Search

Monday, November 23, 2020

দারাজ, চালবাজ এক প্রতিষ্ঠান।

এমনিতে দারাজ আমার খুব পছন্দের একটা প্রতিষ্ঠান কারণ আমার মত বেকুব টাইপের লোকজন যারা বোকার মত মূল স্রোতের উল্টোদিকে সাঁতরায় মানে গ্রাম-গ্রাম মফঃস্বল টাইপের জায়গায় থাকে তাদের জন্য এই অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি ভারী কাজের। শহরে যারা চট করে একটা জিনিস হাতের নাগালে পেয়ে যান সেটা আমাদের জন্য বড় একটা সমস্যা।

আমার হাবিজাবি জিনিস সংগ্রহের শখ আছে। এমন অনেক আবর্জনাই ক্রয় করি কিন্তু এমনও হয়েছে কখনই ব্যবহার করা হয় না। আছে এটাই শান্তি! যেমন ছোট্ট পোর্টেবল টাইপের একটা স্ত্রী না ইস্ত্রি আছে। তো, দেশে বিদেশে যেখানেই যাই সাথে নিয়ে যাই। কিন্তু বিগত ত্রিশ বছরে একটা দিয়ে আয়রন করেছি বলে মনে পড়ে না। ব্যাটা কিন্তু এখনও জীবিত।

যাই হোক, দারাজ থেকে একটা এলইডি সোলার লাইট অর্ডার করি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে। হাতে পাওয়া গেল ১৯ সেপ্টেম্বর। কাজের বেলায় দেখা গেল জিনিসটা অকেজো। দারাজের রিফান্ডের অপশন হিজিবিজি-'বিজিহিজি' টাইপের- খুঁজে বের করা এক হ্যাপা! এদের ধারণা ক্রেতাদের হাতে এন্তার সময় থাকে এদের আর কোন কাজ নেই সারাদিন দারাজ নিয়ে পড়ে থাকবেন। আমার ধারণা কাজটা ইচ্ছাকৃত খুঁজে-খুঁজে হয়রান হয়ে ক্রেতা এক সময় হাল ছেড়ে দেবেন।

'গুছলেংটি' দিয়ে অবশেষে রিফান্ডের তরিকা বের করা গেল এবং ৩২২ টাকার জিনিসের জন্য পকেটের হালাল ১৩০ টাকা খরচ করে সুন্দরবন কুরিয়ারে ফেরত পাঠানো হলো, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে।

এরপর আর কোন খবর নাই। এরপর এরা রিকোয়েস্ট ক্যানসেল করে হাবিজাবি কথা বলে:


বাধ্য হয়ে কাস্টমার কেয়ারে ফোন করা কিন্তু এদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করা আরেক যন্ত্রণা। গাঁটের পয়সা খরচ করে ফোন করবেন কিন্তু এরা একের-পর-এক দুনিয়ার প্রমোশন আপনাকে শোনাতে থাকবে। এদের ভাব দেখে মনে হয় ফোনের বিল এদের বাপ-চাচারা দেবেন। কাস্টমার কেয়ারে ফোন করার পর বিস্তর কথা চালাচালির পর আমাকে জানানো হলো কুরিয়ারের রসিদ মেইলে পাঠাতে হবে।

বেশ ৮ অক্টোবর ২০২০-এ মেইলে তাও পাঠানো গেল:

দিন যায় কথা থাকে। খবর নাই। আবারও বাধ্য হয়ে এদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেয়া। আমাকে জানানো হলো মেইল পাওয়া যায়নি! এ এক বিস্ময়! পণ্য অর্ডার করার বেলায় ঝড়ের গতিতে তথ্য আসা-যাওয়া করে কিন্তু ফেরত দেওয়ার বেলায় মেইলের তথ্যগুলো যাওয়ার সময় সফটওয়্যারের তারগুলো 'নরোমতার' হয়ে যায়! 

আবারো ১৮ অক্টোবর, ২০২০ সালে মেইলে জানতে চাইলাম বিষয় কী! আমার টাকা ফেরত না-দেওয়ার কারণ কী?

আজ নভেম্বরের ২৩ তারিখ। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় দুই মাস! এখনও আমি টাকা ফেরত পাইনি। এখানে এসে দারাজ নামের এই অন-লাইন প্রতিষ্ঠানটিকে স্রেফ একটা চালবাজ প্রতিষ্ঠান মনে হয়। এদের এই ভঙ্গিটা পরিষ্কার গ্রাহক এক সময় এই করে-করে হাল ছেড়ে দেবে। কিন্তু হাল ছেড়ো না বন্ধু...।

* আমি গোটা বিষয়টা নিয়ে 'ভোক্তা অধিকার'-এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করছি। আমার টাকা ফেরত পাওয়ার চেয়ে জরুরি হচ্ছে এরা যেন অন্যদের সঙ্গে এই সমস্ত চালবাজি ওরফে বাটপারি না করেন। 

 
     

No comments: