Search

Friday, January 18, 2019

নায়ক-নায়িকাগণ।

আমরা আগে এমনই ছিলাম (ভদ্রতা করে অসভ্য লিখছি না কারণ এই কাতারে আমিও পড়ি) তবে এতটা ছিলাম না! আগে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতাম না এ সত্য তবে বাড়ি-দোকানের একপাশে ফেলে রাখতাম।
হালের নতুন এই চল হয়েছে
এখন আমরা বাড়ি দোকান ঝাঁট দিয়ে রাস্তায়, রাস্তার মাঝখানে আবর্জনা রেখে আসি। নিজেদের বাড়ি-দোকান সাফসুতরো থাকলেই হয় রাস্তা যাক গোল্লায়। মেজাজ খাট্টা হলে রাস্তার কেন এই দশা এই নিয়ে মেয়র-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীকে গালি দিয়ে খুব সুখ পাই।

স্টেশনে এই দৃশ্য অহরহ চোখে পড়ে। আমি একদিন চোখের মাথা খেয়ে এক রেল-কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'লোকজন তো এখানে কলার খোসায় পিছলে কেবল আলুর দমই হবে না কাটা পড়ে আর দম নেওয়ারও সুযোগ পাবে না। আচ্ছা এগুলো সরাবার কোনও ব্যবস্থা আপনারা রাখেন না'?
তিনি আমাকে ঠোঁট উল্টে বলেছিলেন, 'এইগুলা ছাগল খায়া সাফ কইরা লাইব।
এই সমস্ত খোসা সরবার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে যে 'ছাগলবাহিনী' নিয়োগ দিয়েছে এটা আমার জানা ছিল না। ছাগলের পেমেন্ট কীভাবে দেওয়া হয় এই নিয়ে অবশ্য খানিকটা চিন্তায় আছি।

এমনিতে আমরা কাউকে এক চিলতে কাপড় দিতেও আগ্রহ বোধ করি না কিন্তু ছেঁড়া-ফাঁড়া কাপড় আমরা রাস্তায় ছুড়ে ফেলি: 

বাদ পড়ে না বাতিল ঝাড়ু:

আহা, টুটাফাটা স্যান্ডেলটা বাদ যাবে বুঝি:

কোনক্রমে পায়ের নীচে একটা ভাত পড়ে গেলে মা হাতের নাগালে যা পেতেন তাই দিয়ে মারতেন। মা-রা যখন একেক করে মারা যাওয়া শুরু করলেন আর আমরা এমন স্বাধীনতা পেয়ে গেলাম রাস্তায় মাঝখানে খাবার ফেলে দিতে আটকায় কে:

আমরা তো গেছি, নষ্টের হাত ধরে। এই প্রজন্ম যেন আমাদের মত না-হয় এই স্বপ্ন দেখতে দোষ কোথায়।
এই স্কুলের হেড-টিচারের সঙ্গে আমি আগেও কাজ করেছি [১]। আমরা ঠিক করলাম প্রাইমারি এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটা কাজ করা যাক। এরা কোন-একটা ভাল কাজ করবে সেটা হতে পারে রাস্তা থেকে কলার খোসা সরানো, দুর্বল কাউকে সহায়তা করা...হেড-টিচার এটা মনিটর করবেন। এবং এদের মধ্যে থেকে দু-তিনজনকে অন্যদের সামনে কিছু-একটা পুরষ্কার দেওয়া হবে। এবং এই পুরষ্কার এরা নেবে এদেরই স্কুলের হেড-টিচারের কাছ থেকে। ওদিন এরাই হচ্ছে হিরো:

সহায়ক সূত্র:
১. ন্যানো-কাপ: https://www.ali-mahmed.com/2018/07/blog-post_45.html

No comments: