এইবার ভোলায় লঞ্চ ডুবিতে এখন পর্যন্ত সংখ্যাটা হচ্ছে ৮৭। ৮৭-এর পর ৮৮, ৮৯, ৯০। আহা, সংখ্যা মানে লাশ এটা বুঝি আবার লিখতে হবে? উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে কী, ক্রমশ সংখ্যা বাড়তে তো কোন সমস্যা নাই। উদ্ধার তৎপরতা বন্ধের পরও লাশ উদ্ধার হচ্ছে। লঞ্চডুবিতে ছাগল দেয়ার নিয়ম চালু ছিল, এই নিয়ম কি এখনও চালু আছে?
উদ্ধার তৎপরতা মানে হচ্ছে রুস্তম, হামজা নামের দুই উদ্ধারকারি জাহাজ নামের বুড়া গাধার গাধামি- একটা টানে, অন্যটা ঠেলে! রুস্তম, হামজা এই বুড়া-হাবড়ার দোষ দিয়ে লাভ কী, বেচারা! এদের জন্য মায়াই হয়। এদের উত্তোলন ক্ষমতা ১২০ মে. টন কিন্তু এখনকার বেশিরভাগ লঞ্চগুলোই হচ্ছে ৫০০ মে. টনের। কোকো-৪ লঞ্চের ওজনও তাই। ফল যা হবার তাই হয়! অবশ্য এটা ঠিক, আই ওয়াশের বিষযটা এরা চমৎকাররুপে সার্ভ করেন! ফাঁকতালে এই দুই গাধা মিলে গাধামি করবে আর ছাগল দেয়ার সংখ্যা বাড়বে!
অনেককে দেখছি, এই নিয়ে বড়ো অস্থির হচ্ছেন। লঞ্চ ডুববে, উদ্ধারকাজ বন্ধ হবে এ তো বিচিত্র কিছু না। লঞ্চগুলোর ফিটনেস দেখে ভূত। অধিকাংশ লঞ্চের তলদেশ হালকা, জোর হাওয়ায় লঞ্চ উল্টে যায়। ধরেবেঁধে কিছু লঞ্চের তলদেশে পাথর, সিমেন্ট দিয়ে (সলিড ব্যালাস্ট) ভারী করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়।
বড়ো অভাগা এই দেশ। সংখ্যা-লাশ ভেসে যায়। একজন মা-বাবা তাঁর সন্তানের লাশটাও দেখতে পাবেন না। শেষ দেখা দেখে গড়াগড়ি করে কাঁদতেও পারবেন না। শেষ গোসল করাবার জন্য বড়িপাতার খোঁজ করবে না কেউ। শেষবার কবরে নামাবার সময় বাবা বলতেও পারবেন না, আহারে, একটু আস্তে নামাও, বাজান দুকখু পায় না বুঝি। সংখ্যা-লাশ নামের মানুষটার শেষশয্যা বলে কপালে কিছুই জুটবে না।
আচ্ছা, লাশ ভেসে যায় কেমন করে? নৌবাহিনীর স্পীড-বোট, দ্রুতগামি যানগুলোর তলা কি ফুটো হয়ে গেছে? বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোর পাখা কি ঝুলে গেছে?
মোদ্দা কথা হলো, এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে বিশেষ কোন সংখ্যা নাই- বিশেষ কোন সংখ্যা মানে কোন এক ভি,ভি,আই,পি। থাকলে বঙ্গাল দেখত উদ্ধার তৎপরতা কাহাকে বলে, কত প্রকার এ কি কি? এই ভি,ভি,আই,পির একটা বিচিও হাঙ্গর খেয়ে ফেললে হাঙ্গরের পেট থেকে সেটা পুনরুদ্ধার করে পুনরায় সেটা স্বস্থানে সেলাই করে দেয়া হতো। এতে আপনাদের সন্দেহ থাকতে পারে, অন্তত আমার কোন সন্দেহ নাই।
বড়ো বিচিত্র এই দেশ! এই দেশে বড়ো বড়ো মানুষরা ফ্রিগেড কেনার কথা ভাবেন কিন্তু রুস্তম, হামজা নামের গাধাদের অবসর দেয়ার কথা ভাবেন না। আমাদের দেশে সবচে উঁচু ভবন কয় তলা? অথচ আগুন নেভাবার জন্য ব্রন্টো স্কাই লিফটের ১৪ তলার পর যাওয়ার সাধ্য নাই! আমরা আরেকটা আগুন লাগার অপেক্ষায় থাকব, গোল হয়ে তামাশা দেখব। মিডিয়া কাঁপা কাঁপা গলায় লাইভ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে গ্রেট শো দেখাবে। আমরা যারা সরাসরি ওখানে থাকতে পারব না তারা টিভির সামনে পেট ভাসিয়ে তারিয়ে তারিয়ে অনুষ্ঠানটা উপভোগ করব! আলুর গুদাম যখন পুড়বেই তখন লবন দিয়ে পোড়া আলু খাওয়ার অপেক্ষা করা ব্যতীত আমাদের আর কাজ কী! <
*প্রথম আলোর এই ছবিটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না সরকার নামের দেশপিতার অবহেলা, তাচ্ছিল্য, উদাসিনতা...।
(ছবিটা দেখে প্রথম আলোর জন্যও করুণা হয় এরা কখনই বদলাবে না! এমন অসাধারণ একটা ছবিটা যিনি উঠিয়েছেন, তাঁর নাম ছাপা হয়নি!)
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Friday, December 4, 2009
গাধা বনাম ছাগল!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment