Search

Thursday, June 9, 2011

'মা মা' ডাক, নোবেল দিল হাঁক!

­বাদশাহ সোলেয়মান নাকি পশু-পাখির ভাষা বুঝতে পারতেন। ওঁর পরে অন্য আর কেউ পশু-পাখির ভাষা বুঝতে পেরেছেন এমনটা আমার জানা নাই।
তবে বাংগুরাদেশে বান্দরের ভাষা নিয়ে অনেকখানি গবেষণা হয়েছিল [১]। তখন অবশ্য অন্য কেউ খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি! ওসময় জাপানি সাংবাদিক বান্দরকে বলেছিলেন, 'মুশি-মুশি'। তখন বান্দর বলেছিল, 'খিচ-খিচ'। কিন্তু বাংগুরাদেশের জ্ঞানী বিমানমন্ত্রী ঠিকই দুধের দুধ, পানির পানি আলাদা করে ফেলেছিলেন! তিনি ঠিকই বান্দরের সঙ্গে বান্দরের ভাষায় বাতচিত করেছিলেন এবং জটিল রহস্য উদঘাটন করে ফেলেছিলেন! কে জানে, এই আনন্দে হয়তো তিনি তুম-তানা-নানা করে খানিকটা 'ঘান'-ও গেয়ে ফেলেছিলেন! 

সম্প্রতি আবারও পাখির ভাষা নিয়ে জোর গবেষণার ফল পেকে টসটস করার উপক্রম। কে জানে, এই কারণে এবারও বাংলাদেশে আরেকটা 'নোভেল(!)' খসে পড়ল বলে। এবার অন্তত এই পুরস্কারটা নিয়ে হইচই হবে না। এই বার ইউনূস সাহেবের মত লোকজনরা সুবিধা করতে পারবেন না। একজন রাজনীতিবিদের নোবেল অন্যকে দিয়ে দেয়া বা আম গবেষককে না-দিয়ে জাম গবেষককে দিয়ে দেয়া এমনটা এই বার ঘটবে না, এটা নিশ্চিত।
ছবি সূত্র: কালের কন্ঠ, ৭ জুন ২০১
এই ছবিটার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি শালিকছানা দুটি 'মা মা' বলে ডাকছে। মম-মাম্মি না-বলে খাস বাংলায় 'মা মা' ডাক, ভাবা যায়! আহারে, ঝানু সাংবাদিকদের কত দিক যে খেয়াল রাখতে হয়! আমি নিজেও পাখি-ছানার ছবি উঠিয়েছিলুম। কিন্তু আমার পাখির ছানাগুলো ছিল বদের বদ। এরা কেবল ছিল খাওয়ার ধান্ধায়...[২] নীচের ছবিটার দিকে তাকালেই আপনারা অনায়াসেই বুঝে যাবেন এইগুলা কেমন পেটুক!
এই যে এদেরকে এত খাওয়ালুম লাভ কী! আমার সঙ্গে দেখি এরা বাংলায় বাতচিত করল না। কেন-কেন-কেন? এরা বাংলায় 'মা মা' ডাক না হোক অন্তত ভা-ভা ডাকও তো ডাকল না, আফসোস! অবশ্য ইংরাজি-রাশিয়ান-চায়নিজ অন্য কোন ভাষায় বলে থাকলে এটা আমি বুঝতে পারিনি। কারণ সলাজে বলি, বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষা আমি জানি না। এই নিয়ে আমাকে কম হেনস্তা করা হয়নি! এই দোষে দুষ্ট আমাকে এরা পারলে শূলে চড়ান [৩]

ডিয়ার '...কন্ঠ', ভাল-ভাল! শালিকছানা বাংলায় 'মা মা' ডাকে! এরা বাংলা পড়তে পারে কিনা জানি না! বাংলা পড়তে জানলে নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে এই 'ইয়েরকন্ঠ' পত্রিকার মাধ্যমে নিজেদের সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে গেছে।

পাশাপাশি শালিকছানারা কী এও জেনে গেছে এই পত্রিকার সম্পাদক আবেদ খান স্যার? বোধহয় [৪] নিয়ে আবেদ খানের স্যারের সংশয় পরে এস্টাইলে [৫] পরিণত হয়েছিল। আবেদ খান স্যার, শালিকছানাদের পরিচিতি সম্বন্ধে আপনার 'বোধহয় সংশয়' নেই তো আবার...।

সহায়ক সূত্র:
১. বান্দরের ভাষায় বাতচিত: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_05.html
২. বদের বদ: http://chobiblog.blogspot.com/2011/04/blog-post_10.html
৩. শূলে চড়ানো...: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_9242.html
৪. 'বোধ হয়': http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_26.html
৫. এস্টাইল: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_27.html 

4 comments:

Anonymous said...

R u palo's paid bloggdr?

suhag said...

kaka,likha vhalo lageche.

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

আপনার সঙ্গে বাতচিত করার অর্থ হচ্ছে স্রেফ শব্দের অপচয়! @Anonymous

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

:) @suhag