Search

Thursday, June 28, 2007

ইচ্ছা হলেই কাউকে দুম করে রাজাকার বলা যায় না

প্রাসঙ্গিক হওয়ায় শুভ-র ব্লগিং বইটি থেকে লেখাটা পোস্ট করছি। আশা করি, সূত্রটা অনেকে ধরতে পারবেন।

"সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা এবং বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান, মি. মাহমুদুর রহমান, আপনি খেপে উম্মাদ হয়ে গেলেন কেন? সমস্যাটা কী আপনার?
ঘটনার সূত্রপাতঃ মাহমুদুর রহমানকে নাকি সিপিডি-র মঞ্জুর এলাহী রাজাকার বলেছেন। ৯ আগস্ট, ০৬-এ দৈনিক ইত্তেফাকে সেন্ট্যাল ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর উদ্ধৃতি দেয়, মাহমুদুর রহমানকে অনেকে রাজাকার বলেন।
মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রমাণসহ দেখিয়ে দিচ্ছি, আমি রাজাকার ছিলাম না। আমার নামে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আমাকে রাজাকার বা কোলাবরেটর বলায় বিদেশী বিনিয়োগকারী কি ভাববে?
৯ আগস্ট, বুধবার মাহমুদুর রহমান ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির হয়ে সিপিডির বিরুদ্ধে একটি মানহানীর মামলা দায়ের করেন। আদালত থেকে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী হয়। পরে তাঁরা আগাম জামিন নেন।


আহ-হা, মাহমুদুর রহমান তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, রাজাকার ভালো একটা পদবী না; যে পদবী থাকলে বিদেশে ভাবমূর্তির সমস্যা হয়। অন্যায়ভাবে কেউ রাজাকার বললে গায়ে আগুন ধরে যায়! আপনার দলের মাথার উপরে যখন রাজাকাররা বনবন করে ছড়ি ঘুরাচ্ছে, সেখানে আপনি রাজাকার শব্দটা ভারী অপছন্দ করেন, বেশ-বেশ! কী কান্ড, নোংরা আবর্জনাটা নিজের উপর পড়লে বুঝি ভালো লাগে না? তখন রাজাকার শব্দটা কুৎসিত গালি মনে হয়?
আলোচ্য বিষয় এটা না, মঞ্জুর এলাহী আসলে বলেছেন, কি বলেন নাই মাহমুদ রহমান কি আসলেই রাজাকার, না রাজাকার না? আলোচ্য বিষয় এটাও না, মামলার কি মেরিট আছে, কি নাই!
আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, আমি মনে করি, মাহমুদুর রহমানের এই মামলাটির গুরুত্ব অপরিসীম! এই মামলায় প্রত্যক্ষ জয় হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের এবং পরাজয় হয়েছে রাজাকারদের। প্রমাণিত হয়েছে, রাজাকার একটি ঘৃণ্য গালি এবং অহেতুক কেউ এই গালি দিলে মামলা করা যায়; গ্রেফতারী পরোওয়ানাও জারী করা যায়!

***

দুধের রং সাদা, এটা হচ্ছে জ্ঞান; শেখার সময় এটাই শিখবো। দুধটা সাদা গরুর, নাকি কালো গরুর, সেটা এখানে আলোচ্য বিষয় না! এটাও আলোচ্য বিষয় না, দুধের সঙ্গে স্ট্রবেরী মিশিয়ে, না আঙ্গুর মিশিয়ে কেমন রং বানানো হয়েছে!
২য় বিশ্বযুদ্ধ কি ৭১ এর আগে হয়েছে, না পরে? এখনো জাপান তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারে না, বিনীত হাত ঘসতে ঘসতে হাতের রেখা মুছে যাওয়ার উপক্রম। নাৎসিরা এখনো ধিকৃত হয়।
অসাধারণ একজন মানুষ, নোবেল বিজয়ী গুন্টার গ্রাস, জীবনের শেষ সময়ে এসে ধিকৃত হচ্ছেন। কেন, তাঁর নাৎসি কানেকশনের জন্য। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন কিন্তু পৃথিবীব্যপী সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে! আরেক নোবেল বিজয়ী লেচ ওয়ালেসা বলেছেন, গুন্টার গ্রাস যখন ২য় বিশ্বযুদ্ধে তার ভূমিকার কারণে বিতর্কিত, গুন্টারের উচিৎ হবে পোলিশ শহর গদানস্কের সম্মানসূচক নাগরিক এই খেতাবটি স্ব ইচ্ছায় ছেড়ে দেয়া। ১৯২৭ সালে গুন্টার গ্রাস পোলিশ শহর গদানস্কে জন্মগ্রহন করেন।


সো গাইজ, আমরা সাদাকে সাদা বলবো, কালোকে কালো! রাজাকারকে রাজাকার বলবো সাধুকার না, দ্যাটস অল! রাজাকারকে কে চুমো দিল, কে কোলে বসালো, তাতে আমাদের কী আসে যায়!