(ইউটিউব থেকে এটা মুছে ফেলা হয়েছে যে যুক্তিতে, কেবল এইজন্য ইউটিউবকে চাবকানো প্রয়োজন। কত বীভৎস ছবি দেখেছি ইউটিউবে! এখন ব্যাটাদের সূক্ষরূচি আহত হয়!)
ভাগ্যিস bbc-তে ছিল।
http://news.bbc.co.uk/1/hi/world/7980877.stm
তালেবান মোল্লারা ৩৪ বার চাবুক মেরেছে এই কিশোরিকে, পর্দা না করে পরপুরূষের সঙ্গে বের হওয়ার অপরাধে। তালেবান মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, "ইসলামি আইন অনুযায়ি নারিরা পর্দা করা ব্যতীত বাইরে বেরুতে পারবে না"।
তাই তো! ইসলামি আইন!
কিন্তু কোরানে কী এটা নাই?
"কেউ ছোটখাটো দোষ করলে (পর্দা), তোমার প্রতিপালকের তো ক্ষমার শেষ নেই। ...সুতরাং তোমরা নিজেদের বড় পবিত্র ভেবো না; কে সংযমী তা তিনিই ভাল জানেন..."।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzB_MTMhxkmk5fXP8-wCsr2huHsJazBy0XHdxtJyJrFodTdLgCK0srNBvWorPmr9FzhrsEwN7mmluP2lLNPGqf5OcN-dEu3cwwyqem4oVnZPzsNy1tWPwG_mcISy-UDCrRjEACKK9kE8Y/s320/suspect.jpg)
(৫৩ সুরা নাজম: ৩২)
হে নবী, তুমি তোমাদের স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও বিশ্বাসী নারীদের বলো তারা যেন চাদরের কিছু অংশ নিজেদের মুখের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজতর হবে, ফলে তাদেরতে কেউ উত্যক্ত করবে না..."।
(৩৩ সুরা আহজাব: ৫৯)
(এই ছবিসূত্র জানা নাই। কিন্তু এই ছবির, এই পর্দা-পোশাক কোত্থেকে আমদানি হলো এটা গবেষণার বিষয়! কোরানে তো পেলাম না এখন হাদিস ঘেঁটে দেখতে হবে। সহীহ হাদিস ঘাঁটব, না জয়ীফ হাদিস? বড় ধন্ধে আছি!)
...
কোরানকে অবোধ্য করার প্রয়াস তো ছিল না। সেজন্যই আজমি (অ-আরবি) ভাষার বদলে কোরান সহজে বোঝার জন্যই আরবীতে নাযিল হয়েছিল কারণ তৎকালিনদের ভাষা ছিল আরবি:
"আমি তোমার ভাষায় এ (কোরান) সহজ করে দিয়েছি..."।
(১৯ সুরা মরিয়ম: ৯৭)
"কোরান আমি তো আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার"।
(১২ সুরা ইউসুফ: ২)
কোরান অতিসহজে বোধগম্য হওয়ার জন্যই সম্ভবত এমন উদাহরণগুলো দেয়া হয়েছিল:
"তবে কি ওরা লক্ষ করে না, উট কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে?"
(৮৮, সুরা গা'শিয়া: ১৭)
"তোমাদের আরোহনের জন্য ও শোভার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন (আনআম) অশ্ব, অশ্বেতর ও গর্দভ..."।
(১৬ সুরা নাহল: ৫-৮)
উদাহরণটায় যদি উট, অশ্ব, গর্দভের বদলে পান্ডা, নীলতিমি বা শ্বেতভল্লুক দিয়ে দেয়া হত তাহলে আমাদের আরববাসি ভাইদের জন্য তকলিফকর বিষয় হত বৈকি!
ইসলাম ধর্মের পতাকা বহিবার অধিকার কী কেবল সৌদি ভাইজানদের, হালের তালেবানদের? সাম্প্রতিক উদাহরণটা হচ্ছে, এই তালেবান মোল্লাদের কান্ড। এরা রূপকতার ধার ধারেন না। সমস্ত কিছুই আক্ষরিকার্থে গ্রহন করেন।
এদের মাথায় কেবল ঘুরপাক খায় উট। উটের লেজ ধরে চলে আসে দোররা। মারো দোররা...। পরপুরুষ! যে দোররা মারছে, ধরে রেখেছে, যারা দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে, এরা কী? এরা কী পরপুরুষ না?
"...তারা জান্নাতেও ঢুকতে পারবে না যে-পর্যন্ত না সুচের ফুটোয় উট ঢুকতে পারে"।
(৭ সুরা আরাফ: ৪০)
কে জানে, আক্ষরিকার্থে এটাও হয়তো এদের মাথায় ঘুরপাক খাবে, কেমন করে সুচের ভেতর দিয়ে উটকে চালান করা যায়? এজন্যই সম্ভবত এদের জন্যে বোমাতন্ত্রের চর্চার ধারাবাহিকতায় সুচের ছিদ্রে বোমা মারাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে ধর্ম যায় যে যায়- হায়, সুচের ভেতর দিয়ে উট ঢুকবে কেমন করে?
এই আয়াতগুলো কী আমাদের এই মোল্লাসাহেবদের দৃষ্টিগোচর হয় না?
"তিনি তো সীমাঅতিক্রমকারিকে ভালবাসেন না..."।
(৭ সুরা আরাফ: ৫৫)
"আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারিদেরকে ভালবাসেন না..."।
(২৮ সুরা কাসাস: ৭৭; ৫ সুরা মায়িদা: ৬৪)
হায়রে ধর্ম! কেবল নারিদের বেলায় কত ধরনের যে পর্দা থাকা জরুরি! ফ্রান্সের মত অতিসভ্য দেশে এমনটা ঘটলে তালেবান নামের বদ্ধউম্মাদদের খুব একটা দোষ দেই কেমন করে!
জ্ঞান হচ্ছে, একটা সরলরেখা- ক্রমশ এগিয়ে যাওয়া। অজ্ঞানতা হচ্ছে, বৃত্ত- অনবরত ঘুরপাক খাওয়া।
পুরনো বিষয়ের চর্বিতচর্বণ করতে চাচ্ছি না। নাস্তিক তার মত থাকুক, আস্তিক আস্তিকের মত । ধর্মে জোর করার তো কিছু নাই!
নইলে আমরা পানি থেকে জল আলাদা করার যন্ত্রপাতি আমদানি করব আর মসজিতে জুতাজুতি করব। অতঃপর এটাকে পাদুকা বলা হবে নাকি জুতা, এ নিয়ে আরেক দফা Beating one another with...।
No comments:
Post a Comment