আসলে দূর থেকে সবই আলো এর পেছনের ছায়া-অন্ধকার আমাদের চোখে পড়ে না। শিশুটিকে নিয়ে আমার দেয়া পোস্ট পড়ে অনেকের ধারণা হবে, আরে, এই পোস্টদাতা মানুষটা তো মন্দ না। তাঁদের মুখের সামনে বুড়ো আঙ্গুল তুলে আমি বলি, কচু!
এই শিশুটি আমার এখানে খুব একটা আরামে নাই। বেশ খানিকটা অন্য রকম (মানসিক প্রতিবন্ধী) এই শিশুটির ভাষা আমরা বুঝি না, এ কথা বলতে পারে না। কেবল এর যখন খুব কষ্ট হয় তখন মুখ দেখে খানিকটা আঁচ করা যায়।
এর পেছনে পুরোটা সময় আমরা দিতে পারছি না। আজ সকালে দেখলাম, এর দাঁতে রক্ত; কোন ভাবে ব্যথা পেয়েছে কিন্তু এক ফোঁটা কাঁদেনি। কোথায় কিভাবে ব্যথা পেয়েছে এটাও বলতে পারেনি।
এর আচরণে অনুমান করি, শিশুটি বাবা-মার কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছুটা সময় একে দিয়ে ভিক্ষা করানো হয়েছে। এর ভুবনটা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে আছে।
এখন এ আমাদেরকে এলোমেলো করে দেয়ার চেষ্টা করছে।
এর পায়খানা-পেশাবের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নাই, গভীর রাতে জামা-কাপড় সব ভরিয়ে ফেলছে। মাঝরাতে কাউকে না কাউকে এই বাচ্চাটার গু পরিষ্কার করতে হচ্ছে। এ কখনো গু-মুত সহ হাঁটাহাটিঁ করতে গিয়ে ঘরময় নোংরা করছে। এভাবে কয় দিন?
সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হচ্ছে অস্বাভাবিক এমন একটা শিশুকে লালন-পালন করার পর্যান্ত জ্ঞান আমাদের নাই! যা আছে তা কেবল একগাদা অর্থহীন আবেগ!
এর জন্য প্রয়োজন আলাদা একটা আবাস, সার্বক্ষণিক পরিচর্যাকারি। এটা এফোর্ট করার মতো ক্ষমতা আমাদের নাই।
একটা শিশু আমাদের সাজানো সময়টাকে তছনছ করে দিচ্ছে। তারচেয়েও ভয়াবহ ব্যাপারটা হচ্ছে, শিশুটি আমাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে! এই শিশুটি আমার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পশুটাকে বার করা জন্য আপ্রাণ চালিয়ে যাচ্ছে। পশুটা বার হলে কি হবে? অনর্থ হবে! তখন কি আমি একে স্টেশনে রেখে আসব? এই জায়গায় এসে পৃথিবীর বড়ো বড়ো মানুষরা চিল চিৎকারে আরশ কাঁপিয়ে ফেলতেন, না-আ-আ-আ, আমি এটা কখনই করব না। কাভি নেহি!
কিন্তু আমি অতি সামান্য একজন মানুষ বলেই আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমি জানি না। সময় আমাকে নিয়ে কী খেলা খেলবে এটা আমার জানা নাই। আসলে আমরা কেবল আলোর খোঁজই রাখি, অন্ধকারের খোঁজ রাখার ক্ষমতা কই আমাদের!
*ছবিটা কী চমৎকার, না? দেখে অনেকের মনে হতে পারেন শিশুটিকে মখমল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। সদয় অবগতি, এটা একটা বাতিল জ্যাকেট। জ্যাকেটটা ফেলে দিতে পারলে বেঁচে যাই ,এমন।
(কেউ বলছিলেন, আমি নাকি প্রথম আলো বিদ্বেষী। তার এটা বলার কারণ হচ্ছে প্রথম আলোকে নিয়ে আমি বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছি। এই পত্রিকাটির প্রতি অহেতুক আমার বিদ্বেষ আছে এমন না। বাসায় প্রথম আলো রাখা হয়, বিবিধ কারণে। 'নকশা' পাতাটা আমি সর্দি মুছে ফেলে দেই কিন্তু একজনের আবার এটা না হলে চলে না।
এক-দু পয়সা না, ৮০০ পয়সা ফি-রোজ ঢালা হয় পত্রিকাটার পেছনে; ৮০০ পয়সা উসুল না-হলে এ নিয়ে বলা যেতেই পারে। পাঞ্জাবিটা যখন নিজের তখন এটায় ছোপ ছোপ দাগ সহ্য হবে কেন, এই পত্রিকাটা পড়া হয় বলে এর অসঙ্গতিগুলো বড়ো চোখে পড়ে। এদের অসহ্য কিছু ফাজলামি সহ্য হয় না।
আজকের 'ছুটির দিনে' সুমনা শারমিন 'ক্ষিধে পেটে ঘুম' শিরোনামে মর্মস্পর্শি একটা লেখা লিখেছেন। অন্য কোন এক দিন প্রথম আলোতে ছাপা একটা ছবি নিয়ে, মাটিতে এক শিশু শুয়ে আছে। যতটুকু জানি সুমনা শারমিন প্রথম আলোর বড়ো কর্তাগোছের একজন।
টাচি কথাবার্তা। সুমনা শারমিনের আবেগ নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই। তবে এই লেখাটা সাধারণ পাঠক পড়ে আহা-উহু না করে থাকাটা তাদের জন্য দায় হয়ে পড়বে। মনে মনে এটা না বলেও তাদের উপায় থাকবে না, আহা রে, এই পরতিকাটার পাতায় পাতায় কী মায়া গো ! আহারে মায়া, চোখের জলে ভিজে যায় পাতা, ভেজা পাতা উল্টানো যায় না এমন!
৪ বছরের শিশুটিকে নিয়ে লিখেছিলাম। এই শিশুটির নিখোঁজ সংবাদ ছাপাবার জন্য এলাকার প্রথম আলোর প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেছিলাম। যথারীতি অন্য পত্রিকায় ছাপা হলেও এটায় ছাপা হয়নি। প্রতিনিধি ছেলেটির দোষ দেই না, এর ক্ষমতাই কতটুকু! এ প্রথম আলো অফিসে পাঠিয়েছে কিন্তু অফিস গা করেনি। আমি খুব একটা হতাশ হইনি কারণ এমনটিই হওয়ার কথা। একটা মানব সন্তানের জন্য এই পত্রিকায় স্পেস কোথায়? কোন নেতা কী রঙ্গের শাড়ি পরেছেন, কালার কি এটা ছাপানো যে খুব জরুরি! ব্যাঙ বাবাজীর বিয়ের খবর প্রথম পাতায় চলে আসে, স্পেস কোথায় বাওয়া?
ম্যান, বিজিনেস, নাথিং এলস!
কিন্তু যখন 'ক্ষিধে পেটে ঘুম' টাইপের লেখাটা পড়লাম তখন কেবলই মনে হচ্ছিল গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করে দিতে পারলে আরাম পেতাম। ফাজলামির একটা সীমা থাকা প্রয়োজন।)
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Sunday, December 27, 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
2 comments:
বস, গান বাদ্যটা কোনভাবে বাদ দেওয়া যায় না ? অজায়গা কুজায়গায় আপনার সাইট খুললে কেলেংকারির ব্যাপক সম্ভাবনা । আমার ঐদিক্টায় একটু ঘুরনা দিয়ে আইসেন ।
সমস্যাটা আমি বুঝতে পারছি, গুরুতর সমস্যা।
অটো-স্টার্টটা বাদ দিয়েছিলাম। তারপরও এটা যে নিজে নিজে বাদ্য বাজিয়ে যায় এটা আমার জানা ছিল না কারণ আমার এখানে কিন্তু অটোস্টার্ট নাই, বাদ্য বাজাও বললে বাজে, তমিজ মেনে চলে। অন্যত্র এটা যে তমিজ মানছে না এটা সত্যি জানা ছিল না!
যাগ গে, এটা জরুরি কিছু না। বাদ্য বন্ধ, টাকা-পয়সা চুকিয়ে বিদায় করে দিলাম। বাদ দিলাম।
হাসিব, থ্যাংকস ব্রো, সমস্যা ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
Post a Comment