Search

Sunday, November 14, 2010

এক বিজেতা এবং এক কুলাঙ্গারের গল্প

(কিছু নরোম মনের মানুষ আছেন। যারা চিঁ চিঁ করে ছাপার অক্ষরে কথা বলেন। আলাপ সূত্রে এদের কাছে আমি একজন দুর্বিনীত মানুষ হিসাবে পরিচিত। আপনাদের সো-কলড, আমার দুর্বিনেয় আচরণ নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নাই। একেকজনের কাজ করার ভঙ্গি একেক রকম, আমি এই রকমই। আপনারা আপনাদের ছাপার অক্ষরের চিঁ চিঁ স্বর নিয়ে রয়েসয়ে 'সুশীলডিম্বে' তা দিতে থাকুন এবং দয়া করে এই লেখাটা পড়া থেকে বিরত থাকুন।)

মন মিয়ার [১] পর ইনি হচ্ছেন দ্বিতীয় মানুষ যিনি ন্যানো ক্রেডিট [২] সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন, সময়ের পূর্বেই! মানুষটা হচ্ছেন মালতি রানী সাহা [৩]। তাঁকে ন্যানো ক্রেডিটের আওতায় এ বছরের জুলাইয়ে ১০০০ টাকা দেয়া হয়েছিল, স্কুলে চাটনি-চকোলেট বিক্রি করবেন বলে। মাসে মাসে টাকাটা শোধ করে ফেলেছেন। আবারও তাঁকে টাকা দিতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু তাঁর কাছে আমার যেটা জানা প্রয়োজন, এই টাকাটা নিয়ে আদৌ তাঁর কোন সুবিধা হয়েছে কিনা? নাকি নিলাম আর দিলাম।

কেবল তাঁর সঙ্গেই কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু সঙ্গে ভাল প্যান্ট-শার্টপরা একজন মানুষকে দেখে প্রচন্ড বিরক্ত হলাম, মানুষটা বেশ নাদুস-নুদুস। ধরাধরি জিনিসটা আমার পছন্দ না, তাছাড়া তাঁকে যেখানে বলা হয়েছিল আবারও ঋণ দিতে কোন সমস্যা নাই সেখানে সুপারিশের জন্য লোক আনা কেন!
আমি বিরক্তি গোপন করে বললাম, সঙ্গে ইনাকে এনেছেন কেন?
মালতি রানী সাহা উত্তর দেয়ার পূর্বেই মানুষটা আগ-বাড়িয়ে বলেন, আমার মা।
আমি এবার পূর্ণ দৃষ্টিতে মালতি রানীর ছেলেকে দেখি। মাশাল্লা, শরীর একখানা! মনে মনে ভাবছিলাম, গদাম করে একটা লাথি পেছনে দিলে কেমন হয়?
আমি থেমে থেমে বললাম, ও আচ্ছা, ইনি আপনার মা। বেশ-বেশ, শুনে খুশি হলাম। তা আপনি কি করেন?
আনাজ-তরকারির ব্যবসা করি।
কেমন চলে ব্যবসা।
আপনাদের আর্শীবাদে ভালই। আপনে মারে বলে টাকা দিবেন?
সেটা পরের কথা। যতটুকু জানি, আপনি আপনার মার কোন খোঁজ-খবর কখনই রাখতেন না, এখন কোত্থেকে হাজির হলেন?
মানুষটা চুপ। এরপর আমি যেটা বললাম এর জন্য সম্ভবত প্রস্তুত ছিলেন না। আপনার মাকে টাকা দেব কিন্তু এর জন্য এখানে তার কুলাঙ্গার সন্তানের থাকার প্রয়োজন নাই। আপনি এখান থেকে যেতে পারেন।

কুলাঙ্গারটা বিদায় হওয়ার পর মালতি রানীকে বললাম, আমি আপনাকে এখুনি টাকা দিচ্ছি কিন্তু শর্ত একটাই এখান থেকে এক টাকাও আপনার ছেলেকে দিতে পারবেন না। এই শর্তে রাজি থাকলে বলেন। মালতি রানী আমাকে কথা দিয়েছেন এই টাকাটা তিনি নিজের ব্যবসার কাজে লাগাবেন।

সহায়ক লিংক:
১. মন মিয়া: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_18.html 
২. ন্যানো ক্রেডিট: http://tinyurl.com/39dkbhh 
৩. মালতি রানী সাহা: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_14.html

2 comments:

রুবাইয়্যাত said...

মালতি রানীর ছেলে হাজারো নয়শো জনের একজন। পরজীবিরা সবসময়ই পরজীবি। পরজীবিত্ব ঘোচানোর চর্চা টা অপ্রয়োজনীয় তাদের কাছে, তাতে বাঙ্গালীর মজ্জাগত স্বভাবের ব্যতিক্রম হয়।

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

হুঁ। @রুবাইয়্যাত