Search

Sunday, May 4, 2025

এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনির সঙ্গে আরেক চামচ...!

এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি দেওয়ার পর সেই চা যেমন কোন মানুষের খাওয়ার যোগ্য থাকে না তেমনি আমিনুল ইসলাম নামের মানুষটাকে নিয়ে এহেন মন্তব্য করার পর,  তাকে নিয়ে আবারও লেখা চলে না []। কিন্তু, ওই যে একটা কিন্তু থেকে যায়...! কিছু মানুষ থাকেন যারা মানুষের(অ) ঊর্ধ্বে!

নাখালপাড়ার দুই বিপ্লবী! বিপ্লবী বটে!  আমিনুল স্যার নামের বিপ্লবীটার দাঁড়াবার ভঙ্গিটা বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়!

মামুনুর রশীদের চশমা কেবল  রুচির দুর্ভিক্ষের নামে হিরো আলমকেই দেখেন। হিরো আলমের তো যাও খানিকটা এই বোধ আছে যে অডিয়েন্সের সামনে কেমন করে আসতে হয়! এর তো এইটাও নাই!

যে প্রকাশকের নাম বলা হয়েছে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় যে তিনি এমনটা বলেননি। এ ডাহা মিথ্যাচার! এমনিতেও কোনও প্রকাশক এমনটা বলতে পারেন এটা অবিশ্বাস্য! আর কোনও লেখক যে তার বইয়ের বিজ্ঞাপন এমন নগ্ন ভাবে করতে পারেন এটাও কল্পনার বাইরে!

ভাগ্যিস, ফেসবুক ছিল নইলে আমিনুল ইসলামের মত এত স্টার আমরা 'কেমন করিয়া পাইতাম'! আচ্ছা, এই মানুষটার মাথা কী এলোমেলো? নইলে হা-হা হাসি সইতে না-পেরে বসে-বসে কয়টা, ৪৫৩টা ব্লক করে আবার এটার হিসাবও রাখেন। এটা আবার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন!

হা ঈশ্বর, এও বিশ্বাস করতে হবে এই 'লুকটা' নাকি লেখালেখিও করেন! নমুনা:

আখতারুজ্জামান আজাদ কেবল একজন সুলেখকই না, বাংলা ভাষা নিয়ে জ্ঞানও অসাধারণ। আমিনুল ইসলাম নামের মানুষটা তাকে ব্লক করেছেন সে ভিন্ন বিষয় কিন্তু তুমি-তুমি করে সম্বোধন করছেন। আমিনুলের মত লোকজনেরা সবাইকে ছাত্র মনে করেন। আবদুন নূর তুষারের মত আরেক 'পাজিগিরি' আর কী []!

ট্রাম্পের মত আমিনুল ইসলাম নামের 'মোস্ট আনপ্রেডিকটেবল' মানুষটা কখন কী করে বসবেন তা আগাম বলা মুশকিল! 

আখতারুজ্জামান আজাদ ভিক্ষা করে বেড়ায় হেন-তেন বলে পোস্ট দেওয়ার পর লোকজনের দৌড়ানি খেয়ে আবার ক্ষমা চেয়ে পোস্টও দেন:

আমিনুল ইসলাম নামের এই মানুষটা একটা অলীক কল্পনার ভুবনে বাস করেন! তার ধারণা, সবাই তার বেসুরো গান, মাস্টারি টাইপের লেখার জন্য হাঁ করে বসে থাকে। নমুনা:

আমিনুল ইসলামের দাবী তার লেখা 'প্রতিটি খোলা চিঠি'-র জবাব তারেক জিয়া দিয়েছেন। তারেক জিয়ার এখন একটাই কাজ, লন্ডনে বসে লন্ঠন জ্বালিয়ে সব কাজ ফেলে কখন আমিনুল উপদেশের বস্তা প্রসব করবেন সেদিকে সরু চোখে লক্ষ রাখা।

আবার আনন্দে লাফাতে-লাফাতে এটাও আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, 'অরাজনৈতিক শক্তি'র জবাবদিহিতার প্রয়োজন হয় না। ইশারা কাফি- অরাজনৈতিক শক্তি'র পক্ষে তিনি উপদেষ্টা হতে পারেননি এই নিয়ে সুতীব্র ক্ষোভ বিদ্যমান ছিল-আছে-থাকবে!   

কে-বা-কাহারা তাহার ইয়েতে 'ইয়ে' ফেলেছে এই নিয়ে স্যার ক্ষেপে পচা টমেটোর মত হয়ে গেছেন এবং বকে মরছেন, 'থাকব নাকো এই দেশে'  অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, স্যার কিন্তু এই দেশের নাগরিকই না।

এস্তোনিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আমার আস্থা কমে যাচ্ছে। এই ভদ্রলোক কি ধরনের ডিসঅর্ডারে, হ্যালুসিনেশন নাকি 'কগনিটিভ ডিসএনগেইজমেন্ট সিনড্রোমে' ভুগছেন অন্তত তা জানাটা তো আবশ্যক!

* ঋণ: লেখায় স্ক্রিণশটগুলো নেওয়া হয়েছে, আখতারুজ্জামান আজাদ এবং আমিনুল ইসলাম স্যারের ফেসবুক পেইজ থেকে।

...

আপডেট: জুলাই ০১, ২০২৫

এই লোক চিকিৎসার অতীত। নমুনা:

    

এখানে আসলে নিজের একটা লেখার কথা বলছে। 


আমাদের মত বেক্কল পাবলিককে বোঝাচ্ছে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সাথে গলায়-গলায় ভাব কিন্তু গলা ছেড়ে খোলা চিঠি লিখতে বসে গেছে...! 

সূত্র:

১. এক কাপ চায়ে...: https://www.ali-mahmed.com/2024/07/blog-post_12.html

২. বাংলার রুশো, তুষার: https://www.ali-mahmed.com/2020/06/blog-post_16.html 

No comments: