Search

Friday, June 29, 2007

রীচ ফুড আমাদের জন্যে বড়ো গুরুপাক

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী সে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে প্রতিবছর ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। সে অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বুশ ও তার স্ত্রী লরা বুশ ২০০৫ সালের জন্য ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬৮ ডলার আয়কর দিয়েছেন। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

আমাদের দেশের শীর্ষ আয়করদাতারা হচ্ছেন:
১.চট্টগ্রামের অসিত কুমার সাহা, তিনি ট্যাক্স দিয়েছেন ৮৪ লাখ টাকা।
২.আদিত্য মজুমদার ভাই।
৩. অশোক কুমার সাহা। অসিত এবং অশোক এঁরা আপন দুই ভাই।

আমাদের সৌভাগ্য আমরা চট করে জেনে যাই যুক্তরাষ্ট্রের খবর- ওই দেশের প্রেসিডেন্ট কতো টাকা ট্যাক্স দেন সেই খবর। কিন্তু আমরা জানতে পারি না আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের বিরোধী দলের নেত্রী, মতিউর রহমান নিজামী, হোমো এরশাদ কত টাকা ট্যাক্স দেন! আসলে বেচারাদের কোন আয়ই নাই, টেক্স দেবেন কোথা থেকে!

জানি-জানি, অনেকেই বলবেন- পার্টি সদস্যদের চাঁদা দিয়েই সব কিছু চলছে। তা হবে হয়তো- আমার জানা মতে বি এন পি’র শেষ চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছিল বছরে ১ টাকা করে! অন্য দলগুলোর কত করে চাঁদা আমার জানা নাই!

আমাদের দেশে সাংসদরা যে সব গাড়ি আমদানী করেছেন, সে গুলোর মধ্যে আছে- পোরশে, হামার, বিএমডব্লি­ও, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ক্যাডিলাক, ইনফিনিটি ইত্যাদি! পোরশের দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত, হামার প্রায় ১ কোটি টাকা …।

লিস্টটা বিরাট- আমি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করছি- পোরশে: আমদানী করেছেন সাংসদ মোসাদ্দেক আলী ফালু, বেগম রওশন এরশাদ! হামার: ড, আবদুর রাজ্জাক, মার্সিডিজ বেঞ্জ: শেখ হাসিনা। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার: মতিউর রহমান নিজামী, দেলওয়ার হোসেন সাইদী। লেক্সাস: শেখ ফজলুল হক সেলিম, সাদেক হোসের খোকা। (সুত্র: প্রথম আলো, ০৫.০৪.০৬)

প্রধানমন্ত্রী গাড়ি আমদানী করেননি- আদৌ তার কোন প্রয়োজন পড়ে না! হোমো এরশাদের নাম পাওয়া যায় নি- তিনি সম্ভবত পায়ে হেঁটে চলাফেরা করেন অথবা রওশন এরশাদের কাছে লিফট চান, কাতর হয়ে, আমাকে নেবে? (অন্য অর্থ করবেন না) বলা হয়ে থাকে, আমাদের দেশে সব কিছুর মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেয়ার পেছনে হোমো এরশাদের হাত ছিল- এই যে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানী করার ফাজিল কান্ডটা এরশাদই চালু করেছেন!

আমাদের দেশে গণতন্ত্র নামের সুগার কোটেড ট্যাবলেটটার বড়ো প্রয়োজন- এই আফিম ট্যাবলেটটা আমাদের খাইয়ে যা খুশী তা করা যায়! আমরা কেয়ামতের আগ পর্যন্ত ঘুরেফিরে এই মুখগুলোই দেখব, এ থেকে আমাদের মুক্তি নেই! পাঁচ বছরের জন্য এরাই কেউ না কেউ শাসক।

বিরোধীদল অনবরত হরতাল দেবেন, বেছে বেছে ২ দিন ছুটির আগের দিন- গণতন্ত্রের জন্য এটা বড়ো প্রয়োজন! আমাদেরকে আফিম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখবে, আমরা ঘুম থেকে জেগে চেঁচিয়ে ওঠবো- পেয়েছি-পেয়েছি আমরা, গণতন্ত্র!

অতীতে কেয়ারটেকার সরকার মাত্র কয়েকজনকে নিয়ে অনায়াসে দেশ চালিয়েছেন। এই বিশাল মন্ত্রী সভার চেয়ে অনেক অনেক ভালো ভাবে!

আসলে আমরা পান্তাভাত, আলুভর্তা খাওয়া ছা পোষা মানুষ- রীচ ফুড আমাদের জন্যে বড়ো গুরুপাক

No comments: