"...I didn't much sleep last night
thinking about underwear...
Did Gandhi wear a girdle?..."
(Underwear: L. Ferlinghetti)
Ferlinghetti -এর মাথায় ঘুরপাক খায় মহাত্মা গান্ধী আন্ডারওয়্যার পরতেন কিনা? তাঁর মত এমন বিপুল চিন্তা মাথায় ঘুরপাক না-খেললেও মাথায় কতশত প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আচ্ছা, একজন মানুষ সমকামী কেন হয়? এটা কি এমন? কেউ সিগারেট খায়, কেউ খায় না, কেউ লিকার ধরে, কেউ ধরে না, এমন?
এই বিষয়টা নিয়ে আমরা তেমন আলোচনায় যেতে চাই না কিন্তু বালিতে মাথা গুঁজে থাকলেই তো আর প্রলয় থেমে যায় না! বিষয়টা হেলাফেলা থাকে না যখন ২০০৬ সালে ব্রাজিলের গে প্রাইড প্যারেডে ৩০ লাখ মানুষ অংশগ্রহন করেন। তাদের মূল থিম ছিল, 'হোমোফোবিয়া ইজ আ ক্রাইম'।
এই বিষয়টা নিয়ে আমরা তেমন আলোচনায় যেতে চাই না কিন্তু বালিতে মাথা গুঁজে থাকলেই তো আর প্রলয় থেমে যায় না! বিষয়টা হেলাফেলা থাকে না যখন ২০০৬ সালে ব্রাজিলের গে প্রাইড প্যারেডে ৩০ লাখ মানুষ অংশগ্রহন করেন। তাদের মূল থিম ছিল, 'হোমোফোবিয়া ইজ আ ক্রাইম'।
প্রকৃতির পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে অনেক পূর্বে একটা লেখা দিয়েছিলাম। ওখানে আমি বলার চেষ্টা করেছিলাম, আমাদের দেশে এটা নিয়ে তেমন কোন কাজ হচ্ছে না। বিষয়টা আমাদের সমাজে অতি গোপনীয় কিন্তু আমার ধারণা, এর থাবা অনেক দূর বিস্তৃত।
কেউ কেউ স্বীকার করেন, অধিকাংশই সযতনে গোপন করে রাখেন। নির্মলেন্দু গুণ যখন বলেন:
"যৌবনের প্রথম দিনগুলোতে আমি নিজেও সমকামি ছিলাম। প্রথমদিকে অন্য অনেকের মত আমিও দু'একবার সমকামিতার শিকার হয়েছি, পরে অধিকাংশ সময় আমি নিজেই ছিলাম শিকার-সন্ধানী।"
(গীনসবার্গের সঙ্গে/ নির্মলেন্দু গুণ। পৃ: ৫২)
তখন গুণ আমাদের কাছ থেকে শাবাসি আশা করেন কিনা কে জানে! কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, আমাদের শ্রদ্ধেয় কবিবর নির্মলেন্দু গুণকে 'হালকা চাবুকপেটা' করা আবশ্যক। আমাদের দেশের একজন প্রথম সারির বুদ্ধিজীবী সমকামী নাকি ছাগলকামী সে ভিন্ন তর্কের জায়গা কিন্তু তিনি কী অবলীলায় বলছেন, 'আগে শিকার ছিলাম এখন শিকারী হয়েছি'।
ভাগ্যিস, আগের আমলের বাঘ শিকারের মত মরা বাঘের উপর পা তুলে এবং বন্দুকসহ যেভাবে শিকারিরা ছবি তুলতেন তেমনি আমাদের 'কবি শিকারী' গুণ দাদা কোন-এক বালকের উপর পা তুলে ইয়ে উঁচিয়ে ছবি উঠাচ্ছেন এই দৃশ্য দেখে অজ্ঞান হয়ে যাব!
কানাডার ন্যাশনাল একাডেমি অভ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে প্রফেসর এন্থনি এফ বোগার্ট বলেন, 'সমকামীতার কারণ যতটা না সামাজিক তারচে অনেক বেশি জৈবিক'।
বোগার্টের মতে, গর্ভাবস্থায় একধরনের 'মাতৃক স্মৃতি' সমকামি বৈশিষ্ট্য নির্ধারনের জন্য দায়ি। কোনও কোনও মায়ের শরীর হয়তো তার গর্ভে সন্তানের ভ্রুণকে বিজাতীয় হিসাবে দেখে থাকে। ফলে তার শরীরে অ্যান্টিবডি নিঃসরণ বা কোনও ধরনের প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে। আর এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় সন্তানের ভ্রুণের মধ্যে।
মায়ের অ্যান্টিবডি ছেলে ভ্রুণের অপরিণত মস্তিষ্কে যে প্রভাব ফেলে পরে সেটাই হয়তো তাকে সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। তবে নারি সমকামিদের ক্ষেত্রে বিষয়টা কিভাবে ঘটে এ বিষয়ে কিছু বলেননি বোগার্ট!
বোগার্টের সমকামিতার ব্যাখ্যা বুঝতে খানিকটা সমস্যা হয়। গীনসবার্গও স্বঘোষিত সমকামি ছিলেন। বোগার্টের তত্ত্ব এখানে খানিকটা মিলে গেলেও, গীনস এবং কবি গুণের মধ্যে বেশ অনেকখানি পার্থক্য আছে।
গুণের কথামতে তিনি প্রথম যৌবনে সমকামি ছিলেন, পরের যৌবনে সমকামি ছিলেন না। প্রথমে শিকার হয়েছেন, পরে শিকারী হয়েছেন। এতে সন্দেহ নাই ব্যাপারটা তিনি উপভোগ করেছেন।
অনেকটা সেই ঘটনার মত: এক ধর্ষিতা সেনাপ্রধানের নিকট এসে বলছে:
অনেকটা সেই ঘটনার মত: এক ধর্ষিতা সেনাপ্রধানের নিকট এসে বলছে:
'আপনার ২৩ জন সৈনিক আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই'।সেনাপ্রধান বললেন, '২৩ জন, ঠিক বলছো'!'অবশ্যই, ২৩ জন'!এবার সেনাপ্রধান বললেন, 'সংখ্যাটা তুমি যখন মনে রাখতে পেরেছ তখন এতে আমার কোন সন্দেহ নাই পর্বটা তুমি উপভোগ করেছ'।
কবি গুণ পরে বিয়ে-শাদীও করেছিলেন, 'মৃত্তিকা' নামের তাঁর চমৎকার একটা মেয়েও আছে। যে ছোট্ট (৪ বছর বয়সে) মেয়েটির কান্না থামাবার জন্য তিনি পানিতে ঝাঁপ দেয়ার ভঙ্গি করেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত, এই মেয়েটি তখন পানিতে পড়ে গেলে, গুণ সত্যি সত্যি চোখ বুজে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। মেয়ের জন্য তাঁর এই যে অন্য ভুবনের তীব্র মায়া-মমতা, গুণ আজীবন গে থেকে গেলে কী এর ছোঁয়া পেতেন, কে জানে!
এক লিঙ্গের অন্য লিঙ্গের প্রতি তীব্র আকর্ষণে মানব-শেকড় ক্রমশ ছড়াতে থাকবে। গুণ থেকে মৃত্তিকা, মৃত্তিকা থেকে অন্য কেউ। শেকড় নামের শেকলের আংটাগুলো একটার সঙ্গে অন্যটা আটঁসাঁট হয়ে থাকবে। এইজন্যই কি প্রকৃতি ব্যত্যয় পছন্দ করে না?
সে চলে তার নিজস্ব গতিতে, তাঁর অনন্ত ভ্রমণে থামাথামির সুযোগ কোথায়? থামতে যে তাঁর বড়ো আলস্য। আসলে তাঁর অনন্ত যাত্রায় থামার কোন সুযোগ নাই- কে জানে, হয়তো ইচ্ছা করেই রাখা হয়নি!
এদিকে প্রকৃতির সন্তান আবার চলে তার নিজস্ব গতিতে। প্রকৃতির সন্তান পরিপাটি করে গোছানো প্রকৃতিকে এলোমেলো করে দেয়- কেউ গাছসব কেটে সাফ করে ফেলে, কেউ জেনেটিক কোডের তথ্যের হাত ধরে অপার্থিব আনন্দের সংগে 'গে' হয়ে যায় অথচ আমাদের অনেকের বিষয়টা নিয়ে ভাবলেই মুখ ভরে বমি চলে আসে...।
এদিকে প্রকৃতির সন্তান আবার চলে তার নিজস্ব গতিতে। প্রকৃতির সন্তান পরিপাটি করে গোছানো প্রকৃতিকে এলোমেলো করে দেয়- কেউ গাছসব কেটে সাফ করে ফেলে, কেউ জেনেটিক কোডের তথ্যের হাত ধরে অপার্থিব আনন্দের সংগে 'গে' হয়ে যায় অথচ আমাদের অনেকের বিষয়টা নিয়ে ভাবলেই মুখ ভরে বমি চলে আসে...।
সহায়ক সূত্র:
১. প্রকৃতির পছন্দ-অপছন্দ...: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_5122.html
২. অনন্ত ভ্রমণ...: http://www.ali-mahmed.com/2009/09/blog-post_18.html
7 comments:
Great information! I’ve been looking for something like this for a while now. Thanks!
:)@Anonymous
ভালো লাগল পড়ে। আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ, আপনাকেও @Abdul Kawsar Tushar
apni somokamitar pokkhe naki bipokkhe?
একজন কোনো একটা বিষয় নিয়ে লিখলে তাকে পক্ষে-বিপক্ষে মতামতের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলে তো বড় মুশকিল হল দেখছি।
যেমন একজন রেফারিকে এটা জিজ্ঞেস করা সে কোন দলে, এ এক অনৈতিক প্রশ্ন ...
তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবনাটা বলি:
মরণ! আমার কাছে এ এক অসহ্য! ভাবতেই গা গুলিয়ে আসে। মনে হয় গলায় আঙুল দিয়ে বমি করতে পারলে খানিকটা আরাম হয়। @Anonymous
ei problem er ekta solution ber kora darkar.apnara research kore ekta solution dile jati upokrito hoto.
Post a Comment