Search

Monday, June 30, 2014

বে-নজির!



আমাদের দেশের মত দেশ এই দুনিয়ার আর কুকখানে-ও নাই। ভাবতে ভালই লাগে...।
স্বভাবতই এই তালিকা থেকে অন্য গ্রহকে বাদ রাখা হয়েছে। ভিনগ্রহের কথা আমাদের জানা নেই কারণ ওখানে গেলে ফেরার কোনও উপায় নেই বলে কারও যাওয়া হয় না!

পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেছে, দুনিয়ার কোথাও ছুটির দিনে চিকিৎসক পাওয়া যায় না, কেউ মরে গেলেও চিকিৎসক আসেন না।কিন্তু বাংলাদেশের হাসাতালে ছুটির দিনেও জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু থাকে।

বাংলাদেশের হাসাতালে ছুটির দিনেও জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু থাকে এর অর্থ হচ্ছে দুনিয়ার কোনও দেশেই, কোথাও ছুটির দিনে চিকিৎসাসেবা চালু থাকে না। এমন এক অতি আনন্দের সংবাদ জেনে আমার এক চেখে পানি অন্য চোখে জল- জলপানি! যেন অনেকটা এমন ড্রেনে বয়ে যায় নদী কলবল।
দুনিয়ায় সমস্ত দেশের খবর দূরের কথা দুনিয়ায় দেশ আছে কয়টা এটাই তো আমি জানিনে ছাই! বাচোঁয়া, মন্ত্রী মহোদয় ঠিক-ঠিক জানেন।
জানি এটা অহেতুক, তবুও... দেশের বাইরে বসবাসরত আমার বন্ধু, ভাই-বেরাদর সবার প্রতি আকুল আবেদন ছুটির দিনে ওই সমস্ত দেশে কী চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নাই, সত্যি নাকি? তাহলে কী ছুটির দিন আপনাদের অসুস্থ হওয়ার নয়ম নাই! অসুস্থ হলে আপনাদের গতি কী! বাপু রে, একটাই জীবন আপনাদের, ছুটির দিনে মরলে তো আর বাঁচবেন না!

এমনিতে আমাদের দেশের শক্তিশালী মানুষরা ফট করে বিদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে আমোদিত হন। কিন্তু...। নাসিম সাহেব যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি ছোট্ট একটা জায়গায় (আমি যেখানে থাকি) ফায়ার ফাইটিং স্টেশন ওরফে ফায়ার বিগ্রেড অফিস উদ্বোধন করার জন্য চলে এসেছিলেন। তাও হেলিকপ্টারে করে উড়ে!
দুনিয়ার কোনও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অখ্যাত একটা জায়গার আগুন নেভাবার অফিস উদ্বোধন করতে উড়ে চলে আসেন এমনটাও আমার জানা নেই।

Sunday, June 29, 2014

যেদিন মরব আমি।



মৃত্যু নিয়ে অনেকের অনেক বায়নাক্কা থাকে। কেউ-কেউ জ্যোৎস্না রাত ব্যতীত মরতে চান না। জ্যোৎস্না না-হলে চাঁদপানে পা তুলে নাক-মুখ চেপে শ্বাস আটকে রাখেন। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতেই চান না। কেননা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিশেষ সুবিধা নাই!

আমার এই সব চোচলামি নাই।েএকটা হলেই হলো। তবে, ডায়েরিয়ায় মরতে চাই না। ডায়েরিয়ায় মৃত্যু... । ছি, মরণ!
আর অঝোর বৃষ্টিতেও মরতে চাই না। কারণ...।
যেদিন মরব আমি, সেদিন কী বার হবে?
বলা মুশকিল।
শুক্রবার, বুধবার? শনিবার? নাকি রবিবার
যে বারই হোক,
সেদিন বর্ষায় যেন না ভেজে শহর, যেন ঘিনঘিনে কাদা
না জমে গলির মোড়ে। সেদিন ভাসলে পথ-ঘাট,
পূণ্যবান শবানুগামীরা বড়ো বিরক্ত হবেন।...
(শামসুর রাহমান)
*লেখাটার শিরোনাম শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে নেওয়া।

Tuesday, June 24, 2014

রওশন আরা: বাস্তবকে ছাড়িয়ে যায় কল্পনা!


এমনিতে একটা শিশু সারাটা দিন বকে মরে কিন্তু কেউ যখন বলে, বাবু, এটা বলো তো। বাবু চুপ। মুখে রা নেই!
আমার অবস্থাটাও তেমনই। মন বসে গেলে আমি তর তর করে লিখে যেতে পারি কিন্তু যেই-মাত্র কেউ বলল, এটা নিয়েেএকটু লেখেন তো। ব্যস, কলম হালের কী-বোর্ড চিবিয়ে ফেললেও একটা অক্ষরও বের হয় না, দুম করে কামান দেগে দিলেও! কী আর করা, এই গুণ আমার নেই! তাই বলে তো আর বেচারা আমাকে ইলেকট্রিক পোলে ঝুলিয়ে দেওয়া চলে না।
এই নিয়ে অনেকে অহেতুক আমার উপর রাগ করে থাকেন।

এখানে ব্যতিক্রম হলো। এমন একজন অনুরোধ করেছিলেন যিনি হচ্ছেন সেই মানুষ- আমাকে এই গ্রহে যে অল্প কিছু মানুষ বিচিত্র কারণে পছন্দ করে তিনি তাদের একজন। তাছাড়া বিষয়টা আমাকে অসম্ভব আগ্রহীও করে তুলেছিল।

তিনি যে প্রসঙ্গটা বলেছিলেন। ১৯৭১ সালে রওশন আরা নামের একজন বুকে মাইন বেঁধে পাকিস্তানি ট্যাংক উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সঙ্গে নিজেও নিশ্চিহ্ণ হয় যান।
এই বিষয়ে আমার কিছুই জানা ছিল না। খোঁজ করতে গিয়ে যে তথ্যগুলো পেলাম বিভিন্ন পত্রিকা এবং ওয়েবসাইটের কল্যাণে তা এমন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী রওশন আরা তাঁর বয়স তখন ছিল ১৭। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বুকে মাইন বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানি ট্যাংকের সামনে। মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জন পাকিস্তানি আর্মির। মুজিব ব্যাটরির পাশাপাশি আরেকটি ব্যাটরির নাম রাখা হয়েছিল রওশন আরা ব্যাটরি। রওশন আরার এই আত্মত্যাগের পর তখন এপার-ওপার বাংলার বিখ্যাত কবিরা কবিতাও লিখেছিলেন, রোশেনারা, একটি মেয়ের মৃত্যু

জন্মযুদ্ধ নামের ওযেবসাই‌টে বাড়তি কিছু তথ্য পেলাম। যেমন বেছে-বেছে সেদিন রওশন আরা সবুজ শাড়ি পরেছিলেন। আবার তাঁর মৃত্যুর পর রক্তমাখা সবুজ শাড়িটা ট্যাংকের ব্যারেলে আটকে থাকে। সেটা আবার কারও কারও চোখে বাংলাদেশের পতাকাও হয়ে যায়!

কিন্তু রওশন আরাকে নিয়ে আহমদ ছফা অলাতচক্রে লিখেছিলেন:
...তারপর থেকে ভারতের পত্র পত্রিকাসমুহ রওশন আরাকে নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। ...পত্র পত্রিকার প্রচার একটু থিতিয়ে এলেই রওশন আরাকে নিয়ে কবি মশায়েরা কবিতা লিখতে এলেন। ...কিন্তু আমি বা বিকচ (বিকচ চৌধুরী) ইচ্ছা করলেই রওশন আরাকে আবার নিরস্তিত্ব করতে পারিনে। আমরা যদি হলফ করেও বলি, না ঘটনাটি সত্য নয় রওশন আরা বলে কেউ নেই। সবটাই আমাদের কল্পনা- লোকজন আমাদেরকে পাকিস্তানি স্পাই আখ্যা দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলাবার জন্য ছুটে আসবে।...
(অলাতচক্র। পৃষ্ঠা নং: ১৩৫)

...তোমার (বিকচ চৌধুরী) গল্প সেই শর্তগুলো পূরণ করেনি। ধরো নাম নির্বাচনের বিষয়টি। তুমি বলেছ ফুলজান। এই নামটি একেবারেই চলতে পারে না।...সুতরাং একটা যুতসই নাম দাও, যাতে শুনলে মানুষের মনে একটা সম্ভ্রমের ভাব জাগবে। রওশন আরা নামটি মন্দ কী!...
(অলাতচক্র। পৃষ্ঠা নং: ১৩৪)

যাই হোক, বিকচ চৌধুরীই রওশন আরাকে নিয়ে তৎকালীন পত্রিকায় প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন। যেটা ছাপা হওয়ার পর প্রচন্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেই বিকচ চৌধুরীর কাছ থেকে আমরা একটু শুনি:
...একদিন আমার একটি ছোট্ট সংবাদ কাহিনী চারদিকে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করল। ঢাকায় ১৭ বছরের এক অসম সাহসী মেয়ে বুকে মাইন বেঁধে পাক ট্যাংক বাহিনীর ১৯ জন খান সেনাকে খতম করে দিয়ছেন। ...দিকে-দিকে গঠিত হয় রওশন আরা ব্রিগেড। আজ ইতিহাসের নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই রনাঙ্গনের প্রচার কৌশলের অন্যান্য অনেক সংবাদ কাহিনীর মতো রওশন আরার কাহিনীও ছিল প্রতীকী। রওশন আরা নামটি বাংলাদেশের বন্ধু আহমদ ছফার দেওয়া।
(সূত্র: ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ড. আবুল আজাদকে লেখা চিঠি।)

তখন... রওশন আরাকে যে-প্রকারে বিকচ চৌধুরী বা আহমদ ছফা সৃষ্টি করেছিলেন এতে আমি দোষের কিছু দেখি না। যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল থাকে। যোদ্ধা বা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত মানুষদের উদ্দীপ্ত করার জন্য এও এক কৌশল।
কিন্তু এখন...। রওশন আরাকে নিয়ে অনেকের লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল এরা নিজেরা অকুস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ফেনিয়ে ফাঁপিয়ে যেভাবে লিখেছেন সত্য যে কেমন করে ফিকশন হয়ে যায় তার এক চমৎকার উদাহরণ। এরা ভুলে যান মুক্তিযুদ্ধ ফিকশন না। এখানে বানিয়ে-বানিয়ে লেখার কোনও প্রকারের সুযোগ নাই।
তাছাড়া এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে মার্জনা করা চলে কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে সত্যকে আড়াল করাটা অন্যায়। এক প্রকারের গুরুতর অপরাধ।
...
এবেলা বিকচ চৌধুরীর ঋণ কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করি। দুলাল ঘোষের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের কিছু দুর্লভ পত্রিকা এবং বিভিন্ন কাগজপত্র পেয়েছিলাম। যার কিছু অংশ বিভিন্ন সময়ে লেখায় দিয়েছিলাম।
বিকচ চৌধুরীর সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। আফসোস, যাব-যাব করেও যাওয়া হয়নি আমার। আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল আর ভিসার জন্য অমানুষের মত, অমর্যাদার সঙ্গে দূতাবাসে দাঁড়াতে আমার ইচ্ছা করে না। পূর্বে দু-বার আমার ভারত যাওয়া পড়ে। অভিজ্ঞতা বড়ই তিক্ত। ভারতসহ বিভিন্ন দূতাবাসগুলো একটা কাজ নিয়ম করে করে। সেটা হচ্ছে, অতিথির কাছে প্রথমেই নিজের দেশকে নগ্ন করে দেওয়া। ফট করে ল্যাংটা হয়ে যাওয়া। সেটা ভারত হোক বা জার্মানি আচরণ একই।  এ এক চরম অসভ্যতা।
হাতের নাগালে স্ক্যানার নাই। সেল ফোনই ভরসা। ১৯৭১ সালে বাংলার মুখ নামের পত্রিকাটি থেকে বিকচ চৌধুরীকে লেখা চিঠি। মুজিবনগর থেকে বের হওয়া এই পত্রিকাটির তখন দাম ছিল পঁচিশ পয়সা!   

এরা লিখেছে, ...ঢাকার রওশন আরার বুকে মাইন বেঁধে হানাদার বাহিনীর ট্যাংকের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়া ...
এরা আবার এক কাঠি সরেস। এরা বিকচ চৌধুরীকে বানিয়ে দেয় বিকাশ চৌধুরী!

Monday, June 23, 2014

কোর্ট মার্শাল এবং অতঃপর...।



'কোর্ট মার্শাল' [১] নামের লেখাটায় লিখেছিলাম, ...২০১২, বছরের শুরুজানুয়ারি মাসের ২০ তারিখের পত্র-পত্রিকায় ছেয়ে গেল...সরকার উৎখাতের চেষ্টা ব্যর্থ ...সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এরা এখন কোথায়? কোন আদালতে তাঁদের বিচার চলছে- সামরিক, নাকি বেসামরিক? কতটুকু অপরাধের সঙ্গে এরা জড়িত ছিলেন?... 

যাক, শেষ পর্যন্ত জানা গেল! প্রথম আলো একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছে ১৬ জুন, ২০১৪ সালে [২] , সাজাপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তা আটকের ২৮ মাস পর জেলে। ... দুই সাবেক কর্মকর্তার পরিবারের অভিযোগ, দুজনকেই এক বছর আটক রাখার পর বিচার শুরু হয়৷ আবার বিচারের রায় ঘোষণার এক বছর পর তাঁদের বেসামরিক কারাগারে পাঠানো হয়... 

তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে যে কঠিন অভিযোগটা করা হয়েছে, বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে তাঁরা এক বছর আটক ছিলেন। এই অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে দেখা যাচ্ছে এদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে শত-শত দিন, ৩৬৫ দিন!

প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িতএঁদের সংখ্যা ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়এঁদের মধ্যে তিনজনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে সেনাবাহিনী... আদালতের সুপারিশের পর ১৫ কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়এঁদের মধ্যে একজন মেজর জেনারেল ও একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলও ছিলেন১৫ কর্মকর্তার মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় ফৌজদারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেনতবে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না, জানা যায়নি

তাহলে এই প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, কেবল ৩ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। আবার বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন আরও ১৫ কর্মকর্তা তাঁদের মধ্যে কেউ-কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ভবিষ্যতে জানা যাবে এমনটাই আমরা আশা করতে পারি।

এমনিতে এই ঘটনার মূল হোতা ইশরাক আহমেদ (শেষ যেটা আমরা জেনেছিলাম তিনি থাইল্যান্ডে আছেন) তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কোনও উদ্যোগের কথাও আমরা জানি না।  

আজকের (২৩ জুন, ২০১৪) প্রথম আলোতে মিজানুর রহমান খান চমৎকার একটি লেখা লিখেছেন, কোর্ট মার্শালের রায় প্রকাশ করুন। [৩]
এর মানে কী! রায় কী অপ্রকাশিত? কেন? কী আশ্চর্য, একজন ভুক্তভোগী এটাও জানতে পারবেন না যে কোন প্রক্রিয়ায় তার বিচার সম্পন্ন হলো?

এই লেখা থেকে আমরা আরও জানতে পারি, ...বেলুচিস্তানের চাঞ্চল্যকর গুমের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আমির হানি মুসলিম বলেছেন, সামরিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আপিল সুপ্রিম কোর্ট শুনবেন৷ (ডন, ২৭ মার্চ ২০১৪)

২০০৭ সালে ভারত সব ধরনের সামরিক রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে পিল শুনতে আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল (এএফটি) চালু করে৷ ...গত সপ্তাহে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে দেখি, ভারত এএফটিতে থেমে নেই৷ আপিলের আরও একটি নতুন ফোরাম খুলেছে৷ এএফটির রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারও খোলা হয়েছে৷ হিন্দু লিখেছে, দেখা যাচ্ছে, হাইকোর্টে ৯০ শতাংশ রায় উল্টে যাচ্ছে৷

আমাদের দেশে সেনা আইনে বিচারের কোনও আপিলের সুযোগ নেই, কেন? সেনা আইনে বিচার কী আসমানি বিচার যে এটার ভুল হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নাই।

যাই হোক, উল্লেখিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, পাশের দেশের উদাহরণ থেকে আমরা স্পষ্টত জানতে পারছি, কোর্ট মার্শালের রায় আসমানি কোনও রায় না, এখানেও ভুলভাল হয়। বিচারে তো ভুল হওয়ার কোনও অবকাশ নাই। কারণ...। দু-চার বছরের জেলটাই তো শেষ কথা না। যাদেরকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এরা এখন অপরাধী। এখন এদের স্বজনদেরকে যখন কেউ বলবে, দেখ-দেখ, ওই যায় ক্রিমিনালের পোলা, ওই যায় ক্রিমিনালের বউ, তখন তাঁদের স্বজনদের উপর পানে তাকিয়ে রক্ত মেশানো চোখের জল ফেলা ব্যতীত তার আর কী-ই বা করার থাকে কারণ
 এরাও যে এখন এটাই জানে, তার পাপা, তার স্বামী একজন অপরাধী, ঘৃণ্য মানুষ...।  

১. কোর্ট মার্শাল: http://www.ali-mahmed.com/2012/12/blog-post.html

Saturday, June 21, 2014

ওই আসে মহাপুরুষ (!), না-না, ইতিমধ্যে এসে পড়েছেন!



এই মহাপুরুষের (!) আসল নাম আমার জানা নেই। যতটুকু জানলাম এ থেকে বের করা আমার জন্য অতি দুরুহ। নমুনা :
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদযম আলাইহিস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী মুরশিদ ক্বিবলা

এমনিতে সবাই জানে রাজারবাগের পির হিসাবে। পির তো এই দেশে গন্ডায়-গন্ডায়। দেশের গন্ডেপিন্ডে কতশত পির কিন্তু...। তিনি যে ক্ষণজন্মা এক মহাপুরুষ (!)।
রাজারবাগের থেকে বের হয় দৈনিক আল ইহসান নামের পত্রিকা। ভাগ্যিস বের হয় নইলে তো এমন মহাপুরুষের (!) কথা অজানাই থেকে যেত।
এ অভূতপূর্ব! এই পত্রিকা থেকে আমরা জানতে পারছি এটি সমগ্র বিশ্ব থেকে পঠিত একমাত্র দৈনিক। পড়া হয় বিশ্বের ২১৮টি দেশের ৮০৫৮টি শহর থেকে।

এই পিরের এমনই ক্ষমতা যা আজ এই বিশ্বে আর কারও আছে এমনটা অন্তত আমার জানা নেই। তার দোয়া ও রোবের প্রতিফলনে আমেরিকা জাপানের মত কাফির দেশ ফানা ফানা হয়ে যাচ্ছে। এই পত্রিকা থেকে আমি কিছু অংশ হুবহু তুলে দিচ্ছি:
...উনার (রাজারবাগের পির) সেই মোবারক দোয়া ও ফরিয়াদের ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের উপর বিভিন্ন আযাব-গযব নাযিল করে তাদেরকে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন। ... প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যখন থেকেই এরকম দোয়া করছেন ও এসব ভবিষ্যত্বাণী করছেন তখন থেকেই আমেরিকা ইউরোপসহ যুলুমবাজ বিধর্মী বিশ্ব ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগরূপী গযবে প্রকটভাবে আক্রান্ত হচ্ছে...। (দৈনিক আল ইহসান, ১৭ জুন-২০১৪ ঈসায়ী সন। পৃষ্ঠা:১, ৬, ৮)

আমি বড় ভয়ে ভয়ে আছি এই পির সাহেবের বদদোয়ায়, রোবের (রোব জিনিসটা সম্ভবত রাগ) কারণে না এই গ্রহটা ফেটে যায়। আহা, একের-পর-এক বিধর্মীদের পারমাণবিক বোমাগুলো যদি ফাটা শুরু করে তাহলে উপায় আছে। আমি হুজুরের জন্যও বড়ো চিন্তায় আছি সঙ্গে হুজুরও...সর্বনাশ হয়ে যাবে যে...!

Thursday, June 19, 2014

দ্রুত আরোগ্য কামনায়!



'সিক পিপল [১] নিয়ে লেখাটায় লিখেছিলাম, ...আবার অনেক নির্বোধ অতি চালাকি করতে গিয়ে অন্য দেশের পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে দিলরোদ-বৃষ্টি-বিবর্ণতা, সকাল-সন্ধ্যা-রাত উপেক্ষা করে আমাদের পতাকা উড়তে থাকল।...

ঝড়-বৃষ্টি-রোদে বিবর্ণ, ছেঁড়া পতাকা যখন সুউচ্চ ইমারতের গ্রিলে আটকে থাকে বা মাটিতে গড়াগড়ি খায়- কার দায় পড়েছে গ্রিল থেকে বা মাটিতে পড়ে থাকা ছেঁড়া পতাকা নামাবার, সরাবার?

সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। প্রকাশ্যে বিদেশি পতাকা উড়ানোর শাস্তি ১ বছরের জেল অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড!
তর্কের খাতিরে বিষয়টা একপাশে সরিয়ে রাখলেও বিদেশি পতাকার লেজ ক্রমশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে হনুমানের লেজকেও। এই বিষয়টা এখন আবেগকে ছাড়িয়ে অহেতুক শস্তা সম্মান রক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! কেউ ২০০ ফিট পতাকা ঝুলিয়েছে তো চলো আমরা ২৫০ ফিট পতাকা ঝোলাই। এরপর ২৫০...৩০০...৫০০। খেলা চলছে। বাড়ছে পতাকার দৈর্ঘ্য। প্রায় সবই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার।, বিশেষ করে মফঃস্বলে। চুলায় বেড়াল ঘুমায়, তাতে কী! এ এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা। যারা হতে পারত ধ্বান্তারি, অথচ এরা কালে-কালে পরিণত হয় ধ্বান্ত থেকে উঠে আসা ধ্বান্তোন্মেষে।

আমার তো মনে হচ্ছে ব্রাজিল যদি প্রতিপক্ষের ১১ জন খোলোয়াড়ের ২২টির স্থলে ৪৪টা পা করে দেয় বা আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষের ২২টি হাতের স্থলে ৪৪টা হাত উপহার দেয়- কুছ পারোয়া নেহি! এ সত্য, এরা জন্মান্ধ না তবে অন্ধ! এমন অন্ধদের করুণা করতেও করুণা হয়।

এখনই সময়, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা খেলা থেকে বিদায় নিক। অন্ধ উম্মাদনা থিতু হয়ে কেবল চমৎকার খেলার বিমল আনন্দ- ভালো খেললে ঘানা বা হ্ন্ডুরাস হতে সমস্যা কোথায়! খেলা খেলায় ফিরে আসুক।
আ-মি-ন। 

গরু চোরেরও অধম!


চোর-চোট্টারও কিছু তরীকা আছে। যেমন চোর নাকি নিজের বাড়ির আশেপাশে চুরি করে না। আবার  চুরি করতে না-পারলে ওই বাড়িতে বাথরুম সেরে আসে। তবে চোরদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে গরু চোর। একেবারেই ইজ্জত নাই! জেলখানার কয়েদিরা গরুচোরকে দু-চোখে দেখতে পারে না। ওখানে নাকি গরুচোরের কাজ হচ্ছে এর-ওর পা টেপা, শরীর বানিয়ে দেওয়া।

ইমরান হোসেন মামুন নামের চোস্ত কাপড়পরা এই মানুষটাকে দেখে আমার বিগলিত হওয়ার কথা কিন্তু বেদনার সঙ্গে বলি, একে আমার গরু চোরেরও অধম মনে হচ্ছে। এই মানুষটা আবার ফ্রান্সে থাকেন। এই মানুষটার আগ্রহসমূহ হচ্ছে, সৎ পথে থাকা। বেজায় পাজি এই লোকটা যে সৎ এটা অন্তত আমি স্বীকার যাই‌ না। কারণ...।

১৯৭১ সালের ছবি নিয়ে 71photogun নামে একটা ওয়েবসাইট  আছে আমার ( http://71photogun.blogspot.com )। এই লোকটা আমার ওই ওয়েব সাইট থেকে হুবহু কপি-পেস্ট করে নিজের সাইটে চালিয়ে দিয়েছেন ( http://mihmsm.blogspot.com/2011/01/blog-post_4431.html )। নীচে আবার ঘটা করে লিখেছেন, লেখাটি পোস্ট করেছেন ইমরান হোসেন মামুন। বটে রে!

মুক্তিযুদ্ধের ছবি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। কিন্তু ই মানুষটা আমার সাইট থেকে দাঁড়ি, কমা, মন্তব্য সবই অবিকল ছাপিয়ে দিয়েছেন। আবার বুদ্ধি করে আমি যাদের ঋণ স্বীকার করেছি তাদের নামও ছাঁটাই করে দিয়েছেন।

রাগে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে। একেকটা ছবি খুঁজতে দিনের-পর-দিন গেছে, রাতের-পর-রাত জেগে কাজগুলো করেছি আর এই ব্যাটা পাজি, নচ্ছার, গরুচোরেরও অধম এক নিমিষেই সব নিজের বলে চালিয়ে দিলেন। ইচ্ছা করছে একে আট-দশটা গান্ধিপোকা বেটে খাইয়ে দিতে পারলে খানিকটা আরাম পাওয়া যেত...!

Sunday, June 15, 2014

দেশপ্রেমিক (!) এবং...


তিন উল্লাস নামে একটা কথা চালু আছে কিন্তু এ যে দেখি শত উল্লাস! আমাদের দেশপ্রেমিকদের (!) জন্য আজ বড়ো আনন্দের দিন। দেখো দিকি কান্ড, টুকটুক করে হেঁটে সোয়া মাস পূর্বেই ঈদ চলে এসেছে! কী আনন্দ আজি আকাশে বাতাসে! 
ঢাকার মিরপুরের কালশিতে বিহারি নামের যে পশুগুলো (!) মারা গেল এই আনন্দময় মৃত্যু তো হররোজ দেখা মেলে না। কেনই-বা আমাদের এই উল্লাস? কারণ বিহারিগুলো খুব খারাপ। আমাদের দেশপ্রেমিকদের (!) নোট থেকে কয়েকটা উল্লেখ করি। এরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। আমরা কেউ নেইনি, না? গোলাম আযম গং, এরা তো বিহারিই ছিল, নাকি?
আমার সাফ কথা, খুন তো খুনই- সে বিহারি করুক বা বাঙালিযে সমস্ত বিহারি তখন খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে সমস্যা কোথায়! আমি এই সমস্ত খুনিদেরকেও কাঠগড়ায় দেখতে চাই

নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও  এরা পটকা ফুটিয়ে দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছে। তাই তো, দেশে আর কোথাও পটকা ফুটেনি তো!

এরা মদ-গাঁজা-ভাং বিক্রি করে। কী সর্বনাশ, দেশের আর কোথাও মদ, গাঁজা বিক্রি হয় না তো! কেবল বিহারিরাই এই কুকর্ম করে থাকে। 

যাই হোক, বিহারি ক্যাম্পের অধিবাসী মো. ইয়াসিন ছুটে গিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতরে আগুন এবং তখন দরজায় তালা লাগানো দেখেনপরিবারের সাত জনের কাউকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। সন্তানের লাশ কাঁধে এই বাবাটাকে একজন ভাঁড়ের মত মনে হয়, না? তাঁর চোখের জল স্যুয়েরেজ পাইপের সঙ্গে মিশে গেলে সমস্যা নেই তো কোনও...।

ভাল কথা, যে শিশুগুলো আগুনে অঙ্গার হয়ে গেল যাদেরকে বিহারির বাচ্চা বলে উল্লাস করে আমোদে যাদের চোখ ছোট হয়ে আসছে সেই সমস্ত দেশপ্রেমিক (!) মহোদয়গণকে আমি কি এটা মনে করিয়ে দেব, আমাদের দেশের আইনের কথা? হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে: "দেশে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের মধ্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নাবালক ছিল বা এর পরে যাদের জন্ম হয়েছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিকসমস্ত নাগরিক সুবিধা তাদের প্রাপ্য"
আমার জানার খুব ইচ্ছা, বিহারের অধিবাসী কোনও এক বাপ-দাদার পাপের ফল তার সন্তান নামের বাংলাদেশের নাগরিককে কেন বইতে হবে! কোন যুক্তিতে? আজ বাংলাদেশের এই নাগরিককে পুড়িয়েছেন কাল নিশ্চয়ই আমাকে পোড়াবেন।

বা এই কথাটা? বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ সনদে সাক্ষর করেছেসেই অনুসারে শুধু বাঙালীই নয়, এই ভূখন্ডের সব শিশুর শিক্ষাসহ সমস্ত অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের

অনেক পূর্বে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম, আমাদের কোনও পরিচয় নাই [১]। নতুন করে আর চর্বিতচর্বণ করি না। 

এ সংবাদটা পড়তে গিয়ে একটা বিষয় চোখে পড়ল। প্রথম আলো, মিডিয়া টাইকুন হরদম আমাদের শিখিয়েই যায়। আজও এদের কাছ থেকে শিখছি। সচরাচর আমরা কারও বক্তব্য লিখলে লিখি, তিনি বলেন-জানান বা তিনি বলেছিলেন-জানিয়েছিলেন...। এরা দেখি এখন নতুন এক জিনিস চালু করেছে। যে পরিবারে সাতজন মারা গেছে তার মুখের কথাকেও এরা লিখছে, তিনি দাবী করেন।
কয়েকটা উদাহরণ দেই:
"ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আসলামের স্ত্রী নাজমার দাবি, ..."।
"বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শমশেরের দাবি, ..."।
"আদিল আহমেদ দাবি করেন, ..."।
"আগুনে পুড়ে পরিবারের সাত সদস্য নিহত হয়েছে দাবি করে..."।

অন্যদের কথা জানি না কিন্তু আমার পড়ার সময় এমন মনে হচ্ছিল, তিনি দাবী করেন...। যেন এমন...ঠিক না-হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তবুও দাবী করেছেন আর কী।
এই পত্রিকার দাবীমতে, পরিবারের সাত সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন মো. ইয়াসিন। জনাব ইয়াসিনের এই দাবী ধোপে না-ও টিকতে পারে। হতে পারে সাড়ে ছয় বা সোয়া ছয় জন নিহত হয়েছে।

এদের এই নতুন 'ঢং-ঢাং' কেন কে জানে!

১. আমাদের কোনও পরিচয় নাই: http://www.ali-mahmed.com/2008/07/blog-post.html

Saturday, June 14, 2014

ঢাল!


ভোটের পূর্বে টুপি-তসবি-হিজাবের আমদানি হয় আমাদেরকে এটা বোঝাবার জন্য যে এরা কত ধার্মিকএ যে অভেদ্য ঢাল...তাই বলে এই ঢাল ব্যাংকওয়ালাদের প্রয়োজন হবে না বুঝিএটা আমাদের না-বুঝে উপায় আছে যে এটা কত ধার্মিক ব্যাংক...!

Friday, June 13, 2014

একালের যোদ্ধা (!)

ওকালের মুক্তিযোদ্ধারা এখন বড়ো পানসে! যেমন এখন আমাদের আর মশিহুর রহমান [১] নামের মানুষটা অকল্পনীয় ত্যাগ মনে রাখার আদৌ প্রয়োজন নেই! কারণ গুটিকয়েক মানুষের অবদান বলে বলে আমাদের আর বলার সময় কোথায়! মুখে ফেনা তুলে মুখ ফেনায় ফেনায় একাকার...

এখন আবার চলে এসেছেন অনলাইন যোদ্ধারাওকালের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন সামান্য অস্ত্র হাতে আর একালের যোদ্ধাদের প্রধান অস্ত্র অসামান্য কীবোর্ডআরেকটা অস্ত্র আছে, এই অন্য অস্ত্রটার কথা পরে বলছিতো, কী যুদ্ধ বেইবি, চোখে দেখা যায় না এমন- চোখ ঝলসে যায় বলে

এমন্ই এক নারী যোদ্ধার(!) কথা বলিলেখার হাত অতি কুৎসিততার এই ঘাটতি মিটে যেত তার চকচকে চামড়া দিয়ে। 

পাকিস্তানের মসজিদে বোমা ফাটলঅসংখ্য মৃত্যু। মসজিদ রক্তের স্রোতে ভেসে গেলআমার জানা মতে ওখানে শিশুও ছিলএই মহিলা মুক্তিযোদ্ধা(!) তখন এই অতি নিষ্ঠুর মৃত্যু নিয়ে বেজায় উল্লাস করলেনএই অসম্ভব হৃদয়হীন কাজটা তিনি কেন করলেনকারণ তিনি যে একালের মুক্তিযোদ্ধা! এরপর...আমি যখনই তার মুখপানে তাকাব তখন দেখব অসংখ্য শুঁয়োপোকা। কিলবিল করছে। গা হিম করা- শরীর কেবল শিউরে শিউরে উঠবেইচ্ছা করবে গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করলে যেন খানিকটা আরাম পাওয়া যাবে

হালে অন্য একজনের একটা লেখা পড়লামকরাচি এয়ারপোর্টে অস্ত্রধারী জঙ্গিদের হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন মানুষটা লিখে বেদম উল্লাস প্রকাশ করলেনতিনি কেন এমন নৃশংসতা দেখালেন? কারণ তিনিও যে একালের দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা!
অন্য অস্ত্রটার কথা এবার বলিএই সমস্ত যোদ্ধারা অধিকাংশই জেনারেল পদ মর্যাদার, হাজার-লাখ-কোটি এদের সিপাহিজেনারেল বললেন, যে তার বিরূদ্ধাচারণ করবে তার সম্মানে মুত্র বিসর্জন করলাম। চালু বাংলায় মুতে দিলাম। ব্যস, আর যায় কোথায়! সিপাহি সব মুত্র বিসর্জন করে বিরুদ্ধাচারণ করা শক্রদের ভাসিয়ে দিল। ভাগ্যিস, মুত্র লিটার ধরে বিক্রি হয় না।

আমাদের বাতিওয়ালা, লেখক জাফর ইকবালজাফর ইকবালের সম্মতিক্রমে তার নামে একটা পেজ খুলে আমদেরকে জানানো হলো, যে প্লেন পাকিস্তান হয়ে যায় সেই প্লেনে তিনি নাকি চড়েন নাকেন চড়েন না? কারণ তিনি ওকালের মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি তাই তিনি একালের মুক্তিযোদ্ধা! তাই তিনি যুক্তিসঙ্গত কারণে তীব্র ঘৃণা কেবল পোষণই করেন না ছড়িয়েও দেনযতটুকু জানি পাকিস্তানি বল দিয়ে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছেএখন এই কারণে এই খেলা বর্জন করার আহ্বান আসবে কিনা বুঝতে পারছি না

কিন্তু যে আমেরিকা তখন পাকিস্তানকে আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে পরোক্ষ মদদ দিয়েছিল, ক্ষুধার্ত আমাদের খাবার ফিরিয়ে নিয়েস্বাধীন দেশটাকে সীমাহীন বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে তিলমাত্র কার্পণ্য করেনি। অথচ সেই দেশে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে, বসবাস করতে, আয়েশ করে ছুটি কাটাতে, সেই দেশের সঙ্গে ঘসাঘসি করতে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের কোনও সমস্যা নাই। এতে তারা বিমল আনন্দ বোধ করেন। বাপের বিরুদ্ধে এই সব কথা বলতেও এদের মধ্যে দ্বিধা কাজ করে।
তারা অবশ্য যুক্তি দেখাতে পারেন ১৯৭১ সালে আমেরিকা তো আর সরাসরি আমাদের স্বজনদেরকে খুন করেনি, নারীদের চরম অপমান করেনি ওহে বুদ্ধিজীবীগণ, আমি কি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেব গোল্ডা মায়ারের সেই বিখ্যাত উক্তি? “কাউকে নিজ হাতে হত্যা করা বা কাউকে হত্যার সিদ্ধান্ত দেওয়ার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নাই
গোল্ডা মায়ারকে গুল্লি মারেন। আমি যদি আপনাকে খুন করার জন্য খুনি ঠিক করি তাহলে আমাকে কী আইন ছেড়ে দেবে? নাকি এই প্রজন্ম ছেড়ে কথা বলবে। 

আমি পূর্বের অনেক লেখায় বারবার বলেছি, পাকিস্তানি সৈন্যরা যোদ্ধা ছিল না, ছিল সাইকোপ্যাথএরা যোদ্ধা নামের কলংক! ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় এরা যে-সমস্ত অন্যায় করেছে এদেরকে কাপুরুষ খুনি বললেও একবিন্দু অতিশয়োক্তি হবে নাএরা প্রার্থনারত মানুষের উপর হাসতে হাসতে গুলি চালিয়েছেদোলনার শিশুকে অকম্পিত হাতে গুলি-বেয়নেটের আগায় শিশুকে মগজ আটকে উল্লাস করেছেএদেশের মহিলাদেরকে কেবল চরম নির্যাতনই করেনি অনেক ক্ষেত্রে এদের আচরণ একটা পশুকেও ছাড়িয়ে গেছেএই সব নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নাএই সত্যটা যিনি অস্বীকার করবেন তাকে সবিনয়ে বলি আপনার জন্য কাঁঠালপাতা না, আস্ত কাঁঠাল গাছ

পাকিস্তানি আর্মি এই চরম অন্যায়গুলো করর পেছনে কতিপয় জেনারেল এবং রাজনীতিবিদদের ইন্ধন ছিলতারপরও তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম পাকিস্তানের সবাই, এমন কি মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটিও তখন সম্মতি জানিয়েছিল আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে, চরম অন্যায় করতে
কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রজন্মের অসংখ্য শিশু আছে যারা ১৯৭১ সালের অনেক পরে জন্মেছে। বাংলাদেশের নামটিও শুনেনি বা তাদের পূর্বপুরুষরা কেমনতরো অন্যায় করেছিল এই সম্বন্ধে এদের বিন্দুমাত্র ধারণাও নেইআমাদের কদর্য উল্লাসের বলি তাহলে এরাও! বাহ!
পাকিস্তানি কারও মৃত্যুতে যখন তার স্বজন-মা আকাশ ফাটিয়ে কাঁদেন তখন পেট চেপে গা দুলিয়ে হাসি আসে, না? দানবের প্রতি দ্রোহ-ঘৃণা থাকাটা দোষের কিছু না কিন্তু দানবকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা কোনও কাজের কাজ না

এবার খানিকটা অন্য প্রসঙ্গপাহাড়ে আমাদের সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকান্ড তীব্র বিতর্কের, নিন্দনীয়, চরম অন্যায়এই সমস্ত কর্মকান্ড সেনাবাহিনী কী আমাদের মত নিয়ে করেছিল? এই কারণে এখন পাহাড়ের লোকজনরা যদি আমাদের সবাইকে কুৎসিত ঘৃণার চোখে দেখে বিষয়টা কেমন দাঁড়াবে, হে একালের মুক্তিযোদ্ধা...।

সহায়ক সূত্র:
১. মশিহুর রহমান: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_06.html

...
* ফেসবুকে এই লেখাটা শেয়ার করার পর নূর এলাহী শিবলী মন্তব্য করেন:
“...পাকিস্তানের উপর আমার প্রবল ঘৃণা প্রায় ছেলেমানুষির পর্যায়ে পৌঁছে গেছেআমি ১৯৭১ এর পর জেনে শুনে পাকিস্তানি জিনিষ ব্যাবহার করিনিবিদেশে যাবার যাবার সময় যে প্লেন পাকিস্তানের মাটি স্পর্শ করে কখনো সেই প্লেনে উঠি নিপাকিস্তানের ক্রিকেট খেয়ায় আমি কোন আনন্দ পাই না__ তবে এসব পুরোপুরি আমার নিজের ব্যাপারআমি তোমাদের এই কথাগুলি বলেছি কিন্তু কখনোই তোমাদের এগুলো করতে বলছি নাবুকের মাঝে ঘৃণা নিয়ে বড় হওয়া খুব কষ্টআমাদের প্রজন্ম বুকের মাঝে এই ঘৃণার কষ্ট নিয়ে বড় হচ্ছে__ আমাদের পরের প্রজন্মও ঠিক একই রকম কষ্ট নিয়ে বড় হোক সেটা আমি চাই না। 
আমি চাই তারা হোক উদার, তারা পুরো বিষয়টুকু বিবেচনা করুক সম্মান এবং ভালোবাসা দিয়েপাকিস্তান তাদের কাছে হোক পৃথিবীর অন্য দশটি দেশের মতো একটি দেশ পাকিস্তানের মানুষ হোক পৃথিবীর অন্য যে কোন মানুষের মতো একজন মানুষ।...
- মুহম্মদ জাফর ইকবাল (তোমাদের প্রশ্ন আমার উত্তর) 

ইউটিউবে মুক্তিযুদ্ধের উপর করা ডকুমেন্টারি গুলাতে পাকিস্তানিদের করা মন্তব্য দয়া করে দেখবেনবাংলাদেশের নারীদের সম্পর্কে তাদের মন্তব্য গুলাতে এবার চোখ বুললে আর উদার প্রজন্ম হওয়া যায় নাআপনার লেখা বলেই মন্তব্যটা করলাম আশা করি কিছু মনে করবেন না

আমার উত্তর:
...আপনার লেখা বলেই‌ মন্তব্যটা করলাম। আশা করি কিছু মনে করবেন না।

ভাগ্যিস, মন্তব্যটা করেছিলেন। নইলে আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল ধরণার কথাটা জানাই হতো না। অতীতেও বলেছি, কেউ আমার ভুল ধরিয়ে দিলে আমি কৃতজ্ঞ হই। যেমনটা হচ্ছি আপনার বেলায়।

জাফর ইকবালের অন্য কিছু লেখা পড়ে তাঁর এই সংক্রান্ত পুরো ভাবনাটা আমার জানার সুযোগ হয়নি কারণ ওখানে এমন বিস্তারিত ছিল না। আর এই বইটা পড়া হয়নি সম্ভবত বাচ্চাদের বই বলে।



আমি যেখানে থাকি ওখানে একটা বই যাগাড় করাও বিস্তর ঝামেলার। অনেক যন্ত্রণা করে তাঁর লেখা বইটা যোগাড় করলাম। পড়লাম। মুগ্ধ হলাম! এই চমৎকার বইটা কেবল বাচ্চাদের জন্যই না, বড়দেরও পড়া উচিত।

কেবল যদি তাঁর এই লেখাটার কথাই বলি অসাধারণ করে লিখেছেন। তাঁর মত মানুষের কাছ থেকে তো আমরা এমনটাই আশা করব। কারণ তিনি কোন মত বিশ্বাস করেন এটার চেয়ে জরুরি হচ্ছে কোন মত দ্বারা তিনি অন্যকে প্রভাবিত করছেন। কারণ তাঁর প্রভাবিত করার ক্ষমতা (বিশেষ করে শিশুদেরকে) অভাবনীয়! এমন শক্তি সবার থাকে না, তাঁর আছে।

দেখুন, দানব মনুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে কী জানেন? সে তার দানবীয় শক্তির প্রয়োগ করে আশেপাশের মানুষকে দানব বানাবার চেষ্টা করে। এটা দানবের জয়, মানুষের পরাজয়! মানুষ হিসাবে আমার নিজেকে পরাজিত দেখতে ভাল লাগে না।
পাকিস্তানের কিছু বুদ্ধিজীবী ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকিস্তান তার যুদ্ধকালীন নৃশংসতার জন্য কোনও প্রকার দুঃখ প্রকাশ দূরের কথা স্বীকারও করেনি। এটা এক চরম অসভ্যতা, বর্বরতা এতে কোনও দ্বিমত নেই। তাই বলে মসজিদে বোমা ফাটবে, মানুষ মরবে আর আমরা উল্লাস করে এদের পর্যায়ে নেমে আসব এটা তো হয় না। এটা এই দানবদের জয়, আমাদের পরাজয়।

আমার এই লেখায়...তিনি (জাফর ইকবাল) যুক্তিসঙ্গত কারণে তীব্র ঘৃণা কেবল পোষণই করেন না ছড়িয়েও দেন। এই বাক্যটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করি। অন্তত এটা লিখলে জাফর ইকবালের প্রতি অন্যায় করা হয়। এতে করে তাঁর কি আসে যায় জানি না, তবে আমার আসে যায়...।

Sharifus Salekin Shahan লিখেছেন:
"Ali Bhai, untill and unless this Fuckistan is seeking justice for it's misdeeds, seeking apology to Bangladesh - I don't want to think whether my blind hatred is wrong or bringing me down !"
আমার উত্তর:
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কর্ণেল তাহের হাজার-হাজার কৃষক, মজুর, তাতী, জেলেদেরকে যুদ্ধের যে ট্রনিং দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই কী করেছিলেন জানেন তো? এঁরা যে-কোনও চৌকশ সেনাবাহিনীর চেয়েও দুর্ধর্ষ যুদ্ধ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন! কেমন করে এটা সম্ভব হলো? চোখের সামনে এঁদের স্বজনদের নির্যাতন, মৃত্যু সর্বদা এঁদেরকে তাড়া করত। কর্ণেল তাহের এঁদের দ্রোহ-অদম্য ক্ষোভকে কেবল কাজে লাগিয়েছিলেন।

দেখুন, ১৯৭১ সালে যাদের স্বজন খুন হয়েছেন, শারীরিক চরম নির্যাতিত হয়েছেন তাঁরা কেমন করে তাঁদের বেদনার কথা বিস্মৃত হবেন? তাঁদের দগদগে ক্ষত ভুলে যেতে বলার স্পর্ধাই-বা আমার কোথায়!

কিন্তু...একটা কিন্তু রয়ে যায়। তাই বলে এখন একজন পাকিস্তানিকে পেলেই তো আর কুপিয়ে ফালা ফালা করে ফেলা যায় না। পাকিস্তানি মসজিদে বোমা ফাটলে উল্লাস করা যায় না। আচ্ছা আপনি একটা কথা বলেন, সব নাহয় বাদই দিলাম। প্রার্থনাস্থল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা সেই জায়গায় কেউ কারও রক্তের স্রোত বইয়ে দিল (যাদের অধিকাংশই আমাদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধের জন্য দায়ী নন ) আর আমরা হলুদ দাঁত বের করে হাসলাম, উল্লাস করলাম। তা কী হয়!

এই বিষয়টা কি আপনি লক্ষ করেছেন, বিচার নিয়ে দেশ যখন উত্তাল, শাহবাগে লক্ষ-লক্ষ মুষ্টিবদ্ধ প্রতিবাদী হাত। অথচ মাত্র কয়েক হাত দূরেই কিন্তু নাটের গুরু অপরাধি গোলাম আযম। এই মানুষগুলো চাইলেই কিন্তু গোলাম আযমকে পিঁপড়ার মত পিষে ফেলতে পারত।
কিন্তু পারা যায় না এমনটা, বুঝলেন। এই কয়েক হাতের মধ্যেই যে অসংখ্য অদৃশ্য শেকল ছড়ানো। এখন পর্যন্ত আমাদের অর্জিত জ্ঞানের শেকল, সভ্যতার শেকল, মানবতার শেকল...।
অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছি আমরা- ইচ্ছা করলেই দানব হয়ে যেতে পারি না, বুঝলেন...।  

আমার সাফ কথা, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান যুদ্ধ বহির্ভূত এমন অনেক কর্মকান্ড করেছিল যাকে কোনও প্রকারেই যুদ্ধের অংশ বলা চলে না। সরল করে বললে এ স্রেফ খুন, হিংস্রতা, বর্বরতা।
খুন তো খুনই সেটা কে করল কখন করল সেটা তো মূখ্য বিষয় না। যত দিন পর্যন্ত পাকিস্তান ক্ষমা না-চাইবে আমাদের ক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা না-করবে তত দিন পর্যন্ত আমাদের নায্য দাবী আমরা করেই যাব। এতে করে ৪৩ বছর গেল নাকি ৪৩০ বছর তাতে কিছুই যায় আসে  না। এই নিয়ে তো কোনও দ্বিমত নাই, অন্তত আমার...