Search

Wednesday, November 11, 2020

ভূমিপুত্র!

আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন জাতি হচ্ছে ম্রো-রা! এবং এঁরা বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি। আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর পূর্বে ম্রোরা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। ব্রিটিশ আমল থেকে আমরা যারা এই দেশে বাস করে আদিমানুষের তকমা লাগিয়ে রাখি এদের বাস তারও অনেক পূর্বের!

যে ম্রোরা বাঁশির সুরে-সুরে নেচে বেড়ান তাঁরা হঠাৎ ক্ষুব্ধ হলেন কেন?

ঘটনাটা আমাদের জন্য খুবই তুচ্ছ। আমরা যারা চাই পাহাড়ের মানুষরা কেবল আমাদের ভাষায় কথা বলুক আমাদের মত সহবত মেনে চলুক। আমাদের, শক্তিমানদের [] মত করে গা দুলিয়ে হাসুক পা ছড়িয়ে কাঁদুক, কালে-কালে আমাদের মত হোক। আমাদের মত উন্নত(!) জীবন-যাপনের নামে স্রোতে গা ভাসিয়ে দিক।

আহা, উন্নত দেশের তো এই চল। এমনটা অষ্ট্রেলিয়া করেছে, ইংল্যান্ড করেছে...। তাই আমাদের এই কথাগুলো ভাল লাগবে না বৈকি:

কী অসাধারণ একটা স্পিচ! ভূমির জন্য একজন ভূমিপুত্রের প্রতিক্রিয়া যেমনটা হওয়া সমীচীন ঠিক তেমনটাই। এই বক্তব্যের মোদ্দা কথা হলো এই:
"নীলগিরি কোনদিন আমাদের নাম ছিল না, চন্দ্রপাহাড় কোনদিন আমরা চিনি না। আমরা 'শোং নাম হুং' নামে চিনেছি, আমরা 'তেংপ্লং চূট' নামে চিনেছি। এই 'শোং নাম হুং' কিভাবে চন্দ্রপাহাড় হয়ে যায়, এই 'তেংপ্লং চূট' কিভাবে নীলগিরি হয়ে যায়? এই জীবন নগর কিভাবে তোমাদের জীবন নগর হয়ে যায়? এই ভূমি, এই মাটির প্রত্যেকটা ইঞ্চি আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি।
এই চিম্বুক পাহাড়ে একটাও প্রাইমারি স্কুল নেই, একটাও সরকারি হাই-স্কুল নেই। কোন মুখে আপনারা এখানে উন্নয়নের কথা বলেন, কোন মুখে বলেন আমরা ম্রোদের জন্য উন্নয়ন করছি, ম্রোদের উন্নতির জন্য পর্যটন করছি।
আপনাদের ভিটেমাটিতে যদি কোন ম্রো জনগোষ্ঠী গিয়ে জায়গা দখল করে, আপনাদের জায়গায় গিয়ে যদি আমরা বলতাম-এটা আমদের পর্যটন স্পট, আপনাদের কেমন লাগত একবার নিজের বুকে হাত রেখে প্রশ্ন করুন। যেদিন আপনারা এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাবেন, সেদিন আমাদের প্রশ্নও বুঝতে পারবেন। "
- রেং ইয়ং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখা।

এই ভুমিপুত্রদের সন্তানেরা, ম্রো শিশুরা কী ভাবছে?

 

কেউ-কেউ দেশের মূল নিয়ন্ত্রণ ব্যহত কথা বলার চেষ্টা করেন। আমেরিকার আমিশ জাতিকে তাদের মত করেই থাকতে দেয়া হয়েছে এই নিয়ে তো কারও গাত্র-দাহ হচ্ছে না। তাই বলে তো আমেরিকার আমেরিকাত্ব চলে যাচ্ছে না!

যে ফাইভস্টার হোটেল করা হবে এটা কেমন করে বানাচ্ছে, কারা বানাচ্ছে?

সিকদার গ্রুপ বলছে আমরা জেলা পরিষদ থেকে জায়গাটা লিজ নিয়েছি অথচ জেলা পরিষদ বলছে, সিকদার গ্রুপের সঙ্গে এমন কোন চুক্তি হয়নি!

আর এই সিকদার গ্রুপ, এরা কারা? সিকদার গ্রুপ এরাই না যারা ছাগলের মত উঠোনে প্লেন বেঁধে রাখে। রন হক সিকদার এবং দিপু হক সিকদার নামের দুই গুন্ডা, পলাতক আসামী যারা দেশে গুন্ডামি করে গ্রেফতার এড়াতে প্লেনের দড়ি খুলে সদর্পে পালিয়ে যায় এই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভি সাইন দেখিয়ে। 

এদের পেছনে অবশ্যই শক্তিশালী কোনও মানুষ বা সংস্থা থাকতে বাধ্য কারণ এই গুন্ডাদের ঠিক এই মুহূর্তে ওখানে এমন সাহস হওয়ার কথা না। আর এরা পাহাড়ের কেমন উন্নয়ন করবে তা বোঝার জন্য তো সুশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই...।

সহায়ক সূত্র: 

১. আদিমানুষ পড়ো শক্তিমানের নামে: https://www.ali-mahmed.com/2010/02/blog-post_23.html
 

 


 

No comments: