Search

Thursday, March 19, 2015

হাঙ্গর!

গতকালের লেখাটা নিয়ে [১] কেউ-কেউ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমি বিব্রত হব এটা ভেবে একজন ইনবক্সে তার শ্লেষভরা বক্তব্য উগরে দিয়েছেন, ‘শুভ, আপনি দেখি ধান ভানতে শীবের গীত গাওয়া শুরু করে দিয়েছেন’!
আমার খুব একটা আহত হওয়ার কিছু ছিল না কারণ আমরা সেই শুরু থেকেই ব্লগস্ফিয়ারে লেখালেখি শুরু করেছি- এটা তিনি দাবী নিয়ে আমাকে লিখতেই পারেন।

যাই হোক, আমি লেখাটায় যেটা বলতে চেয়েছিলাম, এই প্রজন্ম তীব্র অসহিষ্ণু হওয়ার এটাও একটা কারণ যে ভারতের উপর তীব্র ক্ষোভ আছে ভারতের বিভিন্ন প্রকারের দাদাগিরি করার জন্য। ওরে, এদের যে আবার দাদা-দাদাগিরি বলে ফেললাম। প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় যে- গোবর খেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করব কিনা বুঝতে পারছি না।
অন্য এক লেখায় এদেরকে ‘দাদা’ বলায় একজন আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি চিবিয়ে চিবিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি সাম্প্রদায়িকতা উসকে দিচ্ছেন’। কী সর্বনাশ-কী সর্বনাশ! তাই ঠিক করেছি এখন থেকে এদেরকে দাদার বদলে হাঙ্গর বলব।

তো, গতকালের লেখাটায় এই প্রজন্মের ক্ষোভের কথা বলতে গিয়ে আমি হাঙ্গরের যৎসামান্য কর্মকান্ডই তুলে ধরেছিলাম। হাঙ্গর নৈতিক কর্মকান্ড করল নাকি অনৈতিক সেটা হাঙ্গরকে কে বোঝাতে যাবে! একজন শিক্ষকের বোঝাবার-শিক্ষাদানের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন তা এখানে কোথায়! শিক্ষক বেচারার হাঙ্গরের পেটে শুয়ে শিক্ষাদান করাটা নিশ্চয়ই আরামপ্রদ কিছু না। আহা, ধর্মের বাণী শোনাতে চাচ্ছে বুঝি কেউ। বেশ-বেশ, ধর্মপুস্তক এবং তিনি দুজনেই পাশাপাশি থাকবেন কিন্তু স্থান ওই হাঙ্গরের পেট।

হাঙ্গর যখন খেলা করে সেটাও অতি ভীতিকর। তেমনি ভারত যখন খেলে সেখানে ভীতিকর না থাকলেও অন্তত অপ্রীতিকর কিছু একটা যে থাকবে, থাকবেই এ তো বিচিত্র কিছু না।এতে করে নির্দোষ-নির্মল খেলা কতটা গুয়ে মাখামাখি হবে এতে কী আসে যায়? যার খানিকটা নমুনা আজ আমরা দেখেছি।
ভারত-বাংলাদেশ ইনিংসে আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গৌল্ডের রুবেলের করা বলকে কোমরের উপর ছিল বলে নো-বল বলে রোহিতের আউটকে নাকচ করে দেওয়া। অথচ ছবিতে আমরা পরিষ্কার দেখছি বলটা কোমরের নীচেই ছিল।
সুরেশ রায়নার এলবিডব্লিউ ছাড়াও বাউন্ডারি সীমানায় শিখর ধাওয়ানের নেওয়া ক্যাচটিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহকে আউট দেওয়া হয়। অথচ আমরা ছবিতে পরিষ্কার দেখছি শিখর ধাওয়ানের সীমানার দড়িতে কেবল পা-ই লাগেনি তার প্রায় সমস্ত শরীরই বাইরে।
(ভিডিও ঋণ: আহমাদ রনি। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা)
গ্যালারিতেও যদি ভারতের জার্সি গায়ে কেউ বলটা লুফে নেয় সেটাও আউট দেওয়াটা নিশ্চয়ই অন্যায় হবে না। বাহে, ‘কাভি নেহি’ বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবেন না- হাঙ্গরের সঙ্গে খেলায় সবই সম্ভব...।

সূত্র:
১. মওকা-সুযোগ-সুযোগসন্ধানী: http://www.ali-mahmed.com/2015/03/blog-post_18.html  

No comments: