Search

Monday, July 26, 2010

কনক পুরুষ: ৩

ইভার খুব অস্থির লাগছে। জয় বলে গেল কাঁটায় কাঁটায় পাঁচটায় চলে আসবে। এখান থেকে ওরা বাবার ওখানে যাবে। ওর গোল সোনালী হাতঘড়িটায় এখন বাজছে পাঁচটা বিশ। এখনও এর পাত্তা নেই। না এলে শুধু শুধু বলা কেন! অপেক্ষা করা যন্ত্রণার একশেষ। ওর শাশুড়ী মুখ কালো করে বলে গেছেন, ‘ওর আজ-ই দেরি করার ছিল। তুমি দেখো, বৌমা, ও এলে তোমার সামনে ঠাস করে চড় দেব। ওমা, তুমি হাসছ, বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি, দাঁড়াও, আসুক। তুমি কিন্তু ও আসার সঙ্গে সঙ্গে আমায় খবর দেবে।’
ইভা হাসি চেপে বলল, ‘সঙ্গে সঙ্গে খবর দিতে হবে কেন, মা!’
‘কি বলছ, দেরি হলে রাগ পড়ে যাবে না?’

এই মহিলার চেহারায় তেমন কোন বিশেষত্ব নেই, কিন্তু ইভা অসম্ভব পছন্দ করে ফেলেছে। ওর চোখ ভিজে এলো নিজের মা’র কথা মনে করে। ইভা ক্ষীণ গলায় বলল, ‘মা, আজ রাতটা বাবার ওখানে থাকলে আপনি কি রাগ করবেন?’
‘ওমা, আমি রাগ করব কি, পাগল মেয়ে। জয়ও থেকে যাক না আজ তোমাদের ওখানে।’ 

ইভার গাল টাল লাল রঙে ভেসে গেল। পালিয়ে ছাদে চলে এল। এদের ছাদটা খুব সুন্দর। চারদিক টব দিয়ে ভরে ফেলেছে। ফুলের গাছ, অর্কিড, ক্যাকটাসের কমতি নেই কিন্তু সর্বত্র অযত্নের ছাপ। কয়েকটা টবের মাটি শুকিয়ে সাদা হয়ে আছে! কিছু গাছের পাতা বিবর্ণ। ইভা একটা বালতি এনে ঘুরে ঘুরে পানি দিতে লাগল। বিবর্ণ পাতাগুলো ফেলে দিল।
শাশুড়ী শুকিয়ে যাওয়া কাপড় উঠিয়ে নেয়ার জন্যে এসে সন্ত্রস্ত হয়ে বললেন, ‘করেছ কি, বৌমা!’
‘কি, মা?’
‘এই যে, পানি দিলে!’

‘শুকিয়ে ছিল যে-।
‘রাগারাগি করে ও তোমার মন খারাপ করে দেবে।’
‘রাগ করবে কেন, মা?’
‘আরে, বলো না। আমি একদিন এ অবস্থা দেখে পানি দিলাম। ওর দশ-বারোটা গাছ মরে গেল। মরল কেন, আল্লা জানে! ওর কি লাফালাফি। জানো, আমার কেমন ভয় হচ্ছিল। আমি হাসতে হাসতে বললাম, হয়েছে কি, তুই এরকম করছিস কেন?
ও বলল, তুমি আমার এতগুলো গাছ মেরে ফেললে, আবার হাসছ। সত্যি করে বলো দেখি একটুও খারাপ লাগছে না?
কাঁটাঅলা কয়েকটা গাছ মরে গেছে। হয়েছে কি, এসব তো আবর্জনা। কি কাজে লাগে বল। চামার শ্রেণীর গাছ সব।
তোমার তাহলে ধারণা এগুলো চামার শ্রেণীর গাছ!
তুই-ই বল, কি কাজে লাগে। না ফুল, না ফল।
জয় ঝড়ের বেগে চলে গেল। আমি কত বললাম আরে রাগ করছিস, ঠাট্টা করলাম। কে শোনে কার কথা। ওদিন রাতে ও রাগ করে ভাত খেলো না।’
শাশুড়ী এক নি:শ্বাসে কথাগুলো বলে থামলে ইভা বলল, ‘মা, ওগুলো তো ক্যাকটাস। খুব অল্প পানি দিতে হয়। বেশি দিলে মরে যায়।’
ইভার শাশুড়ী কাপড় নিয়ে নেমে যেতে যেতে বললেন, ‘ক্যাকটাস না হয়ে করলা হলে অন্তত ভাজি করে খাওয়া যেত।’


ইভা চেয়ার এনে চুপচাপ বসে সূর্যাস্ত দেখতে লাগল। আলো হঠিয়ে অন্ধকার গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। বুকে কেমন চাপা কষ্ট হচ্ছে। কী কুৎসিত বিষণ্নতা! প্রকৃতি তার সন্তানের ওপর কি প্রভাবই না ফেলে। পেছন থেতে জয় উঁচু গলায় বলল, ‘এই-এই, অন্ধকারে বসে আছ যে, ঠান্ডা লাগছে না? শরীর খারাপ করবে তো।’
ইভার হিম-হিম গলা,
করলে করবে।’
‘কি মুশকিল, জ্বর-টর হলে!’
‘জ্বর হলে তোমার কোন অসুবিধা হবে?’
‘ঘটনা কী! তুমি মনে হয় কোন কারণে আমার উপর রেগে আছ। কারণটা ধরতে পারছি না।’
‘ধরতে পারছ না?’
‘না। অ-আচ্ছা, মনে পড়েছে; পাঁচটায় আসার কথা ছিল।’
‘পাঁচটা তো বাজেনি এখনও, না?’
‘সরি, তন্ময়ের ওখানে দেরি হলো।’
ইভার গলার স্বর নিজের অজান্তেই কোমল হলো, ‘তন্ময় ভাইকে বলেছিলে আমি দেখা করতে বলেছি?’
‘হুঁ।’
‘কি বললেন?’
‘বলল তো কাল আসবে। আসে কি না জানে। এসব কথা থাক, এ নিয়ে আমার মন এমনিতেই খারাপ।’
ইভা কথা ঘুরাবার জন্যে বলল, ‘ওহ, ভুলে গেছি, তোমার কি মা’র সঙ্গে দেখা হয়েছে?’
‘উঁহু, কেন? ’
‘মা বলেছিলেন তুমি আসার সঙ্গে সঙ্গে যেন খবর দিই। দেরি করেছ বলে তোমাকে ঠাস করে চড় দেবেন। জানাতে দেরি হলে ওনার নাকি রাগ কমে যাবে। তোমার মা’র রাগী মুখ দেখে কিন্তু মনেই হয় না ওঁর মনটা এত কোমল।’
জয় আনমনা হয়ে বলল, ‘জানো, ইভা, আমি যখন খুব ছোট, মা খুব রেগে গেলে লুকিয়ে অপেক্ষা করতাম মা কখন পান খাবেন। পান মুখে দিলে মা’র রুক্ষ কালো মুখটা কেমন কমনীয় হয়ে উঠত।’
ইভা তির্যক গলায় বলর, ‘তোমার মুখটাও তো কম গম্ভীর না, পান খেয়ে দেখতো পারো।’

‘পান খাওয়া লাল-লাল দাঁত তোমার অপছন্দ হবে না বলছ?’
‘তোমাকে পছন্দ-অপছন্দ করতে আমার বয়েই গেছে।’


জয় আহত চোখে তাকিয়ে রইল। চশমার কাঁচ কেমন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। অন্ধকার বলে খুব একটা হেরফের হলো না। তবু ইভা না দেখে ফেলে ভেবে মুখ ঘুরিয়ে নিল। তার প্রয়োজন ছিল না। অন্ধকারকে কুৎসিত বলে যত গালাগাল করা হোক, এসব গায়ে না মেখে মানুষের লজ্জা তার মমতার চাদর দিয়ে ঢেকে রাখে।
ইভার কি করে টের পেল কে জানে! নিঃসঙ্কোচে হাত ধরে বলল, ‘অ্যাই, কথা বলছ না যে, কি হয়েছে?’
জয় কঠিন হাতে ইভার হাত সরিয়ে পা বাড়াল। ইভা পেছন থেকে দু’হাতে ধরে ফেলল, খেয়াল নেই ওর বুক জয়ের কর্কশ পিঠ ছুঁয়ে আছে। জয়ও খুব রেগে ছিল বলেই ব্যাপারটা বুঝতে যথেষ্ট সময় লাগল। কয়েকবার ছাড়ানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। কেমন অন্য রকম এক অনুভূতি। শরীরের সমস্ত রক্ত কি মস্তিষ্কে গিয়ে জমা হচ্ছে? নিজের হৃদপিন্ডের শব্দ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে।
জয় দুর্বল গলায় বলল, ‘ছাড়ো, ছাড়ো।’
‘উঁহু, বলো রাগ করোনি?’
জয় কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ‘কে যেন উপরে আসছে।’
‘আসুক। কি ছেলেমানুষ তুমি, ঠাট্টা করলাম আর তুমি কিনা- না, আগে বলো আমার  ওপর তোমার রাগ নেই।’
জয়ের একবার রাগ হলে কমতে সময় লাগে, চট করে নামে না। এখনও যথেষ্ট রাগ আছে। এ মুহুর্তে পরিত্রাণের উপায় নেই দেখে মুখে বলল,
না নেই।

ইভা জয়কে ছেড়ে দিয়ে হাসি চাপল। লম্বা লম্বা পা ফেলে এ যেভাবে নিচে নামছে, উল্টে পড়বে না তো আবার? জয় হনহন করে নিজের রুমে যাচ্ছিল। মা পথ আগলে বললেন, ‘তোর চোখ-মুখ লাল কেন রে, জ্বর-টর নাকি?’
জয় থমথমে গলায় বলল, ‘না।’
‘না কি রে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে একশো দুই ডিগ্রী জ্বর।’
‘একশো দুই ডিগ্রী জ্বর, তুমি কি থার্মোমিটার?’
ইভা নিরীহ মুখে বলল, ‘মা, থার্মোমিটার নিয়ে আসব?’
মা বললেন, ‘আমার কথা বিশ্বাস না হলে থার্মোমিটার লাগিয়ে দেখ, পরীক্ষা হয়ে যাক।’
জয় মুখ আরও অন্ধকার করে বলল, ‘পরীক্ষার প্রয়োজন নাই।’
‘দেখলে তো অসুবিধা নাই। যাও তো, বৌমা, থার্মোমিটার নিয়ে আসো।’

জয় হুঙ্কার দিল, ‘মা, আমি কিন্তু ওটা মট্‌ করে দু’টুকরা করে ফেলব।’
‘বুঝেছি, জ্বর তোর মাথায় উঠে গেছে। আয় তোর মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালি। জানো, বৌমা, এই এটটুকুন যখন ছিল, ওর খুব জ্বর হলো। কি যে ভয় করছিল। তখন ওর সমস্ত কাপড় খুলে শরীরে স্পন্জ-’
জয় চেঁচিয়ে বলল, ‘মা-মা, তুমি বাইরের লোকের সামনে আমার সম্বন্ধে যা তা বলো, এর মানে কি! পাইছটা কী!
জয়ের মা হাসি চাপলেন, ‘এ বাইরের লোক!’

জয় এর উত্তর না দিয়ে রুমে ঢুকে দরজা আছড়ে মারল। ভেতর থেকে ধুপধাপ শব্দ ভেসে আসছে। কি যেন একটা ফেলে দেয়ায় ঝনঝন শব্দ হচ্ছে।
জয়ের মা বিরক্ত গলায় বললেন, ‘এই হলো আমার ছেলে।’
ইভা অল্প সময়ে অনেক কিছুই দেখল। শাশুড়ীর গলা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার অবকাশ নেই। এই মহিলার চোখে ঝরে পড়ছে ছেলের জন্যে পৃথিবীর সমস্ত মমতা। কী অসম্ভব সুন্দর একটা দৃশ্য!


জয়ের রাগ কমা দূরে থাক উত্তরোত্তর বাড়ছে। ও দেখতে ভাল না এটা যে জানে না এমন না, জানে। ও বাঁশগাছ, চশমা ছাড়া কিছুই দেখে না, ভাল করে গুছিয়ে কথা বলতে পারে না, মানুষকে আকর্ষণ করার মত কোন গুণ ওর মাঝে নেই। এতে ওর কি হাত? আর ইভা এসবই দেখল! মুখের ওপর দুম করে বলে দিল, তোমাকে পছন্দ-অপছন্দ করতে দায় পড়ে নেই, কিছুই যায় আসে না!
ইভা পরীর মত সুন্দর বলেই কি এভাবে বলতে পারল? ওর সঙ্গে বিয়ে হয়ে মনে হয় খুব যন্ত্রণায় আছে। এতই যখন অপছন্দ ওকে বিয়ে না করলেই হত। ও তো আর বলেনি বাঁশগাছ বিয়ে করো, নইলে ত্রিশতলা থেকে ঝাঁপ দেব। সিগারেট ধরিয়ে এক দু’টা টান দিয়েই নিভিয়ে ফেলল। নিভিয়েই ক্ষান্ত হলো না দুমড়ে-মুচড়ে পিষে ফেলল। এটাও পছন্দ হলো না। উঠিয়ে কুটি কুটি করে ফেলল।
খুঁজে রকওয়েলের ‘নাইফ’ বের করল। এটা ওর প্রিয় গান। প্রত্যেকবার শোনার সময় নতুন মনে হয়। মনটা অন্য রকম হয়ে যায়।


আড়চোখে ইভাকে ঢুকতে দেখে চোখ মুখ শক্ত করে বসে রইল। ইভা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে খাটের মাঝখানে বসে পা দোলাতে লাগল। আশ্চর্য কী নির্বিকার ভঙ্গিতেই না পা নাচাচ্ছে! জয় অবাক হয়ে ভাবল, পাশের কেউ পা নাড়ালে ও অসম্ভব বিরক্ত হয়। চড় দিতে ইচ্ছা করে। এখন তো মোটেও খারাপ লাগছে না, সমস্যাটা কি! কেমন টুং টুং শব্দ হচ্ছে। মুখ নিচু করে রেখেছিল বলেই উৎসটা ধরতে পারছে না। মুখ তুললে আবার মান থাকে না। মাথা যথাসম্ভব না নাড়িয়ে লুকিয়ে দেখল ইভার ফর্সা দু’হাতে টকটকে লাল কাঁচের চুড়ি। অবাক কান্ড, চুড়ি কখন পরল!
ইভা পা নাচানোর বেগ বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘এসব সাজ-পোশাক তাহলে খুলে ফেলি?

জয় চোখ তুলে থমথমে মুখে বলল, ‘আমাকে বলছ কেন?’
আরে এ দেখি সাজগোজ করে আছে, কি চমৎকারই না দেখাচ্ছে! তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে দেখে কেমন লজ্জা-লজ্জা লাগছে।
ইভা বলল, ‘বললে না বাবারও ওখানে নিয়ে যাবে। আমিও কি বোকা, সত্যি ভেবে সেই কখন থেকে কাপড় বসে আছি।’
‘তোমার ভাবভঙ্গি দেখে তো মনে হচ্ছে না। ’
জয় ঠান্ডা গলায় বলল, ‘আমার ভাবভঙ্গি নিয়ে তোমার মাথা ঘামানোর প্রয়োজন দেখি না। বেশ বুঝতে পারছি আমাকে বিয়ে করে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছ।’
ইভা হাসি চাপল। এ মুহুর্তে হেসে ফেললে অনর্থ হয়ে যাবে। কেমন গাল ফুলিয়ে বসে আছে, অবিকল শিশুর মত দেখাচ্ছে। ইভা অনেক কথাই বলতে চেয়েছিল কিছুই বলতে পারল না।
বেরুবার সময় ইতস্তত করে বলল, ‘তুমি কি এ-ই পরে যাবে? ’
‘এই, এই মানে কি?’
‘বলছিলাম, কাপড় পাল্টে নিলে ভাল হতো না।’
‘কেন, স্যুট টাই পরে যেতে হবে? এসব পরে গেলে তোমার খুব অসুবিধা হবে, মান থাকবে না। আমাকে আরও খারাপ দেখাবে, এই তো?’
‘না বলছিলাম-।’
জয় চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, ‘আমার যা খুশি তাই পরে যাব। ইচ্ছে হলে হাফপ্যান্ট পরব। চিকন চিকন ঠ্যাং বেরিয়ে থাকবে, থাকুক, হু’জ কেয়ার।’


স্কুটার ঝড়ের গতিতে এগুচ্ছে। ইভার মন ভার হয়ে আছে। এ একহাত দূরে কেমন জড়সড় হয়ে বসে আছে ও। পুরো ম্যাচ শেষ করে বাতাস বাঁচিয়ে সিগারেট ধরাল। ইভা মুখ ফিরিয়ে তাকাতেই আস্ত সিগারেটটা ফেলে দিল। ও এটা কেন করল কে জানে? সিগারেটের ধোঁয়ায় ওর কষ্ট হবে ভেবে? ইভা চোখে জল নিয়ে ভাবল মানুষটা পাগলাটে হলেও এর মনটা নরোম। অন্যকিছু ভাবার চেষ্টা করল, সোডিয়াম লাইটের জঘন্য আলোয় দেখল, ড্রাইভারের পেছনের বোর্ডে লেখা: 
"আজনবি পরিবহন।
চালোক নন্নু মিঞা।
শারি ওড়না
সাবদান।"

নান্নু মিঞা কেবল এটুকু লিখেই ক্ষান্ত হয়নি। সাবধান এর নিচে দু’টা হাড়, একটা খুলি এঁকে দিয়েছে। হাড় না কি এটা অবশ্য আন্দাজ করে নিতে হয়। কেমন লাউয়ের মত দেখাচ্ছে!
ইভার বুক থেকে পাষাণ ভার নেমে গেল। স্কুটার থেকে নামার সময় ঝলমলে মুখে বলল, ‘আবার দেখা হবে, নান্নু ভাই।’
লোকটা বড় বড় চোখ মেলে তাকিয়ে রইল, তাজ্জবের কথা, আফায় নাম জানল কেমনে!


*কনক পুরুষ: http://tinyurl.com/29uf4sq

2 comments:

মুশাফ said...

চমৎকার লাগলো পড়ে।

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

:) @মুশাফ