Search

Friday, November 2, 2012

দিস ইজ আ সামুরাই সোর্ড

আজকের অতিথি প্রলয় হাসান। তিনি লিখেছেন:
"২০১০ সালের কোরবানী ঈদের ঘটনা। প্রতিবছরের মতো সেবারও আমরা সবাই (স্থানীয় কিছু বাঙ্গালী মুসলমান) মিলে নিউ সাউথ ওয়েলসের কান্ট্রি সাইডে গিয়েছিলাম 'ভেড়া কোরবানী' দিতে।
সিডনির বাঙ্গালী পাড়া কোগরাহ নিবাসী 'সাইফুল হাসান' ভাইকে সবাই চেনেন এবং অত্যন্ত ভালবাসেন একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষ হিসাবে।
দেখতে ছোটখাটো অথচ সুদর্শন এই মানুষটি একাধারে একজন মাওলানা, বিট্রিশ কাউন্সিল ঢাকার পার্টটাইম টিচার (তিনি জীবনে তিনবার আইএলটিএস দিয়েছিলেন, তিন বারই ৯-এ ৯ পেয়েছিলেন!), একজন
পেশাদার প্রোগ্রামার, এনএসডব্লিউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক সাইন্স আর ন্যানো টেকনোলজির উপর গ্রাজুয়েট করা একজন শখের মুদ্রা সংগ্রাহকও। (তাঁর মুদ্রার কালেকশন চমকে দেবার মতো।)

তাঁর আরো কিছু ছোটখাটো গুণাগুণ আছে। যেমন তিনি অত্যন্ত ভাল একজন তার্কিক, যুক্তি-তর্কে তাঁকে হারানো প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। তাঁর রসবোধ অতি উঁচুমানের। ভাল ফার্সি শের-শায়েরি আবৃত্তি করতে পারেন। ভাল মাছ ধরতে পারেন। একসময় চমৎকার ফটোগ্রাফিও করতেন। মাওলানা হবার পর ছেড়ে দিয়েছেন। যখন তিনি কথা বলেন, মন্ত্রমুগ্ধের মতো কেবল শুনতেই ইচ্ছে করে। কোনো মানুষ যে এতটা আকর্ষনীয়ভাবে কথা বলতে পারেন তা আমার জানা ছিলো না। আর তাঁর যে গুণটার কথা শুধুমাত্র কোরবানী ঈদ আসলে জানা যায় সেটা হলো, তিনি আস্ত একটা ভেড়া একা জবাই করে একাই চামড়া ছিলে মাংস-টাংস কেটে সাইজ করে ফেলতে পারেন। অন্য কারো আর হেল্প লাগে না!

বাবা-মার পছন্দ মতো সম্প্রতি বিয়ে করেছেন টার্কিশ এক মেয়েকে। তাঁর বাবা বুয়েটের একজন নামকরা প্রফেসর। নাম বললে হয়তো অনেকেই চিনে ফেলবেন। তাঁর মা এবং বড় বোনও নামকরা আর্কিটেক।
তাঁর ব্যাপারে এত ভূমিকা দেয়ার কারণ হলো:
১. কয়েক বছর ধরেই ভাবছি তাঁকে নিয়ে আমার মুগ্ধতার কথা লিখবো। এইরকম মাল্টি ডাইমেনশনাল, ক্রিয়েটিভ ও এক্সটা ট্যালেন্টেড একজন মানুষের সান্নিধ্যে আসাটা বিরল ভাগ্য বলেই বিশ্বাস করি।
২. ঘটনাটা তাঁকে নিয়ে।

তো, ঈদের কয়েকদিন আগে কয়েনের এক অনলাইন নিলামে তিনি প্রায় দেড় হাজার ইউএস ডলার মূল্যমানের একটা কয়েন (!) কিনে ফেললেন। অটোম্যান আমলের কয়েন। সারা পৃথিবীতে এই কয়েন মাত্র দুটো আছে। একটি তিনি কিনেছেন, আরেকটা নাকি সৌদির বর্তমান বাদশাহর কাছে আছে। কেনার সময় আমি তাঁর ঘরেই উপস্থিত ছিলাম। মূল্য যখন পরিশোধ করছেন, তখন মূল্যমান দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ।
সেটা দেখে তিনি বললেন, 'প্রলয়, কত সস্তায় যে পেয়েছি আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। নিলামে হওয়াতে সস্তায় পেয়েছি। পাবলিক এটার দাম বুঝে না, উল্টা পাল্টা দাম অফার করে আমার জন্য সুবিধে করে দিয়েছে। এটার দাম হওয়া উচিত ছিলো কমপক্ষে ৫ হাজার ডলার।'

এই ফাঁকে বলে রাখি, তাঁর শোবার ঘরটা হলো একই সাথে একটা ছোটখাটো লাইব্রেরী আর একটা ছোটখাটো মিউজিয়ামও। শত-শত দুর্লভ কয়েন ছাড়াও সেখানে রয়েছে দুর্লভ ও ঐতিহাসিক ছোরা, তরবারি, চিঠি, কাপড় আর আছে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু বই আর বই। বলা বাহুল্য, বেশ কিছু দুর্লভ বইও সেখানে আছে। এ্যান্টিক জিনিপত্রের প্রতি তাঁর দুর্বলতা প্রচন্ড রকমের!

যাই হোক, কয়েন কেনার পর তাঁর পাহাড়ের চূড়ায় বানানো ডুপ্লেক্স বাড়ীর নীচতলা থেকে ডিনার শেষ করে উপরে গিয়ে দেখি, আনন্দে তাঁর চোখ চকচক করছে। মনে মনে ভাবি, নিশ্চয়ই এ্যান্টিক কিছু একটার খোঁজ পেয়েছেন। কাছে গিয়ে বুঝলাম আমার অনুমান সত্যি তবে এবার আর কয়েন নয়। ফুট দেড়েক লম্বা একটা আস্ত জাপানীজ সামুরাই সোর্ড! বিয্যেন যুগের কাতানা। তাঁর খুব মনে ধরেছে। বাজেটের ভেতর পেলে কিনে ফেলবেন বলে মনস্থির করেছেন। ওই কয়েনটা কেনার বাজেট ছিলো ৩ হাজার ডলার। অর্ধেক ডলার বেঁচে যাওয়াতে তার পুরোটাই সামুরাই সোর্ডের জন্য বরাদ্দ করে ফেললেন।

আমি একটু পর নীচতলায় ঘুমাতে গেলাম। উইকএন্ডে প্রায়ই তাঁর বাসায় এক-দুজন বন্ধুকে সাথে করে বেড়াতে চলে আসি। তিনি নিজের হাতে আমাদেরকে 'মুরগীর ড্রামিস্টিক ভূনা' রান্না করে খাওয়ান। তার আরেকটা গুণের কথা বলতে ভুলে গেছি, তিনি অসাধারণ রান্নাও করতে পারেন।
ভোরে ফযরের নামায পড়তে ডেকে জানালেন যে, সামুরাই সোর্ডটা তিনি কিনে ফেলেছেন। তবে ৫০০ ডলার বেশী পড়েছে। অবশ্য এইজন্য তিনি মোটেও বেজার নন বরং খুশীতে তাঁর মুখ ঝলমল করতে দেখলাম।

নামাযের পর তার সদ্য কেনা সোর্ডের কিছু হাই-রেজ্যুলেশন ছবি দেখালেন ল্যাপটপে। 'সেইরাম জিনিস'! সামুরাই সোর্ডের নাম শুনেছি, কিন্তু এটা যে এত সুন্দর দেখতে, জানতাম না। হাতলে আবার চমৎকার কারুকার্য করা।
সবকিছু ঠিকঠাক কিন্তু একটা ছোট্ট ঝামেলা হয়ে গেলো। সোর্ডের হোম ডেলিভারী হবে না। সোর্ডের অরিজিন ইউকে মানে সোর্ড ডিএইচএলে লন্ডন থেকে সিডনি আসবে। সাইফুল হাসান ভাইকে সেটা স্বশরীরে সিটিতে গিয়ে নিয়ে আসতে হবে। সেটা মূল ঝামেলা না, মূল ঝামেলা হলো সোর্ডের এ্যারাইভাল ডেট আর কোরবানী ঈদের নামাযের দিন তারিখ সব খাপে খাপে মিলে গেলো। এরপরের টানা তিনদিন পাবলিক হলি ডে। ডিএইচএল বন্ধ থাকবে। সাইফুল ভাই পড়লেন বিরাট দোটানায়। কারণ ঈদের নামায তাঁকেই পড়াতে হয়, এদিকে তিনি ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ সেই সোর্ড আনতে পারবে না। আর কারো হাতে দেয়া হবে না।

সাইফুল ভাই শেষতক নামায পড়িয়েই আমাকে আর একটা ছেলেকে সাথে নিয়ে উর্ধশ্বাসে রওনা দিলেন শহরের দিকে। যাবার আগে গাড়ির পেছনে কার্গো এরিয়া ভর্তি করে দা, বটি, চাপাতি, চাকু ইত্যাদি নিয়ে নিলাম কারণ আমাদের প্ল্যান হলো, সামুরাই সোর্ড নিয়ে সরাসরি কোরবানীর স্পটে চলে যাবো। কেননা বাসায় আসার আর সময় হাতে থাকবে না তখন।
গাড়ি চলছে ঝড়ের গতিতে, জীবনের প্রথম সেদিন স্পিডিং করলাম। ৮০ জোনে, ৯০/১০০ চালালাম। তিনি ফোন করে ডিএইচএলকে জানিয়ে দিলেন যে আমাদের আসতে আধঘন্টা দেরী হবে কারণ আজ আমাদের সেকেন্ড বিগেস্ট রেলিজিয়াস ফেস্টিভ্যাল, প্রেয়ারে এটেন্ড করে আসতে হচ্ছে।

ডিএইচএল এর অফিসে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার! ফুটবল খেলার মাঠের সমান অফিস। মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো ইন্টেরিয়র! যাই হোক, আধাঘন্টা ধরে রাজ্যের সব কাগজপত্র চেক করে সাইফুল ভাইয়ের কাছে সামুরাই সোর্ডটি হস্তান্তর করা হলো। সোর্ডের খাপটিও দেখার মতো একটা জিনিস! ডিএইচএলএর যে কর্মীটি সোর্ডটি বুঝিয়ে দিলো, তাকেও দেখলাম সোর্ডের ব্যাপারে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করলো।

সোর্ড নিয়ে গাড়ী ছোটালাম গসফোর্ডের দিকে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ড্রাইভ করতে হবে টানা। সাইফুল ভাই সোর্ড নিয়ে পিছনের সিটে বসেছেন। আমার পাশের সিটে ছেলেটি। পেছন থেকে শুনলাম সাইফুল ভাই তলোয়ারটি হাতে নিয়ে ধার পরখ করতে করতে মজা করে বলছেন, 'এখনো যে ধার আছে, দুয়েকজনকে অনায়াসে শুইয়ে ফেলা যাবে মনে হচ্ছে।'

একঘন্টাও ড্রাইভ করিনি, একদম হঠাৎ করেই পেছন থেকে একটা হাইওয়ে প্রেট্রোল-কার আমাকে পুল ওভার করার সিগন্যাল দিলো। আমার হার্টবিট সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেলো। কারণ গাড়ীর ভেতর 'জিনিস' ভর্তি! শালার কোন দুঃখে যে স্পিডিং করতে গিয়েছিলাম! মাত্র ৫ সেকেন্ড স্পিডিং করেছি, সেটাও ধরে ফেলছে! আর পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে!
পুলিশ কাছে এলে জানালার কাঁচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'হাই, হোয়াটস আপ, বাডি?'

পুলিশ জানালো তেমন কিছু না, জাস্ট র‌্যানডম চেক করবে। প্রথমেই আমার ব্রিথ টেস্ট করলো। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, 'তোমাদের কি মনে হচ্ছিলো আমি ড্রাংক হয়ে ড্রাইভিং করছিলাম?'
উত্তরে সঙ্গে থাকা মহিলা পুলিশটি বলল, 'না তা মনে হয়নি। কিন্তু এটা আমাদের একটা রেগুলার প্রসিজার।' (প্রসিডিউর)
এরপর লাইসেন্স আর গাড়ির রেজিঃ চেক করে মহিলা পুলিশটি এবার আসল কথা আসল, 'তুমি কি জানো তুমি স্পিডিং করছিলে?'
আমি চুপ করে রইলাম। কি উত্তর দেবো! খাড়ার উপরে সাড়ে চারশ ডলার ফাইনের স্লিপ ধরিয়ে দিলো। রাগে দুঃখে আমার চোখ ফেটে কান্না আসার যোগাড়! সাইফুল ভাই পেছন থেকে বললেন, 'ঘাবড়াবেন না। আমি শেয়ার করবো। কিন্তু এখন থেকে আর এক মাইক্রো সেকেন্ডের জন্যও জোরে চালাবেন না।'

ছবি ঋণ: http://byrev.org
এরপর চলে যাবার ঠিক আগ মূহুর্তে সঙ্গে থাকা পুরুষটি সাইফুল ভাইয়ের দরজার দিকে এসে বলল, 'তোমাদের পেছনের সিটে ওটা কি?'
সাইফুল ভাই স্পষ্ট করে বললেন, 'সামুরাই সোর্ড!'
লোকটা ভাবলো সে ভুল শুনেছে। তাই বলল, 'এক্সিউজ মি?'
সাইফুল ভাই আগের চাইতেও স্পষ্ট করে বললেন, 'দিস ইজ আ সামুরাই সোর্ড!'
সাইফুল ভাইয়ের উত্তর শুনে তো পুলিশের মাথা নষ্ট! কোনমতে বলল, 'ক্যান আই হ্যাভ আ লুক?'
সাইফুল ভাই 'শিওর' বলে সোর্ডের খাপটি নিয়ে গাড়ি থেকে নামলেন। তার দেখাদেখি আমিও নামলাম।

ততক্ষণে মহিলা পুলিশটিও পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। পুরুষ পুলিশটি গাড়ীর ছাদের উপর খাপ খুলে সোর্ডটি হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখছে। ইতিমধ্যে একটা অল্পবয়সী স্বল্পবসনা মেয়ে সাইকেল চালিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো, সোর্ড দেখে সে একটু দূরে সাইকেল থামিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলো।
এরপর যথারীতি, পুলিশকে বিস্তারিত সব খুলে বলতে হলো। বলা হলো যে আমরা এটাকে পিকআপ করতেই গিয়েছিলাম, মাত্রই হাতে পেয়েছি। ভাওচারসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখাতে হলো। তাতেও রেসিস্টের বাচ্চা রেসিস্ট পুলিশটার মন ভরলো না।

সাইফুল ভাই সত্যিই শখের সংগ্রাহক কিনা, সেটা সরেজমিনে গিয়ে দেখার জন্য সাইফুল ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স স্ক্যান করে রেখে দিলো যেখানে তার বাসার ঠিকানা রয়েছে।। তবে এরপর পুলিশটি একটা ভাল সাজেশন দিলো। সাইফুল ভাইকে বলল, সোর্ডের জন্য আলাদা করে কোগরাহ সিটি কাউন্সিল থেকে একটা বিশেষায়িত লাইসেন্স নিতে যেটার উপরে সোর্ড বহনের অনুমতি থাকবে।
এমনকি কোন রূট দিয়ে সাইফুল ভাই সোর্ড সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন, সেটারও উল্লেখ থাকবে। ওই লাইসেন্স সঙ্গে না-থাকলে পুলিশ ঝামেলা করবে। যারা সামুরাই সোর্ড দিয়ে প্র্যাকটিস করে নিনজা হবার বাসনায় জুডো বা কারাতে শেখে, এ ধরনের লাইসেন্স সাধারণত তাদেরকে দেয়া হয়। অনেকটা ওয়েপন ক্যারিং লাইসেন্সের মতোই।
শেষে পুলিশ সাইফুল ভাইয়ের রূচি আর শখের একটা মেকি প্রশংসা করে সাইফুল ভাইয়ের হাতে সোর্ড ফিরিয়ে দিলো। আমি ঘুরে গাড়িতে ঢুকতে গিয়েছি, এমন সময় আমাকে বলে কিনা গাড়ির 'বুট' খুলতে! কপাল!

তো, অগত্যা খুললাম। চটের ছালা দিয়ে ছুরি-চাপাতিগুলো মোড়ানো ছিলো। পুলিশ ছালার র‌্যাপ খুলে সেগুলো বের করে আরেকপ্রস্থ হতভম্ব হয়ে গেলো! প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে আমাদের বলল, 'হোয়াটস রং ইউথ ইউ গাইস?'
মহিলা পুলিশটি এগিয়ে এসে বলল, 'এগুলোও কি তোমরা শখ করে কিনেছো? এখন বাসায় নিয়ে যাচ্ছো? তোমরা কি জানো না যে এসব ডেডলি ওয়েপন?'

তখন সাইফুল ভাই তাদেরকে অস্বাভাবিক শান্ত স্বরে বুঝিয়ে বললেন, যে কোরবানীর জন্য এগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বছরে এই একটা দিনই এই 'ডেডলি ওয়েপন'-গুলো বহন করা হয়। পুলিশ কন্ট্রোল রূমে রেডিও করে নিশ্চিত হয়ে নিলো ব্যাপারটা। তবে হাইওয়ে পেট্রোল এত সহজে ছেড়ে দেবার পাত্র না। আমাদের সবার ছবি তুলে, আমার গাড়ীর ছবি তুলে, সোর্ড আর চাপাতির ভিডিও করলো। রাস্তা দিয়ে যতগুলো গাড়ি যাচ্ছিলো, আমাদের পাশ দিয়ে যাবার সময় স্লো করছিলো নাটক দেখার জন্য। সে এক বিরাট কেলেংকারি অবস্থা। হাইওয়ে না হলে দুয়েকজন নিয়মিত দর্শকও জুটে যেতো।

এই ঘটনা মনে করলে এখনো হাসি পায়। বিশেষ করে, সাইফুল ভাইয়ের 'দিস ইজ আ সামুরাই সোর্ড' শুনে পুলিশটার চোয়াল যেভাবে ঝুলে পড়েছিলো, সেই দৃশ্যগুলো ভুলে যাওয়া কী আদৌ সম্ভব... :D" 
প্রলয় হাসান: http://www.facebook.com/proloyhasan 

*পোস্টের সামুরাই সোর্ডের ছবিটি প্রতীক অর্থে এখানে দেয়া হয়েছে। ছবি-সূত্র: http://byrev.org/photovideo/samurai-sword-pictures-gallery/

5 comments:

রুহান said...

খুব ভালো লাগল ফেবুতে শেয়ার দিলাম।প্রলয়দা ঘটনাটা মজা করে লিখেছেন। আরেক কথা শুভ ভাই,ব্লোগার ছাড়া অন্য আইডিতে আপনার এখানে মন্তব্য করতে ঝামেলা হয়।আপনি কি ক্যাপচা রেখেছেন? {রুহান}

Anonymous said...

nice post

নুরুজ্জামান said...

লেখা ভাল লেগেছে কিতু ্এ্ইটা পড়ে ভাল লাগল না {রেসিস্টের বাচ্চা রেসিস্ট পুলিশটার মন ভরলো না।} উন্নত দেশ গুলিতে পুলিশ তার কাজ করে বলেই অপরাধীি পার পায় না

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

আপনার ভাল লাগাটুকু প্রলয় হাসানের প্রাপ্য। না তো, আমি তো কোনো ক্যাপচা রখিনি। @রুহান

পুরোটাই প্রলয় হাসানকে যায় :) @Anonymous

ভাল লাগারই কথা @নুরুজ্জামান

প্রলয় হাসান said...

@জনাব নুরুজ্জামান,

দীর্ঘদিন প্রবাসে বসবাস করার ফলে একটা ব্যাপার বুঝতে পেরেছি, বর্ণবান এখনও সভ্য দেশে বিশেষ করে (ইউ কে এবং অস্ট্রেলিয়ায়) প্রকট। আমার কথা বিশ্বাস না হলে যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকেন, তাদের কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন। আমি বাজী ধরে বলতে পারি, সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার ইচ্ছে কোন সাদা চামড়ার সামনে পুলিশ এত সহজে ব্যক্ত করতে পারতো না। আর পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে, অপরাধ করলে জরিমানা দেয়া নাহলে ছেড়ে দেয়া। কিন্তু 'সরেজমিনে' তদন্ত করার হুমকি দেয়া পুলিশের দায়িত্বের ভেতর পড়ে না বলেই জানি। আপনাকে আমি অজি পুলিশের রেসিজমের কমপক্ষে শ খানেক চাক্ষুষ ঘটনার কথা বলতে পারবো।

লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। :)