সাবেক এই প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আব্দুল কাইয়ূম নামের একজনকে হত্যা করার জন্য চাপাতি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন। এই দৃশ্য কল্পনা করার জন্য যে কল্পনাশক্তি প্রয়োজন তা থাকলে যে-কেউ, জীবনে একটা বই না-পড়েও, অনায়াসে জনাব, আসিফ নজরুলের মত মস্তো বড় লেখক হতে পারবেন! ইনশাআল্লাহ।
তাকে আদালতের ডকে তোলা হয়েছে হত্যা মামলায় আর আলোচনা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে। এ সত্য, সাবেক এই বিচারপতির হাসিনা রেজিমের সময় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে কুখ্যাতি আছে। এটা ভিন্ন বিচারের বিষয়। এই বিশ্লেষণ হতে পারে কেবল হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে, নিম্ন আদালতে না।
আরও উঠে এসেছে খালেদা জিয়ার বাড়ি উচ্ছেদ বিষয়ে। সবই তো ভিন্ন বিচারের বিষয়!
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, একজন বিএনপিপন্থি আইনজীবী বলছেন, দলের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে বলা হয়েছে, সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে যেন শারিরীক ভাবে আঘাত করা না হয়। কী ভয়াবহ কথা, কোর্ট কী গায়ে হাত তোলার জায়গা! যে এই বিষয়ে আগাম ঘোষণা দিতে হবে! এটা তো সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হওয়া উচিত।
আরেকটা ভয়ংকর আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে! এই সাবেক বিচারপতির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না! কেন? তাহলে এটা কী বিচারালয় নাকি 'ইচ্ছালয়'! এবং আদালত বলছেন, তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়নি বিধায় তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হচ্ছে।
মনে তো হচ্ছে, সাবেক এই প্রধান বিচারপতি ইচ্ছা করেই আবেদন করেননি! স্বইচ্ছায় কারাবাস বেছে নিয়েছেন।
অথচ যে হত্যাকান্ডের জন্য তাকে ধরে আনা হয়েছে সেই বিষয়ে দেখি কোন আলাপ নেই! হাতে কী চাপাতি ছিল নাকি রাম দা?
কোন দেশের একজন প্রধান বিচারপতি একটা স্তম্ভ। এ-ও সত্য, কেউই আইনের উর্ধ্বে না। তাঁরও যথাযথ বিচার হোক, কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এভাবে?
আগামীতে সাবেক কোন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মুরগি চুরির মামলা হতে দেখলে অন্তত আমি অবাক হবো না! কিন্তু একজন বিচারপতি মুরগি চুরির নিয়তে একটা মুরগির পেছনে-পেছনে দৌড়াচ্ছেন এটা কল্পনার করাটা একটু কঠিন হয়ে পড়ে...!
*খালেদ মুহিউদ্দিনের এই বক্তব্যটা অবশ্য যথার্থ মনে হয়েছে:



No comments:
Post a Comment