোন কারণ নেই [১]! এটাও বলা হচ্ছে না সফটওয়্যারের বাংলা কেউ 'নরোম তার' করুক। বা Hackler and Koch -কে অনুবাদ করুক 'হেকলার এবং কচ' অথবা থ্রি নট থ্রি রাইফেলকে লিখুক, 'থ্রি না থ্রি রাইফেল' [২]!
কিন্তু এখনও আমরা অধিকাংশ মানুষ নিজের ভাষাটাই শুদ্ধরূপে উচ্চারণ করতে পারি না। মানুষটা একজন মন্ত্রী-সচীব, আমলা-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তাতে কী! এই কষ্ট কোথায় রাখি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মত একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক [৩] প্রতিটি বাক্য বিকৃত উচ্চারণ করেন!
আমি নিজে কী! আমি শপথ করেছিলাম, পারতপক্ষে লেখায় ইংরাজি শব্দ ব্যবহার করব না, অন্তত এড়িয়ে চলব। কোথায় সেই শপথ!
আসলে আমাদের নিজের ভাষার প্রতি তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা আমরা পাই কোত্থেকে এটা একটু বলি...। অন্যত্র এক লেখায় আমি লিখেছিলাম [৪]:
"ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ছয় হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। লাটভিয়ায় ‘লিভোনিয়ান’ ভাষায় কথা বলেন এমন একজনই মাত্র জীবিত ছিলেন, তিনি মারা গেলে সেই ভাষারও মৃত্যু হবে। এটা ২০০৯ সালের কথা, এরিমধ্যে তিনি মারা গেছেন কিনা আমি জানি না।
আলাস্কার ‘আইয়াক’ ভাষা জানা শেষ ব্যক্তিটি মারা যান ২০০৮ সালে। তাঁর সঙ্গেই মৃত্যু হয় ‘আইয়াক’ ভাষার।
৮৫ বছর বয়সী 'বার সর' ছিলেন ভারতীয় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের ৮০টি আদিবাস গোষ্ঠীর সবচেয়ে বৃদ্ধ সদস্য এবং ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মৃত্যুর আগে তিনি ছিলেন এই আদি ভাষা জানা সর্বশেষ ব্যাক্তি!
যে আড়াই হাজার ভাষা এই গ্রহ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে আমাদের বাংলা ভাষাও থাকতে পারত কিন্তু আমাদের অপার সৌভাগ্য, আমাদের বাংলা ভাষা যে কেবল টিকেই আছে এমন না, আছে সদর্পে, সীমাহীন গৌরবে! এটাই আমাদের শক্তি এবং এই শক্তিতে ভর করে আমরা আমাদের ভাষার প্রতি অবজ্ঞা করার সাহস দেখাই।
বাংলা নামের আমাদের মায়ের ভাষা- এটা তো আর আমরা এমনি এমনি পাইনি, কেউ আমাদেরকে এটা মুফতে-দানে দেয়নি। এর জন্য আমরা কেবল দিনের-পর-দিন, মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর ধরেই লড়াই করিনি; লড়াই করেছি যুগের-পর-যুগ ধরে!
এই দেশের অসংখ্য সেরা সন্তান তাঁদের রক্ত অকাতরে বিলিয়ে গেছেন আমাদের ভাষার জন্য। আমাদের লেখার কালির সঙ্গে মিশে আছে তাঁদের স্বর্গীয় রক্ত। জান্তব স্বপ্ন নামের সেই মানুষগুলোর অনেকেই আজ নেই কিন্তু তাঁদের মায়াভরা সুশীতল ছায়া ছড়িয়ে আছে আমাদের মাথার উপর। তাঁদের ছায়ার পাশে যখন আমার মত অভাজন দাঁড়াই তখন নিজেকে কী ক্ষুদ্র, লজ্জিতই না মনে হয়। নতচোখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে না থেকে তখন কোন উপায় থাকে না- তাঁদের চোখে চোখ রাখি কেমন করে?"
ডয়চে ভেলের কাছে [৫] একজন ভাষা আন্দোলনকারী মোহাম্মদ আফজাল তাঁর কষ্ট ব্যক্ত করেন এমন করে:
"...বর্তমানে বাংলা ভাষায় অনেক পরিবর্তন দেখছেন মোহাম্মদ আফজাল৷ এই ভাষা আন্দোলনকারী পরিবর্তনকে সমর্থন করেন৷ তবে, হতাশ হন যখন বাঙালির বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রেও ইংরেজি ভাষার দেখা পান৷ তাঁর কথায়, বাংলা ভাষায় কথা বলার, লেখার এবং সবকিছু করার প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে৷ কিন্তু উচ্চবিত্তদের মধ্যে বাংলা ভাষার ব্যবহারের ঘাটতি আছে, বরং সন্তানদের ইংরেজি মিডিয়ামের পড়ানোর দিকেই তাদের আগ্রহ বেশি৷ ইদানিং আবার বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রেও ইংরেজি ভাষা চালু হয়েছে৷ এটা খুবই খারাপ প্রবণতা৷"
এখানে আমি জনাব আফজালের সঙ্গে খানিকটা অমত পোষণ করি। কেবল উচ্চবিত্তরাই তাদের সন্তানদের ইংরাজি মিডিয়াম স্কুলে পড়াতে ব্যগ্র না, এই মিছিলে যোগ দেন মধ্যবিত্তরাও!
একজন ডাক্তার তাঁর সাড়ে তিন বছরের সন্তানকে ভর্তি করাতে গিয়ে জটিলতায় পড়েন কারণ হাতের নাগালে প্রায় সব স্কুলই ইংলিশ মিডিয়াম।
তো, এক ইংরাজি মিডিয়ামের স্কুল চালান এক ভদ্রমহিলা, ওই স্কুলে যাওয়ার পর এই স্কুল নিয়ে অহংকার প্রকাশ করতে গিয়ে ওই মহিলা ফট করে বলে বসেন, 'আই নেভার অ্যালাউ বেঙ্গলি ইন মাই স্কুল'। এই সব মানুষদের ঘাড় ধরে এই দেশ থেকে বের করে দেয়াটা জরুরি।
যাইহোক, ডাক্তার সাহেব এখন যে স্কুলে তার সন্তানকে ভর্তি করিয়েছেন এটা চালান মুনীর চৌধুরীর বোন। এইটুকুন বাচ্চা, এই বয়সীদের এখানে অবশ্য পড়ার চাপ নেই, খেলাই মূখ্য। এই তর্কে আমি যাব না সাড়ে তিন বছরের সন্তানকে স্কুলে দেয়ার অর্থ হচ্ছে তার কাছ থেকে শৈশব ছিনতাই করা। ডাক্তার দম্পতি একজন ছিনতাইকারিও বটে। অবশ্য এই ডাক্তার মানুষটা একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই ডাক্তার, যতক্ষণ এই শিশুটি স্কুলে থাকে ততক্ষণ তাদের সময়ের সুবিধে হয়। বেশ, কিন্তু এটা তাঁদের বক্তব্য, আমার না। আমার সাফ কথা, ছিনতাইকারি ছিনতাইকারিই...।
যাকগে, এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত, সুবিধা। কিন্তু এই মানুষটা একটা বিষয়ে হতভম্ব হন। মুনীর চৌধুরীর যে বোন এই স্কুলটা চালান তিনি ওই স্কুলে অযথাই ছোট-ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে ইংরাজি খই ফোটান, অনর্গল ইংরাজিতে কথা বলেন যার আদৌ প্রয়োজন নাই। তাঁর এই আচরণ ডাক্তার সাহেবকে যতটা হতবাক করে আমাকে খুব একটা স্পর্শ করে না কারণ আমরা এমনই। মুখে আমরা যত লম্বা লম্বা কথা বলি আসলে আমাদের নিজেদের ভাষার প্রতি দরদের নমুনা এমনটাই!
ইনি তো মুনীর চৌধুরীর বোন, স্বয়ং মুনীর চৌধুরীকে নিয়ে আহমদ শরীফ লিখেছিলেন, "বেসরকারী সর্বক্ষেত্রে বাঙলা ব্যবহারের উচিত্য ও প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে মুনীর চৌধুরী এক সভায় বক্তৃতা দিয়ে আমার সঙ্গে ফিরছিলেন। আমি কথা প্রসঙ্গে তাঁকে বললাম, 'বাঙলার পক্ষে তো জোরালো বক্তৃতা দিয়ে এলেন কিন্তু নিজের সন্তানদের তো ইংরাজী মাধ্যম স্কুলে পড়াচ্ছেন'।
উত্তরে মুনীর চৌধুরী বললেন, 'পাগল নাকি, আমার নিজের সন্তানের সর্বনাশ করব নাকি'!" (ভাব-বুদ্বুদ, আহমদ শরীফ, পৃষ্টা নং: ১১৩/ ১১৪)
আ মরি বাংলা ভাষা! বেচারা, অভাগা বাংলা ভাষা...!
সহায়ক সূত্র:
১. ইংরাজি ভাল না-জানলে শূলে চড়বে: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_9242.html
২. ইংরাজি অনুবাদ: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_27.html
৩. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_8885.html
৪. বৈদেশ পর্ব, পনেরো: http://www.ali-mahmed.com/2010/10/blog-post_4123.html
৫. মোহাম্মদ আফজাল, ডয়চে ভেলে: http://www.dw-world.de/dw/article/0,,14844526,00.html?maca=ben-standard_feed-ben-615-xml