Search

Monday, June 30, 2008

শাসক!

বাংগুরাদেশের এক শাসক। এই শাসক সাহেব ছিলেন আবার খুবই পীর ভক্ত। তিনি আটরশির পীরের দরবারেই গেছেন ১০০ বার, ফল কি পেয়েছেন, তিনিই ভাল বলতে পারবেন!

একসময় মনের দুঃখে খানিকটা পাগলা পানি খাওয়া শুরু করলেন। আটরশিকে বাদ দিয়ে দশরশি নামের একজন পীরের কাছে যাতায়ত শুরু করলেন। দশরশির পায়ে আছড়ে পড়লেন।


শাসক: বাবা, মনে শান্তি নাই!
দশরশি: থাকব কেমনে, তোরে আটরশি খাইছে! বেটা, তুই কি পিসাব খায়া আইছস, পিসাবের গন্ধ পাইতাছি!

শাসক: বাবা, পিসাব না একটু পাগলা পানি দিয়া কুলি করছিলাম। হইছে কি সকালে তো ওঠছি দেরীতে। চোখে জানি কি সমস্যা হইছে রাতে খালি ব্লু  দেখি- সবই নীল, ছবিও নীল! হা হা হা, কী তামশা ছবিও ব্লু  হয়া যায়! তো, রাতে ঘুমাইতে ঘুমাইতে দেরী হয়া গেল। সকালে তো ওঠছি দেরীতে, তাড়াহুড়া কইরা রুটি খাইতে গিয়া গলায় আটকায়া গেছিল। কী করি-কী করি, পাগলা পানি দিয়া একটু, হে হে হে।
দশরশি: বেটারে, বুজছি-বুজছি, আর কইতে হইব না, ইতা কইরা কুনু লাভ নাই! তুই ইয়ের মধ্যে মান্ডার তেল মালিশ করিস, ফল পাইবি। ইনশাল্লাহ, তোর পুলাপাইন হইব।

শাসক: বাবা, আচানক কথা, আপনি জানেন না? আমার এক ছেলে আছে (দ্বিতীয়টির কথা তিনি বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন)।
দশরশি (দাড়িতে হাত বুলিয়ে অমায়িক হাসলেন ): নারে, বেটা, তোর কুনু পোলাপাইন নাই।

শাসক: বাবা, এইটা কি কন! ইয়ে মানে আসলে...আসলে আপনার কাছে গোপন করছিলাম, আমার একটা না দুইটা ছেলে ।
দশরশি: ওইটা তুই ভাবতাছস, আসলে তোর কুনু সন্তান নাই! কারণ...।

সদয় অবগতি: এই পোস্টের সঙ্গে ভুল ছবি চলে গেছে বলে অমায়িক দুঃখ প্রকাশ করি।

*শুভ'র ব্লগিং বই থেকে

1 comment:

Anonymous said...

চাচারে নিয়ে টানাটানি শুরু করলেন!! আপনাদের যন্ত্রণায় ইয়াং বউটারে পর্যন্ত ছাড়তে হলো তাকে! হায়রে চাচা!! চাচা কই?