২৫ মার্চ।
যশোর।
মশিহুর রহমান।
স্ত্রী, পুত্র, বন্ধুবান্ধবের শত-অনুরোধেও তিনি পালিয়ে যাননি। তার এক কথা, নিজে নেতা হয়ে, নির্দয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যাবো জীবন রক্ষা করতে? আমার পক্ষে এটা সম্ভব না।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়। পাকিস্তানীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে কাগজে সই করার জন্য মশিহুর রহমানকে বললে তিনি রাজী হননি। শুরু হয় তাঁর উপর অমানুষিক অত্যাচার। তাঁর শরীরের নানা অংশ আগুনে পোড়ানো হয়, তাঁকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়, চাবুক মেরে সমস্ত শরীর রক্তাক্ত করা হয়। তারপরও তাঁকে নত করা যায়নি!
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী প্রথমে তাঁর বাম হাত কেটে ফেলে, যেন তিনি ডান হাতে সই করতে পারেন। অপার্থিব যন্ত্রণায় ছটফট করেছেন কিন্তু তারপরও তাঁকে রাজী করাতে না পেরে তাঁর ডান হাত কেটে ফেলা হয়।
প্র্রতিদিনে একে একে তাঁর দুই পা, দুই হাতসহ শরীরের একেকটা অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। তারপরও মশিহুর রহমান বলেছেন, আমি জনগণের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারব না, লিখে দেব না। একসময় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
(সূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, অষ্টম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৫৪৮)
যশোর।
মশিহুর রহমান।
স্ত্রী, পুত্র, বন্ধুবান্ধবের শত-অনুরোধেও তিনি পালিয়ে যাননি। তার এক কথা, নিজে নেতা হয়ে, নির্দয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যাবো জীবন রক্ষা করতে? আমার পক্ষে এটা সম্ভব না।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়। পাকিস্তানীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে কাগজে সই করার জন্য মশিহুর রহমানকে বললে তিনি রাজী হননি। শুরু হয় তাঁর উপর অমানুষিক অত্যাচার। তাঁর শরীরের নানা অংশ আগুনে পোড়ানো হয়, তাঁকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়, চাবুক মেরে সমস্ত শরীর রক্তাক্ত করা হয়। তারপরও তাঁকে নত করা যায়নি!
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী প্রথমে তাঁর বাম হাত কেটে ফেলে, যেন তিনি ডান হাতে সই করতে পারেন। অপার্থিব যন্ত্রণায় ছটফট করেছেন কিন্তু তারপরও তাঁকে রাজী করাতে না পেরে তাঁর ডান হাত কেটে ফেলা হয়।
প্র্রতিদিনে একে একে তাঁর দুই পা, দুই হাতসহ শরীরের একেকটা অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। তারপরও মশিহুর রহমান বলেছেন, আমি জনগণের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারব না, লিখে দেব না। একসময় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
(সূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, অষ্টম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৫৪৮)
No comments:
Post a Comment