সাদিক মাহবুব ইসলাম, এই ভদ্রলোক চমৎকার করে গুছিয়ে বলেছেন:
এই ভিডিও কার্টেসি: Imtiyaz Mirzaআমি বারবার বলে আসছি, হাসিনা রেজিম পরিবর্তনের কোন বিকল্প ছিল না।
সব একপাশে সরিয়ে রাখলেও গুম [১] করার বন্দোবস্তটা কোন সুস্থ মানুষ সহ্য করতে পারবে না!এ-ও সত্য, ওই সময় প্রফেসর ইউনূস ব্যতীত অন্য কাউকে ভাবার মত ভাবনা ছিল না। প্রফেসর ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হলেন। লোহার খাঁচা থেকে ১৭ কোটি মানুষের দন্ডমুন্ডের কর্তা- ক্যামেল টু ক্যাডিলাক! কী এক অভাবনীয় অর্জন! কী এক সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপা!
আমাদের ধারণা ছিল, ৮৪ বছরের এই মানুষটা এই দেশকে অন্য-এক উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। সামান্য ঔচিত্যবোধ আছে এমন কোন মানুষ তাঁর স্থলে থাকলে মুখ দিয়ে 'গ' শব্দটা উচ্চারণ করতেন না। কারণ গ-এর সংগে জড়িয়ে আছে গ্রামীণ ব্যাংক।
আজ তো তিনি অন্য স্তরে উঠে গেছেন। গ্রামীন ব্যাংককে তাঁর সন্তান ধরা হলেও এখন আর তাঁর সন্তান নিয়ে মাথা ঘামাবার সুযোগ নাই কারণ এই দেশের সবাই এখন তার সন্তান। কিন্তু..., গ্রামীণ ব্যাংক এখন যে সমস্ত সুযোগ পাচ্ছে তা অতি বাজে উদাহরণ হয়ে রইল!
তিনি তাঁর সহযোদ্ধা হিসাবে যাদের বেছে নিলেন তাদের অধিকাংশই এলিট শ্রেণীর! গ্রামীন ব্যাংকের একজন নুরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসাবে তাঁর যোগ্যতা কী!
ওয়াল্লা, ঘুম থেকে উঠে দেখি অপরাধি হয়ে গেছি! এই দায় সইব কেমনে!
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ফরিদা আখতারের কাজ কী!
আহারে, মাছের কান্না মিশে যায় পদ্মার জলে!
আবার বলছেন, 'হাসিনার বিচার ছাড়া নির্বাচন হবে না'।
আজব, প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজ নির্বাচন নিয়ে কথা বলা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাংগীর আলম চৌধুরী মানুষ হিসাবে সৎ হতে পারেন কিন্তু রাত ৩টায় জরুরি সভার ফল কী হচ্ছে সে তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি! আর এইসব ইটের মান দেখা কী তার কাজ:
দেশে লুটতরাজ ছিনতাইয়ের ঘটনার অসংখ্য উদাহরণ থেকে একটা ছিনতাইয়ের উদাহরণ দেই। কী নির্বিকার, কী ভয়াবহ:
ভাবা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এই বক্তব্য দেওয়া যায়! ২৪ ঘন্টার মধ্যে একে হাতকড়া লাগিয়ে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় হাজির করা অতি আবশ্যক ছিল।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত ব্যতীত আর কাউকে পরিবর্তন করতে তো দেখলাম না! তার মানে সবাই ধোয়া তুলসি পাতা! এরশাদের সময় মন্ত্রীদের সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ ছিল বাসার বাইরে ফ্ল্যাগওয়ালা গাড়ি দাঁড়িনো আছে কি না দেখা। না-থাকা মানে চাকরি নট! অথচ ইউনূস সাহেব সব উপেক্ষা করে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলছেন, আমার নিজেরই তো অভিজ্ঞতা নাই, অন্যদের কী বলব!
শুনে হয়তো চোখে পানি চলে আসে কিন্তু বাস ভর্তি মানুষ, বাস ছুটছে ঝড়ের গতিতে আর স্টিয়ারিং আপনার হাতে। অথচ আপনি বলছেন, আমি তো বাস চালাতে জানি না! বিষয়টা অনেকটা এমন!
এটা কেবল 'ছাত্র আন্দোলন' ছিল না ছাত্র-জনতা আন্দোলন ছিল। কিন্তু সব ছাপিয়ে ছাত্ররা উঠে এলো। প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস প্রথম থেকেই বলা শুরু করলেন, ছাত্ররা আমাকে বসিয়েছে-ছাত্ররা আমাকে...ছাত্ররা...। ছাত্র-ছাত্র-ছাত্র! ব্যস, ছাত্ররা একেবারে মাথায় উঠে বসল! তদুপরি সাধারণ মানুষ ছাত্রদের ভুলক্রুটি দেখেও না-দেখার ভান করল, থাক এদের তো বয়স অল্প। কিন্তু দিনে-দিনে এরা সব ছাপিয়ে গেল।
কেউ-কেউ হয়ে উঠল জমিদারের নাতি। নতুন একটা দল হিসাবে ছাত্ররা অফিস নিল রূপায়ন টাওয়ারে। ঝাঁ চকচকে বিশাল এক স্পেস যা বিখ্যাত কর্পোরেট অফিসকেও ছাড়িয়ে যায়!
ইফতার, খানাপিনা হয় ফাইভ স্টার হোটেলে! একেকজন কোটি টাকার নীচের গাড়িতে চড়েনই না।
সারজিস আলম ১০০/১৫০ গাড়ি নিয়ে শো-ডাউন করে! আবার বড় গলায় বলে, তার দাদা যে সম্পদ রেখে গেছেন তা দিয়ে কয়েকটা নির্বাচন করা কোন বিষয়ই না!
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দুই-দুইটা অস্ত্রের লাইসেন্স!
১টা পিস্তল এবং ১টা শটগানের লাইসেন্স। বিমানবন্দরে অস্ত্রের ম্যাগজিন চলে যায়, ভুলে:
নিজে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিনি আবার আমাদেরকে নসিহত করেন:
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে যে-সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা গা শিউরে উঠার মত। অচিন্তনীয়! বিশেষ করে বিল্লাল হোসেনের সহকর্মী শিক্ষক শিখা রাণীর উপর মব সৃষ্টি করে অমানুষিক নির্যাতন! এই মবের মধ্যে বিল্লাল হোসেনকে দেখা গেছে।
হাসনাত আবদুল্লাহ 'প্রাডো' গাড়ি নিয়ে প্রান্তিক জনতার কাছে যেতে পছন্দ করে। হাসনাত একেকদিন একেক গাড়িতে চড়ে। এটা আবার কী উদ্ধত ভঙ্গিতেই না বলে!
হাসিনাকে কোটি টাকার মার্সিটিজটা দেওয়ার পর আমরা হাসাহাসি, সমালোচনা করতাম। হাসিনাকে কোটি টাকার গাড়ি উপহার দেয় 'হুদাহুদি' অথচ আমাদেরকে দেখি ৫/১০ হাজার টাকার রিক্সাও কেউ দেয় না!
ছাত্রদের অনেক কর্মকান্ড কানে আসে। যে-কাউকে নিষিদ্ধ দলের ট্যাগ লাগিয়ে দিলেই হয়, আগে যেমন হাসিনার দল জামাত বা জঙ্গির তকমা লাগিয়ে যা খুশি করত!
নিষিদ্ধ সংগঠনের লোক বলে এরা হাসপাতালের আইসিও-তে ঢুকে চিকিৎসায় বাধা দিতে পারে। লোকজন নিয়ে মব-জাস্টিসের নামে কারও গলায় জুতা ঝুলিয়ে, পিটিয়ে এমনকি মেরেও ফেলতে পারে! এই বেয়াদব ছেলেগুলো যাকে ধরার জন্য পুলিশকে চাপ দিচ্ছে অথচ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। কিন্তু... এদের উদ্ধত আচরণের নমুনা!
তকমা লাগিয়ে একটা বয়স্ক মানুষকে অনায়াসে এভাবে অমর্যাদার সঙে পেটানো যায়! তার কোনো পরিবার নাই।
এমনকি ৮/১০ জন মিলে একটা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে শ্লোগান দিয়ে অতিথিদের গাড়ির প্রাইভেসি নষ্ট করা যায়।
চ্যাংড়া সব পোলাপানদের কথাবার্তার কিছু নমুনা:
সচিবালয়ে গিয়ে নসিহত করে সাংবাদিকরা কীভাবে কথা বলবে:
একজন বয়স্ক মানুষ, একজন ফ্রিডম ফাইটারকে গলায় জুতা ঝুলিয়ে দিতে কোন সমস্যা নেই।
এই সমস্ত কারণে কাউকে শাস্তি পেতে হয়েছে এমনটা বড়-বড় করে খবরে আসতে আমরা দেখিনি! কেবল মোহাম্মদপুর থানার ওসি অসাধারণ এই কাজ করেছেন:
* খালেদ মুহিউদ্দিন দিন-দিন স্বরুপে ফিরছেন:
১. গুম...: https://www.ali-mahmed.com/search/label/গুম
No comments:
Post a Comment