Search

Friday, June 26, 2015

নিতান্তই গৃহপালিত...!

একজন ‘কায়কাউসের ছেলে’ নামে একটা জিনিস প্রসব করেছিল। কে পুরীষ প্রসব করবে কে করীষ এটা যার যার অভিরূচি! এই নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল না কিন্তু তবুও তখন লিখেছিলাম [১], কেন?
কেবল একটা উদাহরণ এখানে দেই- অহেতুক রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যে ভঙ্গিতে লেখা হয়েছে এই লেখার পেছনের মানুষটাকে আমার মনে হয়েছিল ইতরবিশেষ! আর এই ইতরকে প্রথম আলো ‘জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার’-এর নামে যেভাবে জন্তু থেকে মানুষের ভুবনে নিয়ে এসেছিল এটাকে আমার কাছে মনে হয়েছিল স্রেফ ইতরামি।
আচ্ছা, এই ইতর যেভাবে রবীন্দ্রনাথের নাম ব্যবহার করেছে সেই নামের স্থলে প্রথম আলোর সর্দারদের কারও নাম বসিয়ে দিলে কেমন হয়?

আসলে প্রথম আলোর যে শ্লোগান “...চোখ খুলে দেয় প্রথম আলো”, আমার ধারণা ছিল প্রথম আলো এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করে। ওরে, আমি কী জানি ছাই এটা বলে সত্যি-সত্যি আমাদের চোখ খুলে ফেলার কথা বলা হচ্ছে। চোখ উপড়ে ফেলে আমরা অন্ধ- তখন প্রথম আলো আমাদেরকে হাতে ধরে ধরে শেখাবে এটা, এটা একটা ‘করীষের ছেলে’!

ওরে কত রঙ্গ রে! এরপর আমরা প্রথম আলোর বিজ্ঞপ্তি থেকে জানলাম, “সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা প্রথমা প্রকাশন ঘোষিত এ বছরের ‘জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার ১৪২১’ বাতিল করা হয়েছে। ... পুরস্কারের শর্ত ছিল, পাণ্ডুলিপিটি প্রথমা থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবে।... বই প্রকাশের আগেই পাণ্ডুলিপিটির উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় এ পুরস্কার বাতিল করা হয়েছে বলে প্রথমা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শিগগিরই ‘জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার ১৪২২’-এর জন্য নতুন করে পাণ্ডুলিপি আহ্বান করা হবে।...”।
(প্রথম আলো ১৬ জুন ২০১৫)

শর্ত ছিল? কী আজব শর্ত রে, বাবা! আমার তো ক্যামেরুনের বাফুট প্রদেশের রাজাটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এই রাজার ১০০ বউ ৫০০ বাচ্চা! মজার ব্যাপার হচ্ছে রাজা হওয়ার আগে তার ছিল মাত্র ২ বউ। ওই দেশের নিয়ম হচ্ছে রাজা হতে হলে আগের রাজার সবগুলো বউ-বাচ্চাকে নিজের বউ-বাচ্চা বলে স্বীকার করে নিতে হয়।
শর্ত বলে কথা!
তো, কী আর করা দ্য কাউ- গৃহপালিত সাহিত্যিকগণ কলম দিয়ে যখন পশ্চাদদেশই চুলকাবেন তাহলে সানন্দে মেনে নিন এই শর্ত।

এমনিতে কাউকে পুরস্কার দিয়ে সেটা ফিরিয়ে নেওয়ার এই ভঙ্গিটা অদ্ভুতুড়ে নাকি কুতকুতে সে প্রসঙ্গ নাহয় থাকুক তবে...। ‘পুরস্কারের শর্ত ছিল, পাণ্ডুলিপিটি প্রথমা থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবে’। তা শর্ত ভঙ্গ হয়েছে? বেশ তো, শর্ত ভঙ্গ করায় প্রথমা থেকে প্রকাশিত হবে না এটা বলাটাই যে সমীচীন ছিল।
প্রথম আলো বিভিন্ন পেশার লোকজশনকে পোষে এটা আমরা জানতাম কিন্তু সাহিত্যিক পোষার শখ যে এমন তীব্র এটা আমাদের জানা ছিল না।

সহায়ক সূত্র:
১. কুতুয়া রে: http://www.ali-mahmed.com/2015/01/blog-post_27.html

Thursday, June 25, 2015

সৈয়দ মহসীন আলী, মন্ত্রীমহোদয়, করকমলেষু।

আমাদের মন্ত্রীমহোদয় একে-ওকে এন্তার কথা বলেন আমাদের জানার উপায় নেই কিন্তু সাংবাদিক মহোদয়কে 'চরিত্রহীন, লম্পট' বলেছিলেন, সাংবাদিক মহোদয়গণ চটে গেলেন।

ফাঁকতালে আমরাও জেনে গেলুম।



হালে সংসদভবনে মন্ত্রীমহোদয় গান গাইলেন। এমনিতে এই সরকারী ভবনটার তো ভাড়া-টাড়ার বালাই নেই! সরকারীভবনে বিদ্যুতবিল দেওয়া লাগে না, ক্যান্টিন ফ্রি- খরচ তেমন আর কীই-বা! তো, এখানে কেউ গান গাইলে সমস্যা কোথায়?
এমনিতে আমি বিভিন্ন সময় লিখে থাকি, প্রত্যেক জায়গার একটা নিজস্ব ভাষা আছে। গুরুগম্ভীর কোনও আলোচনায় কেউ টেবিলে উঠে ‘ধুম মাচা দে’ গেয়ে উঠলে ভাল দেখায় না ...। এখন আর এটা লেখার যো রইল না, বুঝলেন? কেবল ভালই দেখায় না, অতি উত্তম দেখায়। কেন বলছি।
স্পিকার মহোদয়কে দেখলাম সমাজকল্যাণমন্ত্রী অন্য মন্ত্রীদেরকে ভাই বলায় এই ‘ভাই’ শব্দটা এক্সপাঞ্জ করেছেন অথচ গান এক্সপাঞ্জ করেননি কারণ এটা এক্সপাঞ্জ করার মত বিষয় না। আমাদের দূর্ভাগ্য, সংসদসদস্যদের মধ্যে কোনও নৃত্যশিল্পী নেই!

অল্প দিন পূর্বে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নাকি এক সভায় বলছিলেন তাঁর ‘সিগারেট খাওয়া’ প্রসঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘তাঁর পোয়া’ পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে কিন্তু মুখ খুলেনি বলে তিনিসহ প্রচুর মুক্তিযোদ্ধা প্রাণে বেঁচে যান। পরে সেই পোয়াটাকে পাকবাহিনী মেরে ফেলে। এই বেদনায় সেই যে তিনি সিগারেট খাওয়া ধরলেন আজও স্টিম ইঞ্জিনের মত ভকভক করে ধোঁয়া ছাড়ছেন যত্রতত্র।
এখন আজেবাজে নিউজপোর্টালে এই ভুবনটা ভরে গেছে। তাই এমনই এক পোর্টাল থেকে আগত এই খবরটা নিয়ে গা করার কিছু ছিল না। এরিমধ্যে কেউ-কেউ বিস্তর আঁক কষে দেখিয়ে দিলেন যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল তখন আমাদের সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর বয়স ছিল তেইশ বছর! অতএব...।

এদিকে এই তথ্যে আবার অনেক স্থানে কান্নার রোল পড়ে গেল। আহা-আহা, মানুষটা বুকে পাথর বেঁধে সিগারেটের উপরই বেঁচে আছেন। একজন তো এমন একটা লেখা লিখলেন তিনি মন্ত্রী মহোদয়ের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে পূর্বে যেসমস্ত লেখাগুলো লিখেছেন তা লিখে ভারী অন্যায় করেছেন ভবিষ্যতে আর এমন অন্যায় করবেন না। ওই ভদ্রলোকের লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল পারলে তিনি উড়োজাহাজের চাকার নীচে হাত রেখে বিচ্ছিন্ন করে ফেললে খানিকটা আরাম পাবেন।
পরে অবশ্য মন্ত্রীমহোদয়ের বিষয়টা ‘কিলিয়ার’ হলো! তিনি তাঁর পোয়া বলতে সহযোদ্ধার কথা বলেছেন। যে সহযোদ্ধাকে তিনি বড়ো ‘ছেনেহ’ করতেন।

যাই হোক, মন্ত্রীমহোদয়ের প্রসঙ্গ থাকুক। এবার অন্য প্রসঙ্গ-‘একালের কলম মুক্তিযোদ্ধাদের’ সঙ্গে আমার খানিকটা দ্বিমত আছে। আমার বক্তব্য ১৯৭১ এবং ২০১৫ এক না- যেটা আমি এক লেখায় লিখেছি, '১৯৭১ সাল এবং ২০১৪ এক না' [১]
আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করি, এই দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা কী অবলীলায়ই-না অন্যের জমি অন্যায় ভাবে নিজ দখলে রাখেন।
এখন এই নিরেট সত্যটা কি আমরা চেপে যাব? কোনও মুক্তিযোদ্ধা অন্যায়-অপরাধ করলে সেটা কি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ বলে গণ্য হবে না? আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ফ্যাক্ট, ফ্যাক্টের সঙ্গে ফ্যান্টাসি মেশাব কেন আমরা?

সালটা সম্ভবত ২০০৬ হবে। ব্লগস্ফিয়ারে তখন মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে লিখি। মুক্তিযুদ্ধে একজনের কথা লিখতে গিয়ে সব লিখলাম কেবল এই জায়গাটা চেপে গেলাম, পাকবাহিনীর ভয়ে তিনি বাথরুমে লুকিয়েছিলেন। কিন্তু অরূপ কামাল ঠিকই চেপে যাওয়া অংশটা তুলে দিলেন। সেই দিনই এটা শিখলাম সত্যকে সত্যের মতই থাকতে দিতে হয়, এটাই সত্যের জোর- প্রকারান্তরে সত্যকে গোপন করাটাও এক প্রকারের অন্যায়। সত্যের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করলে সত্যের জোরটা নড়বড়ে হয়ে যায়।

* আজ পত্রিকা থেকে জানলাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৬ জুন ২০১৫, পৃ: ১১), "...সর্বশেষ ১০ জুন জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে সম্বোধন না করায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন...।" 

সহায়ক সূত্র:
১. ১৯৭১ সাল এবং ২০১৪ এক না: http://www.ali-mahmed.com/2014/03/blog-post_7.html 

Thursday, June 18, 2015

লাখের বাতি- লাখ টাকার প্রিন্স!

আগেকার সময়ে লোকজন লাখপতি হলে নাকি লাখের বাতি জ্বালাতো। এখন তো আর সেই দিন নাই রে, বাপু। এখন লাখপতি হলে লোকজন প্রিন্স হয়ে যায়। বাংলাদেশের ব্যাংকে নাকি প্রিন্স মুসার লাখ টাকা আছে! আজকাল ছিনতাইয়ের যে ভয় লোকজন ভয়ে অন্তর্বাসের ভাঁজে ‘ট্যাকাটুকা’ রাখে। মুসা সেই ঝুঁকি নেননি, তিনি ব্যাংকে রেখেছেন। মুসার বুদ্ধির আমি তারিফ করি।

এই মুসার কথা আমি জেনেছিলাম, সালটা ঠিক মনে নেই। তখন সবেধন নীলমনি ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলতে বিটিভি। বিটিভিতে মুসার একটা সাক্ষাৎকারের মত নিচ্ছিল। ফাঁকে ফাঁকে মুসার এটা-সেটা দেখাতে দেখাতে তার জুতার কালেকশন দেখানো শুরু করল। তখন তো আর লেখালেখি করি না যে লিখে রাগ কমাবো। সাদাকালো ফিলিপস ২০ ইঞ্চি টিভির স্ত্রিণে টিস্যু ছুড়ে মেরেছিলাম মনে আছে। টিস্যুর সঙ্গে ‘থুক’ ছিল এটা এখানে উল্লেখ করাটা জরুরি না। শক্ত কিছুই হয়তো ছুড়তাম কিন্তু টিভিটা আমার ছিল না, ছিল আমার বাপের। সাহস হয়নি!

যাই হোক, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ক্ষেপে চটে গেলেন। চটে গিয়ে চটি নিয়ে এলেন। হুবহু মনে নেই অনেকটা এমন; গুছিয়ে যেটা বলছিলেন যেটা হচ্ছে, ‘বিটিভি কি আমার ছেঁড়া চটিটা দেখাবে টাকা যা লাগে দেব’।
সেই প্রথম মুসা স্যারের সঙ্গে আমার ‘চিনপরিচয়’। এরপর ‘চিত্রবাংলা’ নামের আউলা-ঝাউলা টাইপের একটা পত্রিকায় মুসা মহোদয়ের বিশদ কাহিনী এই আছে-সেই আছে পড়লাম। সেখানে এটাও পড়েছিলাম প্রিন্সেস ডায়না নাকি মুসার জন্য পাগল ছিলেন। পাগল না হয়ে উপায় আছে যা একখান ‘পিগার’ রে মাইরি! তখন মুসাকে নিয়ে লিখেছিলাম [১]
মুসা একটা আবদার করেছিলেন তার পরিবারকে ‘সেভেন স্টার ফ্যামেলি’ আখ্যা দেওয়া হোক [২]

হালে মুসার সাহেবের একটা ভিডিও দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। সেই ভিডিওটার শুরু হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। তারপরই বলা হচ্ছে দেশ স্বাধীন হলো, মুসা মিয়া দেশের হাল ধরলেন বৈদেশে লোক পাঠিয়ে [৩]
থাকুক সেসব পুরনো কথা। নতুন কথা হচ্ছে ফেসবুকে একটা ইভেন্ট খোলা হয়েছে মুসা লোকজনের সঙ্গে দেখা করবেন। দেখা করবেন ৭ আগস্ট অথচ এখন পর্যন্ত ২৩৪০১ জন দেখা করার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। আমি যখন লেখাটা লিখছি এই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে বলেই অনুমান করি। আগস্ট মাস আসতে আসতে সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বঙ্গাল বলে কথা! মুসার অনুরক্ত লোকজনেরা মুসাকে ১ টাকা করে দিয়ে আসলেও মুসা অনায়াসে ‘ক্রোড়পতি’ বনে যাবেন। তখন মুসাকে আমরা ‘কুটিপতি’ বলে সম্বোধন করব। ‘মুসা বান গিয়া ক্রোড়পতি’...।

সহায়ক সূত্র:
১. যাত্রার প্রিন্স: http://www.ali-mahmed.com/2013/07/blog-post_2395.html
২. সেভেন স্টার ভাঁড়: http://www.ali-mahmed.com/2011/01/blog-post_08.html
৩. একজন নুলা মুসা এবং আমাদের মিডিয়া: http://www.ali-mahmed.com/2014/12/blog-post_19.html

Wednesday, June 17, 2015

পতাকা, তোমায় দিলাম মুক্তি!

আলবদর সম্পর্কে দৈনিক সংগ্রাম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ এ লিখেছিল, “আলবদর একটি নাম। একটি বিস্ময়! আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা! যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী আলবদর সেখানেই। যেখানেই দুস্কৃতিকারী, আলবদর সেখানেই। ভারতীয় চর কিংবা দুস্কৃতিকারীদের কাছে আলবদর সাক্ষাৎ আজরাইল!

মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ জানান, “আলবদররা যখন পালিয়ে যায় তাদের হেডকোয়ার্টার থেকে পাওয়া যায় বস্তা বোঝাই মানুষের চোখ- এই চোখগুলো যে বাঙ্গালীদের এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই”।
( দৈনিক পূর্বদেশ, ১৯ জানুযারী, ১৯৭২)

এই আলবদরপ্রধান মুজাহিদ। দেশ স্বাধীন হলো। কেউ বুকে হাত দিয়ে বলুক, কেউ কী কল্পনাও করতে পেরেছিল, এই বদরপ্রধানের গাড়িতে পতপত করে এই স্বাধীন দেশের পতাকা উড়বে? আমার কাছে তো মনে হয় এটাই এক অলীক, এটাই এক বিস্ময়- যেটা আজগুবি কোনও মুভিতেও অবাস্তব মনে হবে। অথচ এটাই বাস্তব।
হায় পতাকা, হায়!

যাও পতাকা, আজ তোমায় দিলাম মুক্তি...। 

মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের সেরা সন্তানদের খুন হওয়ার পেছনে আল বদরের নাম সরাসরি জড়িয়ে আছে। কয়টা কথা বলা যাবে এখানে?
১.  নিধন: শহীদুল্লাহ কায়সার: http://www.ali-mahmed.com/2010/10/blog-post.html
২. নিধন:অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী: http://www.ali-mahmed.com/2010/10/blog-post_03.html
. নিধন: ডাক্তার আলীম: http://www.ali-mahmed.com/2010/10/blog-post_02.html
. নিধন: ড. আবুল খায়ের: http://www.ali-mahmed.com/2010/10/blog-post_06.html
. আনোয়ার পাশা, রাশীদুল হাসান: http://tinyurl.com/pech3ad

*আর যারা এটা পূর্বে দেখেননি তাদের জন্য মওদুদির ছেলের ভিডিওটা এখানে দিয়ে রাখছি। যেখানে সে স্পষ্ট করে বলেছে আল বদর, আল শামস ১৯৭১ সালে কেমন নৃশংসতা চালিয়েছিল! ভিডিও ১ [*]:
এখানে সাক্ষাৎকারে মওদুদীর ছেলে হায়দার ফারুক মওদুদি বলছেন, "...আমরা নয় ভাই-বোন। কিন্তু আমার বাবা (মওদুদি) কখনই চাননি আমরা কেউ জামাতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত হই। একজন ড্রাগ ডিলার যেমন তার ড্রাগের প্যাকেট বাড়ির বাইরে রেখে আসে তেমনি আমার বাপও জামাতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগসূত্র বাসায় ভেতরে আসতে দিতেন না।..." ...ভিডিও ২ [*]:
জামাতে ইসলামীর জনক মওদুদীর ছেলের সাক্ষাৎকার থেকে আমরা আরও জানতে পারি, "...এবং কেমন করে আইএসআই এর সহায়তায় এই দেশে আল-বদর আল-শামস সৃষ্টি করা হয়েছিল। ওরা কেমন হিংস্র ছিল! খুররম মুরাদের প্ররোচনায় একেক লাইনে ১৫জন করে বাঙালিকে দাঁড় করিয়ে কেমন করে পাখির মত গুলি করে মারা হয়েছিল! লিংক: http://www.ali-mahmed.com/2013/07/blog-post_5646.html
... 
(ভাল কথা, মুজাহিদের গাড়িতে পতাকা উড়ছে এমন ছবি কারও কাছে থাকলে দয়া করে কি শেয়ার করবেন। এখন খুঁজে পাচ্ছি না, ছবিটা প্রয়োজন। )

Saturday, June 13, 2015

পিঁপড়া সমাচার।


আজকের অতিথি-লেখক, Adil Abir
এমনিতে তিনি নিজেকে অজ্ঞান পার্টির সদস্য বলে দাবী করে থাকেন। লোকজনকে অজ্ঞান-করা বিষয়ে তিনি সিদ্ধহস্ত কিনা জানা নেই (অজ্ঞান করার পর অপারেশন টেবিল থেকে তাঁর হাত ফসকে কেউ পালিয়েছে এমনটা শোনা যায়নি) কিন্তু বিচিত্র বিষয় নিয়ে লেখার জন্য তিনি সিদ্ধহস্ত। তিনি জানাচ্ছেন:

▪ সবচেয়ে বড় সাইজের ant হল : Elephant.
▪ সবচেয়ে মেধাবী ant কে বলা হয়: Brilliant
▪ যে ant সুন্দর পোষাক পরে থাকে : Elegant
▪ টাকা পয়সার হিসাব রাখে যে ant : Accountant
▪ Ant ইন আ রিলেশনশিপ উইথ Tics : Antics
▪ Ant কে সুস্থ করার জন্য যে ওষুধ : Antibiotic
▪ যে ant এর বয়স ১০০ বছরের বেশী : Antique
▪ Ant এর টুকরা : Remnant
▪ জমাট বাধা ant : Coagulant
▪ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে যে ant: Sergeant
▪ দেশের ভিতর বিদেশী ant : Immigrant
▪ মা হতে চলেছে যে ant : Pregnant
▪ Ant এর বাচ্চা: Infant
▪ বিরক্তিকর ant: Irritant
▪ জঙ্গি ant: Militant
▪ জোড়া বেধে চলে যে ant: Concomitant
▪ সাহায্যকারী ant : Assistant
▪ সন্তান জন্ম দানে অক্ষম যে ant: Impotant
▪ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ant: Important
▪ সেনাবাহিনীতে চাকরী করে যে ant: Lieutenant
▪ Ant -এর খাবার বিক্রি হয় যেখানে: Restaurant
▪ যে Ant -এ খেলে আমাদের body সুরক্ষিত থাকে: Antibody
▪ অহংকারী পিঁপড়া: Arrogant
▪ প্রভা বিচ্ছুরন করে যে ant : Radiant
▪ বিবর্তিত ant: Mutant
▪ উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত ant: Exuberant
▪ পক্ষাঘাতে অচল যে ant: Stagnant
▪ সুগন্ধি বিলায় যে ant: Deodorant
▪ ক্যান্সার হয় কামড়ালে যে ant: Malignant
▪ যে মহাদেশে ant টিকা নিতে যায়: Antarctica
▪ সর্বদা হাজির রয় যে ant: Constant
▪ এক্ষুনি চাই টাইপ গোয়ার যে ant: Instant
▪ বিকারহীন যে ant: Relaxant
▪ বিশাল ব্যবসায়ীর ঘরে থাকে যে ant: Merchant
▪ যে সিটি ant -দের তীর্থস্থান: Atlanta
▪ রাসায়নিক বিক্রিয়া বিরোধী ant: Antagonist

* ছবি সূত্র: কলাম্বিয়ান ভাস্কর Rafael Gómezbarros একটি প্রদর্শনী হয় লন্ডনের সাচি গ্যালারিতে । ছবিটি ওখানে তোলা হয়েছিল ২০০৭-এ ।

Wednesday, June 10, 2015

মোদি এবং গদি!

গদি জিনিসটা বড়োই বিচিত্র! কী অবলীলায়ই না বদলে ফেলে মানুষকে, কালে-কালে নরাধম হয়ে উঠে অধম থেকে উত্তম। আবার শিশু হয়ে যায় পশু, পশু হয় শিশু। আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমাদের দেশে যে জয়জয়কার এ কেবল তিন উল্লাস না, তেত্রিশ উল্লাস অথচ এই মানুষটারই হাতে লেগে আছে গুজরাট দাঙ্গায় বড়ো অবহেলায় ভেসে যাওয়া কতশত গ্যালন রক্ত! যথারীতি সেই রক্ত পশুর না, মানুষের! রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায় নাআর আমরা কী ভুলে গেছি মোদির হামবড়া সেইসব কথা [১]!

এমনিতে অবশ্য আমরা বড়ো বিস্মৃতপরায়ণ জাতি- গোল্ডফিসের ন্যায় অতি দ্রুত ভুলে যাওয়ার রোগ আছে আমাদের- গোল্ডফিস জাতি! কেবল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই প্রোটোকল তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন না- আমাদের মিডিয়া তো হাত না পায়ের নাটবল্টু খুলে লিখছে, এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাটা জরুরি কিন্তু এই জন্য হাত-পার জয়েন্ট খুলে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না।

সুপার পাওয়ার- প্রচন্ড ক্ষমতাধর একজন বুদ্ধিমান মানুষ, যার দৃষ্টি বহু দূরে সে দুবলাপাতলা মানুষদের সঙ্গে খিটিমিটি এড়িয়ে চলবে এটাই স্বাভাবিক। তবুও...। ছিটমহল সমস্যার সমাধানের জন্য এই মানুষটা লম্বা এক সেলামের হকদার। কেবল এই একটা কারণে যদি রক্তের দাগটা ফিকে হয়। আর বাকীসব...? এক হাজার ওয়াট বিদ্যুৎ তো আর ভারত মাগনা দেবে না। ত্রিপুরায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সময় আমাদের তিতাস নদী, রাস্তাঘাট লন্ডভন্ড হয়েছিল [২] এটা আমাদের চেয়ে বেশী কে জানে।

যাই হোক, নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে, তার অজানা কর্মকান্ড নিয়ে লিখেছেন প্রথিতযশা সাংবাদিক, আরাফাতুল ইসলাম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটার, ফেসবুকে বেশ তৎপর। তিনি কোন দেশ সফরে যাওয়ার আগেই সেদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিভিন্ন পোস্ট ট্রেন্ড করতে শুরু করেন। আর এজন্য শুধু জনতার উপর ঠিক ভরসা করেন না তিনি। মাঝে মাঝে বড় অংকের অর্থও খরচ করেন।

কয়েক মাস আগে জার্মানি সফর করেছিলেন মোদি। সেসময় ফেসবুকে তাঁর পাতা থেকে করা জার্মানি সফর সংক্রান্ত পোস্টটি মোটামুটি জার্মানির সকল ফেসবুক ব্যবহারকারী দেখেছেন। পোস্টটি বিপুল অর্থ খরচ করে স্পন্সর করা হয়েছিল মোদীর পাতা থেকে। টুইটারে তখন তাঁকে ঘিরে একটি ‘হ্যাশট্যাগ’-ও স্পন্সর করা হয়েছিল ভারতের জনগণের করের টাকা খরচ করে।

জার্মানিতে কিছুটা কেলেঙ্কারির মুখেও পড়েছিলেন তিনি। দেখা যেতো, মোদি যে শহরেই যান, সেই শহরেই কিছু মানুষ তাঁকে ঘিরে জটলা তৈরি করে এবং তাঁর পক্ষে স্লোগান দেয়। জার্মান গোয়েন্দারা সেসব জটলায় বেশ কিছু কমন ফেস আবিষ্কার করেছিল। সহজেই বোধগম্য, সেসবও ছিল খানিকটা তৈরি করা। দেখানো যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়।

এমনকি জার্মান চ্যান্সেলরও এসব দেখে বিরক্ত হয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছিলেন সেই সফর কভার করা এক সাংবাদিক। মোদীর আনুষ্ঠানিক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলা ভাষায় করা টুইটও নতুন কিছু নয়। বিশ্বের আরো অনেক ভাষায় এই অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে। উদ্দেশ্য সেসব ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা। বাঙালি সহজ-সরল জাতি। তাই বাংলা টুইটে তারা যারপরনাই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মিডিয়াও কোন রকম ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই ছাড়া সেসব প্রকাশ করে মোদীকে সহায়তা করছেন। তাই বাংলাদেশে এখন টপ ট্রেন্ড ‪#‎ModiInBangladesh‬।

বিষয়টি মন্দ কিছু নয়। তবে আমি ঠিক মুগ্ধ হতে পারছি না, মোদীর এসব কৌশল জানি বলে। আসলে, মোদি দেখাতে চান তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেটা শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বে। এজন্য তাঁর অনলাইন টিম নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাতে অবশ্য মাঝেমাঝে বাগড়া দেয় ভারতের জনগণই। ‪#‎ModiInsultsIndia‬ সেরকম এক বাগড়ার ফসল।“ -আরাফাতুল ইসলাম 

সহায়ক সূত্র:
১. ঘোর কলিকাল: http://www.ali-mahmed.com/2014/05/blog-post_16.html
১. তিতাস একটি...এর নাম: http://www.ali-mahmed.com/2011/12/blog-post_23.html

Monday, June 8, 2015

‘পায়ে লাগু ওস্তাদজি’।

৫/৬ বছর আগের কথা। স্যার ফজলে আবেদের প্রতিষ্ঠানের [১] খপ্পরে পড়ে তাদের সাজানো মামলার তদবিরে গেছি ভৈরব। ট্রেন অনেক লেট- ভৈরব স্টেশনে আটকা পড়েছি। অসহ্য এক সময়। ওখানেই পাই কাঞ্চন মিয়াকে, যিনি চোখে দেখতে পান না। গান-টান কিচ্ছু না কেবল দোতারা বাজাচ্ছেন, অমানুষের মত [২]!

দিন যায়, মাস, বছর কিন্তু এখনও আমার কানে আটকে আছে তাঁর বাজানো সেই সুর। সেদিনই পণ করেছিলাম একটা দোতারা জোগাড় করে কাঞ্চন মিয়ার মত বাজাব। প্রয়োজনে কেবল লেখালেখিই না সব গোল্লায় যাক, ‘কুছ পারোয়া নেহি’। জাগতিক এবং বিভিন্ন জটিলতায় সেই দোতারা আর জোগাড় হয় না। অবশেষে সেই দোতারার একটা গতি হলো। একজন রাজমিস্ত্রি একটা এন্টিক দোতারা উপহার নিয়ে আসলেন আমার জন্য। এটা নাকি তার কোন-এক পির সাহেবের ছিল।

যাই হোক, দেখিয়ে দেওয়ার কেউ নেই কিন্তু আমি নিজে নিজেই অবিরাম সাধনা চালিয়ে যাচ্ছি সেই সুরটা তোলার চেষ্টায়। অদ্যাবদি সুরের কোনও গতি হয়নি ফাঁকতালে লাভের অলাভ যা হয়েছে; আমার আশেপাশের লোকজন যে কেবল তিতিবিরক্ত হচ্ছেন এমনই না পারলে এরা চোখ দিয়ে আমাকে এবং বেচারা ‘নান্নিসি জান’ দোতারাটাকেও ভস্ম করে দেন। ভাগ্যিস, এটা কেবল সাধু-টাধুদের এখতিয়ারে নইলে একগাদা ছাইয়ের মাঝে কোনটা দোতারা আর কোনটা আমি সেটা বের করার জন্য আমাদের দেশের চৌকশ গোয়েন্দারের আবশ্যকতা দেখা দিত (যেহেতু এরা কাজের চেয়ে অকাজটাই ভাল পারেন)।

ওস্তাদ কাঞ্চন মিয়া, ‘পায়ে লাগু ওস্তাদজি’- কদমবুসি করি, আপনাকে...।

সহায়ক সূত্র:
১. লাশ-বানিজ্য-পদক: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_23.html
২. পথগাতক, আমি বড়ো একা হয়া গেছি...: http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_24.html