আলকাতরা থেকে উড়োজাহাজ- মায় তথ্য, সবই আসলে পন্য, বিক্রির জন্য।
আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, কে কিভাবে বিক্রি করেন, তার উপর! যিনি যতো ভালভাবে সুগার কোটেড মোড়কে মুড়িয়ে, চকচকে করে বিক্রি করতে পারেন- তিনি ততোটাই সফল! তাঁর গুনগানের শেষ নেই! কে মরলো কে বাঁচলো, কে বিরক্ত হলো, তাতে কি আসে যায়!
হকারকে দেখেছি, বাস, রেলগাড়ীতে কান পাকার ওষুধ বিক্রি করতে সবাইকে চরম বিরক্ত করে- কিছু বললে বলে, ভাত খামু কি আপনের ঘরে গিয়া! হক কথা!
কে জানে, কোন একদিন, কেউ হয়তো বিচিত্র কায়দা কানুন করে, নরকে যাওয়ার টিকেট বিক্রি করবেন। পাবলিক হাসিমুখে দেদারসে কিনবে। বেহেশত যাওয়ার টিকেট বিক্রি তো অলরেডি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে!! পাক্কা মুসলিমরা (তাঁদের দাবী মোতাবেক) দেদারসে বিক্রি করছেন, বাদামের খোসার মতো!
১০.০৯.০৬ যায় যায় দিন প্রথম পাতায় বিপুলায়তনে ৬ কন্যার ছবি ছাপে- তিন কন্যার দাঁতসহ, দুই কন্যার দাঁতছাড়া (স্মর্তব্য: আমি ছবির কথা বলছি)! ক্যাপসনে অবশ্য বলা হয়েছে ৬ জন কিন্ত ছবিতে ৫জনের চেহারা মোবারক দেখা যাচ্ছে। একজন মিসিং- ওই কন্যা অদৃশ্য মানবী হয়তো বা! মিসিং ওই কন্যার দাঁত আছে কিনা এটা অবশ্য বোঝা গেল না!
এই কন্যারা দারুচিনি দ্বীপে চারুচিনির বানিজ্য করবে- এই সিনেমার নায়িকা হবে। তা করুক, বানিজ্য ভাল জিনিস। স্টার হতে হতে ম্যাগা স্টার হয়ে যাক! এখানেই শেষ না, এই ৬ কন্যার মধ্যে থেকে মাত্র একজন নির্বাচিত হবে। কে হবেন এটা আপাতত রহস্য!
ব্রাভো ব্রাভো! জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় এমন পৃথুল আকৃতির ছবি, এমন জাতীয় সংকটের ছবি না এসে উপায় কি!
আমরা নির্বোধ পাঠকরা কেন যে বুঝতে চাই না, প্রথম পাতায় জায়গা কী অপ্রতুল! মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ মিয়া না খেতে পেয়ে দড়িতে ঝুলে পড়বে- বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের খালি বাক্স দেশে আসবে, এগুলো ভেতরের পাতায় ছোট করে অদৃশ্য অদৃশ্য ভঙ্গিতে না ছাপিয়ে উপায় নেই? ওখানে জায়গার সমস্যা হলে, না হয়, এন্টারটেইনমেন্ট পাতা বরাদ্দ থাকবে এইসব ছাইপাশ খবর ছাপাবার জন্য।
এক দফা এক দাবী- যে দিন ৬ কন্যার ১ কন্যা নির্বাচিত হবে, সেই দিন প্রথম পাতায় পুরোটা জুড়ে তার ছবি ছাপতে হবে। প্রথম পাতায় আর কোন খবর থাকবে না, এই দাবী করা কি খুব অন্যায় একটি জাতীয় দৈনিকের (দাবীমতে) কাছে ?
No comments:
Post a Comment