এই সাইনবোর্ডের শানে-নজুল
কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না! দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভাইজান, আগামাথা তো কিছুই বুঝতাছি না’?
দোকানদার অতি যত্ন সহকারে
বুঝিয়ে দিলেন। ‘বোদ্ধু শাহ’ হচ্ছে নাম। হযরত যোগ হয়েছে।
আমার বিস্ময়ের ঘোর কাটে না।
আবারও জানতে চাই, ‘বাঘ সোয়ারী-এর ঘটনাটা একটু খুলে বলেন তো’?
আমার অজ্ঞতার কারণে
দোকানদার আমাকে বুদ্ধু ঠাউরালেন সম্ভবত। এমন সহজ বিষয়টা বুঝতে পারছি না! তিনি
বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আপনে বাঘ
চেনেন না’?
আমি গা দুলিয়ে বলি, ‘চিনি, বিলক্ষণ চিনি’।
দোকানদারের উষ্মা এবার আর
গোপন থাকে না, ‘চিনলে আবার জিগান ক্যান! হুজুর বোদ্ধু শাহ বাঘের উপর সওয়ার হয়ে
চলাফেরা করতেন বইলাই ওনার নাম হইছে, ‘হযরত বোদ্ধু শাহ বাঘ সওয়ারী (রহঃ)’।
আমি আমার নির্বুদ্ধিতার
কারণে পারলে গলে যাই আর কী! তবুও চিঁ চিঁ করে বলি, হযরত বোদ্ধু শাহ এবং ‘বাঘ সোয়ারী’-এর মাঝে একটা কমা দিলে বা বাঘের ছবি দিলে তাহলে আর এই সমস্যাটা হতো না।
ভাগ্যিস, এই সময়ে এটা হলে
বাঘ বাঁচাও লোকজনেরা বাঘের প্রতি অনাচারের কারণে ‘তেব্র পরতিবাদ’ করতেন। সরকার
বাহাদুরও বাঘের প্রতি এই অন্যায়ের কারণে ফাটকে আটকাতেন। ওই সব উঁচু কথা নিয়ে আমার
সমস্যা না আমার মাথায় যেটা ঘুরপাক খাচ্ছে ওই
বাঘের খাওয়া-খাদ্য কি ছিল? বাঘ তো আর ঘাস খায় না যে মুঠো-মুঠো ঘাস ফেলে দিলেই হলো!
আর বাঘের লেজ দিয়ে কান
চুলকাবার যে সমস্ত কথা শুনি বা বাঘের দুধ মেলে তা পূর্বে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু
এখন আর সেই সন্দেহটার ছিটেফোঁটাও আমার মধ্যে নেই। বাঘের দুধ কেবল মেলেই না বাঘের দুধের পায়েশ বা হালুয়া কেউ খেলেও আর যে-কেউ অবাক হোক অন্তত আমি হই না।