যৌনকর্মীদের মৃত্যুর পর তাঁর লাশ সৎকারের অধিকার থাকে না কোনও সামাজিক গোরস্থানে, ধর্মীয় কোন আচার পালন করার তো প্রশ্নই উঠে না। বিচিত্র দেশ, এখানে যৌনকর্মীদের লাশ দাফন নিয়েও আন্দোলন করতে হয়! ফরিদপুরের কিছু এনজিও ও সামাজিক সংগঠন মিলে একটি আন্দোলনের সূচনা করেছিল। বিষয় ছিল, মৃত্যুর পর যৌনকর্মীদের লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করতে হবে। লাশ দাফনের জন্য আলাদা জায়গা দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
অধিকাংশ সামাজিক গোরস্থানের দায়িত্বে থাকেন যারা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমন পর্যায়ে নাই যে এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, একজন যৌনকর্মীও সরকারকে ট্যাক্স দেন অথচ অনেকেই ট্যাক্স দিতে চান না (আশার কথা, প্রফেসর ইউনূস এ বছর থেকে ট্যাক্স দেবেন [১]। এ জন্য ইউনূস সাহেব ধন্যবাদ পাওনা হন)। তো, একজন ট্যাক্সদাতা হিসাবে রাষ্ট একজন যৌনকর্মীর সমস্ত অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হবেন।
এই গ্রহের সবচেয়ে বড়ো রহস্যের সঙ্গে জড়াজড়ি করে জড়িয়ে থাকেন যে মানুষটি তিনি হচ্ছেন গর্ভবতী একজন মা। মা এবং তাঁর অদেখা সন্তান [২]! তাঁর অন্য কোন পরিচয় নাই- তিনি মা, কেবল মা। একজন মা যখন অদেখা এই রহস্য নিয়ে খেলা করেন তখন অন্য সমস্ত খেলা বন্ধ। প্রয়োজনে ফিরে আসবে প্লেন, স্থির হবে ট্রেন, থেমে যাবে প্রার্থনা।
প্রথম আলো থেকে জানা যাচ্ছে,
"প্রসব বেদনায় কাতর এক নারীকে গত শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বেলা দুইটায় অস্ত্রেপচারের মাধ্যমে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন তিনি। ...। সোমবার ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানতে পারেন নবজাতকের মা একজন যৌনকর্মী। বেলা একটায় দুই দিনের শিশুসহ এই মাকে ওয়ার্ডের বারান্দায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।...।
হাসপাতালের পরিচালক শহিদুল হক মল্লিক বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। যৌনকর্মীদের মধ্যে এইচআইভি/ এইডসসহ যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগ থাকার আশঙ্কা থাকে। তাই অন্য শিশু ও প্রসূতি মায়েদের যাতে কোনো ঝুকিতে পড়তে না হয়, সে জন্য ওই মাকে আলাদা রাখা হয়েছে"। (আবুল হাসনাত/ প্রথম আলো ১২ জানুয়ারি ২০১১ [৩] )
এরপর থেকে তীব্র শীতে ওই মা এবং জন্মের শিশুটা খোলা বারান্দায় পড়ে আছে। ওয়াল্লা, আমাদের মল্লিক সাহেব কত্তো খেয়াল রাখেন! অন্য শিশু এবং মাদের প্রতি তার কত্তো কত্তো ভাবনা! ভাগ্যিস, এই দেশে মল্লিক সাহেবদের মত লোকজনে গিজগিজ করছে নইলে এই দেশের দায়িত্ব স্বয়ং ঈশ্বরও নিতেন কি না সন্দেহ।
গ্রামে একটা কথা চালু আছে, ব্যাটা শিকখিত (শিক্ষিত) আছে, একবারে মেট্রিক পাশ দিছে। এইচআইভি নিয়ে মল্লিক সাহেবের যে জ্ঞান দেখছি তাকে এই প্রশ্নটাই জিজ্ঞেস করাটা অসমীচীন হবে না কিন্তু মল্লিক সাহেব একবারে মেট্রিক ওরফে এসএসসি পাশ করেছেন কিনা এই নিয়ে আমার আগ্রহ নাই। আমার যেটা জানার আগ্রহ, মল্লিক সাহেব নিজে এইচআইভি সংক্রমিত কি না? ওনার এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। অন্তত আমার ঘোর সন্দেহ আছে।
এটা জানার আগ্রহ এই কারণে মল্লিক সাহেব এইচআইভি ক্যারিয়ার হলে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশেপাশে দিয়ে যাতায়ত করব না কারণ মল্লিক সাহেব থেকে আমি নিজেও সংক্রমিত হতে পারি।
আহা, মল্লিক সাহেবের এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে না বুঝি! এইচআইভি কেবল যৌনকর্মীদের থাকতে পারে মল্লিক সাহেবদের থাকতে পারে না এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে? এইচআইভি কি মল্লিক সাহেবের কাছে টিপসই দিয়েছে?
মল্লিক সাহেব কিন্তু এই মাটার মধ্যে এইচআইভি জীবানু পাননি, তিনি অনুমান করছেন এই মার থাকতে পারে। আমিও তো অনুমানই করছি মল্লিক সাহেব এইচআইভি আক্রান্ত হতে পারেন। মল্লিক সাহেব বলছেন, এইচআইভি বাতাসে হুটোপুটি খায়। সোজা কথা, বাতাসে ছড়ায়। আমিও তো তাই বলছি। তাহলে সমস্যা কোথায়!
এই হাসপাতালের বাতাস গায়ে লাগলে আমি বাঁচব বুঝি। ভাগ্যিস, বড়ো বাঁচা বেঁচে গেছি। এই হাসপাতালের দিকে মুখ করে ইয়ে ত্যাগ দূরের কথা সিগারেট টানাও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না...মল্লিক সাহেবের গায়ের বাতাস লাগলে এইচআইভির সঙ্গে কে মারামারিতে পারবে? ধন্যবাদ, মল্লিক সাহেব, আপনি আমাকে বাঁচিয়ে দিলেন।
সহায়ক লিংক:
১. ইউনূস মামার আবদার: http://www.ali-mahmed.com/2010/11/blog-post_12.html
২. মা এবং তার অদেখা সন্তান: http://www.ali-mahmed.com/2010/02/blog-post_10.html
৩. প্রথম আলো: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=3&date=2011-01-12
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Wednesday, January 12, 2011
মল্লিক সাহেব, আপনি আমাকে বাঁচিয়ে দিলেন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
5 comments:
আপনার লেখা প্রায় সব সমই পড়ি ।মন্তব্য করা হয় না কিন্তু আজকে একটু বলছি।
মল্লিক তুমি এগিয়ে চলো
আমরা তোমায় থু থু দেবো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমার শালা মল্লিক।এই হালা চাকুরী পাইল কেমন করে?
এই বেদনার কথা কাকে বলি! বানরের হাতে ক্ষুর- এই দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় বসে আছে কিছু নির্বোধ মানুষ! @sairas
shobdota chutie na?
হুঁ @sourav
Post a Comment