Search

Thursday, November 30, 2017

কাল-নটেশ কালবৈশাখী এক লেখক!

ব্রাত্য রাইসু নামের এক কাল-নটেশ কালবৈশাখী লেখক, যাকে কবি-কোবির বলয়ে আটকে রাখার দুঃসাহস না-করাই শ্রেয়। যেমন ধরুন, 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে', রাইসুর এই রচনাটা। এটাকে কি বলা যাবে? গোয়ানিজ শিশুর চোখ দিয়ে দেখলে অবলীলায় এটা ছররা থেকে ছড়া হয়ে উঠে। আবার এটাই কবির খদ্দরের চাদরের ফাঁক গলে হুঁকোর জল গড়িয়ে হুক্কাহুয়া রবে প্রসব হয় জলজ্যান্ত কিলবিলে দুঁদে আস্ত এক কবিতায়।

দেখো দিকি কান্ড, ‘ডাকদর’ মাহফুজুর রহমান যখন এই রচনাটা গুনগুন করেন তখন এটা আবার হয়ে উঠে অসাধারণ একটা গান। সেই গানে ধরাশায়ী হয় অজস্র প্রাণ। আবার ধরুন, আগাম জানিয়ে রাখি ধরাধরি পর্বটার বেশ খানিকটা বাহুল্যই থাকবে। তো, ধরুন এই রচনাটাই আবার 'ছাল ওঠা কুত্তা বাঘা তার নাম'-কেও ছাড়িয়ে গজিয়ে উঠবে ‘কা-কা-ই ডো’ এক উপন্যাসে। এই রচনাটাই শতবার পাঠ করলে ওটা হয়ে উঠবে কালের ছাল ছড়ানো দগদগে আস্ত এক উপন্যাস, 'কেন্ডাসট্যাং'। কালে-কালে উপন্যাস থেকে হাজারবার পাঠে এক মহাকাব্য।

আমি মানসনেত্রে দেখতে পাই হোমার এই লেখাটা পেলে হুম-হাম আওয়াজ তুলে লোফালুফি খেলে-খেলে ক্লান্ত হয়ে ‘কুতকুত’ না-খেলে 'হুদহুদ' খেলতেন। বানভট্ট একচোখে জল একচোখে পানি নিয়ে সজল চোখে পানি-জলের বান বইয়ে দিতেন। বেচারার কপাল না-ভিজে কপোল ভিজে যেত কারণ তাঁর ঠ্যাং বাঁধা আছে কলাগাছে!
তাঁদের বুকের ভেতর থেকে অদেখা এক বেদনা পাক খেয়ে উঠত, আহা-আহা, আমরাও পেয়ারাগাছ ওরফে একটা 'গয়ামগাছ' পেলুম না ক্যান রে-এ? আহারে-আহারে, গয়াম গাছের সঙ্গে গ… মারামারি করলুম না কেন রে-এ-এ? ওরে-ওরে, জীবনগাছটা এতো ছোটগাছ কেন রে-এ-এ-এ!
আসলে রাইসুর মত এই ধরনের 'ল্যাকক' ওরফে লেখকের জন্মদিন-মৃত্যুদিন বলে আলাদা করে কিছু নেই…।

ব্রাত্য রাইসুর 'অমড়' সৃষ্টি।

*  ইমেজ আকারে কবিতা ঋণ: ব্রাত্য রাইসু
...
০৫.০৩.২০২২
'বুদ্ধা রইস' মানে বুদ্ধিজীবী রাইসু একটা 'এসটাটাস' প্রসব করেছেন, হালে:
কিন্তু আজকালকার পোলাপানরা মানি লুকের মান রাখতে জানে না। সুকান্ত ধর পাপ্পুর এহেন কর্মকান্ডে নিন্দা জানাই :)
 
 

Sunday, November 19, 2017

দেশপ্রেম এবং 'ভোটঘুম'!

আমাদের দেশে দাদারা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করেন এতে ইউনেসকোর গাত্রদাহ হয়। ইউনেসকো পাজি নচ্ছার একটা!
আমাদের দেশেরও অনেকের গা জ্বলে। দাদাদের দোষ ধরে।

দাদারা রেল সুবিধা চান। এই কারণে পাকিস্তান আমলেই আজমপুর নামক স্থানে রেলওয়ে বিপুল জায়গা অধিগ্রহণ করে রেখেছিল কিন্তু দাদারা সেপথ মাড়ান না কারণ এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের এয়ারপোর্ট, শহর।
এখন নতুন করে আবারও অধিগ্রহণ। এতে করে প্রয়োজন ১৫ কিলোমিটার জায়গা। জনগণের বিস্তর খতকিতাবত-পত্র চালাচালি করেও ফল ‘প্রায় একটা লাড্ডু’।
যাই হোক, এই ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১০ কিলোমিটার আমাদের দেশে হওয়ার কারণে নষ্ট হবে একরের-পর-একর জমি। এতে অবশ্য খুব একটা সমস্যা নেই আমরা বাসা বাঁধব বঙ্গোপসাগরে। আরও বিলীন হবে আমাদের বুকে জাপটে ধরে রাখা বুড়ো-বুড়িদের হাড়, ঐতিহ্যবাহি স্থাপনা, মন্দির-মসজিদ।
ওদিকে দাদাদের কেবল ৫ কিলোমিটার! এরমধ্যে কেবল ১ কিলোমিটার ধানক্ষেত আর ৪ কিলোমিটার শহরের উপর দিয়ে উড়ালরেল।
একারণেও অনেকের গা জ্বলে। দাদাদের দোষ ধরে।


লক্ষ-লক্ষ রোহিঙ্গা দিয়ে আমাদের দেশ ভরে যায়। আমরা দুম করে বলি প্রয়োজনে একবেলা খাব। বাহ, বেশ তো!
তো, মিয়ানমারকে রেহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিতে এবং নাগরিকত্ব দিতে জাতিসংঘে ওআইসির প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সময় দাদারা পেট ভাসিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন বিধায় ভোট দিতে পারেননি, আফসোস। হায় ঘুম, হায়!
দাদাদের এই ঘুমের কারণেও অনেকের গা জ্বলে। ঘুমকাতুরে দাদাদের দোষ ধরে।

কিন্তু আমি দোষ ধরা দূরে থাক দাদাদের দোষই দেখি না কারণ দেশপ্রেমিক হওয়া দোষের কিছু না।