আক্তার হোসেন নামের এই লোক বয়স্ক এই ভদ্রমহিলার বাড়ানো হাতটা ধরেননি! বিরাট মাওলানা যে...!
আমার এক সাধুর কথা মনে পড়ে গেল। বিরাট কাফেলা নিয়ে তিনি পদব্রজে যাচ্ছেন। পথে এক খরস্রোতা নদী পড়ল। সবাই একেক করে পার হচ্ছে কিন্তু অচেনা এক নারী কোন প্রকারেই পার হতে পারছিলেন না। সাধু ওই নারীকে কোলে করে পার করে দিলেন। ওই নারী কৃতজ্ঞচিত্তে সাধুকে ধন্যবাদ জানালেন। বিষয়টি এখানেই শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু...!
দিনের-পর-দিন যায়! সাধু এগুতে থাকেন, এগুতে থাকেন। জ্ঞানের মত, একটা সরলরেখা- নাথিং গনা স্টপ। কেবল শেখা আর এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু বাতাসে ভেসে বেড়ায় সাধুর চেলাদের মধ্যে ফিসফিস-ফিসফাস! কিন্তু কেউই ঝেড়ে কাশে না। সাধু অভয়ের-পর-অভয় দেন।
অবশেষে, একদিন। একজন মাটির দিকে তাকিয়ে বলে, 'বাবা, আমাদের তো নারীদের স্পর্শ করা নিষেধ, কিন্তু আপনি নদী তীরে ওই নারীকে...'! সাধু পাহাড় কাঁপিয়ে হা-হা করে হাসেন, কেবল হাসেন। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বলেন:
ব্যাটা, আমি সেই কবে ওই নারীকে ওপারে নামিয়ে দিয়ে এসেছি আর তোরা এখনও ওই নারীকে মাথায় নিয়ে ঘুরছিস!
তো, আমাদের মাওলানা আক্তার যদি কখনও দেখে, কোন নারী আগুনে ঝলসে যাচ্ছেন বা নর্দমায় পড়ে গেছেন, আমি নিশ্চিত, তিনি বেসুরো গলায় ফোন দেবেন, 'হ্যালো, এটা কি নাইন-নাইন-নাইন'? না, ফোনের বিষয়টা আমি ঠিক নিশ্চিত না কারণ এটা নাসারাদের আবিষ্কার! ফোন না-ও করতে পারেন। পুলিশ আসার আগপর্যন্ত দাঁত খিলাল চালিয়ে যেতে পারেন।
আমাদের মাওলানা আক্তারের অন্য একটা ভিডিও ক্লিপ। মধু-মধু:
No comments:
Post a Comment