এরশাদের সময়, খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লিখতে পেরেছি, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকতে পেরেছি আওয়ামী শাসনামলে এ ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! যেদিন শহিদুল আলমকে পুলিশ নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল, কোর্টে 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Thursday, April 23, 2009
দানবের আবার পোশাক কী!
খেলাফত মজলিশ চাচ্ছে, বাংলাদেশে তালেবানদের মতো শান্তির রাজত্ব কায়েম করতে!
খেলাফত মজলিশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ও ইসলামি এনজিও আল মারকাজুল ইসলামির চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, 'তালেবানরা সাত বছর শাসন করে আফগানিস্তানে শান্তির রাজত্ব কায়েম করেছিল।...কিন্তু আজ তালেবানরাই হয়ে গেল জঙ্গি।...জিহাদ ছাড়া পৃথিবীতে শান্তি আসতে পারে না।'
একই সভায় সাংবাদিক মোবায়েদুর রহমান বলেন, 'কেউ ধরা পড়লেই বলা হয়, তার কাছ থেকে জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। তার প্রশ্ন, জিহাদি বই থাকবে না কেন?'
খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী আরও বলেন, 'আমরা আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের শাসনকে মূল্যায়ন করতে চাই।...খেলাফত মজলিশ বাংলাদেশেও সেই শান্তির রাজত্ব কায়েম করতে চায়।'
(প্রথম আলো, ১৮.০৪.০৯)
তালেবান শাসনের এই একটা নমুনাই যথেষ্ঠ।
এই শহিদুল ইসলাম আফগানিস্তানে যাওয়া মুজাহিদদের একজন! গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জঙ্গি তৎপরতার কারণে আটক হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে দৈনিক জনকন্ঠ ভবনে ট্যাংকবিধ্বংসী মাইন পেতে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। একাধিক বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট প্রমাণ ছিল।
আমার প্রশ্ন এই মানুষটাকে কী আটক করা হয়েছে? নাকি পাগলা ষাড়ের মত ছেড়ে দিয়ে রাখা হয়েছে?এইসব মানুষদের মুক্ত রেখে চুনাপুঁটি জঙ্গিকে ধরে লাভ কী! এ বড়ো হাস্যকর!
তারচে বরং এদের কাজ নির্বিঘ্নে করতে দিন। বাংলা হোক আফগান। আমাদেরকে সাগরে চুবিয়ে মারা ব্যবস্থা চালু হোক শিগগির।
এরা যে কথায় কথায় জিহাদ-জিহাদ করেন, কোন জিহাদ? কোরানের জিহাদ, নাকি এদের নিজস্ব জিহাদ? কোরানের হয়ে থাকলে আমি কোরান থেকেই উদাহরণ দেই:
"তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যতক্ষণ না আল্লাহ জানেন তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে ও কে ধৈর্য ধরেছে।"
(৩ সুরা আল-ই-ইমরান ১৪২)
"আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব যতক্ষণ না প্রকাশ হয় তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করে ও কে ধৈর্য ধরে। আর আমি তোমাদের খবর পরীক্ষা করে দেখব।
(৪৭ সুরা মুহাম্মদ: ৩১)
এরা যে কথায় কথায় বলেন, তাগুতি আইন-মানবসৃষ্ট আইন মানি না। বাংলাদেশে এমন কোন আইনটা চালু আছে, যেটায় একজন মুসলমানকে তার ধর্ম পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে, নামায-রোজা করতে সমস্যা হচ্ছে?
এদের মাথায় আসলে কেবল ঘুরপাক খায় কোতল, তরবারি, উট...।
*জঙ্গি নামের দানবটার স্কেচ করতে গিয়ে ভাবলাম, এদের পোশাক কী, কেমনতরো হওয়া উচিৎ? বহুল প্রচলিত হচ্ছে, দাঁড়ি-টুপি-পাঞ্জাবি। আমার মনে হয়, এইসব আসলে মুখ্য বিষয় না। দানবের আবার জাত কী, পোশাক কী! দানব, দানবই।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment