প্রথম আলোয় (১৩.০৫.০৯) আব্দুল কাইয়ুম একটা কলাম লিখেছেন। কলামটা সাইজে প্রায় 'এক স্কোয়ার গাব্বা'। এক গাব্বার বিষয়টা একটু ইরশাদ করি। কড়ে আঙ্গুল এবং বুড়ো আঙ্গুল পরস্পরের বিপরীত দিকে যথাসম্ভব ছড়িয়ে দিলে যতটুকু হয় ততটুকু 'এক গাব্বা'। সৈয়দ মুজতবা আলীর আবদুর রহমানের বা অমিতাভ বচ্চনের আঙ্গুলের হিসাবের সঙ্গে আমাদেরটার খানিকটা তারতম্য হবে, এতে হইচই করার কিছু নাই!
কলামের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছি না কারণ আলোচনার দুঃসাহস করি না! যেহেতু পত্রিকাটা প্রথম আলো, মিডিয়া ঈশ্বর- তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তারা নিজেরাই, এবং ভুল করে, কেবল ঈশ্বর টাইপেরই কেউ কোন মেইলের উত্তর দেন না (সেই দিন আর নাই শাহাদুজ্জামান); যেহেতু লেখক আব্দুল কাইয়ুম, মিডিয়া দেবদূত- মিডিয়া ঈশ্বরের কারখানায় কাজ করেন; সেহেতু ভুল ধরায় আমার মধ্যে খামতি থাকবে এটা সলজ্জচিত্তে কবুল করি। কবুল-কবুল-কবুল! তিন কবুল!
কিন্তু এই কলামটার শিরোনাম নিয়ে খানিকটা আলোচনা করি। 'দশটা হোন্ডা দশটা গুন্ডা ব্যস সব ঠান্ডা'।
ওনার এই শিরোনামের শানে-নযুল হচ্ছে , হোন্ডা দাবড়ে বেড়ায় গুন্ডা; ফলাফল সব ঠান্ডা। ঈশ্বরের আলো পত্রিকায় পূর্বেও বহুবার দেখেছি, 'হোন্ডা নিয়ে কয়েকজন যুবক আসিয়া...'। এদের শ্লোগান, 'বদলে যাও, বদলে দাও'। এরা কিন্তু বদলাবেন না, এটা আমাদের-অন্যদের জন্য, এদের জন্য না।
কলামের এক জায়গায় তিনি আতাউর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, "এটা আতাউর রহমানের কথা। তিনি লিখেছেন, 'শামসুল হুদা চৌধুরী রগড় করিয়া বলে, নির্বাচন খুব সহজ হয়ে গেছে। ১০টা হোন্ডা, ১০টা গুন্ডা, ১০টা ডান্ডা-ব্যস ইলেকশন ঠান্ডা'।"
আতাউর রহমান, শামসুল হুদা চৌধুরী , আব্দুল কাইয়ুম বোঝাতে চাইছেন যারা হোন্ডা চালায় তারা গুন্ডা। আর যারা দ্বিচক্রযান কাওয়াসাকি, সুজুকি চালায় তারা গুন্ডা-ষন্ডা-পান্ডা না। তারা পতপত করে উড়ায় ঝান্ডা- সোজা কথায়, ওরা ভালমানুষের ছা।
এই দেশে সন্ত্রস বন্ধ করার খুব সহজ বুদ্ধি হচ্ছে, হোন্ডা কোম্পানিকে লাল বাতি জ্বালাতে বাধ্য করা। না রাহেগা বাশ, না রাহেগি বাশরি- বাঁশও নাই বাঁশিও নাই। মোদ্দা কথা, হোন্ডা কোম্পানি হোন্ডা বানানো বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসীদের পক্ষে হোন্ডা যোগাড় করা সম্ভব হবে না, সন্ত্রাস করারও উপায় থাকবে না।
কারণ অন্য কোম্পানির দ্বিচক্রযান কাওয়াসাকি, সুজুকি, বাজাজ এগুলো দিয়ে আর যাই হোক, সন্ত্রাস করা যায় না, গুন্ডা হওয়াও উপায় নেই।
কিন্তু জাপানকে কী কাবু করা যাবে? আমরা তো আমেরিকা না, দুম করে জাপানে আরেকটা আনবিক বোমা ফেলে দিলুম। থাক, ওইসব হুজ্জুতের ঝামেলায় গিয়ে কাজ নাই।
দেশের আপামর জনতার গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে অন্তত হোন্ডা কোম্পানির কাছে দরখাস্ত লেখা যেতে পারে:
মাননীয় হোন্ডা কোম্পানি
বরাবর: মালিক
জাপান।
হোন্ডা বিক্রি বন্ধ করিয়া আমাদের সন্ত্রাস মুক্ত রাখিতে আকুল আবেদন।
জনাব,
বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের পক্ষ হইতে আপনাদের নিকট হাম্বল রিকোয়েস্ট, আপনাদের হোন্ডায় চড়িয়া গুন্ডারা দেশব্যাপি গুন্ডামি করিয়া বেড়াইতেছে। এই দুষ্টুরা আমাদের জীবনখানা বড় ডিস্টার্ব হইতেছে। সোনার বাংলার সবটা পিতল হইয়া গিয়াছে। সন্ত্রাসের কারণে কোথায় সেই গোলাভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, বাগানভরা গাছ। আজ কেবলি গুন্ডাদের গুন্ডামির-অস্ত্র হইতে শব্দ বাহির হয় ঠাস ঠাস।
অতএব, হোন্ডা বিক্রি না করিবার জন্য আপনার আজ্ঞা হয়।
পুনশ্চ: ইহা একখানা হাম্বল রিকোয়েস্ট।
বিনীত নিবেদক,
(১৫কোটি মানুষের পক্ষে)
১. আব্দুল কাইয়ুম
২. আতাউর রহমান
৩.শামসুল হুদা চৌধুরী
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Wednesday, May 13, 2009
আমরা না, তোমরা বদলাও!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
3 comments:
বদলে যাও, বদলে দাও।
-পাভেল
হা হা হা। ভাল বলেছেন, পাভেল।
বিঘত/বিগগা?
Post a Comment